টেলিকম ও প্রযুক্তি
ডাকঘরকে তরুণ-তরণীদের কর্মসংস্থানের হাবে রূপান্তরের কাজ চলছে: পলক
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বহুমাত্রিক সেবা বৃদ্ধি এবং পিপিপির আওতায় স্মার্ট সার্ভিস সেবার মাধ্যমে ডাকঘরকে তরুণ তরণীদের জন্য ব্যাপক কর্মসংস্থানের হাবে রূপান্তর করার কাজ চলছে। এরই মধ্যে খুলনার কয়রায় স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট চালু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই মাসে আরও ৪টি এবং আগামী মাসে আরও ৫০০টি ডাকঘরকে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে রূপান্তর করা হবে। এছাড়া পর্যায়ক্রমে দেশের সাড়ে ৮ হাজার ডাকঘরকেও স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে রূপান্তর করা হবে।
শুক্রবার (২২ মার্চ) বরিশালে ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত জিপিও ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্মার্ট প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পলক বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট ডাকঘর অপরিহার্য। ডাকঘরের বিস্তীর্ণ নেটওয়ার্ক, বিশাল অবকাঠামো ও জনবল ব্যবহার করে প্রত্যন্ত এলাকাসহ দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় স্মার্ট ডাক সেবা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। আজকের ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগে মানুষের যোগাযোগের ব্যবস্থাও ডাক অধিদপ্তর করতে পারে। কারণ এই প্রতিষ্ঠানকে দেশের প্রতি প্রান্তের প্রতিটি মানুষ চেনে। জি-টু-জি ডাক সেবা এবং ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিয়ে স্মার্ট সক্ষমতা তৈরির জন্য মানসিকতা ও বিদ্যমান ধ্যান ধারণার পরিবর্তন, স্মার্ট প্রযুক্তি গ্রহণ এবং স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহারের সক্ষমতা তৈরি করতে হবে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের শক্তিশালী ভিত্তির ওপর প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রা শুরু হয়েছে। জ্ঞানভিত্তিক একটি স্মার্ট সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠায় ডাক অধিদপ্তর ভূমিকা পালন করবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ডিজিটালাইজেশনের প্রভাবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে চিঠি আদান-প্রদানের যুগ শেষ হয়ে গেলেও পণ্য পরিবহনে ডাকঘর হবে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সেবা প্রতিষ্ঠান। ডাকঘরকে মেইল ডেলিভারি সেবা থেকে সার্ভিস ডেলিভারি সেবায় রূপান্তর করতে পারলে প্রতিষ্ঠানটি দেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখতে সক্ষম হবে। বরিশালে রাত্রিকালীন ডাকঘরের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে।
অনুষ্ঠানে বরিশালের জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন। উপস্থিত ছিলেন ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তরুণ কান্তি সিকদার, দক্ষিণাঞ্চল খুলনার পোস্ট মাস্টার জেনারেল শামসুল আলম।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
১০০ দিনের কর্মপরিকল্পনা দিলো তথ্য মন্ত্রণালয়
আগামী ১০০ দিনের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দফতর, সংস্থা।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এ পরিকল্পনা ঘোষণা দেন।
১০০ দিনের কর্মপরিকল্পনায় যা যা থাকছে
- বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ বেতারকে দক্ষ ও জনবান্ধব করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে;
- জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত ছাত্র জনতা এবং তাদের পরিবারবর্গকে নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণপূর্বক বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচার করা হবে;
- স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশন গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে;
- গণমাধ্যম কর্মী (চাকরির শর্তাবলী) আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে;
- সম্প্রচার আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে;
- প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ সংক্রান্ত নির্দেশিকার প্রয়োজনীয় সংশোধনঅন্তে প্রণয়ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে;
- বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য দপ্তর/সংস্থার সাংগঠনিক কাঠামোর আইনি সংস্কারে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে;
- গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য আইন, বিধি ও নীতিমালার প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হবে;
- সাংবাদিকদের বেতন কাঠামোর যৌক্তিক সংস্কারে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে;
- চলচ্চিত্র নির্মাণে তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে;
- ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক এর ডিজিটালাইজেশনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে;
- অনলাইন নিউজ পোর্টালের লাইসেন্স প্রদান নীতিমালা যুগোপযোগী করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে;
- বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনের ৪টি শূন্য পদ পূরণ করা হবে;
- চলমান প্রকল্পগুলো যথাযথভাবে সম্পাদনে কিংবা প্রয়োজনীয় সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে;
- বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) এর আয়বর্ধক কর্মসূচির জন্য বিজনেস সল্যুশন প্রোগ্রামের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন আইন, ১৯৫৭-কে যুগোপযোগী করা হবে।
- বাংলাদেশ বেতার থেকে বৈষম্যহীন বাংলাদেশের পথে শীর্ষক, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ ছাত্র-জনতাকে নিয়ে এপিসোড প্রচার করা হবে।
- বাংলাদেশ বেতারের অনিয়মিত শিল্পীদের অংশগ্রহণ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
- বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ/আহত ছাত্র-জনতার পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাৎকার, আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, সংগঠিত হওয়া এবং সমন্বয়কদের মাধ্যমে সুশৃঙ্খলভাবে লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার বিবরণের উপর ভিত্তি করে অনুষ্ঠান বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচার করা হবে।
- ঢাকাসহ সারাদেশে দেওয়াল লিখন, স্লোগান এবং গ্রাফিতি তুলে ধরে তথ্য বিবরণীমূলক অনুষ্ঠান বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচার করা হবে।
- ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ ও আহত ছাত্রদের পরিবারকে নিয়ে ২০০টি ফিচার প্রকাশসহ বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যুগোপযোগী করা হবে। তারুণ্য নির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে জনসচেতনতা তৈরিসহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তৃণমূল পর্যায়ে প্রচারের ব্যবস্থা করা হবে।
- পতিত সরকারের ২০০৯-২০২৪ সাল পর্যন্ত সকল দুর্নীতি, অনাচার, দমন-পীড়ন, মানবতাবিরোধী অপরাধ, সাম্প্রতিক হত্যাযজ্ঞ ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে ডকুমেন্টারি তৈরির জন্য প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ এবং চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর যৌথভাবে কাজ করবে।
- ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সকল শহীদের উপর পরিচিতি ভিত্তিক ডকুমেন্টারি নির্মাণ এবং দেওয়ালে অংকিত গ্রাফিতির উপর চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর কর্তৃক অ্যালবাম তৈরি করা হবে।
- বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং রাষ্ট্র সংস্কার ভিত্তিক ফিচার প্রকাশ করা হবে।
- বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠনে গণমাধ্যমসহ অন্যান্য অংশীজনের ভূমিকা ভিত্তিক সেমিনার জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট কর্তৃক আয়োজন করা হবে।
- বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড কর্তৃক সেন্সর্ড অবস্থায় থাকা চলচ্চিত্রসমূহ নীতিমালা ও যৌক্তিকতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে।
- চলচ্চিত্র বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি পুনর্গঠন করা হবে।
- প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ আইন ২০১৮ এর কতিপয় ধারা সংশোধন করে যুগোপযোগী করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
- তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এর কতিপয় ধারা সংশোধন করে যুগোপযোগী করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
- তথ্য কমিশনের বিদ্যমান চাকরির বিধিমালা যুগোপযোগী করা হবে।
এছাড়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা থেকে নিয়মিত দাপ্তরিক কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে অব্যাহত রয়েছে এবং অব্যাহত থাকবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
বন্যাকবলিত এলাকার ৯৮ শতাংশ মোবাইল টাওয়ার সচল
ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ১১টি জেলার বন্যার পানি। এতে করে পানিতে ডুবে মোবাইল অপারেটর কোম্পানির যেসব টাওয়ার অচল হয়ে পড়েছিল, সেগুলো ফের সচল হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৯৮ শতাংশ টাওয়ারই সচল হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) অস্থায়ী পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকেল ৫টা পর্যন্ত হালনাগাদ করা তথ্য অনুযায়ী, এখনও টেলিযোগাযোগ পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে এমন জেলার সংখ্যা ১১টি। জেলাগুলো হলো— নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট ও কক্সবাজার।
এর মধ্যে নোয়াখালী জেলায় ৭১টি, লক্ষ্মীপুর জেলায় ২০টি, ফেনী জেলায় ৭৩টি, কুমিল্লা জেলায় ১৮টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ২৪টি, চট্টগ্রাম জেলায় ২৭টি, খাগড়াছড়ি জেলায় ৭টি, হবিগঞ্জ জেলায় ১৩টি, মৌলভীবাজার জেলায় ৯টি, সিলেট জেলায় ২৭টি ও কক্সবাজার জেলায় ১১টিসহ মোট ৩০০টি টাওয়ার অচল হয়ে আছে।
বন্যাকবলিত ১১ জেলায় মোট টাওয়ার রয়েছে ১৪ হাজার ৫৫১টি। যার মধ্যে এখন সচল রয়েছে ১৪ হাজার ২৫১টি। অর্থাৎ অচল টাওয়ারের পরিমাণ ২.১ শতাংশ।
এমন পরিস্থিতিতে বাকি অচল টাওয়ারগুলো সচল করার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও বিটিআরসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এর অংশ হিসেবে মোবাইল অপারেটর এবং টাওয়ারকো অপারেটরদের টেকনিক্যাল লোকবল, নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম, জেনারেটর ও জ্বালানি ইত্যাদি পরিবহনের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে বিভিন্ন সহযোগিতা করা হচ্ছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
বন্যাপ্লাবিত এলাকায় অচল ১১৯৩ মোবাইল টাওয়ার
ভারত থেকে আসা ঢল আর টানা বর্ষণে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। টেলিযোগাযোগ খাতেও পড়েছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। বন্যার পানিতে মোবাইল অপারেটর কোম্পানির টাওয়ারের গ্রিনফিল্ড ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ডুবে যাওয়ার এখনও ১১টি জেলায় ১ হাজার ১৯৩টি মোবাইল টাওয়ার অচল হয়ে গেছে। এর মধ্যে ফেনী জেলায় অচল হয়েছে ৫৩৪টি টাওয়ার।
সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এর অস্থায়ী পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। সকাল ৯টা পর্যন্ত হালনাগাদ করা তথ্য অনুযায়ী, টেলিযোগাযোগ ব্যাহত হওয়া ১১টি জেলা হচ্ছে- নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মনবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট ও কক্সবাজার।
এরমধ্যে নোয়াখালী জেলায় ৩৩৭টি, লক্ষ্মীপুর জেলায় ৬২টি, ফেনী জেলায় ৫৩৪টি, কুমিল্লা জেলায় ১৪১টি, ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলায় ৭টি, চট্টগ্রাম জেলায় ৪৬টি, খাগড়াছড়ি জেলায় ৪১টি, হবিগঞ্জ জেলায় ৫টি, মৌলভীবাজার জেলায় ৯টি, সিলেট জেলায় ৬টি ও কক্সবাজার জেলায় ৫টি মোট ১ হাজর ১০৩টি টাওয়ার অচল হয়ে আছে। এর বিপরীতে এই ১১টি জেলার মোট টাওয়ার রয়েছে ১৪ হাজার ৫৫১টি। যারমধ্যে এখন সচল রয়েছে ১৩ হাজার ৩৫৮টি।
অপরদিকে দ্রুত টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক জটিলতা নিরসনে সকল টাওয়ার সচল করতে সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। এসব পদক্ষেপ সম্পর্কে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান জানান, মোবাইল অপারেটর এবং টাওয়ারকো অপারেটরদের টেকনিক্যাল লোকবল, নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম, জেনারেটর ও জ্বালানি ইত্যাদি পরিবহনের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় নেওয়া হচ্ছে।
এরইমধ্যে ফুলগাজী উপজেলায় মোবাইল অপারেটর রবি এবং টাওয়ারকো অপারেটর সামিট ও ইডটকো, সোনাগাজী উপজেলায় মোবাইল অপারেটর গ্রামীনফোন ও রবি এবং টাওয়ারকো অপারেটর সামিট ও ইডটকো, ছাগলনাইয়া উপজেলায় মোবাইল অপারেটর গ্রামীনফোন এবং টাওয়ারকো অপারেটর সামিট ও ইডটকো এর সাথে সমন্বয় করে নেটওয়ার্ক পুনঃস্থাপন কার্যক্রম দ্রুত করার জন্য ৬টি স্পিডবোট সরবরাহ করা হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
হোয়াটসঅ্যাপে যুক্ত হচ্ছে চ্যাট থিম ফিচার
মেটার মালিকানাধীন জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপে নিত্যনতুন ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের মেসেজিংকে আরো সহজ করে তোলা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই ব্যবহারকারীদের জন্য এআই সুবিধা চালু করা হয়েছে। তবে এবার নিয়ে আসছে চ্যাট থিম ফিচার।
এ ফিচার ব্যবহারকারীকে চ্যাট ব্যাকগ্রাউন্ড ও ইন্টারফেস কাস্টমাইজ করার অনুমতি দেবে। হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, চ্যাট থিম দিয়ে ব্যবহারকারী তার মেসেজিং অভিজ্ঞতাকে পারসোনালাইজড করতে বিভিন্ন ডিজাইন, রং ও প্যাটার্ন থেকে নিজের পছন্দ বেছে নিতে পারবেন।
যদিও এই সুবিধা এখনও আইওএস-এর জন্য হোয়াটসঅ্যাপ বিটাতে বিকাশের অধীনে রয়েছে, এটি গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যান্ড্রয়েড ২.২৪.১৭.১৯ আপডেটের জন্য সর্বশেষ হোয়াটসঅ্যাপ বিটাতে আবিষ্কৃত হয়েছে।
ডব্লিউবিটাইনফো টুইটারে (বর্তমানে এক্স) একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেছে, এতে দেখা যায় হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থিম সেটিংসে একটি নতুন বিভাগ পরীক্ষা করছে। এই কাস্টমাইজেশন বিকল্পের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাদের চ্যাট ব্যাকগ্রাউন্ড এবং ডিফল্ট চ্যাট থিমের জন্য ওয়ালপেপারের জন্য বিভিন্ন রঙের পরিসর থেকে একটি নতুন রং সিলেক্ট করতে সক্ষম হবে। তবে এই নতুন হোয়াটসঅ্যাপ সুবিধাটি ভবিষ্যতের আপডেট প্রকাশের জন্য নির্ধারিত হয়েছে।
যেহেতু এটি একটি ডিফল্ট চ্যাট থিম, এই সুবিধাটি আমাদের সমস্ত কথোপকথনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করার জন্য সেট করা হবে। ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুক মেসেঞ্জারসহ অন্যান্য মেটার মালিকানাধীন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে দেখা ডিফল্ট থিম এবং চ্যাট ব্যাকগ্রাউন্ডের মতো। একবার একটি রং নির্বাচন করা হলে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিফল্ট চ্যাট থিম হিসাবে সেট হয়ে যাবে।
সেই অনুযায়ী ওয়ালপেপার এবং ব্যাকগ্রাউন্ড রং উভয়ই সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। ব্যবহারকারীদের তাদের পছন্দের থিম নির্বাচন করার ক্ষমতা প্রদান করে, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত পছন্দ অনুসারে তাদের মেসেজিং অভিজ্ঞতাকে উপযোগী করার অনুমতি দেবে এবং এটিকে আরো বেশি সুন্দর দেখাবে।
তবে ডিফল্ট চ্যাট থিম কাস্টমাইজ করা শুধুমাত্র ব্যবহারকারীর ইন্টারফেসকে প্রভাবিত করবে এবং এটি অন্যদের জন্য চেহারা পরিবর্তন করবে না। এটি নিশ্চিত করে যে এই কাস্টমাইজেশনটি ব্যক্তিগত থাকে এবং তাদের মেসেজিং অভিজ্ঞতাকে প্রভাবিত করে না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
বন্যার্তদের ফ্রি মিনিট-ইন্টারনেট দিচ্ছে গ্রামীণফোন
ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বন্যাকবলিত এলাকায় সবার সঙ্গে জরুরি যোগাযোগ রক্ষায় বিনামূল্যে ১০ মিনিট ও ৫০০ এমবি ইন্টারনেট দিচ্ছে গ্রামীণফোন।
*১২১*৫০৫০# ডায়াল করে বিনামূল্যের মিনিট ও ইন্টারনেট গ্রহণ করতে পারবেন গ্রাহকরা, যার মেয়াদ হবে ৩ দিন।
এ প্রসঙ্গে গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশনস শারফুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে আমরা বিনামূল্যে মিনিট ও ইন্টারনেট দিচ্ছি। বরাবরের মতো দুর্গত মানুষের পাশে আছে গ্রামীণফোন। বন্যাকবলিত এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করতে আমাদের কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
এমআই