জাতীয়
দেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি ১৫ লাখ

জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর ভিত্তিতে ১ জানুয়ারি ২০২৪ সালে প্রাক্কলিত জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ১৫ লাখ ৯০ হাজার। যেখানে নারী ৮ কোটি ৭৩ লাখ ৯০ হাজার এবং পুরুষ ৮ কোটি ৪২ লাখ।
রবিবার (২৪ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর অডিটোরিয়ামে ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২৩’- ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপত্বিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন ও পরিসংখ্যান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু।
সংস্থাটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে সর্বশেষ চূড়ান্ত জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। সে হিসাবে দেশে নতুন করে জনসংখ্যা বেড়েছে ১৭ লাখ ৬১ হাজার ৮৯ জন।

জাতীয়
১৪ দিনের সফরে কানাডা যাচ্ছেন সিইসি

প্রবাসীদের ভোটার কার্যক্রম দেখতে ১৪ দিনের সফরে কানাডা যাচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে তিনি কানাডার উদ্দেশে দেশ ত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন সিইসির একান্ত সচিব মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপসচিব মো. শাহ আলমের সই করা এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ থেকে জানা গেছে, সিইসি ফিরবেন আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর। তার সঙ্গে যাবেন লালমনিরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. লুৎফুল কবির। সিইসি সেখানে ভোটার কার্যক্রম উদ্বোধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রম দেখবেন।
কানাডায় অবস্থানকালে সিইসি ৫ থেকে ১২ সেপ্টেম্বর ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম ও জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রম দেখবেন টরোন্টে ও অটোয়ায়। এরপর তিনি ব্যক্তিগত কাজে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভেনকুভারে অবস্থান করবেন।
বর্তমানে দশটি দেশের ১৭টি স্টেশনে দূতাবাসের মাধ্যমে ভোটার কার্যক্রম পরিচালনা করছে সংস্থাটি। দেশগুলো হলো- সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য, ইতালি, কুয়েত, কাতার, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও কানাডা। এসব দেশ থেকে ৫০ হাজারের মতো আবেদন এসেছে।
জাতীয়
দেশে মোট মামলার ৮০ শতাংশই ভূমি সংক্রান্ত: সিনিয়র সচিব

ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশে জমি নিয়ে সবচেয়ে বেশি ঝামেলা হয় অজ্ঞতা আর অসচেতনতার কারণে। দেশে মোট মামলার ৮০ শতাংশই ভূমি সংক্রান্ত।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন আইন সম্পর্কে ধারণা প্রদান এবং রিট মামলার জবাব প্রেরণ প্রক্রিয়া বিষয়ক লার্নিং সেশনে’ তিনি এ কথা বলেন।
সিনিয়র সচিব বলেন, ভূমির সঙ্গে মামলার একটি সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। কারণ ভূমির মালিকানা, দখল, হস্তান্তর বা অন্য কোনো বিরোধ দেখা দিলে তা আদালতে মামলা হিসেবে দায়ের করা হয়। যা দেওয়ানি বা ফৌজদারি প্রকৃতির হতে পারে। এই মামলাগুলোর মাধ্যমে জমির আইনি অধিকার প্রতিষ্ঠা, অবৈধ দখল থেকে মুক্তি বা জমির সঠিক মালিকানা নির্ধারণ করা হয়।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন কর্মরত সবাইকে ভূমি আইন জানা জরুরি। কারণ এটি সম্পত্তির অধিকার সুরক্ষিত করে, জালিয়াতি ও দখল প্রতিরোধে সাহায্য করা, ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করা এবং সরকারি ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের মতো সুযোগ-সুবিধা পেতে সহায়তা করা এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। এসব ক্ষেত্রে সেবা দেওয়ার দায়িত্ব ভূমি মন্ত্রণালয়ের। এছাড়া ভূমি আইনের জ্ঞান ভূমির মালিকদের অবৈধভাবে জমি থেকে উচ্ছেদ হওয়া থেকে রক্ষা করে এবং সম্পত্তির সঠিক আইনি প্রক্রিয়াগুলো বুঝতে সাহায্য করে।
সিনিয়র সচিব বলেন, জমির মূল্যবৃদ্ধি, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে অপরিকল্পিত নগরায়ন, আবাসন, বাড়ি-ঘর তৈরি, উন্নয়নমূলক কার্য শিল্প কারখানা স্থাপন, রাস্তাঘাট নির্মাণ এবং প্রাকৃতিক কারণে, উন্নয়নের প্রয়োজনে প্রতিনিয়তই ভূমির প্রকৃতি ও শ্রেণিগত ব্যবহারের পরিবর্তন হচ্ছে। দেশের বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষি জমি, বনভূমি, টিলা,পাহাড় ও জলাশয় বিনষ্ট হয়ে খাদ্য শস্য উৎপাদনের জন্য কৃষিজমির পরিমাণ ক্রমান্বয়ে কমছে এবং পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এর জন্য ভূমির সঠিক ব্যবহার, ভূমি সংক্রান্ত অপরাধ, অবৈধ দখল, জালিয়াতি রোধ, অবৈধ্যভাবে জমির শ্রেণি পরিবর্তন এবং বৈধ মালিকানা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আইনগুলো প্রণীত হয়েছে।
জাতীয়
চুলা জ্বালাতেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ, একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ

নারায়ণগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনে শিশুসহ একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সোনারগাঁও থানার কাঁচপুর বিসিক এলাকার একটি ৩ তলা বাড়ির নিচ তলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন মানব চৌধুরী (৪০), তার স্ত্রী বাচা চৌধুরী (৩৮), তিন মেয়ে মুন্নি (১৪), চুন্নি (১২) ও মৌরি (৬)।
দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান প্রতিবেশী সবিনয় দাস। তিনি বলেন, বাড়িটির নিচ তলায় ওই পরিবারটি বসবাস করতো। ভোরে রান্নার জন্য চুলা জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে একটি বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। পরে তাদের চিৎকার শুনে আশপাশের সবাই গিয়ে বাসার আগুন নেভায়। এরপর তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বার্ন ইন্সটিটিউটের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পাঁচজনকে বর্তমানে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জাতীয়
তিন সংশোধনী, দলগুলোর কাছে যাচ্ছে চূড়ান্ত জুলাই সনদ

চূড়ান্ত জুলাই সনদ বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হতে পারে। এতে এমন তিনটি ‘বিতর্কিত’ প্রতিশ্রুতিতে সংশোধন আনা হয়েছে, যেগুলো নিয়ে কয়েকটি দল, বিশেষত বিএনপি আপত্তি তুলেছিল। তবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জানিয়েছে, সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এতে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে না।
গত ১৬ আগস্ট কমিশন জুলাই গণ-আন্দোলনের চেতনা অগ্রাধিকার দিয়ে জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ আট দফা প্রতিশ্রুতির প্রস্তাব দেয় তার মধ্যে থেকে তিনটি বিষয়ে আপত্তি ওঠে। যেগুলো হলো– সনদ ও সংবিধান বা বিদ্যমান আইনের মধ্যে দ্বন্দ্ব হলে সনদের প্রাধান্য দেওয়া, সনদের ধারা বা সুপারিশের ব্যাখ্যার ক্ষমতা কেবল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের হাতে থাকা এবং সনদের বৈধতা আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না।
কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর আপত্তির কারণে এসব প্রতিশ্রুতিতে সংশোধন আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, আইন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে এমন প্রস্তাব রাখা হচ্ছে যা আইনি দিক থেকে গ্রহণযোগ্য এবং রাজনৈতিকভাবে টেকসই হবে। চূড়ান্ত সনদটি দুই খণ্ডে সাজানো হবে। প্রথম খণ্ডে থাকবে তাৎক্ষণিকভাবে প্রশাসনিক আদেশ বা অধ্যাদেশের মাধ্যমে কার্যকরযোগ্য বিষয়গুলো আর দ্বিতীয় খণ্ডে থাকবে দীর্ঘমেয়াদি বাস্তবায়ন প্রয়োজনীয় সংস্কার। তবে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সনদের সঙ্গে যুক্ত হবে না।
অধ্যাপক রীয়াজ জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও আইন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ পাওয়ার পর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সংক্রান্ত সুপারিশ সরকারকে আলাদাভাবে জমা দেওয়া হবে।
কমিশনের মেয়াদ ১৫ সেপ্টেম্বরের পর আর বাড়ানো হবে না বলেও নিশ্চিত করেন আলী রিয়াজ।
কমিশনের সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের পর আজ বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সনদ চূড়ান্তকরণ নিয়ে অধ্যাপক রীয়াজ আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সঙ্গে বৈঠক করে। দলগুলো যে বাস্তবায়ন প্রস্তাব দিয়েছে তা উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়েছে। কয়েকটি দল বাস্তবায়নের জন্য গণসমাবেশ, গণভোট, সাংবিধানিক সংস্কার অধিবেশন কিংবা রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির মতো প্রক্রিয়া প্রস্তাব করেছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় কমিশন আবার বসবে এবং সনদ চূড়ান্ত করার পর তা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হবে। এরপর একটি জনসভা করে রাজনৈতিক দলগুলো সনদে স্বাক্ষর করবে।
অধ্যাপক রীয়াজ জানান, একটি জনসভায় করে রাজনৈতিক দলগুলোর সনদে স্বাক্ষর করবে।
উল্লেখ্য, জুলাই সনদ চূড়ান্ত করতে কমিশন ইতোমধ্যে ২৮টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছে। এর মধ্যে ২৬টি দলের মতামত পাওয়া গেছে।
গত বছর আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করে। পরবর্তী সময়ে সেগুলোর প্রধানদের নিয়ে গঠিত হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এই কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে করে সমঝোতার ভিত্তিতে জুলাই সনদ প্রণয়ন করতে যাচ্ছে, যা ভবিষ্যৎ শাসন কাঠামোর নীলনকশা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
চলতি বছরের মার্চে কমিশন প্রথম দফায় ৩২টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে ১৬৬টি প্রস্তাব নিয়ে বৈঠক করে, যেখানে ৬২টি বিষয়ে ঐকমত্য হয়। দ্বিতীয় দফায় আরও ২০টি বিষয়ে সমঝোতা হয়। তবে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি ও কয়েকটি দল ৯টি বিষয়ে ভিন্নমত দেয়।
৮৪টি প্রস্তাবে সম্মতির ভিত্তিতে প্রস্তুত করা প্রাথমিক খসড়া জুলাই ২৮ তারিখে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়। সেই খসড়ায় আট দফা প্রতিশ্রুতি চাওয়া হয়েছিল।
কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এবার রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে চূড়ান্ত সনদ পাঠানো হবে। এরপর আর কোনো মতামত নেওয়া হবে না।
জাতীয়
একীভূত হলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা ও সুরক্ষা সেবা বিভাগকে একত্রিত করা হয়েছে। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রকাশিত গেজেটে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এতে সই করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদ।
গেজেটে বলা হয়েছে, এস. আর. ও. নম্বর ৩৫৮-আইন/২০২৫। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৫(৬) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি ‘রুলস অব বিজনেস, ১৯৯৬’-এর নিম্নরূপ অধিকতর সংশোধন করলেন, যথা– উপর্যুক্ত রুলসের(ক) শিডিউল-১ (অ্যালোকেশন অব বিজনেস এমাং দ্য ডিফরেন্ট মিনিস্ট্রিস অ্যান্ড ডিভিশন)-এর সিরিয়াল নাম্বার “২৩. মিনিস্ট্রি অব হােম অ্যাফেয়ার্স” শিরোনাম এবং উপশিরোনাম “এ. পাবলিক সিকিউরিটি ডিভিশন” ও তৎসংশ্লিষ্ট এন্ট্রিসমূহ এবং উপশিরোনাম “বি. সিকিউরিটি অব সার্ভিসেস ডিভিশন” ও তৎসংশ্লিষ্ট এন্ট্রিসমূহের পরিবর্তে নিম্নরূপ শিরোনাম ও এন্ট্রিসমূহ প্রতিস্থাপিত হবে। যথা- মিনিস্ট্রি অব হােম অ্যাফেয়ার্স।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, রুলস অব বিজনেস, ১৯৯৬- এ সংশোধন এনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যপরিধি নতুনভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৫৫(৬) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ সংশোধন অনুমোদন দিয়েছেন।
নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখন থেকে দেশের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কার্যক্রম, পুলিশ ও সশস্ত্র পুলিশ, রেলওয়ে ও বন্দর পুলিশ, সীমান্ত রক্ষী বাহিনী, আনসার-ভিডিপি এবং অন্যান্য আধাসামরিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে দায়িত্বশীল থাকবে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় (যেমন ইন্টারপোল)-সংক্রান্ত বিষয়গুলোও এ মন্ত্রণালয়ের অধীনে আসবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিদেশি নাগরিকদের ডোমিসাইল, নাগরিকত্ব, ন্যাচারালাইজেশন, বাংলাদেশে প্রবেশ ও প্রস্থানের নীতি নির্ধারণ, পাসপোর্ট-ভিসা প্রদান, প্রত্যর্পণ (এক্সটার্ডিশন) এবং নিষ্ক্রমণ (এক্সটার্নমেন্ট) প্রক্রিয়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতায় থাকবে। একই সঙ্গে প্রিভেন্টিভ ডিটেনশন বা প্রতিরোধমূলক আটক, কারাগার ও সংশোধনাগার ব্যবস্থাপনাও এ মন্ত্রণালয় দেখভাল করবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে– দেশে নেশাজাতীয় দ্রব্যের প্রবেশ প্রতিরোধ, চোরাচালানবিরোধী কার্যক্রম, সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ অগ্নিনির্বাপক ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এছাড়া বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং কোস্ট গার্ড পরিচালনা ও প্রশাসনিক দায়িত্বও তাদের হাতে থাকবে।
বিশেষ আইন, পুরস্কার ও ভিআইপি সুরক্ষা: নতুন কাঠামোয় বিশেষভাবে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে– ভিআইপি ও ভিভিআইপি নিরাপত্তা, বীরত্ব পদক ও গ্যালান্ট্রি অ্যাওয়ার্ড প্রদান, অস্ত্র আইন, বিস্ফোরক আইন, ফিল্ড ফায়ারিং ও আর্টিলারি প্র্যাকটিস আইন বাস্তবায়ন। এছাড়া পুলিশের পুরস্কার প্রদান, পুলিশ কমিশনের কার্যক্রম, ফরেনসিক ল্যাবরেটরি ও বিষবিজ্ঞান বিষয়ক দায়িত্বও মন্ত্রণালয় পালন করবে।
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন আইন অনুযায়ী আইনসিদ্ধ যোগাযোগ নজরদারি ও মনিটরিং কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তত্ত্বাবধান করবে। আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ, বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে নিরাপত্তা-সংক্রান্ত চুক্তি ও সমঝোতাপত্র, জাতীয় উৎসব, রাজনৈতিক পেনশন এবং বেসামরিক ইউনিফর্ম নীতিমালাও এর আওতায় অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীলরা বলছেন, এই সংশোধন দেশের আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও সমন্বিতভাবে পরিচালনার সুযোগ তৈরি করবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এখন ‘এক ছাতার নিচে’ গোটা নিরাপত্তা ব্যবস্থার নেতৃত্ব দিতে হবে।