পুঁজিবাজার
ব্রোকারেজ-মার্চেন্ট ব্যাংকের মার্জিন ঋণের প্রভিশন সংরক্ষণে সময় বাড়ালো বিএসইসি

পুঁজিবাজারের উন্নয়নের স্বার্থে এবং বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে মার্জিন ঋণের আনাদায়ী ক্ষতির বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণে সময়সীমা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এ সুবিধা ২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিএসইসির এসএমএমআইডি বিভাগের সহকারী পরিচালক মতিউর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনাটি বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং ঢাকা ও চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই-সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠিয়েছে বিএসইসি।
এতে বলা হয়েছে, মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের নিজস্ব ও গ্রাহকের পোর্টফোলিওতে পুনঃমূল্যায়নজনিত অনাদায়ী ক্ষতির বিপরীতে যারা প্রভিশন সংরক্ষণ করতে পারেনি, তাদের জন্য এ সময়সীমা ২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো।
অনাদায়ী ক্ষতির বিপরীতে প্রভিশন রাখার সুযোগ প্রথমে দেয়া হয় ২০১৩ সালে। সে সময় বিএসইসি থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বলা হয়, মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো এখন পুনঃমূল্যায়নজনিত ক্ষতির ক্ষেত্রে নিয়মানুযায়ী ১০০ ভাগের পরিবর্তে ২০ শতাংশ হারে প্রভিশন রাখতে পারবে। তবে তা ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সমান ৫টি ত্রৈমাসিক অংশে রাখতে হবে।
জানা যায়, এই সুযোগ পরবর্তীতে আরও কয়েক ধাপে বাড়ানো হয়। সর্বপ্রথম এই সুযোগ বাড়ানো হয় ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছরের জন্য। এরপর বাজার পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়ায় এর মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। কিন্তু ২০১৫ সালে বাজার পরিস্থিতি আরও মন্দাভাব থাকায় মার্চেন্ট ব্যাংককারদের আবেদনের প্রেক্ষিতের প্রভিশন সংরক্ষণের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত বাড়ায় বিএসইসি।
এরপর ২০১৭ সালে বাজার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়। তবে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে তা পূরণ করতে আরও সময়ের প্রয়োজন। এ জন্য প্রভিশন সংরক্ষণের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি করা হয়। বিএসইসি সেই দাবি মেনে নিয়ে এক বছর সময় বাড়ায়। তবে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বরর আগেই আর এক দফা বাড়িয়ে প্রভিশন সংরক্ষণের সুযোগ ২০১৮ বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়।
এরপর আরও একদফা বাড়িয়ে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর করা হয়। এরপর তা আরও দুই বছর বাড়িয়ে ২০২২ সাল পর্যন্ত করা হয়। ওই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আরও এক বছর বাড়িয়ে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সুযোগ দেয়া হয়। সবশেষ ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর এ সময়সীমা বাড়ানো হয়। এবার তা আরও বাড়িয়ে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত উন্নীত করেছে বিএসইসি।
অর্থসংবাদ/এমআই

পুঁজিবাজার
ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়লো আরও ২০ হাজার কোটি টাকা

বিদায়ী সপ্তাহে (২০ জুলাই থেকে ২৪ জুলাই) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে। এতে সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার ৫০৯ কোটি টাকা।
পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সমাপ্ত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৮৭ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা। আর সপ্তাহ শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৮ হাজার ৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার ৫০৯ কোটি টাকা বা ২ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
বিদায়ী সপ্তাহে বেড়েছে ডিএসইর সব কয়টি সূচকও। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২৫৯ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট বা ৫ দশমিক ০৬ শতাংশ। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ১৫৩ দশমিক ১১ পয়েন্ট বা ৭ দশমিক ৯১ শতাংশ। আর ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ৫২ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট বা ৪ দশমিক ৭২ শতাংশ।
সূচকের উত্থানের পাশাপশি ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৪ হাজার ২৯৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৪০৮ কোটি ১২ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ৮৮৯ কোটি ১১ লাখ টাকা।
প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ১৭৭ কোটি ৮২ লাখ টাকা বা ২৬ দশমিক ০৯ শতাংশ। চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৮৫৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৬৮১ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ২১৫টি কোম্পানির, কমেছে ১৪৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এসএম
পুঁজিবাজার
বিএটিবিসির ইপিএস কমেছে ৫৫ শতাংশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বৃটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড (বিএটিবিসি) গত ৩০ জুন,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২৫-জুন’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানির সমাপ্ত প্রথম দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২৫-জুন’২৫) গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ৫৫ দশমিক ১৩ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
চলতি হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে (জানুয়ারি’২৫-জুন’২৫) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ৬৯ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে তা ছিল ১৭ টাকা ১৪ পয়সা।
আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ৯ টাকা ৫ পয়সা। গত বছর একই সময়ে তা ছিল মাইনাস ২০ টাকা ৮৭ পয়সা।
গত ৩০ জুন,২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৯৯ টাকা ৫৭ পয়সা।
এসএম
পুঁজিবাজার
ইউনিলিভার কনজ্যুমারের ইপিএস বেড়েছে ২৮ শতাংশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেড গত ৩০ জুন,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২৫-জুন’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (পিএস) বেড়েছে ২৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২ টাকা ৬২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ৯ টাকা ৮৩ পয়সা আয় হয়েছিল।
হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে (জানুয়ারি’২৫-জুন’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৯ টাকা ৭৮ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে ২১ টাকা ৪৪ পয়সা আয় হয়েছিল।
আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল মাইনাস ২৩ টাকা ৫৭ পয়সা, গত বছরের একই সময়ে যা ৫ টাকা ৮৩ পয়সা ছিল।
গত ৩০ জুন,২০২৫ তারিখে শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৯৪ টাকা ৬১ পয়সা।
এসএম
পুঁজিবাজার
আইসিএল ব্যালান্সড ফান্ডের লভ্যাংশ ঘোষণা

সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ইমপ্রেস ক্যাপিটাল লিমিটেড পরিচালিত বে-মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড আইসিএল ব্যালান্সড ফান্ডের ইউনিটহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ইউনিটহোল্ডাররা ১১ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ পাবেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) অনুষ্ঠিত আইসিএল ব্যালান্সড ফান্ডের ট্রাস্টি কমিটির বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে যেসব বিনিয়োগকারীর কাছে আইসিএল ব্যালান্সড ফান্ডের ইউনিট ছিল, তারা ঘোষিত লভ্যাংশ পাওয়ার জন্য যোগ্য হবেন।
গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে বাজারমূল্যে ফান্ডটির ইউনিট প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ১১ টাকা ১৬ পয়সা।
পুঁজিবাজার
লভ্যাংশ দেবে না আইসিএল আইএনসিটিএল শরীয়াহ ফান্ড

সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ইমপ্রেস ক্যাপিটাল লিমিটেড পরিচালিত বে-মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড আইসিএল আইএনসিটিএল শরীয়াহ ফান্ড গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের বিপরীতে ইউনিটহোল্ডারদের জন্য শূন্য শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) অনুষ্ঠিত আইসিএল আইএনসিটিএল শরীয়াহ ফান্ডের ট্রাস্টি কমিটির বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে যেসব বিনিয়োগকারীর কাছে আইসিএল ব্যালান্সড ফান্ডের ইউনিট ছিল, তাদের জন্য লভ্যাংশ সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হবে।
আলোচিত বছরে ফান্ডটির ইউনিট প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ৩০ পয়সা। গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে বাজারমূল্যে ফান্ডটির ইউনিট প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ৯ টাকা ৯৬ পয়সা।
কাফি