ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
আকিজ গ্রুপে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
আকিজ গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠান আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরি লিমিটেড নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পদে একাধিক লোকবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। ২৫ মার্চ থেকেই আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। আবেদন করা যাবে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, উৎসব ভাতা, চিকিৎসা সেবাসহ প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী আরো বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
প্রতিষ্ঠানের নাম: আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরি লিমিটেড।
পদের নাম: হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা
বিভাগ: ফ্যাক্টরি
পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়
শিক্ষাগত যোগ্যতা: হিসাববিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি
অন্যান্য যোগ্যতা: যে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কাজের দক্ষতা থাকতে হবে
অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ২ বছর
চাকরির ধরন: ফুলটাইম
কর্মক্ষেত্র: অফিসে
প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ (উভয়)
বয়সসীমা: উল্লেখ নেই
কর্মস্থল: দেশের যেকোনো জায়গায়
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে
অন্যান্য সুবিধা: প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, উৎসব ভাতা, চিকিৎসা সেবা
আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
আবেদনের শেষ সময়: ৩১ মার্চ ২০২৪
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা-গবেষণা নিশ্চিত করা হবে: ভিসি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেছেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য- আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা ও গবেষণা নিশ্চিত করা হবে। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকে সহজ করতে অ্যালামনাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
ভিসি বলেন, মক্কা সম্মেলনে ঘোষণার মধ্য দিয়ে আধুনিক ও ইসলামী শিক্ষার সমন্বয়ে শিক্ষার নতুন ধারা সৃষ্টির অন্যতম একটি উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় আঞ্চলিক শিক্ষা বিস্তারে প্রতিষ্ঠিত হলেও সৃষ্টিগতভাবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক চরিত্র ধারণ করে আছে।
নানা চড়াই-উৎরায় পেরিয়ে বিভিন্ন শাসন পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান পর্যায়ে এসেছে। বিভিন্ন সময়ে শাসকগোষ্ঠী এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল উদ্দেশ্য বুঝতে পারেনি। আজকে বাংলাদেশে কাজ করার সুযোগ এসেছে, পরিবর্তনের সুযোগকে কাজে লাগানোর। তাই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন এবং অগ্রসর করার জন্য আমি কাজ করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
তিনি গতকাল শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ইবি ভিসি আরও বলেন, দেশের সনামধন্য নাগরিক তৈরীতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অন্যন্য। বাংলাদেশের গন্ডি পেরিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা সারাবিশ্বে ছড়িয়ে আছে। আজকের এই অনুষ্ঠান শুধু একটি সাধারণ সভা নয়, এটি আনন্দ মেলা, মিলন মেলা। আপনারাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল মূল্যবোধ। তাই এ বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও এগিয়ে নিতে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি অ্যালামনাইদের অনেক দায়িত্ব আছে।
‘ইউনাইটেড ইন ব্রাদারহুড’ শ্লোগানে আয়োজিত সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব ও বক্তব্য রাখেন অ্যালামনাইয়ের আহবায়ক মুহাম্মদ নাজমুল হক সাঈদী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব মুহাম্মদ আবদুল হাই।
ড. মো. জিল্লুর রহমান ও ড. আব্দুল মান্নানের পরিচালনায় এতে অ্যালাইমনাইদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন-ডিআইজি ড. মো. আশরাফুর রহমান, আব্দুল হাই মো. সাইফুল্লাহ, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হান্নান (রাবি), অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আওয়াল, অধ্যাপক ড. শহীদ মো. রেজওয়ান, অধ্যাপক ড. মো. আবু সিনা, মাওলানা তারেক মনোয়ার, অধ্যঅপক ড. মো. ইকবাল হোসাইন, অ্যাডভোকেট আব্দুল আওয়াল, অধ্যাপক ড. মো. নাছির উদ্দিন মিঝি প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে নাজমুল হক সাঈদী বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় একটি আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার কথা থাকলেও নানা বাধা ও ষড়যন্ত্রের কারণে হয়নি। বিশেষ করে গত সাড়ে ১৫ বছরে ইবিকে প্রায় ধ্বংস করা হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আসল রূপ পরিবর্তন করে দেয়া হয়েছে। সব বাধা পেরিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদালয় এবার নতুন রূপে এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
বিকালে দ্বিতীয় অধিবেশনে অ্যালামনাইয়ের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা এবং গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হয়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের আহবায়ক হিসেবে নাজমুল হক সাঈদী এবং সদস্য সচিব হিসেবে মুহাম্মদ আবদুল হাই নির্বাচিত হন। তারা একটি সার্চ কমিটির মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়।
পরে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। এতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক হাজার নিবন্ধিত অ্যালামনাই ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ভাইভা শুরু রবিবার
আগামী রোববার (২৭ অক্টোবর) থেকে শুরু হচ্ছে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ভাইভা। ১০টি বোর্ডে প্রতিদিন ৬০০ প্রার্থীর ভাইভা নেবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মোট ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন প্রার্থীর ভাইভা নেয়া হবে। এ পরীক্ষায় অংশ নিতে প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র সঙ্গে আনতে হবে। এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে এনটিআরসিএ।
জানা গেছে, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের এসএমএস পাঠিয়ে ভাইভার তারিথ সময় ও স্থান জানিয়ে দেয়া হবে। ওই তারিখ অনুযায়ী ভাইভা দিতে আসতে হবে প্রার্থীদের।
এনটিআরসিএ বলছে, মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সমর্থনে সব সনদ (সার্টিফিকেট), নম্বরপত্র (ট্রান্সস্ক্রিপ্ট বা মার্কশিট), জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ এবং লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্র সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে। এ কাগজপত্রগুলোর মূলকপি ও একসেট ফটোকপি সঙ্গে নিয়ে এনটিআরসিএ কার্যালয়ে আসতে হবে প্রার্থীদের।
এসএমএস অনুযায়ী প্রার্থীদের যথাসময়ে ভাইভার জন্য উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে এনটিআরসিএ।
প্রসঙ্গত, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করা ১৮ লাখ ৬৫ হাজার প্রার্থীর মধ্যে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ৪ লাখ ৭৯ হাজার প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। তাদের মধ্য থেকে ৩ লাখ ৪৮ হাজার প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। উত্তীর্ণ হয়েছেন ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন। ২ লাখ ৬৪ হাজারের বেশি প্রার্থী লিখিত পরীক্ষা গণ্ডি পাড় হতে পারেননি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সলিমুল্লাহ মেডিকেলে ১৮ বছর পর সিরাত সেমিনারের আয়োজন
রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে কলেজ মিলনায়তনে ১৮ বছর পর সীরাত সেমিনার ও নাশিদ সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা: মোঃ মাজহারুল শাহিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাইতুল ওয়াদুদ জামে মসজিদের খতিব শাইখ সাদিকুর রহমান আল আজহারী ও মসজিদুল জুম্মা কমপ্লেক্স পল্লবীর খতিব আব্দুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
এছাড়া নাশিদ সন্ধ্যায় সংগীত পরিবেশন করেন জনপ্রিয় শিল্পী ওবায়দুল্লাহ তারেক ও মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলামসহ ক্যাম্পাসের অন্যান্য শিল্পরা।
সেমিনারে কলেজের পক্ষ থেকে আলোচকদের ক্রেস্ট তুলে দেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাক্তার মোঃ মাজহারুল শাহিন।
সেমিনারে দুই শতাধিক সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন। ১৮ বছর পর এই প্রথম সীরাত সেমিনার অনুষ্ঠিত হওয়ায় কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের খবরে ঢাবিতে আনন্দ মিছিল
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্দেশে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের ঘোষণায় আনন্দ মিছিল করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে খবরটি প্রকাশিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। পরে তারা আনন্দ মিছিল নিয়ে ভিসি চত্বর থেকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে জড়ো হন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। এই মুহূর্তে খবর এলো, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হলো; মুহূর্তে খবর এলো, সন্ত্রাসী লীগ নিষিদ্ধ হলো; হৈ হৈ রৈ রৈ, সন্ত্রাস লীগ গেলি কই; এই মুহূর্তে খবর এলো, ক্যাম্পাস সন্ত্রাসমুক্ত হলো- ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি আজ সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলন থেকে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল। তার আগেই সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল সরকার। বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করে গত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হত্যা, নির্যাতন, গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল এবং এ সম্পর্কিত প্রামাণ্য তথ্য দেশের সব প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হয়েছে। গত ১৫ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ জনগণকে উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ করে শতশত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিকে হত্যা করেছে এবং আরও অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করেছে।
সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে যে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কাজে জড়িত আছে।
এই অবস্থায় সরকার ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯’ এর ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল এবং ওই আইনের তফসিল-২ এ ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ নামীয় ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসেবে তালিকাভুক্ত করল বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবি শিক্ষক হাফিজকে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. হাফিজুল ইসলামকে তদন্ত শেষে সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত একাডেমিক ও পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসানের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্যটি জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে সংঘটিত শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের লিখিত ও মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্ত কাজ চলমান রয়েছে। তদন্ত কার্যক্রম শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত বিভাগের একাডেমিক ও পরীক্ষা সংক্রান্তসহ বিভাগীয় সকল প্রকার কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য আদিষ্ট হয়ে আপনাকে অনুরোধ করা হলো।
প্রসঙ্গত, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে হেনস্থা, ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে মারার ও ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি, ব্যক্তিগত রুমে নিয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের শারীরিকভাবে নির্যাতন, দাড়ি থাকলে শিবির ট্যাগ দিয়ে হেনস্তা, ইচ্ছাকৃতভাবে ফলাফল খারাপ করে দেওয়াসহ গুরুতর অভিযোগ উঠে এসেছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটে অভিযুক্ত শিক্ষক হাফিজের কুশপুত্তলিকা টাঙিয়ে জুতা নিক্ষেপ এবং আগুনে পুড়িয়ে দেয় বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
এর পূর্বে, গত ৭ অক্টোবর ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী হেনস্তা, আপত্তিকর মন্তব্য, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনসহ ২৭ দফা অভিযোগ তুলে অপসারণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক আটকে ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পরে তারা উপাচার্যের কাছে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করলে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন ইবি উপাচার্য।
এমআই