জাতীয়
আমদানি-রপ্তানিতে ‘সেবা’ অন্তর্ভুক্ত করে নতুন আইন

সেবা অন্তর্ভুক্ত করে ‘আমদানি ও রপ্তানি আইন, ২০২৪’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। নতুন আইনানুযায়ী, সেবা আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগবে।
সোমবার (১ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে নতুন আইন অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ ও নিষিদ্ধকরণের ১৯৫০ সালের আইন আছে। পুরানো আইনগুলো পর্যায়ক্রমে যুগোপযোগী করার নির্দেশনা আছে। এজন্য নতুন আইনের খসড়া করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগের আইনে নতুন করে কিছু বিষয় সংযুক্ত করা হয়েছে। আগে শুধু পণ্যের কথা বলা ছিল। এখন বাণিজ্যিকভাবে সেবা কার্যক্রমকেও এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেবা আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগবে। এ আইনের আওতায় সেবাকে যুক্ত করা হয়েছে। কমোডিটির পাশাপাশি সার্ভিসকে যুক্ত করা হয়েছে।
খসড়া আইনে থাকা সেবার সংজ্ঞা তুলে ধরে তিনি বলেন, ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের অধীন জেনারেল এগ্রিমেন্ট অন ট্রেড ইন সার্ভিস চুক্তিতে বর্ণিত সংজ্ঞা অনুযায়ী যেকোনো সেবা।
মাহবুব হোসেন বলেন, সরকার কোনো পণ্য বা সেবা নিয়ন্ত্রণ বা নিষিদ্ধ করতে পারবে। এ সম্পর্কিত আদেশ ও বিধিবিধান প্রণয়ন করতে পারবে। আমদানি ও রপ্তানি নীতি প্রণয়নের দায়িত্ব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া সভায় ‘পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা আইন, ২০২৪’, ‘বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা (স্থাবর সম্পত্তি অর্জন নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০২৪’ এবং ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০২৪’ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
এ আইনগুলো গত সরকারের মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হলেও তা সংসদে বিল আকারে পাস হয়নি। তাই সরকার পরিবর্তনের কারণে নতুন করে আইনগুলো মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের জন্য এসেছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

জাতীয়
নির্বাচনে নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ২৭ হাজার ৬৩৭ জন নিয়োগ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরাপত্তা জোরদার করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীতে ২৭ হাজার ৬৩৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
নির্বাচন নিয়ে কী আলোচনা হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচন নিয়ে আপনারা সব সময় বলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে কোনো নিয়োগ হয়নি। এজন্য আজকে আমি আপনাদের জানাচ্ছি নির্বাচনের আগেই পুলিশ বাহিনীতে ১৫ হাজার ৮৫১ জনকে নতুন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) ৪ হাজার ৪৬৯ জন ও আনসার ৫ হাজার ৫৫১ জন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত না তারপরও কারায় ১ হাজার ৫৫৮ জনকে ও ফায়ার সার্ভিসে ২০৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, র্যাবে যারা ছিল তাদের আমরা নতুন র্যাবে নিয়ে আসছি এবং কোস্টগার্ডেও নেভি থেকে নেওয়া হয়েছে। এগুলো সব নতুন নিয়োগ। বর্তমান সরকার আসার পর এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
কোন কোন পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পুলিশের কনস্টেবল, এসআই, এসপি এই তিনটি পদে নিয়োগ হয়। এরমধ্যে কনস্টেবল ও এসআই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এসপির সংখ্যাটা আমরা বলিনি। এসপি নেই বা ক্যাডারের কেউ নেই এই নতুন নিয়োগের সংখ্যায়। বিজিবির ক্ষেত্রে কনস্টেবল ও আনসারের ক্ষেত্রেও কনস্টেবল।
যে নিয়োগগুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলো কী নতুন পদসৃর্জন করা হয়েছে, নাকি শূন্য পদে দেওয়া হয়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেশিরভাগই নতুন পদসৃর্জন করা হয়েছে। আর কিছু নিয়োগ দেওয়া হয়েছে শূন্য পদে।
মাইটিভির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় বাদী বলেছে এই ঘটনায় চেয়ারম্যানের সম্পৃক্ততা নেই। তবুও কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে- এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এ বিষয়ে আদালতকে জিজ্ঞাসা করেন। পুলিশের অ্যারেস্ট করা অবৈধ হলে আদালত তাকে ছেড়ে দিল। আদালত কারো কথা শোনে না। তারা তো স্বাধীন।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই সাধারণ জনগণ বা নির্দোষ জনগণ কোনোভাবেই যেন হয়রানির শিকার না হয়। যে দোষী সে কোনো অবস্থায় ছাড়া পাবে না। আমরা সবসময় চুনোপুঁটিগুলো ধরি। বড় রুই মাছ সব সময় ছাড়া পেয়ে যায়। বড় একটা ধরা পড়ছে এখন আপনারা সবাই লেগে গেছেন। চুনোপুঁটি সম্পর্কে কিন্তু কেউ কিছু বলছেন না। সুতরাং নির্দোষ এমন কেউ ছোটখাটো কিন্তু তাকে ধরা হলে সে সম্পর্কে আপনারা বলেন। আপনারা সবসময় সত্য ঘটনা বলে থাকেন বলে আপনাদের ধন্যবাদ।
জাতীয়
এনবিআরের ১৩১ সহকারী কর কমিশনার বদলি

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ১৩১ জন সহকারী কর কমিশনারকে বদলি করা হয়েছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের ‘কর প্রশাসন-১ শাখা’ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বিসিএস (কর) ক্যাডারের ১৩১ জন সহকারী কর কমিশনারকে (বিভাগীয় ও ক্যাডার) পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মস্থলে বদলি বা পদায়ন করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, মোহাম্মদ সাজ্জাদুর রহমানকে কর অঞ্চল-১৬ ঢাকা থেকে কর অঞ্চল-০২ চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। নূর মোহাম্মদকে কর অঞ্চলনরসিংদীতে পদায়ন করা হয়েছে। আব্দুল হক কর অঞ্চল-০১ ঢাকা থেকে বদলি হয়ে কর অঞ্চল নোয়াখালীতে যোগ দেবেন। হাদিউল ইসলাম সৈকত কর অঞ্চল-০৩ ঢাকা থেকে কর আপীল অঞ্চল-০২ ঢাকায় সংযুক্ত হয়েছেন। সাদিয়া রহমান কর অঞ্চল-০৪ চট্টগ্রাম থেকে বদলি হয়ে কর অঞ্চল ময়মনসিংহে গেছেন।
মো. মামুনুর রশিদ কর অঞ্চল-০২ ঢাকা থেকে কর অঞ্চল যশোরে গেছেন। আতাহার আলী খান কর অঞ্চল-১১ ঢাকা থেকে বদলি হয়ে কর অঞ্চল-০৪ ঢাকায় যোগ দিচ্ছেন। মো. নজরুল ইসলাম খাঁ কর অঞ্চল ০৪ ঢাকা থেকে বদলি হয়ে কর অঞ্চল ফরিদপুরে যাচ্ছেন। ফরিদা ইয়াসমীন কর অঞ্চল গাজীপুর থেকে বদলি হয়ে কর অঞ্চল-২০ ঢাকায় যোগ দেবেন। মিলন কুমার মৌলিক কর অঞ্চল-১৮ ঢাকা থেকে কর অঞ্চল যশোরে যাচ্ছেন।
এছাড়া মো. আক্কাছ আলী কর অঞ্চল-১৯ ঢাকা থেকে বদলি হয়ে কর অঞ্চল কুষ্টিয়াতে যাচ্ছেন। মো. হেবজুল বারী খান কর অঞ্চল- ১৫ ঢাকা থেকে বদলি হয়ে কর অঞ্চল নোয়াখালীতে যোগ দেবেন। মো. মুখলিছুর রহমান কর অঞ্চল নারায়ণগঞ্জ থেকে বদলি হয়ে কর অঞ্চল ০৫ চট্টগ্রামে যাচ্ছেন। সাইফুল ইসলাম কর অঞ্চল-১৯ ঢাকা থেকে কর অঞ্চল-০৬ চট্টগ্রামে পদায়িত হয়েছেন। মো. নুরুস সালাম কর অঞ্চল-২৫ ঢাকা থেকে বদলি হয়ে কর অঞ্চল নরসিংদীতে গেছেন।
মো. আজিজুল হক কর অঞ্চল–১৪ ঢাকা থেকে কর অঞ্চল নোয়াখালীতে যোগ দেবেন। গৌর চন্দ্র দে কর অঞ্চল-২৫ ঢাকা থেকে বদলি হয়ে কর অঞ্চল দিনাজপুরে যাচ্ছেন। নুরুল ইসলাম খান কর অঞ্চল-২৪ ঢাকা থেকে কর অঞ্চল কক্সবাজারে গেছেন। মো. কামরুজ্জামান কর অঞ্চল-২৩ ঢাকা থেকে কর অঞ্চল দিনাজপুরে যোগ দেবেন। মোহাম্মদ মিজানুর রহমান কর অঞ্চল-২৩ ঢাকা থেকে বদলি হয়ে কর অঞ্চল-০৩ চট্টগ্রামে যাচ্ছেন।
একইসঙ্গে সৈয়দ মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ কর অঞ্চল-১৪ ঢাকা থেকে কর অঞ্চল করাবাজারে যাচ্ছেন। সামসুল আলম কর অঞ্চল-০১ ঢাকা থেকে বদলি হয়ে কর অঞ্চল নোয়াখালীতে যাচ্ছেন। কেশর লাল মল্লিক কর অঞ্চল-২৪ ঢাকা থেকে কর অঞ্চল-০৫ চট্টগ্রামে পদায়িত হয়েছেন। মোহাম্মদ হোছাইন কর অঞ্চল-০৪ চট্টগ্রাম থেকে বদলি হয়ে কর অঞ্চল-করাবাজারে যাচ্ছেন। কাজী মো. সুলতান শাহরিয়া কর অঞ্চলরাজশাহী থেকে বদলি হয়ে কর অঞ্চল–কুষ্টিয়ায় যাচ্ছেন।
মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন কর অঞ্চল-০৪ ঢাকা থেকে বদলি হয়ে কর অঞ্চল-০৫ চট্টগ্রামে যাচ্ছেন। আসাদুজ্জামান তালুকদার কর অঞ্চল-১৩ ঢাকা থেকে কর অঞ্চল-০৬ চট্টগ্রামে পদায়িত হয়েছেন। মো. মাহবুবুল ইসলাম কর অঞ্চল-১১ ঢাকা থেকে বদলি হয়ে কর অঞ্চল-০৫ চট্টগ্রামে যাচ্ছেন।
এছাড়া আরও বহু কর্মকর্তা, বিশেষ করে ৩৮তম, ৪১তম ও ৪৩তম ব্যাচের সহকারী কর কমিশনারদেরকেও দেশের বিভিন্ন কর অঞ্চল ও কর আপীল অঞ্চলে নতুন করে পদায়ন করা হয়েছে। অনেককে কর অঞ্চল ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, দিনাজপুর, নরসিংদী, ফরিদপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে সংযুক্ত করা হয়েছে সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। অর্থাৎ বদলি হওয়া কর্মকর্তাদের আজ থেকেই নতুন কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জাতীয়
সব ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের দোষারোপ করে লাভ নেই: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

শিশুদের গুঁড়া দুধ খাওয়াতে উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ অনেকেই জড়িত; এটা নিয়ে দোষারোপ না করে সমন্বিতভাবে মাতৃদুগ্ধের ওপর জোর দেওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তিনি বলেন, সচেতনতা তৈরি করতে হবে। সব ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের দোষারোপ করে লাভ নেই। যেখানে দুই হাজার ৬০০ রোগীর ধারণক্ষমতা, আসে পাঁচ হাজার।
সোমবার (১৮ আগস্ট) রাচধানীর সিরডাপ অডিটোরিয়ামে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এক হিসাব অনুযায়ী, ৬৫ শতাংশ ডেলিভারি হয় ক্লিনিকে এবং ৩৫ শতাংশ গৃহে। গৃহে ধাত্রীরা যে করেন (ডেলিভারি) তারা কতটুকু প্রশিক্ষিত? তাদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে। সব সীমাবদ্ধতা সম্মিলিতভাবে ওভারকাম করতে হবে।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, মাতৃদুগ্ধ নিয়ে কাজ সরকার বা স্বাস্থ্য সেক্টরের এককভাবে নয়, এনজিওকর্মী থেকে শুরু করে মসজিদের ইমামেরও। খুতবায় সমাজের সমস্যা নিয়ে কথা বলা যেতে পারে। এমনকি মন্দির, গির্জায় সচেতনতামূলক আলোচনা হতে পারে। এখানে মিডিয়ারও দায়-দায়িত্ব আছে। মিডিয়া আমাদের কাজগুলো, সচেতনতা প্রোগ্রামগুলো উপস্থাপন করে জাতিকে সঠিক পথ দেখাতে পারে।
নূরজাহান বেগম বলেন, পিতৃত্বকালীন ছুটির কথা আসছে। আমি জানি না এটাতে মায়েরা রাজি হবেন কি না। কতজন বাবা ছুটি নিয়ে পরিবারে গিয়ে সময় দেবেন? নাকি উল্টো এমন হবে, ছুটি নিয়ে বাসায় থাকলে তার সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার ও রাতের খাবার এগুলো দিতে গিয়ে মায়ের আরও চাপ বাড়বে? আমি তো মা হয়ে এখানে আসছি। আমি এভাবে ছুটি দেওয়ার পক্ষে না। তবে যদি নিশ্চিত করা যায় তারা পরিবারে সময় দেবেন, বাচ্চার কেয়ার করবেন, বাচ্চার মায়ের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন, তাহলে ভেবে দেখা যেতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা সেবা নিতে জানি, দিতে জানি না। নিজে থেকে সেবা করার অভ্যাস গড়ে ওঠেনি। এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, মায়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকলে শিশু ভালো দুধ পাবে। মায়ের স্বাস্থ্য প্রত্যেকের নিশ্চিত করতে হবে।
দেশে আইন আছে, কিন্তু আইন পালনের বাধ্যবাধকতা নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব সরোয়ার বারী বলেন, মেধাসম্পন্ন জাতি গড়ে তুলতে চাইলে মাতৃদুগ্ধ নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। মাতৃদুগ্ধের হার ৬৫ শতাংশ থেকে ৫৮ শতাংশে নেমে এসেছে। মায়ের দুধ শিশুর জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী।
কাফি
জাতীয়
৮৫ কর্মকর্তাকে পুনর্বহাল করে প্রজ্ঞাপন জারি ইসির

চাকরিচ্যুত ৮৫ জন উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
সোমবার (১৮ আগস্ট) এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এর আগে, ৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। রায়ে চাকরি হারানো কর্মকর্তাদের সব সুযোগ সুবিধা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন জোট সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া ৮৫ জন কর্মকর্তাকে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর চাকরিচ্যুত করা হয়।
২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল ও চারটি পৃথক রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ গত ২৫ ফেব্রুয়ারি চাকরি ফেরতের এ রায় দেন।
জাতীয়
মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন ৫ দিনের রিমান্ডে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার আসাদুল হক বাবু হত্যা মামলায় বেসরকারি চ্যানেল মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথীর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (১৮ আগস্ট) বেলা সাড়ে ৩টার পর হাজতখানা থেকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিন আহমেদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক খান মো. এরফান আসামির সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
এ সময় আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ড বাতিলসহ জামিনের আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে রিমান্ডের জোর দাবি জানানো হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত রোববার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর গুলশান থেকে নাসিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানাধীন পাকা রাস্তার ওপর আন্দোলনে অংশ নেন মো. আসাদুল হক বাবু। ঘটনার দিন বেলা আড়াইটায় আসামিদের ছোড়া গুলি আসাদুলের বুকে ও ডান পাশে লাগে। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় গত বছরের ৩০ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা জয়নাল আবেদীন। এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় নাসির উদ্দিন ২২ নম্বর ও তার ছেলে তৌহিদ আফ্রিদি ১১ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।