অর্থনীতি
আট মাসে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ ২০৩ কোটি ডলার

চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) প্রথম আট মাসে সরকার সুদ ও আসলসহ বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করেছে ২০৩ কোটি ডলার। এর মধ্যে সুদ ৮০ দশমিক ৫৯ মার্কিন ডলার এবং আসল ১২২ দশমিক ৪০ কোটি ডলার। অথচ গত বছরের একই সময় অর্থাৎ প্রথম আট মাসে বাংলাদেশ বৈদেশিক ঋণ পরিশাধ করেছিল ১৪২ দশমিক ৪১ কোটি ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ৮ মাসে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়েছে ৬১ কোটি ডলার।
সোমবার (২৫ মার্চ) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) প্রকাশিত হালনাগাদ তথ্যে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ইআরডি জানিয়েছে, ঋণ পরিশোধের ব্যয় এতটা বাড়ার পেছনে সুদ পরিশোধই মূলত ভূমিকা রাখছে। আট মাসে সুদ পরিশোধ করা হয়েছে ৮০ কোটি ৬০ লাখ ডলার (৮০৬ মিলিয়ন ডলার)। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ৪০ কোটি ৩০ লাখ ডলার সুদ বাবদ পরিশোধ করা হয়, যার তুলনায় এটি দ্বিগুণ হয়েছে।
ইআরডি জানায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে উন্নয়ন সহযোগীদের ঋণ প্রতিশ্রুতি বেড়েছে। উন্নয়ন সহযোগীরা এসময়ে ৭২০ কোটি ডলারের ঋণ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৭৮ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছর বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার কাছ থেকে ৯৯২ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি আদায়ের লক্ষ্য রয়েছে বলেও জানানো হয়।
ইআরডির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে সবচেয়ে বেশি প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে এডিবির কাছ থেকে। এই সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া গেছে ২৬২ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি। এছাড়া জাপানের কাছ থেকে ২০২ কোটি ডলার, বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ১৪১ কোটি ডলারের ঋণ প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে।
ইআরডির তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে বৈদেশিক অর্থছাড় হয়েছে ৪৯৯ দশমিক ৭ কোটি ডলার। এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে অর্থছাড়ের পরিমাণ ছিল ৪৮৭ কোটি ডলার। এই সময়ে সবচেয়ে বেশি অর্থছাড় করেছে এডিবি। এই সংস্থা অর্থছাড় করেছে ১৩০ কোটি ডলার। জাপান ছাড় করেছে ১০৪ কোটি ডলার। এরপর বিশ্বব্যাংক ছাড় করেছে ৮৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। এছাড়া রাশিয়া ৮০ কোটি ৫০ লাখ ডলার এবং চীন ৩৬ কোটি ১৭ লাখ ডলার ছাড় করেছে।
গত অর্থবছরে (জুলাই-জুন) বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগীদের পরিশোধ করেছে ২৬৭ কোটি ডলার। এর মধ্যে সুদ হিসেবে পরিশোধ করেছে ৯৩ কোটি ৫৬ লাখ, আর আসল পরিশোধ করেছে ১৭৩ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরে পরিশোধ বেড়ে হবে ৩৫৬ কোটি ডলার। আগামী দুই অর্থবছরে তা আরও বেড়ে হবে যথাক্রমে ৪২১ কোটি এবং ৪৭২ কোটি ডলার।

অর্থনীতি
আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ৩৫.৩১ শতাংশ ঋণই এখন খেলাপি

ব্যাংক–বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দুরবস্থা কাটছে না। উপরন্তু দিন দিন খেলাপি ঋণ বাড়ছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, ২০২৫ সালের মার্চ শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিতরণ করা ঋণের ৩৫ দশমিক ৩১ শতাংশই খেলাপি হয়ে গেছে। টাকার অঙ্কে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা, যা তিন মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ২ হাজার ১০০ কোটি এবং বছরে বেড়েছে ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।
খাত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘদিনের অবলোপন, পুনঃতফসিল আর রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে খেলাপির প্রকৃত চিত্র আড়াল রাখা হয়েছিল। তবে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর নজরদারিতে চেপে রাখা খেলাপি ঋণ এখন প্রকাশ পাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মার্চ শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণের মোট স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৭৬ হাজার ৯৮৭ কোটি টাকায়। এর মধ্যে ২৭ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা ঋণ খেলাপি হয়েছে, যা মোট বিতরণকৃত ঋণের ৩৫ দশমিক ৩১ শতাংশ।
এর আগে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে এই খাতের ঋণ স্থিতি ছিল ৭৫ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা, যার মধ্যে খেলাপি ছিল ২৫ হাজার ৮৯ কোটি টাকা বা ৩৩ দশমিক ২৫ শতাংশ। অর্থাৎ তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় ২ হাজার ১০০ কোটি টাকা।
গত বছরের একই সময়ের তুলনায়ও ঋণ খেলাপি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ২০২৪ সালের মার্চে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণের স্থিতি ছিল ৭৪ হাজার ৩৮৯ কোটি টাকা, যার মধ্যে খেলাপি ছিল ২৩ হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।
পিপলস লিজিং, বিআইএফসি, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, ফারইস্ট ফাইন্যান্সসহ একাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খেলাপির হার সর্বাধিক। ফলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক তারল্য ও ভাবমূর্তি সংকটে পড়েছে।
এদিকে মার্চ পর্যন্ত দেশের ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণও বেড়ে ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকায় পৌঁছেছে, যা বিতরণকৃত ঋণের প্রায় ২৪ শতাংশ।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আসল পরিস্থিতি সামলাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের এখন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।
অর্থনীতি
অফশোর ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা জামানত রেখে টাকায় মিলবে ঋণ

বাংলাদেশ ব্যাংক দেশীয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য নতুন ঋণ সুবিধার অনুমোদন দিয়েছে। এখন থেকে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে (ওবিইউ) রাখা বৈদেশিক মুদ্রা তহবিল জামানত হিসেবে ব্যবহার করে টাকায় ঋণ নেওয়া যাবে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) এক প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, অনিবাসী হিসাবধারীদের ওবিইউতে গচ্ছিত বৈদেশিক মুদ্রা জামানত হিসেবে ব্যবহার করে দেশে ব্যাংকের ডমেস্টিক ইউনিট থেকে ঋণ নেওয়ার সুযোগ থাকবে। একইভাবে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও ওবিইউতে তাদের রাখা বৈদেশিক মুদ্রা জামানত হিসেবে রেখে দেশে টাকায় ঋণ নিতে পারবেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঋণগ্রহীতা ও হিসাবধারীর মধ্যে যৌক্তিক সম্পর্ক থাকতে হবে। যেমন প্রবাসী বাংলাদেশি ও তাদের স্থানীয় সুবিধাভোগী, বিদেশি শেয়ারহোল্ডার, বিদেশি বিনিয়োগকারী বা বিদেশি মালিকানাধীন কোম্পানি- এ ধরনের সম্পর্ককে বৈধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
তবে এই জামানতের বিপরীতে কেবল স্বল্পমেয়াদী চলতি মূলধন ঋণ দেওয়া যাবে এবং জামানতের জন্য কোনো চার্জ বা ফি নেওয়া হবে না। প্রয়োজনে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের ঝুঁকি সামাল দিতে ব্যাংক জামানতের কিছু অংশ মার্জিন হিসেবে রাখতে পারবে।
ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে জামানত নগদায়ন করে ঋণ সমন্বয়ের সুযোগ থাকবে বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ রয়েছে।
এছাড়া প্রাইভেট ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট এবং নন-রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্সও একইভাবে জামানত হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ থাকবে। তবে ওবিইউতে পরিচালিত আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং হিসাবের অর্থ জামানত হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।
বিদেশি মালিকানাধীন কোম্পানি ও বিনিয়োগকারীরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাদের মতে, দেশে স্থানীয়ভাবে জামানত প্রদানের প্রক্রিয়া জটিল হওয়ায় নতুন এই নিয়মের ফলে বৈদেশিক মুদ্রা জমা রেখে সহজেই টাকায় ঋণ নেওয়া যাবে। এতে বিদেশি বিনিয়োগ আরও বাড়বে বলে তারা আশাবাদ প্রকাশ করেছেন।
অর্থনীতি
পাঁচদিন বন্ধ থাকবে এনসিসি ব্যাংকের কার্যক্রম

বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স (এনসিসি) ব্যাংকের কার্যক্রম পাঁচদিন বন্ধ থাকবে। ব্যাংকটি আগামী মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত থেকে রোববার (১৩ জুলাই) সকাল পর্যন্ত সব ধরনের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন মতে, বিদ্যমান কোর ব্যাংকিং সিস্টেম (সিবিএস) আপগ্রেডেশন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশে ৮ জুলাই রাত ৮টা হতে ১৩ জুলাই সকাল ৮টা পর্যন্ত সব ব্যাংকিং (শাখা, উপশাখা, ডেবিট কার্ড, এটিএম, বিএসিপিএস, বিএফটিএন, আরটিজিএস, এনপিএসবি, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, সুইফট ইত্যাদি) কার্যক্রম সাময়িকভাবে বিরত থাকবে।
ব্যাংকের আবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংক এ সাময়িক বন্ধের অনুমোদন দিয়েছে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে এ সম্মতি দেওয়া হয়েছে।
অর্থনীতি
বাংলাদেশকে ৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা অনুদান দিচ্ছে সুইডেন

পরিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন এলাকার তদারকি বৃদ্ধি এবং বন্যপ্রাণী ট্রাস্ট তহবিল গঠনের মাধ্যমে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে অনুদান দিয়েছে সুইডেন। বাংলাদেশ সরকার এবং সুইডেন সরকারের মধ্যে ‘স্ট্রেনদেনিং ক্যাপাসিটি ফর ন্যাচারাল রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইম্প্রুভড ক্লাইমেট রেজিলেন্স’ শীর্ষক প্রকল্পের অনুদান চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
বৃহস্পতিবার (০৩ জুলাই) শেরে বাংলানগর অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সম্মেলন কক্ষে এ চুক্তি সই হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডি সচিব (রুটিন দায়িত্বে) ড. এ কে এম শাহাবুদ্দিন এবং সুইডেন সরকারের পক্ষে দেশটির হেড অব ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন ও চার্জ দ্যা অ্যাফিয়ার্স মারিয়া স্ট্রিডসম্যান চুক্তিটি সই করেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সুইডেন দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুদান চুক্তিটির মাধ্যমে সুইডেন সরকার বাংলাদেশ সরকারকে আনুমানিক ৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা অনুদান সহায়তা দেবে। প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হলো জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে পরিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন এলাকার তদারকি বৃদ্ধি এবং বন্যপ্রাণী ট্রাস্ট তহবিল গঠনের মাধ্যমে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ। প্রকল্পের মেয়াদ জুলাই ২০২৫ থেকে ডিসেম্বর ২০২৬ পর্যন্ত।
অর্থনীতি
বিদায়ী অর্থবছরে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ৮.৫৮ শতাংশ

২০২৪-২৫ অর্থবছরে (জুলাই-জুন) ৪৮ বিলিয়ন ডলার বা ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছেন দেশের উদ্যোক্তরা। রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে ৪৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল।
বুধবার (২ জুলাই) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে কৃষিজাত পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৫২ শতাংশ, পোশাক খাতে ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ, প্ল্যাস্টিক পণ্যে ১৬ দশমিক ২১ শতাংশ, হোম টেক্সটাইলে ২ দশমিক ৪২ শতাংশ প্রবদ্ধি হয়েছে। অন্যদিকে পাটজাত পণ্যে ৪ দশমিক ১০ শতাংশ, কাচজাত পণ্যে ৩৮ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
কারখানাগুলোতে ঈদুল আজহার দীর্ঘ ছুটি এবং মাসের শেষে এনবিআরের শাটডাউনে দুইদিন বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকার কারণে জুন মাসে রপ্তানি আয় সাড়ে ৭ শতাংশের বেশি কমেছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুন মাসে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি আয় হয়েছে ৩ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এই আয় ছিল ৩ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার।
মে মাসে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছিল ৪ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এই আয় ছিল ৪ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার। এপ্রিল মাসে রপ্তানি আয় ছিল ৩ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলার।