পুঁজিবাজার
জেড ক্যাটাগরির ২৩ কোম্পানি পরিদর্শনে ডিএসইকে নির্দেশ

শেয়ারবাজারের দুর্বল ক্যাটাগরির কোম্পানি হিসেবে বিবেচিত ‘জেড’ ক্যাটাগরির ২৩ কোম্পানি পরিদর্শনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সম্প্রতি নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে পাঠানো এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। দীর্ঘ সময় ধরে উৎপাদন বন্ধ, এজিএম করতে ব্যর্থ ও বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিতে না পারা দুর্বল ক্যাটাগরির এসব কোম্পানির সামগ্রিক কার্যক্রম যাচাই এবং তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় চিঠিতে।
বিএসইসির পাঠানো চিঠিতে পরিদর্শনের জন্য নাম উল্লেখ করা কোম্পানিগুলো হলো- অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স, আরামিট সিমেন্ট, আজিজ পাইপস, বাংলাদেশ সার্ভিসেস, বাংলাদেশ ওয়েল্ডিং, বিআইএফসি, জিবিবি পাওয়ার, ইনটেক লিমিটেড, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক, মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ এবং মিথুন নিটিং অ্যান্ড ডাইং লিমিটেড। এসব কোম্পানিগুলোর ব্যাপারে বিশেষ অনুসন্ধানের জন্য চিঠিতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
এছাড়া ন্যাশনাল টি কোম্পানি, নূরানী ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার, পিপলস লিজিং, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স, রিং শাইন টেক্সটাইল, আরএসআরএম, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, সাফকো স্পিনিংস, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ এবং ইয়াকিন পলিমার লিমিটেডের উৎপাদন, এজিএম এবং লভ্যাংশ প্রদানের বিষয় নিয়েও পর্যালোচনার নির্দেশ দেওয়া হয় চিঠিতে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্রোকারেজ কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে শেয়ারবাজারে ঋণে জর্জরিত উৎপাদহীন কোম্পানিগুলো রাজত্ব করে চলেছে। তাদের কোন কার্যক্রম চলমান না থাকলে প্রতিনিয়ত কারসাজির মাধ্যমে হু হু করে বাড়ছে শেয়ারদর। ফলে স্বল্পমেয়াদী বিনিয়োগকারীরা তাদের ফাঁদে পা দিয়ে লোকসানে ভুগছেন। এতে শেয়ারবাজার থেকে ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছেন স্বচ্ছ বিনিয়োগকারীরা।
এ ব্যাপারে বিএসইসির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, জেড ক্যাটাগরিতে বর্তমানে প্রায় দুই ডজন কোম্পানি লেনদেন করছে, যারা দীর্ঘসময় বিনিয়োগকারীদের কোন লভ্যাংশ প্রদান করেনি। পাশাপাশি বিএসইসির নিয়মনীতি পরিপালনেও ব্যর্থ হয়েছে। কমিশন এসব কোম্পানির সামগ্রিক অবস্থান জানতে ইতোমধ্যে পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছে। স্টক এক্সচেঞ্জের পরিদর্শন প্রতিবেদন পাওয়ার পর কমিশন এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
পুঁজিবাজারে নানান অনিয়মের কারণে সম্প্রতি ২৮ কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করে ডিএসই। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এবং ৪ মার্চ বিএসইসির দুই দফা নির্দেশনায় এসব কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তন করে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হয়। বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়, তিনটি শর্ত পরিপালনে ব্যর্থতার কারণে ২৮ কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে পরিবর্তন করা হয়েছে। শর্তগুলো হলো- নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আয়োজনে ব্যর্থ, কোম্পানির উৎপাদন বা ব্যবসায়িক কার্যক্রম ন্যূনতম ছয় মাসের জন্য বন্ধ এবং পরিশোধিত মূলধনের তুলনায় পুঞ্জীভূত লোকসানের পরিমাণ বেশি হওয়ায় এসব কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
তবে দুর্বল কোম্পানির তালিকায় পাঠানো হলেও এসব কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি থেমে নেই। বর্তমানে জেড ক্যাটাগরিতে অবস্থান করা অ্যাপোলো ইস্পাত ব্যবসা সম্প্রসারণ ও ঋণ পরিশোধের জন্য ২০১৩ সালে পুঁজিবাজার থেকে ২২০ টাকা উত্তোলন করে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের দুই দফায় মাত্র ৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদান করেছে। সবশেষ ২০১৬ সালে ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদান করা হয়। দীর্ঘসময় লভ্যাংশ বিতরণ এবং কোম্পানি পরিচালনে ব্যর্থ হলেও গত সোমবার কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিলো ৫ টাকা।
একই ঘটনা দেখা গেছে সোয়েটার রপ্তানিকারক কোম্পানি নূরানী ডাইং অ্যান্ড সোয়েটারের শেয়ারে। ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য ২০১৭ সালে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৪৩ কোটি টাকা তুলে নূরানী ডাইং। কিন্তু আইপিওর মাধ্যমে টাকা তোলা ছিলো কোম্পানিটির এক বড় প্রতারণা। ডিএসইর এক তদন্তে জানা যায়, শেয়ারবাজার থেকে আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত টাকার ৪১ কোটি টাকাই কোম্পানির উদ্যোক্তারা আত্মসাৎ করেছেন। পরবর্তীতে তারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে বলেও তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এমনকি তালিকাভুক্তির পর এখন পর্যন্ত কোম্পানিটি লভ্যাংশ দিয়েছিলো মাত্র একবার। কারসাজিতে জড়িত এই নূরানী ডাইংয়ের গত সোমবার শেয়ারদর ছিলো ৪ টাকা ৯০ পয়সা।
জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর হওয়ার পরেও শেয়ারদর বাড়ছে জুট স্পিনার্সের। গতকাল সোমবার কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৬ টাকা ২০ পয়সা। দীর্ঘ সময় লভ্যাংশ না দেওয়া কোম্পানিটির ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত বছর শেষে শেয়ার প্রতি নিট দায় দাঁড়িয়েছে ৫২২ টাকা ১৯ পয়সায়। তবুও নানান কারসাজিতে জুট স্পিনার্সের শেয়ারদর বাড়ছে।
এদিকে প্রায় পাঁচ বছর পর গত ১০ মার্চ শেয়ারবাজারের লেনদেনে ফিরে আসছে ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস। আর্থিক কেলেঙ্কারিতে কোম্পানিটি একসময় প্রায় দেউলিয়া হওয়ার পর্যায়ে চলে যায়। তাতে বাংলাদেশ ব্যাংক কোম্পানিটি বিলুপ্ত বা অবসায়নের উদ্যোগ নেয়। এ কারণে ২০১৯ সালের জুলাইয়ে শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ করা হয় কোম্পানিটির।
২০০৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া পিপলস লিজিং ২০১৪ সালের পর বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ দেয়নি। সর্বশেষ ২০১৪ সালের জুনে সমাপ্ত আর্থিক বছরের জন্য ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি।
এমআই

পুঁজিবাজার
ইউসিবির ইপিএস কমেছে ৯০ শতাংশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি) গত ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৫-মার্চ’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ৯০ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) অনুষ্ঠিত ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে আলোচিত প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ পয়সা। গত বছর একই সময়ে সমন্বিত ইপিএস হয়েছিল ৪২ পয়সা।
আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি অর্থের প্রবাহ বা ক্যাশ-ফ্লো ছিলো ৭ টাকা ৬ পয়সা। আগের বছরে যা ছিলো মাইনাস ৪ টাকা ৭৬ পয়সা।
গত ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২৬ টাকা ১১ পয়সা।
এসএম
পুঁজিবাজার
লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য জানালো ইউসিবি

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি) গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। ব্যাংকটি আলোচিত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেবে না।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) অনুষ্ঠিত ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত ২০২৪ সালে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি ০৫ পয়সা আয় হয়েছে। আগের বছর শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৪৫ পয়সা আয় হয়েছিল।
সর্বশেষ বছরে সমন্বিতভাবে শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল মাইনাস ১ টাকা ৯৩ পয়সা, যা আগের বছর ৩২ টাকা ২৬ পয়সা ছিল।
গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২৬ টাকা ৪২ পয়সা।
আগামী ৩১ জুলাই সকাল ৯টায় ব্যাংকটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৯ জুন।
এসএম
পুঁজিবাজার
লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য জানালো মার্কেন্টাইল ব্যাংক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি মার্কেন্টাইল ব্যাংক পিএলসি গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। ব্যাংকটি আলোচিত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেবে না।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) অনুষ্ঠিত ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত ২০২৪ সালে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি ৫৮ পয়সা আয় হয়েছে। আগের বছর শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৮৬ পয়সা আয় হয়েছিল।
সর্বশেষ বছরে সমন্বিতভাবে শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ১৭ টাকা ৮০ পয়সা, যা আগের বছর ৪ টাকা ৮০ পয়সা ছিল।
গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২৩ টাকা ৭৫ পয়সা।
আগামী ২০ জুলাই সকাল ১১টায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে ব্যাংকটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৯ জুন।
এসএম
পুঁজিবাজার
লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য জানালো এবি ব্যাংক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি এবি ব্যাংক পিএলসি গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। ব্যাংকটি আলোচিত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেবে না।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) অনুষ্ঠিত ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত ২০২৪ সালে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি ২১ টাকা ২৮ পয়সা লোকসান হয়েছে। আগের বছর শেয়ার প্রতি ১ টাকা আয় হয়েছিল।
সর্বশেষ বছরে সমন্বিতভাবে শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল মাইনাস ৪২ টাকা ২৩ পয়সা, যা আগের বছর ১০ টাকা ৯৮ পয়সা ছিল।
গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৭ টাকা ১৯ পয়সা।
আগামী ৫ আগস্ট সকাল ১০ হাইব্রিড পদ্ধতিতে ব্যাংকটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬ জুন।
এসএম
অর্থনীতি
আয়করে অর্ধশতাধিক পরিবর্তন: পুঁজিবাজার বিকাশেও প্রস্তাব

আসন্ন বাজেটে আয়কর খাতে অর্ধশতাধিক পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে কর বাড়ছে, আবার কিছু ক্ষেত্রে কমছে। ব্যক্তির করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানো এবং পাঁচ শতাংশ করের স্ল্যাব তুলে দেওয়ার মতো পরিবর্তন আনা হচ্ছে। করদাতার ওপর চাপ কমানো এবং পুঁজিবাজারের বিকাশেও বেশ কিছু ইতিবাচক প্রস্তাব থাকছে।
ব্যবসা ও বিনিয়োগের জন্য ক্ষতিকর বলে বিবেচিত কর আইনের বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও খাত সংশ্লিষ্টরা প্রাক-বাজেট আলোচনায় আপত্তি তুলেছিলেন। সেই আপত্তিগুলো বিবেচনায় নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বাজেটে বেশ কিছু ইতিবাচক প্রস্তাব করবেন বলে জানা গেছে। পাশাপাশি কর আদায় বাড়ানোর জন্যও কিছু প্রস্তাব থাকবে।
ব্যক্তিগত আয়করে পরিবর্তন: ব্যক্তির করমুক্ত আয়ের সীমা ২৫ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, জুলাই যোদ্ধাদের করমুক্ত আয়ের সীমা হচ্ছে ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা। ব্যক্তির কর নির্ধারণেও পরিবর্তন আসছে: ৫ শতাংশের কর স্ল্যাব বাতিল হচ্ছে, ফলে করের হার হবে আয়ের ১০ থেকে ৩০ শতাংশ। অঞ্চলভেদে ন্যূনতম করের বিধান বাতিল করে সারা দেশে সবার জন্য ন্যূনতম আয়কর ৫ হাজার টাকা করা হচ্ছে। নতুন করদাতাদের উৎসাহ দিতে ন্যূনতম কর ১ হাজার টাকা করা হবে।
পুঁজিবাজারের জন্য প্রস্তাবনা: শেয়ারবাজার সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রস্তাব থাকছে বাজেটে, যা বাজারকে টেকসই ও গতিশীল করতে সাহায্য করবে। মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর কর সাড়ে ৩৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ২৭ শতাংশ করা হচ্ছে। তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর্পোরেট কর ২২.৫ শতাংশই থাকছে, তবে এর কঠোর শর্ত শিথিল করা হচ্ছে। এই সুবিধা পেতে হলে শুধু আয় ব্যাংকের মাধ্যমে হতে হবে। এছাড়া ব্রোকারেজ হাউজের উৎসে কর কমিয়ে ০.০৩ শতাংশ করা হচ্ছে।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন:
- কোম্পানি ও করদাতাদের দাবি মেনে নিয়ে অতিরিক্ত কর পরের বছরগুলোতে সমন্বয় করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
- কৃষি আয় ৫ লাখ টাকার বেশি হলে কর আরোপ করা হবে।
- বেসরকারি চাকরিজীবীদের করমুক্ত ব্যয় ৫০ হাজার টাকা বাড়ছে এবং পারকুইজিট সীমা দ্বিগুণ হচ্ছে।
- বাবা-মা, স্বামী-স্ত্রীর পাশাপাশি আপন ভাই-বোনের মধ্যে দানও করমুক্ত হচ্ছে।
উৎসে কর ও আমদানি শুল্কে পরিবর্তন:
- ঠিকাদারের উৎসে কর ২ শতাংশ কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হচ্ছে।
- কৃষিপণ্য সরবরাহে উৎসে কর অর্ধেক হচ্ছে।
- জমি বিক্রিতে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স ৫ শতাংশ কমিয়ে ১৩ শতাংশ করা হচ্ছে।
- তবে, ১৫২টি পণ্য আমদানিতে ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর আরোপ করা হচ্ছে।
- ইন্টারনেট সেবার উৎসে কর কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হচ্ছে এবং সিগারেট কোম্পানির উৎসে কর বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা হচ্ছে।
- মোবাইল অপারেটরদের টার্নওভার কর কমিয়ে দেড় শতাংশ করা হচ্ছে।
- রিসাইকেল শিল্প, গ্যাস বিতরণ, তেল পরিশোধনাগার, বিদ্যুৎ কেনায় উৎসে কর কমানো হচ্ছে।
কর অব্যাহতি ও রিটার্ন সংক্রান্ত পরিবর্তন:
- মৎস্য ও পোল্ট্রি খাতের কর অব্যাহতি বাতিল করা হচ্ছে, তবে প্রান্তিক খামারিদের উৎসাহ দিতে এ খাতের ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত থাকবে।
- সরকারি কিছু প্রতিষ্ঠানকে রিটার্ন দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে।
- উৎসে করের রিটার্ন প্রতিমাসের পরিবর্তে তিন মাস পরপর দিতে হবে।
- ক্রেডিট কার্ড পাওয়াসহ ১২টি সেবা পেতে রিটার্ন জমার প্রমাণ দেখানোর শর্ত শিথিল করা হচ্ছে; কর নিবন্ধন থাকলেই মিলবে এসব সেবা।