অর্থনীতি
দেশে প্রথমবার বিদেশি ঋণ ছাড়ালো ১০০ বিলিয়ন ডলার

বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। যা দেশের ইতিহাসে প্রথম। ২০২৩ সাল শেষে সামগ্রিক বিদেশি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০০ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। এক বছর আগে যা ছিল ৯৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। সবমিলিয়ে বছরের ব্যবধানে বিদেশি ঋণের স্থিতি বেড়েছে ৪ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে) এ ঋণের পরিমাণ ১১ লাখ ৭ হাজার ৪০ কোটি টাকা। এসব ঋণের ৭৯ শতাংশই নিয়েছে সরকার এবং বাকি ২১ শতাংশ ঋণ নিয়েছে বেসরকারি খাত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশি ঋণের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ১৫ বছর আগে ২০০৮ সাল শেষে ঋণের পরিমাণ ছিল ২২ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। অর্থাৎ গত ১৫ বছরে দেশের বিদেশি ঋণ বেড়েছে ৭৭ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৩৪২ শতাংশ।
এতে দেখা যায়, ২০২৩ সালের শেষ তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) দেশের বিদেশি ঋণ ৪ দশমিক শূন্য ৯ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে। এ সময়ে সরকারের বিদেশি ঋণ বেড়েছে ৪ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার। সরকারের বাড়লেও বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণ ৩৩ কোটি ডলার কমেছে।
গত ডিসেম্বর শেষে সরকার ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ৭৯ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার। আর বেসরকারি খাতের বিদেশি ঋণের পরিমাণ ২০ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে এসেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছর শেষে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ৪১ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে তা দাঁড়ায় ৯৮ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলারে। এর মানে গত ৮ বছরে দেশের বিদেশি ঋণ বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি।
প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৮ সালের পর বিদেশি ঋণ সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছর শেষে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ৬৮ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৮১ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলারে। ২০২১-২২ অর্থবছরে এ ঋণের পরিমাণ ৯৫ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ৯৮ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। আর গত বছর শেষে এ ঋণের পরিমাণ ছাড়িয়েছে ১০০ বিলিয়ন ডলার।
বিদেশি এসব ঋণ এসেছে সরকারি বিভিন্ন মেগা প্রকল্প নির্মাণের জন্য। এর মধ্যে সর্বোচ্চ এসেছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণে রাশিয়া দিয়েছে ১১ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ। পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ২ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেয়া হয়েছে চীন থেকে। আর রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দিয়েছে ভারত। এছাড়া মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ অন্যান্য প্রকল্প ঘিরে জাপান থেকে ৪৩ হাজার ৯২১ কোটি টাকা ঋণসহায়তা নেয়া হচ্ছে।
সরকারের পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও বিদেশি বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ নিচ্ছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিদেশি ঋণের পরিমাণ এখন ১১ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার।
জনশুমারি ও গৃহগণনা শুমারির সর্বশেষ উপাত্ত অনুসারে, দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ। সেই হিসাবে গত ডিসেম্বরের পরে মাথাপিছু বিদেশি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৫৯২ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৬৯ হাজার টাকা। তবে গত জুনের হিসাবে তা ছিল ৫৭৪ ডলার। ৮ বছর আগে যা ছিল ২৫৭ ডলারের কিছু বেশি।
এসএম

অর্থনীতি
স্বল্পমূল্যে স্মার্টফোন সরবারহ করতে চায় সরকার

কাগজের টাকা ছাপা ও বণ্টনে প্রতি বছর রাষ্ট্রের বিপুল অর্থ ব্যয়। এই ব্যয় কমিয়ে আনতে চাচ্ছে সরকার। এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক কিউআর কোডভিত্তিক লেনদেন জনপ্রিয় করতে নীতিগত সহায়তা ও প্রযুক্তি অবকাঠামো তৈরির কাজ করছে। আর এই ব্যবস্থা মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছে দিতে স্মার্টফোনের দাম কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
রবিবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ৩৬৫ দিন’ শীর্ষক সংলাপে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এ কথা বলেন।
সংলাপের আয়োজন করে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সিপিডির সম্মানীয় ফেলো প্রফেসর মুস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
ডিজিটাল আর্থিক অন্তর্ভুক্তির জন্য স্মার্টফোনের গুরুত্ব তুলে ধরে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘বর্তমানে আর্থিক লেনদেন, বিল পরিশোধ বা ইন্টারনেটভিত্তিক যে কোনো সেবা নিতে স্মার্টফোনের ব্যবহার অপরিহার্য। সরকার স্মার্টফোনের দাম কমাতে কাজ করছে। ৬ থেকে ৭ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মানের স্মার্টফোন বাজারে আনতে পারলে শতভাগ মানুষকে স্মার্টফোনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।’
গভর্নর আরও বলেন, এ লক্ষ্য অর্জনে ইন্টারনেটের দাম আরও কমাতে হবে এবং সেবার মান বাড়াতে হবে।
অর্থনীতি
নিলামে আরও ৮৩ মিলিয়ন ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক

১১টি ব্যাংক থেকে ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যার বিনিময় হার ছিল ১২১ টাকা ৪৭ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ টাকা। বহুমূল্য নিলাম পদ্ধতির অধীনে এ ডলার কেনা হয়। এই নিলামে ডলারের কাট-অফ রেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, রোববার ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ১১ ব্যাংকের কাছ থেকে কিনে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে ১২১ টাকা ৪৭ পয়সা দরে কেনা হয় ১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাকি ৭১ মিলিয়ন ডলার কেনা হয় ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বাজার থেকে ডলার কেনা, এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। গভর্নর অনেকবার বলেছেন, প্রয়োজন হলে মার্কেট থেকে ডলার কেনা হবে। চাহিদা অনুযায়ী ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি কিনবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাজার নিয়ন্ত্রণে এটা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কৌশলগত পদক্ষেপ। এই নিলামে ডলারের কাট-অফ রেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা।
এর আগে গত ২৩ জুলাই ১২১ টাকা ৯৫ পয়সা দরে ১০ মিলিয়ন ডলার, এবং ১৩ ও ১৫ জুলাই অনুষ্ঠিত নিলামে ১২১.৫০ টাকা রেটে যথাক্রমে ১৭৩ ও ৩১৩ মিলিয়ন ডলার কেনা হয়েছিল। সব মিলিয়ে চলমান নিলাম প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক মোট ৫৭৯ মিলিয়ন ডলার কিনেছে।
অর্থনীতি
যুক্তরাষ্ট্রকে ৭৫ ভাগ বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে: উপদেষ্টা

৭৫ ভাগ বাণিজ্য ঘাটতি এক বছরে কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি যুক্তরাষ্ট্রকে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
রবিবার (১০ আগস্ট) রাতে ২০ শতাংশ মার্কিন শুল্কারোপকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন-বিটিএমএ আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, শুল্কের দর কষাকষি এখনও চলমান। প্রয়োজন হলে দুই-এক সপাহের মধ্যে আবারও যুক্তরাষ্ট্রে যাব।
এসময় শুল্ক ইস্যুতে বাংলাদেশ কোনো ভূরাজনৈতিক ফাঁদে পা দেবে না বলে জানান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান।
তিনি বলেন, মার্কিন শুল্ক নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই। আরোপিত মার্কিন শুল্ক আরও কমাতে কাজ করছে সরকার।
অর্থনীতি
ট্রাফিক সার্জেন্টকে গালিগালাজ করা সহকারী কর কমিশনার বরখাস্ত

রাজধানীর পলাশী মোড়ে ট্রাফিক সার্জেন্টের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগে সহকারী কর কমিশনার ফাতেমা বেগমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রবিবার (১০ আগস্ট) এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সই করা প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গত ১২ এপ্রিল রাত আনুমানিক ৮টার দিকে ঢাকা মেট্রো-গ-৩৪৫৯০৬ নম্বর একটি প্রাইভেটকারে করে যাওয়ার সময় ফাতেমা বেগম পলাশী মোড় এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের চেকিংয়ের মুখে পড়েন। এ সময় সিয়েরা ট্যাঙ্গো-৩৫ ডিউটিতে থাকা ট্রাফিক সার্জেন্ট শাহা জামাল তার গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চান।
তবে, সহকারী কর কমিশনার ফাতেমা বেগম কাগজপত্র সঠিক আছে দাবি করলেও তা দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পুনরায় অনুরোধ করা হলে, তিনি গাড়ি থেকে নেমে সার্জেন্টকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। অভিযোগে বলা হয়, তিনি সার্জেন্টকে ‘ছোট লোকের বাচ্চা’, ‘ফকিন্নির বাচ্চা’, ‘সারাজীবন ঘুষ খাইছে’ ইত্যাদি ভাষায় গালমন্দ করেন।
ঘটনার পরদিন ১৩ এপ্রিল লালবাগ থানায় ফাতেমা বেগমের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৮৬/৩৫৩/৩৩২/১৭৯/১১৪ ধারায় একটি মামলা (নম্বর: ০৩) দায়ের করা হয়।
এছাড়া, ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’-এর বিধি ৩(খ) অনুযায়ী তার এ আচরণ ‘অসদাচরণ’ হিসেবে গণ্য হওয়ায় বিভাগীয় কার্যধারা শুরু করা হয়েছে।
পরিস্থিতি বিবেচনায় ওই বিধিমালার ১২ ধারা অনুসারে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকালীন তিনি বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন।
জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হয়েছে বলে জানানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে।
অর্থনীতি
রিজার্ভ বেড়ে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলার

দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৩০২৪৮ দশমিক ১১ মিলিয়ন ডলার বা ৩০ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
রবিবার (১০ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩০২৪৮ দশমিক ১১ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৩০ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২৫২৩২ দশমিক ৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার।
এর আগে গত ৪ আগস্ট পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩০ বিলিয়ন ডলার এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী ২৪.৯৮ বিলিয়ন ডলার। তার আগে গত ২৪ জুলাই পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩০০০৪ দশমিক ৫০ মিলিয়ন ডলার এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৪৯৮৮ দশমিক ২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
নিট রিজার্ভ গণনা করা হয় আইএমএফের বিপিএম-৬ পরিমাপ অনুসারে। দেশের মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়।