জাতীয়
স্বাধীনতার লক্ষ্য অর্জনে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে: রাষ্ট্রপতি

স্বাধীনতার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে জনমুখী ও টেকসই উন্নয়ন, সুশাসন, সামাজিক ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’ উপলক্ষে সোমবার (২৫ মার্চ) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পরমতসহিষ্ণুতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসন সুসংহত করতে হবে। নতুন প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ, সুখী, সুন্দর ও উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা আমাদের পবিত্র কর্তব্য।
তিনি বলেন, আমি পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অতর্কিতে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ চালায়। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জন করি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, আমি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের, যাদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। আমি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সমর্থক, বিদেশি বন্ধু এবং সর্বস্তরের জনগণকে, যারা আমাদের অধিকার আদায় ও মুক্তিসংগ্রামে বিভিন্নভাবে অবদান রেখেছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সবসময় রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতেন। তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। দারিদ্র্যবিমোচন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস, লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ, গড় আয়ু বৃদ্ধিসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। দারিদ্র্যের হার কমার পাশাপাশি মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন বিশাল একটি জনগোষ্ঠীকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মাসেতু, কর্ণফুলী টানেল ও মেট্রোরেল দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক অবদান রাখছে। পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজও নিরবচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। টেকসই উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ-স্মার্ট দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী যুদ্ধবিগ্রহ ও ভূ-রাজনৈতিক সংকটের প্রভাবে গোটা বিশ্বের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োচিত ও সাহসী পদক্ষেপের ফলে সরকার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিতকল্পে আর্থসামাজিক ও বিনিয়োগধর্মী নানামুখী প্রকল্প, কর্মসূচি এবং কার্যক্রম গ্রহণের ফলে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রেরিত বিপুল পরিমাণ রেমিটেন্স অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এ সংকট মোকাবিলায় আমাদেরকেও সম্পদ ব্যবহারে হতে হবে মিতব্যয়ী এবং ভোগবিলাসে কৃচ্ছতা অনুসরণ করতে হবে। আমি আশা করি, বিগত বছরসমূহে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন কার্যক্রম এবং আর্থসামাজিক সূচকসমূহে সরকারের অভূতপূর্ব অর্জনের ওপর ভিত্তি করে আমরা এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারব।
সাহাবুদ্দিন বলেন, সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ বঙ্গবন্ধুর এ আদর্শ অনুসরণে আমাদের পররাষ্ট্র নীতি পরিচালিত হচ্ছে। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠাসহ আন্তর্জাতিক পরিমলেও আমাদের অর্জন প্রশংসনীয়। বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত ও নির্যাতিত ১০ লাখেরও অধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মানবতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাংলাদেশ এ সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বাসী। বাংলাদেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়। বাংলাদেশ যুদ্ধের বিভীষিকা দেখেছে, বাংলার মানুষ গণহত্যার শিকার হয়েছে। আমরা বিশ্বে আর কোনো যুদ্ধ চাই না। ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের যে সকল দেশে যুদ্ধ ও গণহত্যা চলছে আমরা তার নিন্দা জানাই।
এ সময় তিনি জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান ও ফিলিস্তিনসহ অন্যান্য দেশে যুদ্ধ বন্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্র ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে তার নীতি-আদর্শকে মুছে ফেলার পাশাপাশি দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাকে চিরতরে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বাঙালি বীরের জাতি। কোনো কিছুই বাঙালিকে দাবিয়ে রাখতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু হলেন মৃত্যুঞ্জয়। মৃত্যু তাকে নিঃশেষ করেনি বরং বাঙালির চিত্তাকাশে আরোউজ্জ্বল ও মহিমান্বিত করেছে। নতুন ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুধাবন করতে হবে, আজ তারা যে পথ দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তা তৈরি করে গেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ভবিষ্যতেও তার দেখানও পথই হবে উন্নয়ন ও অগ্রগতির সোপান।
তিনি বলেন, দেশের অগ্রযাত্রাকে বেগবান করতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে জাতি এগিয়ে যাক বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ গড়ার পথে-মহান স্বাধীনতা দিবসে এ আমার প্রত্যাশা।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি দেশে ও প্রবাসে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান। সূত্র : বাসস
কাফি

জাতীয়
অমর একুশে বইমেলা শুরু ১৭ ডিসেম্বর

২০২৬ সালের অমর একুশে বইমেলা শুরু হবে চলতি বছরের ডিসেম্বরের ১৭ তারিখ। মেলা চলবে ২০২৬ সালের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাংলা একাডেমির শহীদ মুনির চৌধুরী সভাকক্ষে অমর একুশে বইমেলা-২০২৬ এর তারিখ নির্ধারণ সংক্রান্ত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, একাডেমির সচিব, পরিচালকরা এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির প্রতিনিধিরা।
সভায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও পবিত্র রমজানের পরিপ্রেক্ষিতে অমর একুশে বইমেলা ২০২৬-এর তারিখ চলতি বছরের ১৭ ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।
জাতীয়
শুক্রবার ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

জরুরি মেরামত কাজের জন্য শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে ভোর পর্যন্ত বেশ কিছু এলাকায় টানা ৮ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, ডেমরা-সিদ্ধিরগঞ্জ-গোদনাইল ভালভ স্টেশনগামী ১০ ইঞ্চি, ১২ ইঞ্চি ও ১৪ ইঞ্চি প্রধান বিতরণ পাইপলাইনের কিছু অংশে জরুরি মেরামতের কাজ করা হবে।
এ অবস্থায় শুক্রবার রাত ১০টা থেকে পরদিন ভোর ৬টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ শহর, সিদ্ধিরগঞ্জ, মৌচাক, দেলপাড়া, পাগলা, ফতুল্লা, পঞ্চবটি, মুক্তারপুর ও মুন্সিগঞ্জ এলাকায় সব ধরনের গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এছাড়া এসব এলাকার আশপাশে গ্যাসের স্বল্প চাপ থাকতে পারে।
সাময়িক এই অসুবিধার জন্য কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
জাতীয়
২১ সেপ্টেম্বর বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ

আগামী রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) আংশিক সূর্যগ্রহণ হবে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এই তথ্য জানায় আইএসপিআর।
এর আগে, গত ৭ সেপ্টেম্বর দেখা গিয়েছিল এক অপূর্ব চন্দ্রগ্রহণ, যাকে অনেকেই ‘রক্তচন্দ্র’ বলছেন। আর এর ঠিক ১৫ দিন পরে, অর্থাৎ ২১ সেপ্টেম্বর ঘটতে চলেছে বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ।
আইএসপিআর জানায়, সূর্যগ্রহণ শুরু হবে ২১ সেপ্টেম্বর বিএসটি সময় ২৩টা ২৯ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে, সর্বোচ্চ গ্রহণের সময় ২২ সেপ্টেম্বর ১টা ৪১ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে এবং গ্রহণ শেষ হবে ২২ সেপ্টেম্বর ৩টা ৫৩ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে। সূর্যগ্রহণের ব্যপ্তিকাল থাকবে ৪ ঘণ্টা ২৪ মিনিট। তবে বাংলাদেশ থেকে সূর্যগ্রহণের এই বিরল দৃশ্য দেখা যাবে না।
নিউজিল্যান্ড, পূর্ব মেলানেশিয়া, দক্ষিণ পলিনেশিয়া ও পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকা অঞ্চলে সূর্যগ্রহণটি দৃশ্যমান হবে। গ্রহণটির কেদ্রীয় গতিপথের বিবরণ হলো ২১ সেপ্টেম্বর গ্রহণ শুরু যুক্তরাষ্ট্রের সামোয়া দ্বীপ থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে স্থানীয় সময় ৫টা ৫৩ মিনিট ১৭ সেকেন্ডে। সর্বোচ্চ গ্রহণ অ্যান্টার্কটিকার ডুমন্ট ডি’উরভিল আবহাওয়া কেন্দ্র থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে ১০টা ১৩ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডে।
গ্রহণ শেষ অ্যান্টার্কটিকার আলেকজান্ডার দ্বীপ থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে ১৭টা ৪৮ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডে। সূর্যগ্রহণের সর্বোচ্চ মাত্রা থাকবে ০ দশমিক ৮৫৫।
জাতীয়
৫০ লাখ প্রবাসীর ভোট নিতে চায় ইসি, ব্যয় ৪০০ কোটি টাকা

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এক কোটি ৩০ লাখের মতো বাংলাদেশি প্রবাসী রয়েছেন। পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে তাদের মধ্য থেকে অন্তত ৫০ লাখ প্রবাসীর ভোট দেওয়া প্রয়োগ নিশ্চিত করতে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিশন জানিয়েছে, প্রবাসীদের ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করতে ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় করবে সরকার। ভোটারপ্রতি ব্যয় হবে ৭০০ টাকা।
ইসি বলছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিরা ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। পোস্টাল ভোটিং পদ্ধতির মাধ্যমে প্রবাসীরা অনলাইনে নিবন্ধন করবেন। এরপর ডাকযোগে ব্যালট পাঠিয়ে দেবে ইসি। পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে অনলাইনে নিবন্ধন করতে প্রয়োজন হবে সচল এনআইডি।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, ‘এবার আমরা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করবো। আমাদের ১ কোটি ৩০ লাখ প্রবাসীর মধ্যে ৫০ লাখের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার টার্গেট নিয়েছি।’
কমিশন জানিয়েছে, দেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠানের অন্তত ২০ দিন আগে একজন প্রবাসী ভোট দেবেন। এক্ষেত্রে ভোটার বর্তমান যে ঠিকানায় নিবন্ধন করেছেন, সেই ঠিকানায় একটি খামে একটি ব্যালট পেপার ও দুটি খাম যাবে। আর ভেতরে থাকা একটি খামে আসন ও রিটার্নিং কর্মকর্তার ঠিকানা থাকবে। ভোটার কলম দিয়ে নির্ধারিত উপায়ে ব্যালট পেপারে তার ভোট দিয়ে তা আবার রিটার্নিং কর্মকর্তার ঠিকানা লেখা খামে ভরে ডাকযোগে পাঠিয়ে দেবেন। সেই ভোট জেলা প্রশাসনের ট্রেজারিতে জমা থাকবে। ভোটের দিন সেগুলো সংশ্লিষ্ট আসনে দেশের ভোটের সঙ্গে গণনা করা হবে।
ইসি জানায়, ৪০টি দেশে বাংলাদেশি প্রবাসীদের আধিক্য রয়েছে। এসব দেশকে মাথায় রেখে কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। দেশগুলো হলো- সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ওমান, কাতার, বাহরাইন, লেবানন, জর্ডান, লিবিয়া, সুদান, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, ইতালি, হংকং, মিশর, ব্রুনাই, মরিশাস, ইরাক, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, গ্রিস, স্পেন, জার্মানি, দক্ষিণ আফ্রিকা, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, ব্রাজিল, চীন, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নিউজিল্যান্ড, রাশিয়া, তুরস্ক ও সাইপ্রাস।
এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী রয়েছে সৌদি আরবে, ৪০ লাখ ৪৯ হাজার ৫৮৮ জন। আর সবচেয়ে কম রয়েছে নিউজিল্যান্ডে দুই হাজার ৫০০ জন।
ইসি ধারণা করছে, ৭০ শতাংশের মতো প্রবাসী ভোটারের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) আছে। যাদের মধ্যে ৫০ শতাংশ প্রবাসী ভোটারের সাড়া পাবে বলে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
জাতীয়
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন আরও ১৭৬ বাংলাদেশি

অবৈধভাবে লিবিয়া গিয়ে আটক, নির্যাতন ও অপহরণের শিকার ১৭৬ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ১০টার দিকে বুরাক এয়ারের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তারা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, ত্রিপলী, লিবিয়া, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় দেশে ফিরছেন এসব বাংলাদেশি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই ১৭৬ জনের মধ্যে ১৭২ জন ত্রিপোলীর তাজুরা ডিটেনশন সেন্টারে আটক ছিলেন। চারজন আইওএম’র আশ্রয় কেন্দ্রে ছিলেন।
প্রত্যবসিত বাংলাদেশিদের বেশিরভাগই সমুদ্রপথে অবৈধভাবে ইউরোপ গমনের উদ্দেশে মানবপাচারকারীদের প্ররোচণা ও সহযোগিতায় লিবিয়ায় অনুপ্রবেশ করেন বলে জানা গেছে। তাদের অধিকাংশই লিবিয়ায় বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
দেশে ফেরত আসার পর এই ভয়ংকর পথ পাড়ি দিয়ে আর যেন কেউ লিবিয়ায় না যায় এ বিষয়ে তাদেরকে সচেতন হওয়ার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সবাইকে আহ্বান জানান।
আইওএম’র পক্ষ থেকে লিবিয়া থেকে প্রত্যাবাসনকৃত প্রত্যেককে ছয় হাজার টাকা, কিছু খাদ্য সামগ্রী, মেডিক্যাল চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজন অনুযায়ী অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ত্রিপোলীর বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, লিবিয়ার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও আইওএম-এর সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।