জাতীয়
সেনাবাহিনীর ৫১ কর্মকর্তাকে অনারারী কমিশন প্রদান

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৬ জন অনারারী লেফটেন্যান্টকে অনারারী ক্যাপ্টেন পদে এবং ২৫ জন মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসারকে অনারারী লেফটেন্যান্ট পদে অনারারী কমিশন প্রদান করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৬ জন অনারারী লেফটেন্যান্ট থেকে অনারারী ক্যাপ্টেন পদে পদোন্নতি প্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন- অনারারী লেফটেন্যান্ট মো. উদ্দিন, আর্মার্ড; অনারারী লেফটেন্যান্ট মোহাম্মদ শাহীন মিয়া, আর্টিলারি; অনারারী লেফটেন্যান্ট মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, আর্টিলারি; অনারারী লেফটেন্যান্ট মো. সেলিম মিয়া, আর্টিলারি; অনারারী লেফটেন্যান্ট মো. শুকুর মাহমুদ, আর্টিলারি; অনারারী লেফটেন্যান্ট মুহাম্মদ আমিনুল হক, ইঞ্জিনিয়ার্স; অনারারী লেফটেন্যান্ট মো. মাহবুবুল আলম, এসইউপি, ইঞ্জিনিয়ার্স; অনারারী লেফটেন্যান্ট মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ভূইয়া, ইঞ্জিনিয়ার্স; অনারারী লেফটেন্যান্ট মোহাম্মদ শামসুল আবেদীন, সিগন্যালস্; অনারারী লেফটেন্যান্ট আবদুল হালিম মৈশান, সিগন্যালস্।
এছাড়া অনারারী লেফটেন্যান্ট মো. আবদুল কাদের, সিগন্যালস্; অনারারী লেফটেন্যান্ট মো. আব্দুল হাই, সিগন্যালস্; অনারারী লেফটেন্যান্ট মো. শাহজাহান আলী, সিগন্যালস্; অনারারী লেফটেন্যান্ট মো. হাবিবুর রহমান, ই বেংগল; অনারারী লেফটেন্যান্ট আহসান হাবীব, বীর; অনারারী লেফটেন্যান্ট মো. দেলওয়ার হোসেন, বীর; অনারারী লেফটেন্যান্ট মো. এনামুল হক, বীর; অনারারী লেফটেন্যান্ট মো. নজরুল ইসলাম, বীর ; অনারারী লেফটেন্যান্ট মো. রফিকুল ইসলাম, বীর; অনারারী লেফটেন্যান্ট মো. শাহ্জাহান, বীর ; অনারারী লেফটেন্যান্ট মো. কবিরুল কাজী, বীর; অনারারী লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কালাম আজাদ ভূঁইয়া, এএসসি; অনারারী লেফটেন্যান্ট মো. আব্দুল্লাহ, এএসসি; অনারারী লেফটেন্যান্ট মো. মনির উদ্দিন, অর্ডন্যান্স; অনারারী লেফটেন্যান্ট আবদুল আলীম হাওলাদার, সিএমপি এবং অনারারী লেফটেন্যান্ট মো. জাকির হোসেন, এএমসি।
সেনাবাহিনীর ২৫ জন মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার অনারারী লেফটেন্যান্ট পদে কমিশন প্রাপ্তরা হচ্ছেন- মাস্টার স্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (অপারেটর) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, আর্মার্ড; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (অপারেটর) মো. ছানোয়ার হোসেন, আর্মার্ড; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (টিএ) মো. হাবিকুল ইসলাম, আর্টিলারি; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (মেশিনিষ্ট) মো. হেলাল উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার্স; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (ইলেকট্রিশিয়ান) মো. জিয়াউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার্স; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (ওয়াইঅবএস) মো. আমিনুল ইসলাম, সিগন্যালস; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) মো. আছাদুল করিম, সিগন্যালস; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম খাঁন, ই বেংগল; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) মো. রুহুল আমিন, ই বেংগল; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) মো. আব্দুল হালিম, ই বেংগল; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) মো. মাসুদ করিম, ই বেংগল; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) মো. খোরসেদ আলম, ই বেংগল; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) মো. আফিয়ার রহমান, ই বেংগল।
এছাড়া মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) মোহাম্মদ নাজমুল খান, ই বেংগল; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) মো. নুরুল আজম, বীর; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) মো. জাইদুল ইসলাম, বীর; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, বীর; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) মো. বাবুল আক্তার, বীর; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার মো. মো. দেলোয়ার হোসেন, এএসসি; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (এসএমএস) মোহা. আব্দুর রউফ, এএসসি; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (এসএমএস) মো. আব্দুল লতিফ, এএসসি; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (এমটি) মো. আমিরুল ইসলাম, এএসসি; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (এসএমএস) আব্দুল মালেক, এএসসি; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন ভূঁইয়া, ইএমই; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (এ্যান্সিলারি) মো. মোতালেব হোসেন, ইএমই।
উল্লেখ্য, সেনাবাহিনীর এ অনারারী কমিশন ২৬ মার্চ থেকে কার্যকর হবে।
কাফি

জাতীয়
আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনে আজ বক্তব্য রাখবেন উপদেষ্টা সাখাওয়াত

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সদর দপ্তরে ১১৩তম আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষে যোগ দিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা শ্রমবাজার, কর্মসংস্থান ও শ্রমিকদের অধিকার সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে বক্তব্য রাখেন। মঙ্গলবার (২০ জুন) প্ল্যানারি সেশনে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে বক্তৃতা করবেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা। এতে বাংলাদেশের শ্রমখাতের অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরা হবে।
মঙ্গলবার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবদুল মালেক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলন হলো আইএলও-এর সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম, যেখানে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সরকার, শ্রমিক ও মালিক প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। এবারের সম্মেলনে শ্রমিকদের অধিকার, ন্যায্য মজুরি ও শোভন কর্মপরিবেশ নিয়ে আলোচনা চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল সম্মেলনে দেশের শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা, নিরাপদ কর্মক্ষেত্র নিশ্চিত করা এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করবে। সম্মেলনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, বিজিএমইএ প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ইম্প্লোয়ার্স ফেডারেশনের প্রতিনিধি, শ্রমিক ও মালিক প্রতিনিধি এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত রয়েছেন।
জাতীয়
মেট্রোরেলে যাত্রীদের মাস্ক পরার অনুরোধ

দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে মেট্রোরেলে ভ্রমণের ক্ষেত্রে যাত্রীদের মাস্ক পরার অনুরোধ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সোমবার (৯ জুন) ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. জাহিদুল ইসলামের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ‘করোনা সংক্রমণ এড়াতে মেট্রোরেলে ভ্রমণকারী সম্মানিত যাত্রীসাধারণকে মাস্ক পরিধান করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে।’
২০২২ সাল থেকে দেশে করোনা সংক্রমণ কমতে শুরু করে। পরের বছর থেকে করোনা রোগী শনাক্তের হার নেমে আসে প্রায় শূন্যের কোঠায়। ফলে মাস্ক পরার যে বিধি নিষেধ তাও সে সময় তুলে নেওয়া হয়েছিল। তবে সম্প্রতি দেশে আবারও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, একদিনে ৪৩ জনের পিসিআর ল্যাব টেস্টে ২ জনের দেহে করোনা ধরা পড়েছে। গত বৃহস্পতিবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজন মারাও গেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত এপ্রিলে দেশে ২৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু মে মাসে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৬ জনে। এমন অবস্থায় আবারও মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি করোনা সংক্রমণ এড়াতে আবারও সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে।
এরই মধ্যে, কোরবানি ঈদ শেষে ট্রেনের ফিরতি যাত্রায় যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে ও মাস্ক পরতে অনুরোধ জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
অবশ্য শুধু বাংলাদেশই নয়, সম্প্রতি ভারতেও অতি সংক্রমণশীল এ ভাইরাসের উপস্থিতি নতুন করে শঙ্কা তৈরি করেছে। গত ১ জুন পর্যন্ত দেশটিতে নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৭০০ জন। এরমধ্যে অন্তত ২ জনের মৃত্যুও হয়েছে।
জাতীয়
হাজিদের ফিরতি ফ্লাইট শুরু আজ

পবিত্র হজ পালন শেষে সৌদি থেকে দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন হাজিরা। আজ মঙ্গলবার (১০ জুন) শুরু হচ্ছে বাংলাদেশি হাজিদের ফিরতি হজ ফ্লাইট।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার আরাফাতের ময়দানে মোনাজাতের মাধ্যমে পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। পরদিন শুক্রবার ঈদুল আজহা উদযাপন ও পশু কোরবানি দেন হাজিরা।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে ৮৭ হাজার ১৫৭ জন হজ পালন করেছেন। এর মধ্য ১৯ জন হজ যাত্রী মৃত্যুবরণ করেন।
চলতি বছর পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরবে গিয়ে এখন পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছেন ১৮৮ বাংলাদেশি। এ ছাড়া ১৯ জন দেশটির সরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
ফিরতি হজ ফ্লাইট আজ শুরু হয়ে চলবে এক মাস। আগামী ১০ জুলাই শেষ হবে এবারের ফিরতি হজ ফ্লাইট।
জাতীয়
হোটেল লবিতেই একাধিক বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা

চার দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার (৯ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় সফরসঙ্গীদের নিয়ে এমিরেটস এয়ার লাইনসের একটি ফ্লাইটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি।
মঙ্গলবার (১০ জুন) বেলা সাড়ে ১২ টায় (লন্ডন সময় সকাল সাড়ে ৭টা) হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান ও তার সফরসঙ্গীদের।
বিমানবন্দরে তদেরকে স্বাগত জানাবেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম ও ব্রিটিশ রাজার প্রতিনিধিরা।
লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে নিযুক্ত প্রেস মিনিস্টার আকবর হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার হোটেল লবিতেই বেশ কয়েকটি বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা। পরবর্তীতে আরও কিছু যোগ হবে তার কর্মসূচিতে।
সূত্র জানায়, বিমানবন্দর থেকে সেন্ট্রাল লন্ডনের হোটেলে পৌঁছে প্রাতরাশ সেরেই বেশ কয়েকটি বৈঠকের সূচি রয়েছে ড. ইউনূসের। এর মধ্যে তার সঙ্গে হোটেলে দেখা করবেন বাংলাদেশ বিষয়ক অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) সদস্যরা। এ গ্রুপের চেয়ারপারসন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি আপসানা বেগম। এরপর একাধিক মিডিয়াকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় রাখা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবও মঙ্গলবার লন্ডনে প্রেস ব্রিফিং করতে পারেন।
জাতীয়
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারতে না যাওয়ার পরামর্শ

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সেসব দেশে ভ্রমণ না করার বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে। সংস্থাটির রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পক্ষ থেকে এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে, করোনার ঝুঁকি মোকাবিলায় দেশের সব স্থল, নৌ এবং বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য স্ক্রিনিং ও নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৯ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. হালিমুর রশিদের স্বাক্ষরে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়। করোনার ঝুঁকি মোকাবিলায় দেশের সব স্থল ও বিমানবন্দরে হেলথ স্ক্রিনিং ও নজরদারি বাড়াতেও বলা হয়েছে সেখানে।
নির্দেশনায় বলা হয়, পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের নতুন সাব ভেরিয়েন্ট, বিশেষ করে অমিক্রন এলএফ. ৭, এক্সএফজি, জেএন-১ এবং এনবি ১.৮.১ এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে এর সম্ভাব্য সংক্রমণ প্রতিরোধে ভারত ও অন্যান্য সংক্রামক দেশ এবং বাংলাদেশ থেকে ভারত এবং অন্যান্য সংক্রামক দেশে ভ্রমণকারী নাগরিকদের জন্য দেশের সব স্থল, নৌ, বিমানবন্দরের আইএইচআর ডেস্কে নজরদারি জোরদার করতে হবে। পাশাপাশি ঝুঁকি মোকাবিলায় কিছু কার্যক্রম নিতে হবে।
গত বৃহস্পতিবার দেশে করোনায় একজনের মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক না হলেও দেশে এ রোগের প্রকোপ বাড়ছে। আইসিডিডিআরবির গবেষকেরা করোনার নতুন একটি ধরন শনাক্তের কথা বলছেন। এর নাম এক্সএফজি। এর পাশাপাশি এক্সএফসি ধরনটিও পাওয়া গেছে। দুটোই করোনার শক্তিশালী ধরন অমিক্রনের জেএন-১ ভ্যারিয়েন্টের উপধরন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া সংক্রমণ প্রতিরোধে নির্দেশনা হলো—
- সাতবার প্রয়োজনমতো সাবান দিয়ে হাত ধোবেন (অন্তত ২৩ সেকেন্ড)।
- নাক-মুখ ঢাকায় জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন।
- আক্রান্ত ব্যক্তি হতে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরে থাকতে হবে
- অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করবেন না
- হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু, কাপড় দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখুন।
দেশে প্রবেশের পথের জন্য নির্দেশনা—
- দেশের বিভিন্ন স্থল, নৌ, বিমান বন্দরসমূহে আইএইচআর (IHR-2005) স্বাস্থ্য ডেস্কসমূহে সতর্ক থাকা, হেলথ স্ক্রিনিং এবং সার্ভেল্যান্স জোরদার করুন।
- দেশের পয়েন্টস অব এন্ট্রি সমূহে থার্মাল স্কান্যার, ডিজিটাল হেন্ড হেল্ড থার্মোমিটারের মাধ্যমে নন টাচ টেকনিকে তাপমাত্রা নির্ণয় করুন।
- চিকিৎসা কাজে স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ মাস্ক, গ্লাভস এবং রোগ প্রতিরোধী পোশাক মজুত রাখুন (পিপিই)।
- ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য রোগ প্রতিরোধ নির্দেশনা সমূহ প্রচার করুন।
- জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত ভারত ও অন্যান্য আক্রান্ত দেশসমূহে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকুন।
সন্দেহজনক রোগীদের ক্ষেত্রে করণীয়—
- অসুস্থ হলে ঘরে থাকুন, মারাত্মক অসুস্থ হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।
- রোগীর নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে বলুন।
- প্রয়োজন হলে আইইডিসিআরের হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করুন (০১৪০১-১৯৬২৯৩)।