জাতীয়
২৫ মার্চ মুক্তিকামী জনতার ওপর গুলি চালায় মেজর জিয়া: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বাঙালির ওপর যে আক্রমণ চালিয়েছিল বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা মেজর জিয়া সেই আক্রমণকারীদের একজন ছিলেন।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকে যারা প্রশ্ন করেন, আওয়ামী লীগ কোথায় ছিল? আমি জিজ্ঞেস করি, আপনারা কোথায় ছিলেন? সেটাও একটু বলেন। জবাব দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোথায় ছিল তাও আমি বলি, ২৫ মার্চ পাকিস্তান হানাদার বাহিনী যখন এখানে গণহত্যা শুরু করে, তারা কিন্তু চট্টগ্রামেও হত্যাকাণ্ড শুরু করেছিল। যারা ব্যারিকেড দিচ্ছিল জাতির পিতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে, তাদের ওপর গুলি চালিয়েছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। আর চট্টগ্রামে সেই সেনাবাহিনীর দায়িত্বে জিয়াউর রহমান ছিলেন এবং জিয়াউর রহমানও যারা সেই সময় ব্যারিকেড দিয়েছে তাদের ওপর গুলি চালিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, শুধু তাই না, সোয়াত জাহাজ এসেছে পাকিস্তান থেকে অস্ত্র নিয়ে, সেই অস্ত্র খালাস করতে গিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। সেখানে এই যে সংগ্রাম পরিষদের নেতা ও অন্যান্য সাধারণ জনগণ, তারা তাকে পথে আটকায়। তাকে যেতে দেয়নি, বাধা দিয়েছিল এবং সেখান থেকেই ধরে নিয়ে আসে। সেই সময় আমাদের নেতারা; এখন তো অনেকেই বেঁচে নেই! তারা এখনো সেটা স্মরণ করে।
তিনি বলেন, কাজেই পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ২৫ মার্চ যে আক্রমণটা বাঙালির ওপর চালায়, সেই আক্রমণকারী একজন কিন্তু জিয়াউর রহমানও। সেটা হলো চট্টগ্রামে। এটাও ভুললে চলবে না।
স্বাধীনতার ঘোষণা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে সর্বপ্রথম ২৬ মার্চ দুপুর ২টা-আড়াইটার সময় মান্নান সাহেব, চট্টগ্রামের সেক্রেটারি ঘোষণা দেওয়া শুরু করে। একে একে আমাদের যারা নেতা সবাই ঘোষণা পাঠ করে। সে সময় জহুর আহমেদ সাহেব বলেন, আমাদের একজন মিলিটারি লোক দরকার। তাহলে আমরা যে যুদ্ধ করছি, সেই যুদ্ধ যুদ্ধ হবে। তখন মেজর রফিককে বলা হয়, তিনি তখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে আটকানোর জন্য অ্যাম্বুস করে বসে আছেন। বলছেন, আমি এখান থেকে নড়লে এই জায়গাটা ওরা দখল করে নেবে।
তিনি বলেন, ওই সময় জিয়াউর রহমানকে ধরে আনা হয় এবং তাকে দিয়ে ২৭ তারিখ সন্ধ্যার পরে সে জাতির পিতার পক্ষে ঘোষণাটা দেওয়া হয়। তিনি পাঠ করেন। কেউ যদি কিছু বলে, আমরা আওয়ামী লীগ তাকে খাটো করে দেখেনি। জিয়াউর রহমান একজন মেজর, তিনি যখন বলছেন মানুষের মধ্যে যুদ্ধ যুদ্ধ ভাবটা আসবে, এই উদ্দেশ্য নিয়েই একজন সামরিক অফিসারকে দিয়ে এই ঘোষণা পাঠ করানো হয়েছিল। সেটাকেই এখন একেবারে ঘোষক হিসেবে (বলা হচ্ছে); হ্যাঁ, রেডিওর ঘোষক, টেলিভিশনের ঘোষক, আমাদের এই মিটিংয়েরও তো ঘোষক আছে, তাই না? ঘোষক তো সেই ঘোষক। কাজেই এটা নিয়ে বড়াই করার তো কিছু নেই! কিন্তু তারা এটা (নিয়ে) বড়াই করে যাচ্ছে।
স্বাধীনতার ঘোষণার ইতিহাস তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এই ইতিহাসকে পঁচাত্তরের পর তো বিকৃত করা হয়েছে। বিকৃত করে একটা ভিন্ন ইতিহাস সামনে আনার চেষ্টা করা হয়েছে যে, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে গেল একটা মেজর কোন ড্রামের ওপর দাঁড়িয়ে ফুঁক দিলো আর অমনি বাঁশি ফুঁক দিলেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে গেল। এইভাবে একটা দেশ স্বাধীন হয় না। তাহলে তো বাংলাদেশে ইতিহাস অন্য রকম হতো। এই ক্ষেত্রে আমি বলবো যে, এই যে ইতিহাস বিকৃত করে এখনো তারা কিন্তু ভাঙা রেকর্ডের মতো বলেই যাচ্ছে। ওদের কখনো আক্কেল ঠিকানা হবে না। আর না হওয়ার কারণও আছে। এখন তারা মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে। এর মধ্যে অনেকেই তো…মুক্তিযুদ্ধে তারা কে ছিলেন? কোথায় ছিলেন? আজকে যিনি বলেছেন যে, ২৫ মার্চ সব আওয়ামী লীগ পালিয়ে গিয়েছিল, তার বাবা কে ছিলেন?
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আরব আমিরাতে রিহ্যাবের আবাসন মেলা, শুরু ৬ সেপ্টেম্বর
প্রবাসে উপার্জন স্বদেশে আবাসন- স্লোগানকে সামনে রেখে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজা শহরে আবাসন মেলা করতে যাচ্ছে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। আগামী ৬ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর শারজা এক্সপো সেন্টারে রিহ্যাব হাউজিং অ্যান্ড রেমিট্যান্স ফেয়ার-২০২৪ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর মেলার উদ্বোধন করবেন। রিহ্যাবের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
রিহ্যাব জানায়, সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে রিহ্যাবের আবাসন মেলা নিয়ে ইতিমধ্যে উৎসাহ–উদ্দীপনা লক্ষ করা যাচ্ছে। মেলায় প্রবাসীদের গৃহঋণ নেওয়ার ব্যবস্থাও থাকবে। এর জন্য এবারের মেলায় আবাসন কোম্পানির পাশাপাশি বেশ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
রিহ্যাব ইন্টারন্যাশনাল ফেয়ার স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলিম উল্ল্যাহ এবং কো–চেয়ারম্যান মো. ইমদাদুল হক সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূত রিহ্যাব হাউজিং অ্যান্ড রেমিট্যান্স ফেয়ার সফলভাবে আয়োজনে সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পুলিশকে দুর্বল করতেই পরিকল্পিত হামলা-ধ্বংসযজ্ঞ: ডিবিপ্রধান
কোটা সংস্কার আন্দোলনের আড়ালে পুলিশকে দুর্বল করতেই পরিকল্পিতভাবে হামলা-ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের আড়ালে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত অনেকবার গণতান্ত্রিক সরকারকে অবৈধভাবে ক্ষমতাচ্যুত করা বা দেশকে অকার্যকর করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু পুলিশের কারণে তারা বার বার ব্যর্থ হয়েছে। এজন্য তারা এবার পুলিশকেই টার্গেট করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ।
হারুন বলেন, জামায়াত ও বিএনপির ক্যাডাররা কীভাবে নির্মমভাবে পিটিয়ে আমাদের দুই পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে। মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রতিরোধ গড়েছিল পুলিশ। পুলিশই দুর্দিনে প্রথম এগিয়ে আসে। ২৮ অক্টোবরে আমরা দেখেছি রাষ্ট্রীয় স্থাপনা, বিচারপতির বাসভবনে হামলার চিত্র। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে এর আড়ালে আমরা দেখলাম রাষ্ট্রীয় স্থাপনা ও পুলিশকে টার্গেট করা হয়েছে। যাত্রাবাড়ী শনির আখড়া, রায়েরবাগ এলাকায় গিয়ে তারা পুলিশকে টার্গেট করেছে। পুলিশ মারতে পারলেই ১০ হাজার টাকাও তারা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল।
তিনি বলেন, বাড়িবাড়ি তল্লাশি করেছে তারা। উদ্দেশ্য ছিল একটাই— পুলিশকে ডিমরালাইজড করা। পুলিশকে ডিমরালাইজড করতে পারলে তারা হয়ত মনে করেছিল আন্দোলন সাকসেস হবে। পুলিশ দুর্বল হলে পিছিয়ে যাবে। তখন তারা এই রাষ্ট্রকে অকার্যকর এবং সরকারের পতন ঘটাতে পারবে মনে করেছিল। দেশ ও মানুষের জন্য পুলিশ সদস্যরা নানা সময়ে আত্মাহুতি দিয়েছি। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত পীড়াদায়ক। এই কোটা আন্দোলনে তিন পুলিশ সদস্যকে হারিয়েছি। কিন্তু পুলিশের মনোবল মোটেও ভাঙ্গেনি।
হারুন বলেন, যারা পুলিশকে হত্যা করেছে, সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে, স্বপ্নের মেট্রোরেলসহ সরকারি স্থাপনায় নাশকতা চালিয়েছে। যারা এসবের নেতৃত্ব দিয়েছে, অর্থ আদান-প্রদান করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তারা যেখানেই থাকুক না কেন তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
তারেক রহমানের নির্দেশেই রাষ্ট্রের ওপর হামলা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে রাষ্ট্রের ওপর হামলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারেক রহমানের ভয়েস সরকারের হাতে এসেছে। সে বলছে যে, কারফিউ ভঙ্গ করো, না হলে পদ ছাড়ো। বিএনপির এক নেতা বলেছে-তোমরা আন্দোলনে ঢুকে যাও, নৈরাজ্য সৃষ্টি করো। এভাবে কোনো রাজনৈতিক দল দেশের ক্ষতি করতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ টেলিভিশন স্থাপিত হয়েছে ১৯৬৪ সালে। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসে বিটিভিতে কখনও হামলা, ভাঙচুর হয়নি। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বিটিভির কিছু কর্মকর্তাকে হত্যা করেছিল। কিন্তু কখনও বিটিভিতে হামলা হয়নি’
ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে ভাঙচুর প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দুর্যোগের সময়ে মানুষ যে মন্ত্রণালয়ে ছুটে যায়, সেই ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে তারা। ঢাকাবাসীর গর্ব, দেশবাসীর গর্ব মেট্রোরেল জ্বালিয়ে দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকেই বলে এসেছি, সর্বোচ্চ আদালতের মাধ্যমে সমাধান হবে। আমরা শেষ পর্যন্ত দেখেছি সর্বোচ্চ আদালতের মাধ্যমেই সমাধান হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যা চেয়েছিল, তার থেকে বেশিই পেয়েছে। কোটা থাকলেও সবাইকে মেধার মাধ্যমে যোগ্যতা প্রমাণ করতে হয়। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ভুল বুঝানো হয়েছে। যদি শিক্ষার্থীরা একটু ধৈর্য ধরতো, তাহলে বিএনপি-জামায়াত এই সুযোগটা পেত না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা আন্দোলনকারীদের রক্ষা করেছে। লক্ষ্য করে দেখুন, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ মারা যায়নি, সব বাইরে হয়েছে। অর্থাৎ এর সাথে কোটা সংস্কারের দাবির কোনো শিক্ষার্থী জড়িত নয়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্বাস দিয়েছেন কোনো শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হবে না।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
কোটা আন্দোলনকারীদের ‘ইমার্জেন্সি হেলথ ফোর্স’ গঠন
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ‘ইমার্জেন্সি হেলথ ফোর্স’ গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। একই সঙ্গে সারা দেশে প্রতিটি জেলায় মেডিকেল শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের সমন্বয়কদের স্ব-উদ্যোগে ‘ইমার্জেন্সি হেলথ ফোর্স’ গঠনের আহ্বান জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকায় ‘ইমার্জেন্সি হেলথ ফোর্স’ এর সমন্বয় করবেন- মো. মাহিন সরকার, রিফাত রশিদ এবং সারা দেশে ‘ইমার্জেন্সি হেলথ ফোর্স’ এর সমন্বয় করবেন- আব্দুল হান্নান মাসুদ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সারা দেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের হয়রানির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন মামলা হয়েছে এবং অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আইনি সহায়তা দেয়ার উদ্দেশ্যে ‘লিগ্যাল এইড ফর স্টুডেন্টস’ গঠনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। লিগ্যাল এইড ফর স্টুডেন্টস’ এর সমন্বয় করবেন- আব্দুল্লাহ সালেহীন অয়ন। একই সঙ্গে সারা দেশে প্রতিটি জেলায় আইনজীবী, আইনে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী ও সমন্বয়কদের স্ব-উদ্যোগে ‘লিগ্যাল এইড ফর স্টুডেন্টস’ গঠনের আহ্বান জানানো হয়।
২৬ ও ২৭ জুলাই সারাদেশে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসা নিশ্চিতে ‘ইমার্জেন্সি হেলথ ফোর্স’ ও আইনি সহায়তা নিশ্চিতে ‘লিগ্যাল এইড ফর স্টুডেন্টস’ কে জোরালো কার্যক্রম পরিচালনার আহ্বান জানানো হয়। এছাড়াও শুক্রবার সারা দেশে মসজিদগুলোতে দোয়া ও মোনাজাত এবং মন্দিরসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনা করার আহ্বান জানানো হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
কোটা আন্দোলন ঘিরে সব হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে: কাদের
শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘটিত প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচারবিভাগীয় তদন্ত ও বিচার হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, যারা সহিংসতা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আমরা বরাবরই শিক্ষার্থীদের দাবি সমর্থন করে আসছি।
তিনি বলেন, ৭১ সালে যারা বেঈমানি করেছে, হত্যাকাণ্ড করেছে তারা এখনো বেঈমান। ৭১’র খুনি, ৭৫’র খুনি, ২১ আগস্টের খুনি, ২৪ সালের একই খুনি ও বিশ্বাসঘাতক। তারা হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীদের হত্যা করে সরকারের ওপর দায় চাপানো হয়েছে। আমাদের কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করা হয়েছে। নজিরবিহীন তাণ্ডব চালানো হয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানো।
এমআই