জাতীয়
বুয়েটে জঙ্গিবাদের সংশ্লিষ্টতা পেলেই অ্যাকশন: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বুয়েটের রাজনীতি নিয়ে তদন্ত চলছে। আমরা খতিয়ে দেখছি। ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার নামে বুয়েটকে একটা অপরাজনীতি-জঙ্গিবাদের কারখানায় রূপান্তরিত করা হবে, পরিণত করা হবে- এটা যাতে না হয়। আমরা তদন্ত করে দেখছি, এ ধরনের কিছু পাওয়া গেলে সরকারকে অ্যাকশনে যেতে হবে।
রোববার (৩১ মার্চ) সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে চট্টগ্রাম বিভাগের নেতাদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা অপকর্ম-অন্যায়ের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেন এবং সেই নীতিতেই আমরা এগিয়ে চলছি। আজকে বিশ্বজিৎ হত্যার বিচার করতে গিয়ে আমাদের আমাদের অনেক কর্মী দণ্ডিত হয়েছে। তারপর বুয়েটে আবরার হত্যাকাণ্ডে আমরা কাউকে ছাড় দেইনি। শেখ হাসিনা কাউকে ছাড় দেননি।
তিনি বলেন, এখানে সেদিন যা ঘটেছে, কেউ তো ওখানে রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচি পালন করতে যায়নি! সেখানে তো কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। আজকে আমি রাজনীতি করি, সে জন্য বুয়েটে আমি যেতে পারব না? এটা কোন ধরনের আইন? এটা কোন ধরনের নিয়ম?
গত চার বছর ধরে বুয়েটে নিষিদ্ধ ছাত্র রাজনীতি, বন্ধ রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনও। এরই মধ্যে ২৮ মার্চ মধ্য রাত থেকে হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বুয়েট। ক্যাম্পাসে রাজনীতির বীজ বপনের চেষ্টা হচ্ছে এমন অভিযোগে শুক্রবার আন্দোলনে নামেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ছয় দফা দাবিতে শহীদ মিনারের পাদদেশে অবস্থান করেন তারা।
অর্থসংবাদ/এমআই

জাতীয়
বিশ্ব শরণার্থী দিবস আজ

আজ ২০ জুন, বিশ্ব শরণার্থী দিবস। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর উদ্যোগে ২০০১ সাল থেকে বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। এবারের প্রতিপাদ্য—‘শরণার্থীদের সঙ্গে সংহতি’— অর্থাৎ শুধু কথায় নয়, বাস্তব পদক্ষেপের মাধ্যমে শরণার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা বলছে, ২০২৪ সালের শেষ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১২২ দশমিক ১ মিলিয়ন, যা রেকর্ড পরিমাণ। এর মধ্যে ৪২ দশমিক ৭ মিলিয়ন মানুষ আন্তর্জাতিক শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃত, বাকিরা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ও আশ্রয়প্রার্থী। সুদান, মিয়ানমার, ইউক্রেনসহ বিভিন্ন সংঘাতপ্রবণ অঞ্চলের সংকট পরিস্থিতি এ সংখ্যা বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রেখেছে।
ইউএনএইচসিআর-এর হাই কমিশনার ফিলিপো গ্রান্ডি এক বার্তায় বলেছেন, শরণার্থীদের সম্মান জানানোর অর্থ শুধু তাদের সম্পর্কে কথা বলা নয়, বরং তাদের কথা শোনা, অধিকার রক্ষা করা এবং তাদের জন্য টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ার সুযোগ সৃষ্টি করা।
এছাড়া বাংলাদেশে বর্তমানে নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা ১১ লাখ ৩৩ হাজারের বেশি। কক্সবাজারের কুতুপালং এবং নয়াপাড়া ক্যাম্পে তাদের অধিকাংশের বসবাস। এছাড়া ভাসানচরে প্রায় ৩৫ হাজার রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হয়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস চলতি বছর মার্চে কক্সবাজার সফরে এসে বলেন, এই মানুষগুলো শুধু টিকে থাকার জন্য লড়ছে। আমরা যদি এখনই সাহায্য না করি, তাহলে তারা সত্যি সত্যিই অনাহারে মারা পড়বে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি সহায়তার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শুধু সহানুভূতি নয়, এখন দরকার বাস্তব সহায়তা।
এদিকে, রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘের যৌথ প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনায় ২০২৫ সালের জন্য প্রায় ৯৩৪ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন, যার অর্ধেকেরও কম এখনো জোগাড় হয়েছে। এই তহবিলের ঘাটতির কারণে খাদ্য সহায়তা, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মতো মৌলিক সেবাগুলো হুমকির মুখে।
বিশ্বজুড়ে যখন বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, তখন মানবিক সহায়তার জন্য তহবিল সংকট প্রকট হচ্ছে। জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, অনেক জরুরি প্রকল্প অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে শিশু ও নারী শরণার্থীরা।
জাতীয়
বাধ্যতামূলক অবসরে পাঁচ সচিব

পাঁচজন সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সরকারি চাকরি আইনের ৪৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী তাদেরকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে।
তারা হলেন- বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক (সচিব) কাজী এনামুল হাসান, জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক (সচিব) সুকেশ কুমার সরকার, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সচিব) মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, ভূমি আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) মুহম্মদ ইব্রাহিম ও জাতীয় উন্নয়ন প্রশাসন একাডেমির রেক্টর (সচিব) ড. মো. সহিদ উল্যাহ।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত পাঁচটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, আরেকটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) ড. লিপিকা ভদ্রকেও বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনগুলোতে জানানো হয়, তাদের চাকরিকাল ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে এবং সরকার জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর করা প্রয়োজন মর্মে বিবেচনা করে বিধায় তাদেরকে সরকারি চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হয়েছে।
তারা বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধাদি পাবেন বলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালযয়ের প্রজ্ঞাপনগুলোতে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, আইন অনুযায়ী সরকার ২৫ বছর হয়ে গেলে একজন কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠাতে পারে কিন্তু সেজন্য সুনির্দিষ্ট কারণ কখনো প্রকাশ করা হয় না।
জাতীয়
এক বছরে বৈষম্যের শিকার ১৯.৩১ শতাংশ মানুষ

গত এক বছরে দেশের ১৯ দশমিক ৩১ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনো ধরনের বৈষম্য বা হয়রানির শিকার হয়েছেন। নারীদের মধ্যে এ হার কিছুটা বেশি, যা ১৯ দশমিক ৬২ শতাংশ। অন্যদিকে, পুরুষদের মধ্যে তা ১৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে পরিবার ও গণপরিবহনে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ‘সিটিজেন পারসেপশন সার্ভে (সিপিএস)’ শীর্ষক এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন গত শনিবার (১৪ জুন) প্রকাশ করেছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সারাদেশের ৬৪ জেলায় এক হাজার ৯২০টি প্রাইমারি স্যাম্পলিং ইউনিট থেকে ৪৫ হাজার ৮৮৮টি খানার ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী মোট ৮৪ হাজার ৮০৭ জন নারী-পুরুষ উত্তরদাতার সাক্ষাৎকার গ্রহণের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
জরিপে নাগরিকদের দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নিরাপত্তা, সুশাসন, সরকারি সেবার মান, দুর্নীতি, ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার এবং বৈষম্যবিষয়ক এসডিজি ১৬ এর ছয়টি সূচকের অগ্রগতি মূল্যায়ন করা হয়েছে। জরিপের প্রশ্নপত্র জাতিসংঘ থেকে নির্ধারিত আন্তর্জাতিক মান ও পদ্ধতি অনুসরণ করে তৈরি করা হয়েছে।
বিবিএস জানায়, শহরাঞ্চলে বৈষম্যের হার ২২ দশমিক ০১ শতাংশ, যেখানে গ্রামাঞ্চলে এ হার ১৮ দশমিক ০৭ শতাংশ। এক্ষেত্রে আর্থ-সামাজিক অবস্থার কারণে ৬ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং লিঙ্গবৈষম্যের কারণে ৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ মানুষ হয়রানির শিকার।
এছাড়া নিজ পরিবারের মধ্যে ৪৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ, গণপরিবহন বা উন্মুক্ত স্থানে ৩১ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং কর্মস্থলে ২৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ মানুষ বৈষম্য বা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
তবে ভুক্তভোগীদের মধ্যে মাত্র ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ এসব ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ করেছেন বলেও জানিয়েছে বিবিএস।
জাতীয়
স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বিটিভি-বাংলাদেশ বেতার

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারকে সম্পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ লক্ষ্যে নীতিগত কাঠামো ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নির্ধারণে শিক্ষা উপদেষ্টা ড. চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরারকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কমিটির সদস্যরা বিগত সরকারের আমলে রাজনৈতিক বিবেচনায় টিভির লাইসেন্স কীভাবে দেওয়া হয়েছে, আগামী দিনগুলোতে কোন নীতিমালার ভিত্তিতে লাইসেন্স দেওয়া হবে সে সম্পর্কে দিকনির্দেশনা তৈরি করবেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
প্রেস সচিব বলেন, ৫ আগস্টের আগে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণার লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে প্রধান করা হয়েছে। কমিটিতে আরও কয়েকজন উপদেষ্টা থাকবেন। কমিটির সদস্যরা ছাত্রজনতা ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে জুলাই সনদ দ্রুত তৈরি করা যায় সে লক্ষ্যে কাজ করবেন।
জাতীয়
৫ আগস্টের আগে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণার লক্ষ্যে কমিটি গঠন

আগামী ৫ আগস্টের আগে জুলাই সনদ ঘোষণার লক্ষ্যে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। কমিটিতে আরও কয়েকজন উপদেষ্টা থাকবেন বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের নেতৃত্বে কমিটির সদস্যরা ছাত্রজনতা ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে জুলাই সনদ দ্রুত তৈরি করা যায় সে লক্ষ্যে কাজ করবেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
প্রেস সচিব বলেন, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারকে সম্পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ লক্ষ্যে নীতিগত কাঠামো ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নির্ধারণে শিক্ষা উপদেষ্টা ড. চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরার প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা বিগত সরকারের আমলে রাজনৈতিক বিবেচনায় টিভির লাইসেন্স কীভাবে দেওয়া হয়েছে, আগামী দিনগুলোতে লাইসেন্স দেওয়া হলে কোন নীতিমালার ভিত্তিতে দেওয়া হবে সে সম্পর্কে দিকনির্দেশনা তৈরি করবেন।