জাতীয়
ঢাকায় ২০ বছরের বেশি বয়সী বাস বন্ধ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী

রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে ২০ বছরের বেশি সময় ধরে চলাচল করা পুরোনো বাস বন্ধ করা হবে। এসব বাসের তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। আগামী ৮ এপ্রিলের মধ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এ তালিকা তৈরি করে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে।
রবিবার (৩১ মার্চ) বায়ুদূষণ রোধ সংক্রান্ত পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বায়ুদূষণ রোধে ঢাকা শহরে চলাচলকারী ইকোনমিক লাইফ অতিক্রান্ত ২০ বছরের অধিক বয়সী বাস প্রত্যাহার করতে হবে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ৮ এপ্রিলের মধ্যে ঢাকা শহরে চলাচলকারী ওই বয়সী বাসের তালিকা পাঠাবে। পরিবহন মালিক সমিতি ২০ এপ্রিলের মধ্যে ২০ বছরের বেশি বয়সী বাস প্রত্যাহারের পরিকল্পনা দেবে। বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে কোনো আপস করা হবে না।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, সরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে দূষণ নিয়ন্ত্রণের বাজেট বরাদ্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে ব্যয় করতে হবে। তিতাস গ্যাস, বিদ্যুৎ বিভাগ, ওয়াসা, সিটি করপোরেশন সমন্বয় করে রাস্তার খননকাজ সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে সালফারসহ ডিজেল আমদানি বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, উন্মুক্তভাবে যেন বর্জ্য পোড়ানো না হয় সিটি করপোরেশন সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। রাজউক, সিটি করপোরেশন, পুলিশ বিভাগ নির্মাণকালে নির্মাণ সামগ্রী ঢেকে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করবে। পুরোনো যানবাহন পুরোপুরি নিয়ম মেনে স্ক্র্যাপ করতে হবে। রাজউকের পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ সংশ্লিষ্ট শর্ত মেনে চলতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট নির্মাণ কার্যক্রমের অনুমতি বাতিল করতে হবে।
সভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব নবিরুল ইসলাম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (পদূনি) তপন কুমার বিশ্বাস, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান এবং ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আজমল উদ্দিন আহমদসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়
জুলাই সনদের খসড়ায় রয়েছে যে ৭ অঙ্গীকার

‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ খসড়া প্রণয়ন করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে সংলাপে উঠে আসা বিষয়গুলো নিয়ে খসড়াটি প্রস্তুত করা হয়।
সোমবার (২৮ জুলাই) রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে সনদের খসড়া পাঠায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
খসড়াটি এসেছে মাসব্যাপী রাজনৈতিক সংলাপের পরিপ্রেক্ষিতে। এটি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের নেতৃত্বে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়।
এতে মোট সাতটি অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো এসব অঙ্গীকারে একমত হলে সই হতে পারে চূড়ান্ত সনদ।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের অঙ্গীকারনামায় বলা হয়েছে:
১. হাজারো মানুষের জীবন ও রক্ত এবং অগণিত মানুষের সীমাহীন ক্ষয়ক্ষতি ও ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে অর্জিত সুযোগ এবং তৎপ্রেক্ষিতে জন-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হিসেবে দীর্ঘ ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রণীত ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এর পূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবো।
২. ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এ দেশের শাসনব্যবস্থা তথা সংবিধান, বিচারব্যবস্থা, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশি ব্যবস্থা ও দুর্নীতি দমন ব্যবস্থার বিষয়ে যেসব প্রস্তাব/সুপারিশ এই সনদে লিপিবদ্ধ রয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন, লিখন ও পুনর্লিখন এবং বিদ্যমান আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন, পরিবর্তন, পরিমার্জন, লিখন, পুনর্লিখন বা নতুন আইন প্রণয়ন, প্রয়োজনীয় বিধি প্রণয়ন বা বিদ্যমান বিধি ও প্রবিধির পরিবর্তন বা সংশোধনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
৩. ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এ দেশের শাসনব্যবস্থা তথা সংবিধান, বিচারব্যবস্থা, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশি ব্যবস্থা ও দুর্নীতি দমন ব্যবস্থার বিষয়ে যেসব প্রস্তাব/সুপারিশ এই সনদে লিপিবদ্ধ রয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন, লিখন ও পুনর্লিখন এবং বিদ্যমান আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন, পরিবর্তন, পরিমার্জন, লিখন, পুনর্লিখন বা নতুন আইন প্রণয়ন, প্রয়োজনীয় বিধি প্রণয়ন বা বিদ্যমান বিধি ও প্রবিধির পরিবর্তন বা সংশোধন এই সনদ গৃহীত হওয়ার পরে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের দুই বছরের মধ্যে সম্পন্ন করতে এবং এসব সংস্কার টেকসই করতে অঙ্গীকার করছি।
৪. এই সনদ গৃহীত হওয়ার পর এতে যেসব প্রস্তাব/সুপারিশ লিপিবদ্ধ রয়েছে সেগুলো পরবর্তী দুই (২) বছর মেয়াদকালের মধ্যে বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
৫. ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ বাস্তবায়নের প্রতিটি ধাপে আইনি ও সাংবিধানিক সুরক্ষার পূর্ণ নিশ্চয়তা বিধান করবো।
৬. ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ বাস্তবায়নে এবং এর আইনি ও সাংবিধানিক সুরক্ষা প্রদানে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
৭. ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও গণ-অভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক তাৎপর্যকে সংবিধানে যথাযোগ্য স্বীকৃতি দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবো।
কমিশনগুলো তাদের সুপারিশ ২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সরকারের কাছে জমা দেয়। পরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সেই সুপারিশগুলো একত্র করে দুটি ধাপে রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে ঐকমত্য তৈরির কাজ চালায়।
জাতীয়
চার ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠালো সরকার

বাংলাদেশ পুলিশের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) পদের আরও চার কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার।
সোমবার (২৮ জুলাই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এতে সই করেছেন সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।
অবসরে পাঠানো ডিআইজিরা হচ্ছে- ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত ডিআইজি আতিকা ইসলাম; রেলওয়ে পুলিশ ঢাকায় সংযুক্ত ডিআইজি মো. মাহবুব আলম; শিল্পাঞ্চল পুলিশে সংযুক্ত ডিআইজি মো. মনির হোসেন ও পুলিশ টেলিকম ঢাকায় সংযুক্ত ডিআইজি এ কে এম নাহিদুল ইসলাম।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইনের বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে তাদের অবসর পাঠানো হয়েছে। তারা বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন।
জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এখন পর্যন্ত প্রায় অর্ধশতাধিক পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার।
এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশের চার উপ-মহাপরিদর্শককে (ডিআইজি) বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় সরকার।
ওইদিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত পৃথক প্রজ্ঞাপনে তাদের অবসরে পাঠানো হয়।
বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো ওই চার কর্মকর্তা হলেন- অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের ডিআইজি মো. নিশারুল আরিফ, নৌ পুলিশের ডিআইজি মো. আব্দুল কুদ্দুছ আমিন, হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি মো. আজাদ মিয়া ও আমেনা বেগম।
এরও আগে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি পদমর্যাদার তিন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর পাঠায় সরকার। তারা হলেন-পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর মল্লিক ফখরুল ইসলাম, পুলিশ টেলিকমের প্রধান ওয়াই এম বেলালুর রহমান এবং পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি সেলিম মো. জাহাঙ্গীর।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপনে তাদের চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হয়।
এছাড়াও সচিব, উপ-সচিব, জেলা প্রশাসক, বিচারক, পুলিশ সুপারসহ অনেক উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার।
জাতীয়
ভোক্তা অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তিতে মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে ভোক্তা অধিদপ্তরের সভা

দেশের ফোন অপারেটরদের বিরুদ্ধে ভোক্তাদের দাখিলকৃত অভিযোগসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৮ জুলাই) সকাল ১১ টায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।
অধিদপ্তরের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম জানান, মোবাইল ফোনের গ্রাহকগণ বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোন অপারেটরদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করছেন। কিন্তু অপারেটরগণ নিয়মিত অভিযোগের শুনানীতে উপস্থিত থাকছেন না, কোন কোন অপারেটরের পক্ষে ক্রমাগত সময় চাওয়ায় অভিযোগগুলো নিষ্পত্তিতে বিলম্ব হচ্ছে।
সভায় অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) আব্দুল জলিল ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ, গ্রামীনফোন, রবি, বাংলালিংক, টেলিটক প্রতিনিধি, বিটিআরসি প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ মোবাইল টেলিকম অপারেটর এসোসিয়েশনের মহাসচিব উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সভায় মোবাইল ফোন অপারেটরদের বিরুদ্ধে ভোক্তাদের প্রাপ্ত অভিযোগসমূহ উপস্থাপন করা হয় ও পর্যালোচনা করা হয়।
সভায় বিস্তারিত আলোচনান্তে প্রাপ্ত অভিযোগসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তি ও ভোক্তাসাধারণের স্বার্থে সর্বসম্মতিক্রমে নিম্নবর্ণিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়:
মোবাইল ফোন অপারেটরগণ অধিদপ্তরে দাখিলকৃত অভিযোগসমূহ আগামী ৭ (সাত) দিনের মধ্যে যাচাই বাছাই করে নিষ্পত্তিযোগ্য অভিযোগসমূহ স্বীয় উদ্যোগে নিষ্পত্তি করে বাস্তবায়ন প্রতিবেদন দাখিল করবেন। যেসব অভিযোগের বিষয়ে অপারেটররা দ্বিমত করবেন সেসব অভিযোগ যথারীতি শুনানীর মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিষ্পত্তি করবে। শুনানীতে নিয়মিত উপস্থিত থাকার জন্য অপারেটরগণ নির্দিষ্ট কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করবেন। অভিযোগের গ্রহণযোগ্যতা/আমলযোগ্যতা যাচাইয়ে যেসব টেকনিক্যাল বিষয় বিবেচনায় নিতে হবে, অপারেটরগণ সেসব বিষয়ের একটা চেকলিস্ট তৈরি করে আগামী ৭ (সাত) দিনের মধ্যে অধিদপ্তরে প্রেরণ করবেন।
অব্যবহৃত ডাটা ও কলটাইম পরবর্তী প্যাকেজের সাথে যুক্ত হওয়ার প্রযোজ্য শর্তাবলী স্পষ্ট করে ব্যবহারকারীকে জানাতে হবে। কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধির সাথে কোন অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার সময়ে অভিযোগকারীর সীম থেকে কলচার্জ বাতিল/গ্রহণযোগ্য করার সম্ভাব্যতা পরীক্ষা করে মোবাইল ফোন অপারেটরগণ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। পুরনো সীম নতুন করে বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সীমের প্যাকেটে পরিষ্কার ভাষায় ইংরেজীতে “Re-Used” এবং বাংলায় “পূর্বে-ব্যবহৃত” লিখতে হবে যাতে সীম ক্রয়ের পূর্বেই ভোক্তাগণ জানতে পারেন।
কাফি
জাতীয়
নির্বাচনে সেনাবাহিনীর ৬০ হাজার ট্রুপস থাকবে: প্রেস সচিব

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ৬০ হাজার সেনা সদস্য নিয়োজিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন স্টেক হোল্ডাদের সঙ্গে দ্বিতীয়বারের মতো বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠক শেষে এ বিষয়ে ব্রিফ করেন প্রেস সচিব।
ব্রিফিংয়ে শফিকুল আলম বলেন, বৈঠকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে প্রায় ৬০ হাজারের মতো ট্রুপস নির্বাচনী ডিউটিতে থাকবেন। আপনারা জানেন, ৫ আগস্টের পর থেকে তারা মাঠে ডিউটিতে রয়েছেন। তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার আছে। আমরা আশা করছি নির্বাচনের সময় তাদের বলিষ্ঠ ভূমিকা থাকবে। তারা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিগুলো যেন কাজ জোরদারভাবে করতে পারে এবং নির্বাচনের সময় যেন আমাদের ইন্টেলিজেন্সের কোনো দুর্বলতা না থাকে সেজন্য বলা হয়েছে। এক্ষেত্রেও আমাদের কো-অর্ডিনেশন যেন ভালো হয়, সেটির কথাও বলা হয়েছে।
শফিকুল আলম বলেন, ইলেকশনের আগে পুলিশের প্রস্তুতির কথা বলা হয়েছে। পুলিশের আইজি মহোদয় বলেছেন, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে দেড় লাখ পুলিশের ট্রেনিং হবে নির্বাচন উপলক্ষ্যে। নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচুর মিস ইনফরমেশন অলরেডি সার্কুলেট হয়েছে। সামনে এটা আরও বাড়তে পারে। এটাকে সামনে রেখে ন্যাশনাল ইনফরমেশন সেন্টার হবে যেখানে এই মিস-ইনফরমেশনগুলোকে আমরা ডিফাইন করতে পারব। সেটি ক্রিয়েট করার চিন্তাভাবনা করা হয়েছে। এটা নিয়ে অনেক বিশদ আলোচনা হয়েছে।
কাফি
জাতীয়
আরও বড় হলো জুলাই শহীদ-আহতদের তালিকা, গেজেট প্রকাশ

জুলাই শহীদ হিসেবে আরও ১০ জন এবং আহত জুলাই যোদ্ধা হিসেবে আরও ১ হাজার ৭৫৭ জনের নামের তালিকা প্রস্তুত করে গেজেট প্রকাশ করেছে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়।
সোমবার (২৮ জুলাই) মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হরিদাস ঠাকুর স্বাক্ষরিত এই গেজেট প্রকাশ হয়। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী যাচাই-বাছাই করে দ্বিতীয় ধাপে ১০ জন শহীদসহ ১৭৫৭ জন জুলাই যোদ্ধার নামে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রকাশিত গেজেটে ১০ জন শহীদ ছাড়াও ক—ক্যাটাগরির আহত (অতি গুরুতর) হিসেবে আছেন ১০৯ জন। গুরুতর খ—ক্যাটাগরিতে আহত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ২১০ জনের নাম।
এছাড়া গুরুতর থেকে একটু কম আহত হয়েছেন এমন ১৪৩৮ জনকে গ—ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৪০৫ জন, খুলনা বিভাগের ১৬৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ২২৬ জন, বরিশাল বিভাগের ১১৬ জন, ময়মনসিংহ বিভাগের ১১১ জন, রংপুর বিভাগের ৯০ জন, রাজশাহী বিভাগের ২৩৬ জন এবং সিলেট বিভাগের ৮৮ জন।
এর আগে, প্রথম ধাপে ১২ হাজার ৮৭৭ জন জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধার গেজেট প্রকাশ করে মন্ত্রণালয়।
বিধিমালা অনুযায়ী, সরকার প্রত্যেক শহীদ পরিবারকে সঞ্চয়পত্রের আকারে এককালীন ৩০ লাখ টাকা অনুদান দেবে। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ৭৭২টি শহীদ পরিবারের প্রত্যেক পরিবারকে (স্বামী বা স্ত্রী, ঔরসজাত বা গর্ভজাত সন্তান/মাতা ও পিতা) উত্তরাধিকার আইন অনুসারে প্রত্যেক পরিবারকে ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র দেওয়া হয়েছে। মোট ৭৭ কোটি ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র হয়েছে। অবশিষ্ট ৭২টি শহীদ পরিবারের মধ্যে পারিবারিক ও ওয়ারিশগত জটিলতা নিরসন করে সঞ্চয়পত্র প্রদানের প্রক্রিয়া চলমান। শহীদ পরিবারের এককালীন অনুদানের অবশিষ্ট ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জুলাই মাস থেকে দেওয়া হবে। এ ছাড়া বিধিমালা অনুযায়ী প্রত্যেক শহীদ পরিবার মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা পাবেন।
বিধিমালা অনুযায়ী, শহীদ পরিবারের সদস্য, আহত ব্যক্তির কর্মসংস্থানের জন্য সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি এবং তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা ভিত্তিক উপার্জনমুখী কাজের জন্য প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শহীদ পরিবার এবং আহত জুলাই যোদ্ধাদের ভাতা কার্যক্রম অনলাইনে দেওয়া এবং সমৃদ্ধ তথ্যভান্ডারের জন্য ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) তৈরির কার্যক্রম চলমান আছে বলে জানা গেছে।