ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ফল প্রকাশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের আন্ডার গ্র্যাজুয়েট প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে পাস করেছেন মাত্র ৪ হাজার ৫৮২ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩ টায় অধ্যাপক আব্দুল চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন।
এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের পরীক্ষা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ দেশের ৮ বিভাগীয় শহরে এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট ১ হাজার ৪০টি আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৩৭ হাজার ৬৬০ জন শিক্ষার্থী। পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৬৭ জন শিক্ষার্থী। এর মাঝে পাস করেছেন মাত্র ১৩.৩৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। বাকি ৮৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ শিক্ষার্থীই অনুত্তীর্ণ হয়েছেন।
এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি ইউনিটের ৫ হাজার ৯৬৫ আসনের জন্য মোট আবেদন জমা পড়েছে ২ লাখ ৭৯ হাজার ২টি। সে অনুযায়ী, আসন প্রতি পরীক্ষা দিয়েছেন প্রায় ৪৭ জন শিক্ষার্থী।
গত বছর ‘গ’ ইউনিটে পরীক্ষা দিয়েছিলেন ৩৮,২৩৫ জন শিক্ষার্থী। পাস করেছিলেন মাত্র ৪ হাজার ৫২৬ জন শিক্ষার্থী। যা মোট শিক্ষার্থীর ১১ দশমিক ৮৪ শতাংশ। বাকি ৮৮ দশমিক ১৬ শতাংশ শিক্ষার্থীই ফেল করেন।
ফলাফল যেভাবে দেখা যাবে
‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী তার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার রোল নম্বর, বোর্ডের নাম, পাসের সন এবং মাধ্যমিক পরীক্ষার রোল নম্বরের মাধ্যমে https://admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইট থেকে পরীক্ষার ফলাফল জানতে পারবেন।
এছাড়া, টেলিটক, রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংক মোবাইল নম্বর থেকে ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট’-এর জন্য DU ALS <roll no>, ‘বিজ্ঞান ইউনিট’-এর জন্য DU SCI <roll no>, ‘ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট’-এর জন্য DU BUS <roll no> এবং ‘চারুকলা ইউনিট’-এর জন্য DU FRT <roll no> টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে send করে ফিরতি SMS-এ ফলাফল জানা যাবে।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সাজিদের রহস্যময় মৃত্যুর নিয়ে ইবিতে সংবাদ সম্মেলন

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের দাবিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ। বিভাগের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের নিয়ে দাবি আদায় ও বিচার না হওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন নিহত সাজিদের বিভাগীয় সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিন মিঝি।
বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিন মিঝির সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন থিওলজি এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ.ব.ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফি, বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন সাংবাদিক সংগঠনের সাংবাদিকবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে আল-কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝি বলেন, “সাজিদ যেহেতু আমাদের বিভাগের শিক্ষার্থী তাই আমাদের দায়বদ্ধতা একটু বেশি। আমরা সেই দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। ইতিমধ্যেই আমাদের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর মৃত্যু কিভাবে হয়েছে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সেই তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যেই তাদের কাজ অব্যাহত রেখেছে। পাশাপাশি এই ছাত্র অবস্থান করতো শহিদ জিয়াউর রহমান হলে। সেই হলের প্রভোস্ট এবং হলবডির পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটিও তাদের কাজ অব্যাহত রেখেছে। সরকারিভাবে পুলিশ প্রশাসন সাজিদ আব্দুল্লাহ যে জায়গায় মারা গিয়েছে সে জায়গা এবং হলসহ প্রয়োজনীয় জায়গা পরিদর্শন করেছে এবং কাজ অব্যাহত রেখেছে।”
তদন্তের সার্বিক বিষয়ে তিনি জানান, “এই লাশ যখন মর্গ থেকে বের করে কবরস্থ করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন ছাত্রদের দাবির মুখে এবং শিক্ষার্থীদের ইমোশনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমাদের প্রশাসনের সাথে তাদের এগ্রিমেন্ট হয়েছিল যে দশ কার্যদিবসের মধ্যে, যা পরবর্তীতে ছয় কার্যদিবসে উপনীত করা হয়েছিল সেই কাজও অব্যাহত আছে। সেই কাজটা কতটুকু অগ্রসর হয়েছে তার ফলোআপ জানার জন্য সাজিদ আব্দুল্লাহর বাবা এবং চাচাসহ কয়েকজন লোক গতকাল আমাদের ক্যাম্পাসে এসেছেন। তারা বিভাগের সাথে মতবিনিময় করেছেন। তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির সাথেও বৈঠক করেছেন। সংশ্লিষ্ট হলের গঠিত তদন্ত কমিটির সাথে বৈঠক করেছেন। সর্বশেষ তারা পুলিশ প্রশাসনের সাথে বৈঠক করে বিদায় নিয়েছেন।
সাজিদের পরিবারের দাবি সম্পর্কে তিনি জানান, আমার সন্তান মারা গেছে। আমার সন্তানের যদি স্বাভাবিক মৃত্যু হয় এবং তদন্তের মাধ্যমে যদি এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়, আমার কোনো কথা নাই। কিন্তু যদি আমার সন্তানের কোনো অপঘাত অথবা কোনো অন্তর্ঘাতমূলক কোনো কার্যক্রমের ফলে মৃত্যু হয় তাহলে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এর বিচার চাই। অর্থাৎ সুষ্ঠু তদন্তের সাপেক্ষে তিনি তারা মৃত সন্তানের বিচার চেয়েছেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম, আইন-শৃঙ্খলা ও একাডেমিক কার্যক্রম ব্যহত হয় এমন অথবা সাজিদ আব্দুল্লাহর লাশ যেন কোনো অপব্যবহার বা অপরাজনীতির শিকার না হয় সে ব্যাপারে তিনি অনুরোধ করেছেন। তিনি বলতে চেয়েছেন, আমার সন্তানের বিচার হচ্ছে আমার প্রধান মুখ্য বিষয়। কিন্তু আমার সন্তানকে কাজে লাগিয়ে কোনো ধরনের রাজনীতি বা অন্তর্ঘাতমূলক কিছু আমি চাই না। আমার মাধ্যমে উনার কথা আপনাদের কাছে পৌছে দিলাম। আপনাদের মাধ্যমে দেশ ও জাতি জানুক যে তিনি কী চাচ্ছেন।”
তিনি আরও বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি সাজিদের মৃত্যু এবং আন্দোলন কেন্দ্রিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। যা খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত। তবে, সকল কিছুর প্রচারণা গুলো হতে হবে সঠিক। আপনাদের কাছে এই সহযোগিতা আমি কামনা করছি। সাজিদের রহস্যময় মৃত্যু আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে যে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা দুর্বল। আপনাদের কাছে আমাদের অনুরোধ হলো মুখ্য বিষয় যেন হারিয়ে না যায়।
এসময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আল কুরআন বিভাগ, সকল সচেতন ছাত্রজনতা, ছাত্র-সংগঠন ও সাংবাদিকদের সঠিক ও সহায়ক ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুলাই বিকেলে শাহ আজিজুর রহমান হল সংলগ্ন পুকুর থেকে আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সাজিদ আব্দুল্লাহর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এটা দুর্ঘটনা না-কি হত্যাকাণ্ড তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সাজিদ শহিদ জিয়াউর রহমান হলের ১০৯ নং কক্ষে থাকতেন। তার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র পরদিন ১৮ জুলাই জরুরি ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এমতাজ হোসেনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি করে প্রশাসন। অন্যদিকে একইদিনে শহিদ জিয়াউর রহমান হল প্রভোস্ট ড. আব্দুল গফুর গাজীকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে হল প্রশাসন। উভয় কমিটিই ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। মৃত্যুর কারণ ও পেছনের সম্ভাব্য রহস্য উন্মোচনের লক্ষ্যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
কাফি/সাকিব
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
যুক্তরাজ্যের মার্কফিল্ড ইনস্টিটিউটের সঙ্গে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি

যুক্তরাজ্যের মার্কফিল্ড ইনস্টিটিউট অব হায়ার এডুকেশনের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্বাক্ষর সই করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মুহাম্মদ নসরুল্লাহ এবং মার্কফিল্ড ইনস্টিটিউট অব হায়ার এডুকেশনের পক্ষে রেক্টর ড. জাহিদ পারভেজ সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
মঙ্গলবার (২১ জুলাই) ইংল্যান্ডের লেস্টার শহরের সন্নিকটে যুক্তরাজ্যভিত্তিক উচ্চশিক্ষা বিষয়ক প্রতিষ্ঠানটির ক্যাম্পাসে এই সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয়।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ইউকে’র সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান, ইসলামী ফাউন্ডেশন লেস্টারের পরিচালক ফারুক মুরাদ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক দেলোয়ার হোসাইন ও উপাচার্যের সহধর্মিণী আমেনা খাতুন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়,”এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উচ্চশিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতা ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম জোরদার হবে। এর মধ্যে রয়েছে যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা, শিক্ষার্থী বিনিময়, ফ্যাকাল্টি বিনিময় ও যৌথভাবে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন।”
অনুষ্ঠান শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ ও রেক্টর ড. জাহিদ পৃথক উপস্থাপনার মাধ্যমে তাঁদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন।
অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ তাঁর উপস্থাপনায় ইবি প্রতিষ্ঠার ইতিহাস ও প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যর ওপর আলোকপাত করেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির গত ৪৬ বছরের পথচলায় নানা ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন,”বর্তমানে নয়টি অনুষদের অধীনে ৩৮ বিভাগের কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যে চারটি বিভাগ ইসলাম ভিত্তিক উচ্চতর শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যকরভাবে অন্যান্য সাধারণ বিভাগের উচ্চতর শিক্ষাকার্যক্রমও চালু রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন,”সমঝোতা স্মারক সাক্ষরের মধ্য দিয়ে ইসলামী শিক্ষার সাথে আধুনিক শিক্ষার সমন্বয় করে দেশের উচ্চশিক্ষায় ভূমিকা রেখে উন্নত জাতি গঠনের যে লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টি যাত্রা শুরু করেছিল, তা পূরণের পথে এগিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। পরিশেষে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন পাঁচটি হল নির্মাণ ও শিক্ষকদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণসহ তাঁর সময়ে নেওয়া বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরেন তিনি।”
পরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই মার্কফিল্ড ইনস্টিটিউট ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কার্যক্রম ঘুরে দেখেন। এর মধ্যে ছিল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের লাইব্রেরি ও কিউব পাবলিকেশন্সহ ফাউন্ডেশনের অন্যান্য কার্যক্রম।
কাফি/সাকিব
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এইচএসসির স্থগিত পরীক্ষার নতুন সময়সূচি প্রকাশ

২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার স্থগিত হওয়া কয়েকটি বিষয়ে পুনর্নির্ধারিত সময়সূচি প্রকাশ করেছে দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, স্থগিত হওয়া প্রথম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১২ আগস্ট।
বুধবার (২৩ জুলাই) বিকেলে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ঢাকা, রাজশাহী, যশোর, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর ও ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের আওতায় পুনঃনির্ধারিত এ পরীক্ষাগুলো সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা এবং দুপুর ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত দুই শিফটে নেওয়া হবে।
১২ আগস্ট সকালে অনুষ্ঠিত হবে কুমিল্লা বোর্ডের স্থগিত হওয়া পদার্থবিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র, হিসাববিজ্ঞান প্রথম পত্র এবং যুক্তিবিদ্যা প্রথম পত্রের পরীক্ষা।
১৪ আগস্ট সকালে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে গোপালগঞ্জ জেলার জন্য ভূগোল (তত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা এবং বিকেলেও গোপালগঞ্জ জেলার উচ্চাঙ্গ সংগীত (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র, আরবি দ্বিতীয় পত্র এবং পালি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরবর্তী পরীক্ষাটি হবে ১৭ আগস্ট। ওইদিন সকালে সব শিক্ষা বোর্ডের রসায়ন (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি দ্বিতীয় পত্র, ইতিহাস দ্বিতীয় পত্র, গৃহ ব্যবস্থাপনা ও পারিবারিক জীবন দ্বিতীয় পত্র এবং উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা।
সবশেষে ১৯ আগস্ট সকালে অনুষ্ঠিত হবে সব শিক্ষা বোর্ডের অর্থনীতি প্রথম পত্র, প্রকৌশল অঙ্কন ও ওয়ার্কশপ প্র্যাকটিস প্রথম পত্রের পরীক্ষা। তবে প্রকৌশল অঙ্কনের পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ কলেজে হবে। সংশ্লিষ্ট কলেজের অধ্যক্ষ ওই দিন সকাল ৯টার মধ্যে বোর্ড থেকে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে পরীক্ষা গ্রহণ করবেন।
এছাড়া, অন্যান্য সব বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষা ২১ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্টের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর অনলাইনে এন্ট্রি করে ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বোর্ডে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে হবে।
এর আগে, গত ১০ জুলাই বন্যা পরিস্থিতির কারণে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিল। এরপর গত ১৭ জুলাই সহিংস পরিস্থিতির কারণে শুধুমাত্র গোপালগঞ্জ জেলার ৩ বোর্ডের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। সবশেষ মাইলস্টোন কলেজে বিমান দুর্ঘটনার কারণে ২১ জুলাই ও ২৪ জুলাইয়ের সারা দেশের এইচএসসি ও সমমানের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
তদন্তের অগ্রগতি জানতে ইবিতে সাজিদের পরিবার

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আল কুরআন বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ’র মৃত্যুতে গঠিত তদন্ত কমিটির অগ্রগতির বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছেন সাজিদের পরিবার।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিশ্বিবদ্যালয়ের ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি, হল প্রশাসন তদন্ত কমিটি ও পুলিশি কেসের যাবতীয় বিষয় তথ্য উদঘাটনের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে আসলেন সাজিদের বাবা, চাচা, ভগ্নিপতি ও প্রতিবেশী।
তারা জানান, পোস্টমর্টেমের পর সাজিদের মৃতদেহ নিতে এসেছিলাম। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত এবং তদন্তের অগ্রগতি জানতে আজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি। মুলত হল প্রশাসনের তদন্ত কমিটি ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তদন্ত কমিটি ও উপ উপাচার্যের সাথে দেখা করেছি। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে যেন রিপোর্ট প্রকাশ করে এটা আমাদের দাবি। তার (সাজিদ) যদি স্বাভাবিক মৃত্যু হয় তাহলে কোনো চাওয়া নাই কিন্তু যদি হত্যা হয় তাহলে আমরা তার বিচার দাবি করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী আমার সন্তানের মতো। আমরা চাই সাজিদ হত্যাকে ইস্যু করে কেউ যেন রাজনৈতিক সুবিধা, অস্থিতিশীলতা ও বিশৃঙ্খলতা তৈরি করতে না পারে, এটাই আমাদের চাওয়া।
পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে কি-না জানতে চাইলে তারা বলেন,”আমরা প্রাথমিকভাবে একটি জিডি করেছি তবে আপাতত আমাদের মামলা করার ইচ্ছে নেই। যদি তদন্ত রিপোর্টে হত্যাকাণ্ড বলা হয় তাহলে পরবর্তীতে অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নিবো।”
এর আগে কুষ্টিয়ায় প্রথম জানাজায় উপস্থিত এক বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম নিহত শিক্ষার্থী সাজিদের পিছনে শিবিরের হাত আছে বলে মন্তব্য করেছিলেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যিনি বক্তব্য দিয়েছিলেন তিনি নিজেকে রাজনৈতিক দলের পরিচয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন। আমি তখনই প্রতিবাদ করে বলেছি- একটা সুষ্ঠু তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে ট্যাগ করে কিছু বলা যাবে না। তার পরিচয় তিনি গোপালপুর উপজেলা সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক। তিনি কোনো রাজনৈতিক পরিচয়ে বা রাজনৈতিক দলের হয়ে এভাবে বক্তব্য দিতে পারেন না।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
মাইলস্টোন ট্রাজেডির ঘটনায় ইবিতে গায়েবানা জানাজা

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে আকস্মিক বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা প্রাঙ্গণে এ গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। গায়েবানা জানাজা পড়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব আশরাফ উদ্দিন খান।
আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নাছির উদ্দিন মিঝি বলেন, “উত্তরার মাইলস্টোন কলেজে বিমান দূর্ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম হৃদয়বিদারক ঘটনা। যারা শহিদ হয়েছে তাদের আত্নার মাগফেরাত কামনা করছি। যারা আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে তাদের সুস্থতা কামনা করছি। কোনো দূর্ঘটনার কারণ খোঁজার আগে আমাদের উচিত তাদের জন্য দোয়া করা। জাতীয় সংহতি বিনষ্টকারী যেকোনো পন্থা আমাদের এড়িয়ে চলতে হবে।”
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন,”এক বছর হতে না হতেই ঢাকাতে যারা বিশৃঙ্খলতা তৈরি করেছে তারা বিগত সরকারের দোসর। সেখানে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। আমাদের ছোট ভাই সাজিদ হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য সামগ্রিক আন্দোলন করা হচ্ছে। কিন্তু যারা আন্দোলনকারীদের পিছন থেকে কারা কলকাটি নাড়ছে সেদিকে খেয়াল রাখত হবে। সাজিদের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কেউ যেন রাজনৈতিক ফাইদা নিতে না পারে, ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সাজিদ হত্যার বিচার না হলে ১৮ হাজার শিক্ষার্থী অনিরাপদ হয়ে পড়বে। পরিস্থিতি অনুযায়ী ক্যাম্পাসের ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন এবং শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”
এদিকে, শোক দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ভবনের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ছিল। মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় নিহতদের রুহের মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে বাদ যোহর বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে থাকা উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হক, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শাহীনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুল ইসলাম সহ বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং ক্রিয়াশীল বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে পেশ ইমাম আশরাফ উদ্দীন খান। শোক পালনের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা কালো ব্যাচ ধারণ করেন।
উল্লেখ্য, গতকাল (সোমবার) দুপুর ১টার কিছু পর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার পরপরই ভবনে আগুন ধরে যায়। এঘটনায় এখন অবধি নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ জনে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি