অন্যান্য
মেঘনায় ট্রলারডুবিতে নিহত ১, পুলিশ কনস্টেবলসহ নিখোঁজ ৬
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে ট্রলার ডুবে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৬ জন।
শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা নদীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার চর সোনারাম পুর এলাকার নদী সীমানায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানান, শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে ভ্রমণকারী একটি তরি (যাকে ট্রলার বলা হয়) ১৫-২০ জন নারী পুরুষ নিয়ে ভ্রমণের জন্য মেঘনা নদীতে ঘুরতে যায়। কিছুক্ষণ পর বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পাথরবাহী ভোল্ডার ট্রলার ভ্রমণের নৌকাটিকে ধাক্কা দিলে ট্রলারটি উল্টে গিয়ে নদীতে ডুবে যায়। এসময় রুবা নামে এক ছাত্রী ও পুলিশ কনস্টেবলের ভাগ্নেসহ কয়েকজন সাঁতরিয়ে পাড়ে উঠলেও বাকিরা পানিতে ডুবে গিয়ে নিখোঁজ রয়েছে।
ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজু মিয়া জানান, ঘটনায় তার থানার কনস্টেবল সোহেলসহ ছয়জন নিখোঁজ রয়েছে। ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশ নদীতে ট্রলারটি উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করছে। তবে অন্ধকার থাকায় কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
এ ঘটনায় নিহত ও নিখোঁজদের নাম–ঠিকানা জানার চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।
কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবুজর গিফারী বলেন, আমাদের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও রাত হওয়াতে উদ্ধার অভিযান চালানো যাচ্ছে না। আগামীকাল সকাল থেকে উদ্ধার অভিযান চালানো হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের ঋণের ৩৩ শতাংশই খেলাপি
দেশের ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর খেলাপি ঋণও লাফিয়ে বাড়ছে। চলতি বছরের তিন মাসে (এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত) আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর খেলাপি ঋণ ৮২২ কোটি টাকা বেড়েছে। গত জুন শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। যা বিতরণ করা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রায় দেড় ডজন প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ উচ্চমাত্রায় রয়েছে। পাশাপাশি তারল্য সংকটে ভুগছে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান। ব্যাংকগুলোর সঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানগুলোকে তীব্র প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে। নানা অনিয়মের কারণে ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ায় আমানত পেতে সমস্যা হচ্ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের। বাংলাদেশ ব্যাংকের তদারকির অভাবেও এ খাতের খেলাপি ঋণ বাড়ছে বলে জানান তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুন প্রান্তিক শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের স্থিতি ছিল ৭৪ হাজার ৫৩৪ কোটি টাকার। এসব ঋণের মধ্যে ২৪ হাজার ৭১১ কোটি টাকা খেলাপি বা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ১৫ শতাংশ খেলাপি। গত মার্চ প্রান্তিক শেষে ঋণ স্থিতি ছিল ৭৪ হাজার ৩৮৯ কোটি টাকা। সে সময়ে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২৩ হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা বা মোট ঋণের ৩২ শতাংশ। সে হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৮২২ কোটি টাকা বা ৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
গত বছরের সবশেষ প্রান্তিক ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ২১ হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা বা মোট ঋণের ২৯ দশমিক ২৭ শতাংশ খেলাপি। সে হিসাবে ছয় মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩ হাজার ১৪৪ কোটি টাকা বা ১৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
আলোচিত জুন প্রান্তিক শেষে আদায় অযোগ্য (মন্দ ঋণ) ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৩৩ কোটি টাকা বা মোট বিতরণকৃত ঋণের ২৮ দশমিক ২২ শতাংশ। মার্চে ছিল ২০ হাজার কোটি টাকা বা মোট বিতরণকৃত ঋণের ২৬ দশমিক ৯১ শতাংশ।
বলা হচ্ছে, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দুরবস্থার পেছনে অনেকাংশেই দায়ী বহুল আলোচিত ব্যক্তি প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার। তিনি বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যে অনিয়ম করেছেন, পুরো খাত এখন তার জের টানছে।
পি কে হালদার সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পিপলস লিজিংয়ের খেলাপি ঋণের হার ৯৯ শতাংশ বা ১ হাজার ৯৬ কোটি টাকা, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফসি) খেলাপির হার ৯৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ বা ৭৪৩ কোটি টাকা, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের খেলাপি ঋণ ৯৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ বা ৩ হাজার ৯১২ কোটি টাকা। আর পি কে হালদার সংশ্লিষ্ট এফএএস ফাইন্যান্সের খেলাপি ঋণ ৮৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ বা ১ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা ও আভিভা ফাইন্যান্সের খেলাপি ঋণ ৭১ দশমিক ৭২ শতাংশ বা ১ হাজার ৯০২ কোটি টাকা।
এর বাইরে ফারইস্ট ফাইন্যান্সের খেলাপি ঋণ এখন ৯৪ দশমিক ৪১ শতাংশ, জিএসপি ফাইন্যান্সের ৯২ দশমিক ৩৭ শতাংশ, ফার্স্ট ফাইন্যান্সের ৮৯ দশমিক ৪১ শতাংশ, প্রিমিয়ার লিজিংয়ের ৬৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ, সিভিসি ফাইন্যান্সের ৫৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ, মেরিডিয়ান ফাইন্যান্সের ৫৯ দশমিক ১৭ শতাংশ, আইআইডিএফসির ৫৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ, হজ ফাইন্যান্সের ৫৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ, ফিনিক্স ফাইন্যান্সের ৫৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ, ন্যাশনাল ফাইন্যান্সের ৫৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ, বে লিজিংয়ের ৫২ দশমিক ৮২ শতাংশ ও উত্তরা ফাইন্যান্সের ৫০ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এরপরই খেলাপি ঋণে শীর্ষে আছে ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, মাইডাস ফাইন্যান্স, ইসলামিক ফাইন্যান্স, প্রাইম ফাইন্যান্স, ইডকল এবং লংকাবাংলা ফাইন্যান্স।
আলোচিত এপ্রিল-জুন প্রান্তিক শেষে ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আমানত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার ১১৬ কোটি টাকা। আগের প্রান্তিকে যা ছিল ৪৪ হাজার ৩০৪ কোটি টাকা। তবে আলোচিত তিন মাসেই আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছেড়েছেন সাড়ে ৪৮ হাজারের বেশি ব্যক্তি আমানতকারী।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
৫৭ বছর পর বিয়ের ভিডিও হাতে পেলেন দম্পতি
বিয়ে হয়েছিল ১৯৬৭ সালে। আর এই ২০২৪ সালে এসে তাদের বিয়ের সেই ভিডিও হাতে পেলেন দম্পতি। সেটাও পেলেন কাকতালীয়ভাবে। সেই দম্পতির নাম আইলিন ও বিল টার্নবুল।
১৯৬৭ সালে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। তারপর যৌবন পাড়ি দিয়ে এখন বার্ধক্যে পৌঁছে গেছেন তারা। যখন তাদের বিয়ে হয়েছিল তারা তখন থাকতেন স্কটল্যান্ডে। সেখানেই তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় একটি ভিডিও করা হয়েছিল। যেখানে তাদের বিয়ের নানা মুহূর্ত ধরা পড়েছিল।
সাধারণত বিয়ের ভিডিও বিয়ের পর এডিট হতে মাত্র কয়েকদিন লাগে। নবদম্পতিসহ পরিবার বন্ধু সবাই মিলে সে ভিডিও দেখার রেওয়াজ নতুন নয়। এ এক মন ভালো করা অভিজ্ঞতা।
ওই দম্পতিও সে সুযোগ পেয়েছিলেন। সেই সময় প্রজেক্টর ভাড়া করে বিয়ের ভিডিও দেখতে হতো। তারাও সেটাই করেছিলেন। যেটা ভুল হয়েছিল সেটা একবার দেখার পর ভিডিওটি নিজেদের কাছে রেখে দেওয়ার বদলে ভুল করে প্রজেক্টরের সঙ্গে তা প্রোজেক্টর যার কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া হয়েছিল তার কাছে থেকে যায়। আর দম্পতিও বিয়ের পর চলে আসেন অস্ট্রেলিয়ায়। কারণ তারা অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা। স্কটল্যান্ডের নন।
সে ভিডিও হাতে না পাওয়ার দুঃখ একটা সময় পর্যন্ত ছিল। তারপর তা আর পাওয়ার কোনো উপায় নেই বুঝে আস্তে আস্তে সময়ের সঙ্গে সেকথা ভুলেও যান তারা।
অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনের বাসিন্দা সেই কনে এখন ৭৭-এর বৃদ্ধা। তিনি একটি ফেসবুক গ্রুপে তাদের বিয়ের ছবি দেখে চমকে যান। বিষয়টি তার স্বামীকেও জানান।
তার স্বামী বিষয়টি দেখার পর তারা যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন সামাজিকমাধ্যমে। এদিকে যিনি সেই ভিডিও তুলেছিলেন, তিনি এখন বৃদ্ধ। থাকেন স্কটল্যান্ডে।
তিনি তার যত ভিডিও তুলেছিলেন সব কটিকে ডিভিডি করতে শুরু করেছিলেন। তখনই তার সংগ্রহে থাকা এই বিয়ের ভিডিওটি তিনি দেখতে পান।
কার ভিডিও তা জানতে সেটি সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন। সেই ছবি অস্ট্রেলিয়ায় বসে দেখতে পান দম্পতি। যোগাযোগের পর এই ভিডিওটির একটি ডিজিটাল ভার্সন তৈরি করে ওই দম্পতির কাছে পাঠিয়ে দেন বৃদ্ধ ফটোগ্রাফার।
বিয়ের ৫৭ বছর পর অবশেষে নিজেদের বিয়ের ছবি হাতে পেলেন ওই অস্ট্রেলীয় দম্পতি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকা: সিপিডি
দেশে সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
রবিবার (৬ অক্টোবর) ধানমণ্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরসহ দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সাম্প্রতিক বন্যায় যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা জিডিপির দশমিক ২৬ শতাংশ।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, সবচেয়ে বেশি ৫ হাজার ১৬৯ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কৃষি ও বন খাতে। এ ছাড়া অবকাঠামো খাতে ৪ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা এবং ঘরবাড়িতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ২ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, জেলা হিসাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে নোয়াখালীতে। সেখানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৪ হাজার ১৯১ কোটি টাকা। এরপর কুমিল্লায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৩ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, নোয়াখালীতে ১৬ লাখ ৪৩ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে ক্ষতির পরিমাণ ৪ হাজার ১৯২ কোটি টাকা হলেও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। অথচ সিলেটে সাড়ে ৯ হাজার মানুষ বন্যা আক্রান্ত হয়েছে। সেখানে ক্ষতির পরিমাণ ২০ কোটি ৫০ লাখ টাকা হলেও ত্রাণ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
এ ছাড়া ফেনীতে সর্বোচ্চ ১৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা, কুমিল্লায় ১৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা, হবিগঞ্জে ১৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা, মৌলভীবাজারে ১৩ কোটি টাকা এবং চট্টগ্রামে ১১ কোটি ৮০ লাখ টাকার ত্রাণ গেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক সম্মেলন
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চল এবং হেড অফিস নিয়ন্ত্রিত শাখাসমূহের ব্যবস্থাপক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ঢাকায় ব্যাংকের ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলী।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান।
এসময় মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, সকল স্তরের কর্মীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, বর্তমানে ব্যাংকের খেলাপী বিনিয়োগ আদায় কার্যক্রমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার ফলে ইতোমধ্যে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা দীর্ঘ দিনের অনাদায়ী বিনিয়োগ আদায় হয়েছে।
তিনি বলেন, ব্যাংকের সকল কার্যক্রমে শরীয়াহ পরিপালন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, সম্পদমান উন্নয়ন, নতুন হিসাব খোলা, বিনিয়োগ বিকেন্দ্রিকরণ, কৃষি, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতসহ সরকারের অগ্রাধিকার খাতসমূহে বিনিয়োগ সম্প্রসারণের ব্যাপারে সকল শাখাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মাকাসিদে শরীয়াহর আলোকে যে অঞ্চলের আমানত সে অঞ্চলে বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সার্বিক জীবনমান উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে ব্যবস্থাপকদের
পরামর্শ দেন।
ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু রেজা মো. ইয়াহিয়া, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও মো. আকমল হোসেন, ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল মো. হাবিবুর রহমান, ঢাকা দক্ষিণের আঞ্চলিক প্রধান মো. আব্দুর রশিদ, ঢাকা উত্তরের আঞ্চলিক প্রধান খোন্দকার শামীম আহমেদসহ ৩৪জন শাখা ব্যবস্থাপক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
হাসপাতালে ভর্তি গবেষক ফরহাদ মজহার
অসুস্থ বোধ করায় বিশিষ্ট লেখক, দার্শনিক, গবেষক ও বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহারকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করানো হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন বিকল্পের নীতিনির্ধারণী গবেষণার (উবিনিগ) পরিচালক সীমা দাস সিমু জানান, ফরহাদ মজহার বর্তমানে ওই হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ডা. শফিকুর রহমানের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন।
তিনি আরও বলেন, ফরহাদ মজহার চার-পাঁচদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। আজ (শুক্রবার) সকালে বেশি অসুস্থ বোধ করায় দুপুরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সীমা দাস সিমু আরও বলেন, চিকিৎসরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন ফরহাদ মজহার নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত।
এমআই