ধর্ম ও জীবন
রোজা ভঙ্গ-মাকরুহ হয় যেসব কারণে
সারা বিশ্বজুড়ে রমজানের আমেজ বিরাজ করছে, একযোগে পালিত হচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান। ইসলামের মূল পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে রোজা হচ্ছে তৃতীয় স্তম্ভ। মুসলিমদের জন্য রোজা একটি অন্যতম ফরজ ইবাদত যা ভঙ্গ করা কবিরা গুনাহ। রোজা ভঙ্গকারী নিকৃষ্ট পাপী।
ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী রোজার শুদ্ধাতা অর্জন ও যথাযথভাবে পালনের জন্য কিছু বিধিমালা আছে যার ব্যতিক্রম হলে রোজা ভঙ্গ কিংবা মাকরুহ হয়ে যায়। রোজার নিয়তে সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকার পর যদি অসর্তকতাবশত কোনো ব্যক্তির রোজা ভঙ্গ বা মাকরুহ হয়ে যায়; তাহলে তার চেয়ে দুর্ভাগা আর কে আছে?
প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক, মুসলিম নর নারীর জন্য রোজা রাখা আবশ্যক। শুধুমাত্র পানাহার থেকে বিরত থাকালেই রোজা আদায় হয়ে যায় না; বরং রোজা অবস্থায় মেনে চলতে হয় বেশ কিছু নিয়মকানুনও। আল্লাহ তায়ালা রোজাদারকে তিনটি বিষয় থেকে বিরত থাকতে বলেছেন- ১. স্ত্রী-সহবাস, ২. খাবার গ্রহণ, ৩. পানীয় গ্রহণ। (সূরা বাকারা, আয়াত : ১৮৭)
সুতরাং কেউ স্ত্রী-সহবাস ও পানাহারে লিপ্ত হলে তার রোজা ভেঙে যাবে। এছাড়া নারীদের ঋতুস্রাবের কারণেও রোজা ভেঙে যায়। এসব কারণ ছাড়াও আরও বেশকিছু কারণ আছে, যেসব কারণে রোজা ভঙ্গ হয়ে যায়।
রোজা ভঙ্গের কারণসমূহ-
১. মুখ ভরে বমি করা। ২. ইচ্ছা করে বমি করা। ৩. বমির বেশির ভাগ মুখে আসার পর তা গিলে ফেলা। ৪. মেয়েদের মাসিক ও সন্তান প্রসব। ৫. ইসলাম ত্যাগ করা। ৬. রোজাদারকে জোর করে কিছু খাওয়ানো। ৭. প্রস্রাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে ওষুধ বা অন্য কিছু শরীরে প্রবেশ করানো।
৮. গ্লুকোজ, শক্তিবর্ধক ইনজেকশন বা সেলাইন নেওয়া। ৯. ভুলবশত কোনো কিছু খেয়ে রোজা ভেঙে গেছে ভেবে আরও কিছু খাওয়া। ১০. ইফতারের সময় হয়েছে ভেবে সূর্যাস্তের আগে ইফতার করা।
১১. বৃষ্টির পানি মুখে পড়ার পর তা খেয়ে ফেলা। ১২. কান বা নাক দিয়ে ওষুধ প্রবেশ করানো। ১৩. দাঁতের ফাঁক থেকে ছোলা পরিমাণ কোনো কিছু বের করে খাওয়া। ১৪. রোজা স্মরণ থাকা অবস্থায় অজুতে কুলি বা নাকে পানি দেওয়ার সময় ভেতরে পানি চলেগেলে। (ফাতাওয়ায়ে শামি ও ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি)।
১৫. রাত অবশিষ্ট আছে মনে করে সুবহে সাদিকের পর পানাহার করা। ১৬. হস্তমৈথুন বা অন্য কোনোভাবে বীর্যপাত করা ১৮. শিঙ্গা লাগানো কিংবা এ জাতীয় অন্য কোনো কারণে রক্ত বের হলে।
এই কারণগুলো ছাড়াও এমন কিছু কাজ আছে যা করলে রোজা ভঙ্গ হবে না; তবে রোজার পূর্ণ সওয়াব পাওয়া যাবে না, বরং রোজা মাকরুহ হয়ে যাবে। রোজার পূর্ণ সওয়াব অর্জন করতে অন্যান্য আমল ঠিক রাখার পাশাপাশি অশ্লীল কাজ, পাপাচার, সুদ-ঘুষ, হারাম পানাহার, অন্যের হক নষ্ট করা, ওজনে কম দেওয়া সহ সকল প্রকার পাপ কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।
রোজা মাকরুহ হওয়ার কারণ-
১. কোনো কারণ ছাড়াই কিছু চিবানো। ২. সারাদিন রোজা সঠিকভাবে পালন করার পরেও ইফতারির সময় এমন কোনো খাবার গ্রহণ করা যা ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম। ৩. গড়গড়া করা বা নাকের ভেতর পানি টেনে নেওয়া। ৪. কোনো কিছু শুধু মুখে পুরে রাখা, সেক্ষেত্রে না খেলেও রোজা মাকরুহ হবে।
৫. মুখের লালা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় পেটে গেলে ক্ষতি নেই, তবে ইচ্ছাকৃত দীর্ঘ সময় মুখে থুথু ধরে রেখে পরে গিলে ফেললে রোজা মাকরুহ হবে। ৬. রমজানে সারা দিন অপবিত্র শরীরে থাকা। ৮. পাউডার, পেস্ট ও মাজন দিয়ে দাঁত পরিস্কার করা।
৯. রোজা রেখে কারো গিবত বা পরনিন্দা করা। ১০. মুখে গুল ব্যবহার করা এবং থুথুর সঙ্গে গুল গলার ভেতর চলে যাওয়া। ১১. মিথ্যা কথা বলা মহাপাপ। রোজা রেখে মিথ্যা বলা মাকরুহ।
১২. ঝগড়া-বিবাদ করা ১৪. রান্নার সময় কোনো কিছুর স্বাদ নেওয়া—যেমন, লবন চেখে দেখা, ঝাল পরখ করা, তবে বিশেষ প্রয়োজনের কারণে তা বৈধ। ১৫. নাচ, গান, সিনেমা দেখা। ১৬. যৌন উদ্দীপক কিছু দেখা বা শোনা। ১৭. উচ্চস্বরে চিৎকার কিংবা গালিগালাজ করা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম ও জীবন
বায়তুল মোকাররমের ভারপ্রাপ্ত খতিব ড. ওয়ালিয়ুর রহমান
দেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ভারপ্রাপ্ত খতিব হিসেবে শুক্রবার (৩০ আগস্ট) জুমার নামাজ পড়াবেন হাফেজ মাওলানা ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান আজহারী। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) হাফেজ মাওলানা ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান গণমাধ্যমকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমানবলেন, ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে আমাকে এ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।’ তিনি গত দুই জুমাতেও খতিবের দায়িত্ব পালন করেছেন।
হাফেজ মাওলানা ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর মুহাদ্দিস (৫ম গ্রেড) পদে ১৮ বছর ধরে কর্মরত। ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া) থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন তিনি।
ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সাবেক মহাসচিব ও আজীবন সহসভাপতি, ফরিদাবাদ জামিয়া ও দারুল উলুম মিরপুর-৬ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এবং জামিয়া ইমদাদিয়ার সাবেক উপাধ্যক্ষ সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য হজরত মাওলানা আতাউর রহমান খানের দ্বিতীয় ছেলে।
তিনি হিফজুল কোরআন থেকে শুরু করে কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস পর্যন্ত কিশোরগঞ্জের জামিয়া ইমদাদিয়াতে পড়াশোনা করেন। এছাড়া ঢাকা নেসারিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে কামিল পাস করেন। একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর (এমএ) ডিগ্রি নেন। দেশের অন্যতম শীর্ষ কওমি মাদ্রাসা রাজধানী ঢাকার জামিয়া হুসাইনিয়া আরজাবাদ মাদ্রাসা থেকে ইফতা (মুফতি) সনদ লাভ করেন।
মুফতি ড. ওয়ালিউর রহমান খান শিক্ষাজীবন শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের মুহাদ্দিস (প্রথম শ্রেণি গ্রেড ৫) পদে যোগ দেন ২০০৫ সালে। তাছাড়া বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে বিকল্প খতিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের ঈদ জামাতে ২০০৬ সাল থেকে প্রতি বছরই তিনি ইমামতি করেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের সম্পত্তি খতিয়ে দেখা হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, বিগত ১৫ বছরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কী পরিমাণ সম্পত্তি বেড়েছে সেটা খতিয়ে দেখার জন্য গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তা নেওয়া হবে। কোন অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বুধবার (২৮ আগস্ট) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন সভাকক্ষে দারুল আরকাম মাদ্রাসা স্থাপন ও পরিচালনা শীর্ষক প্রকল্পের দিনব্যাপী সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে নতুন করে ঢেলে সাজানো হবে। এটিকে প্রাণবন্ত প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা হবে। যেসব কর্মকর্তারা এখানে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত আছেন তাদের মাঠে পাঠানো হবে। মাঠপর্যায়ে যারা যোগ্য ও দক্ষ কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন তাদের প্রধান কার্যালয়ে পদায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, বিগত দিনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন তার কর্মকাণ্ড, ভিশন ও মিশন থেকে সরে এসেছে। বিশেষ করে অতিমাত্রিক রাজনীতির কারণেই এরূপ লক্ষ্যচ্যুত ঘটেছে। এ জায়গা থেকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উত্তরণ ঘটাতে হবে। এটিকে রাজনীতির উর্ধ্বে রাখা হবে।
ড. খালিদ বলেন, বিগত ১৫ বছরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কী পরিমাণ সম্পত্তি বেড়েছে সেটা খতিয়ে দেখার জন্য গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তা নেওয়া হবে। কোন অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে কারা ধ্বংস করেছে সেটা তদন্তের জন্য উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করব। এ ছাড়া মডেল মসজিদের দুর্নীতি খতিয়ে দেখার জন্য পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং দুর্নীতির সাথে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি প্রকল্পের শিক্ষক, জনবল ও বেতন কাঠামোর বিষয়টি বিবেচনার প্রতিশ্রুতি দেন। এ ছাড়া শিক্ষা পদ্ধতি, উপবৃত্তি চালু ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করার আশ্বাস দেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম ও জীবন
দেশের ক্রান্তিলগ্নে ওলামারা সবসময় এগিয়ে এসেছেন: ধর্ম উপদেষ্টা
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, জাতির যে কোনো ক্রান্তিলগ্নে ওলামা-মাশায়েখরা জনগণের পাশে আছেন ও থাকবেন। দেশের বানভাসী অসহায় মানুষের সহায়তায়ও আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখ সমাজ এগিয়ে এসেছেন।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) ফেনীর লালপুলে সিলোনিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে বন্যাদুর্গত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে ধর্ম উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অতীতে বিভিন্ন দুর্যোগ-দুর্বিপাকে আলেম-ওলামা সমাজ জনগণের সাহায্যে এগিয়ে এসেছিলেন। করোনার সময়ে যখন পিতা তার পুত্রের লাশ ছুঁয়ে দেখেনি, স্ত্রী তার স্বামীর লাশ ফেলে পালিয়েছে; তখনও আলেম-ওলামা সমাজ এগিয়ে এসেছিলেন। তারা কোভিড আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন, তাদের সেবা করেছেন। এমনকি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা কোভিডে মৃত ব্যক্তিদের দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করেছেন।
ড. খালিদ বলেন, ওলামা-মশায়েখ সমাজ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের সেবা করে থাকেন, কখনও বিভেদ করেন না। আজও তারা বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন।
তিনি বানভাসী মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জমিয়াতে ওলামায়ে ইসলাম, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, জাতীয় ওলামা মশায়েখ আইম্মা পরিষদ, গাউছিয়া কমিটিসহ সব ইসলামি দল ও সংগঠনকে ধন্যবাদ জানান।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম ও জীবন
শুভ জন্মাষ্টমী আজ
সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের আরাধ্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি ও শুভ জন্মাষ্টমী আজ। দেশের হিন্দু সম্প্রদায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে জন্মাষ্টমী পালন করবেন।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন।
হিন্দু পুরাণ মতে, ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস পাশবিক শক্তি যখন ন্যায়নীতি, সত্য ও সুন্দরকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছিল, তখন সেই শক্তিকে দমন করে মানবজাতির কল্যাণ এবং ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটেছিল। তাদের আরও বিশ্বাস, দুষ্টের দমন করতে এভাবেই যুগে যুগে ভগবান মানুষের মাঝে নেমে আসেন এবং সত্য ও সুন্দরকে প্রতিষ্ঠা করেন।
এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও ইসকনসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সংগঠন ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে আজ সরকারি ছুটি। বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনসহ বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলে সম্প্রচারিত হবে বিশেষ অনুষ্ঠান।
শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে কেন্দ্রীয়ভাবে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ৮টায় দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় গীতাযজ্ঞ ও দুপুর ২টায় ঐতিহাসিক জন্মাষ্টমী মিছিল ও রাতে শ্রীকৃষ্ণ পূজা।
জন্মাষ্টমী মিছিল পূর্বক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। মিছিলের উদ্বোধন করবেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
এছাড়াও ৩০ আগস্ট দুপুর ২টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। সভাপতিত্ব করবেন মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব।
আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) এ উপলক্ষ্যে (২৫ থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত) তিন দিনব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্য রয়েছে শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ, ভজন কীর্তন, ভোগ আরতি, মহাপ্রসাদ বিতরণ, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ধর্মীয় নাটক কীর্তন মেলা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম ও জীবন
আন্দোলনে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অসাধারণ ভূমিকা ছিল: ধর্ম উপদেষ্টা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দেশের ছাত্রসমাজসহ আপামর জনসাধারণ অংশ নিয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও জুলাই বিপ্লবে অসাধারণ ভূমিকা রেখেছে, জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এমন মন্তব্য করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রামের ধনিয়ালাপাড়া বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সে জুলাই বিপ্লবে অংশগ্রহণকারী মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের গণমাধ্যমগুলোতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভূমিকা যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে, সেভাবে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ভূমিকা তুলে ধরা হয়নি।’ তিনি গণমাধ্যমগুলোকে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ভূমিকা যথাযথভাবে তুলে ধরার অনুরোধ জানান।
আহত শিক্ষার্থীদেরকে আশ্বস্ত করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন,
এ আন্দোলনে যারা আহত হয়েছে তাদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য সরকার কাজ করছে। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ও দানশীল ব্যক্তিরা আহতদের পাশে এসে দাড়িয়েছেন। আহতদের চিকিৎসা জন্য সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া, যে সব শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে মামলা দায়ের করা হয়েছে তাদেরকে অব্যাহতি দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হবে।
দুপুরে বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সে পৌঁছালে বায়তুশ শরফের রাহবার আল্লামা মুহাম্মদ আবদুল হাই নদভী ধর্ম উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান। সেখানে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা ধর্ম মন্ত্রণালয়কে স্বচ্ছ, জবাবদিহি ও দুর্নীতিমুক্ত করার প্রত্যয় ঘোষণা করেন। এছাড়া, হজব্রত পালনের খরচ যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসার সম্ভাব্য সব উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান ধর্ম উপদেষ্টা।
এমআই