আন্তর্জাতিক
খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক বাণিজ্য বাড়লেও কমতে পারে উৎপাদন
২০২৩-২৪ বিপণন মৌসুমে খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক উৎপাদন পূর্বাভাস সংশোধন করেছে ইন্টারন্যাশনাল গ্রেইন কাউন্সিল (আইজিসি)। আগের পূর্বাভাসের তুলনায় উৎপাদন প্রায় ৬০ লাখ টন কমতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। তবে বাণিজ্য বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সম্প্রতি সংশোধিত পূর্বাভাসটি নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে আইজিসি।
উৎপাদনের পাশাপাশি খাদ্যশস্যের ব্যবহারও আগের পূর্বাভাসের তুলনায় কমবে বলে জানিয়েছে আইজিসি। এতে মৌসুম শেষে শস্যের বৈশ্বিক মজুদ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সংশোধিত পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ মৌসুমে বিশ্বজুড়ে ২৩০ কোটি ৪০ লাখ টন খাদ্যশস্য উৎপাদন হতে পারে। আগের পূর্বাভাসে উৎপাদনের পরিমাণ ধরা হয়েছিল ২৩১ কোটি টন। তবে গত মৌসুমের তুলনায় উৎপাদন ২ শতাংশ বাড়বে বলেও জানিয়েছে আইজিসি।
সংস্থাটির পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলোয় ভুট্টা উৎপাদন পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। অন্যান্য শস্যের তুলনায় ভুট্টার বৈশ্বিক উৎপাদন অনেক বেশি কমবে। বিষয়টিই মোট শস্য উৎপাদন পূর্বাভাস সংশোধন করতে সংস্থাটিকে উৎসাহিত করেছে।
এদিকে খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক বাণিজ্য পূর্বাভাস বাড়িয়েছে আইজিসি। বাণিজ্যের পরিমাণ ধরা হয়েছে ৪২ কোটি ৪০ লাখ টন, যা আগের পূর্বাভাসে ছিল ৪১ কোটি ৯০ লাখ টন। অর্থাৎ বাণিজ্য ৫০ লাখ টন বাড়বে। রফতানি বাণিজ্য বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা পালন করবে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইউক্রেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অস্ট্রেলিয়া।
আইজিসি গত মাসে বিশ্বজুড়ে ২৩১ কোটি ৭০ লাখ টন খাদ্যশস্য ব্যবহারের পূর্বাভাস দিয়েছিল। সংশোধিত পূর্বাভাসে তা কমিয়ে ২৩০ কোটি ৬০ লাখ টন ধরা হয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে চলমান সংকট ও মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতির কারণে ভোক্তারা দৈনন্দিন ব্যয় সংকোচন করছেন। এ কারণেই মূলত শস্যের ব্যবহার কমার আশঙ্কা করছে আইজিসি।
এদিকে ব্যবহার কমলে মৌসুম শেষে মজুদও বেড়ে যাবে। নতুন পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ মৌসুমে বৈশ্বিক সমাপনী মজুদ দাঁড়াবে ৫৯ কোটি ৯০ লাখ টনে, আগের পূর্বাভাসে যা ছিল ৫৮ কোটি ৯০ লাখ টন।
এ মৌসুমে গমের বৈশ্বিক উৎপাদন দাঁড়াতে পারে ৭৮ কোটি ৯০ লাখ টনে, যা আগের পূর্বাভাসের তুলনায় ১০ লাখ টন বেশি। এটির ব্যবহার ৮০ কোটি ৩০ লাখ টনেই অপরিবর্তিত থাকবে। তবে বাণিজ্য আগের পূর্বাভাসের চেয়ে ১০ লাখ টনে বেড়ে ২০ কোটি ১০ লাখ টনে উন্নীত হতে পারে।
ভুট্টা উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ১২২ কোটি ৭০ লাখ টনে, যা আগের পূর্বাভাসে ছিল ১২৩ কোটি ৪০ লাখ টন। অর্থাৎ শস্যটির উৎপাদন ৭০ লাখ টন কমতে পারে। এটির ব্যবহার কিছুটা কমলেও বাণিজ্য লক্ষণীয় মাত্রায় বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানায় আইজিসি।
অন্যদিকে ২০২৩-২৪ মৌসুমে চালের বৈশ্বিক উৎপাদন পূর্বাভাস আগের মতোই অপরিবর্তিত রেখেছে আইজিসি। উৎপাদনের পরিমাণ ধরা হয়েছে ৫১ কোটি ১০ লাখ টন। শস্যটির বাণিজ্য ও ব্যবহার পূর্বাভাসে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।
সয়াবিন উৎপাদন পূর্বাভাস ১০ লাখ টন কমিয়ে ধরা হয়েছে ৩৯ কোটি টন। বাণিজ্যের পরিমাণ ধরা হয়েছে ১৬ কোটি ৬০ লাখ টন। এ মৌসুমে তেলবীজটির ব্যবহার দাঁড়াতে পারে ৩৮ কোটি ৩০ লাখ টনে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন লিবিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর
মিলিশিয়াদের হুমকি থেকে বাঁচতে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন লিবিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর সাদিক আল-কবীর। তিনি নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন।
শুক্রবার ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসে প্রকাশিত একটি টেলিফোন সাক্ষাৎকারে আল-কবীর বলেন, মিলিশিয়ারা ব্যাংক কর্মীদের হুমকি ও ভয় দেখাচ্ছে এবং কখনও কখনও তাদের সন্তান ও আত্মীয়দেরকে কাজে যেতে বাধ্য করার জন্য অপহরণ করছে।
লিবিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশটির বিলিয়ন ডলারের তেল ভিত্তিক রাজস্বের পরিচালনা করত। ২০১১ সালে ন্যাটো বাহিনীর অভিযানে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা মুয়াম্মার গাদ্দাফি উৎখাত হন। এরপর থেকেই দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়। বর্তমানে দেশটির পূর্ব ও পশ্চিমের প্রশাসনের মধ্যেও এই অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে। তারা একে অপরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
এই দুই প্রশাসনের মধ্যে গত সোমবার থেকে নতুন দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। ত্রিপলি ভিত্তিক প্রধানমন্ত্রী আব্দুল হামিদ দেইবাহ, যিনি পশ্চিম লিবিয়ায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি সরকারের জন্য কাজ করছেন। গর্ভনর সিদ্দিক আল-কবির পালিয়ে যাওয়ার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর অফিসে একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছেন।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকার এবং বিদ্রোহী দলের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলছে। আল কবির অভিযোগ করেন, লিবিয়ার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার তেল ভিত্তিক রাজস্বের অপব্যবহার করছেন।
এদিকে ব্যাংক কর্মকর্তাদের ওপর হামলার প্রতিক্রিয়ায় বেনগাজি ভিত্তিক লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের সরকারের প্রধানমন্ত্রী ওসামা হামাদ, সোমবার থেকে তেলক্ষেত্রগুলো বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন।
যদিও পূর্বাঞ্চলের সরকার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার নয়। তবে এ সরকারের সামরিক নেতা খলিফা হাফতার লিবিয়ার বেশিরভাগ তেলক্ষেত্র নিয়ন্ত্রণ করেন।
ত্রিপলিতে আল জাজিরার সাংবাদিক মানিক তৃনা বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই সম্পূর্ণভাবে ব্যাংক নিয়ন্ত্রণে নেয়নি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
জুন প্রান্তিকে ভারতের প্রবৃদ্ধিতে ভাটা
গত এপ্রিল থেকে জুন প্রান্তিকে ভারতের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধির গতি কমেছে। গত পাঁচ প্রান্তিকের মধ্যে সমাপ্ত জুন প্রান্তিকে ভারতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে সর্বনিম্ন।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) ভারতের ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিস (এনএসও) জানিয়েছে, এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ। গত বছর একই প্রান্তিকে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৮ দশমিক ২। মূলত কৃষি খাতের গতি কমে যাওয়ায় জিডিপির সূচক নিম্নমুখী হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। খবর ইকোনমিক টাইমসের
কয়েক দিন আগেই রয়টার্সের এক জরিপে বলা হয়েছিল, এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে ভারতের প্রবৃদ্ধির গতি কমে যাবে। এবার ভারতের সরকারি পরিসংখ্যানেই জানা গেল, প্রবৃদ্ধি কমেছে।
করোনা মহামারির শুরুতে ২০২০ সালে ভারতের অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছিল। এরপর দেশটি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। এমনকি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবও বেশ ভালোভাবে মোকাবিলা করেছে দেশটি। গত বছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে ভারতের প্রবৃদ্ধির হার ৮ দশমিক ৪ ছাড়িয়ে যায়। তখন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, এটাই ভারতের অর্থনীতির সক্ষমতা।
সেই সঙ্গে গত কয়েকটি প্রান্তিকে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ শতাংশের ওপর বা তার আশপাশে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি-মার্চে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৬ দশমিক ২ শতাংশ। তবে এ বছর এপ্রিল-জুন অর্থবছরে চীনের প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৪ দশমিক ৭। ফলে এই প্রান্তিকে ভারতের প্রবৃদ্ধির হার কমলেও এখনো তারা বিশ্বের বড় অর্থনীতিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল।
এনএসওর তথ্যানুযায়ী, এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে ভারতে কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধির গতি কমে গেছে; এই সময় দেশটির কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ শতাংশ। আগের প্রান্তিকে যা ছিল ৩ দশমিক ৭। উৎপাদন খাতের প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের আশপাশে আছে; যদিও আবাসন ও কর্মক্ষেত্রে জিভিএ (দেশের বাজারে উৎপাদিত পণ্য ও পরিষেবার মোট মূল্য) ১২ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে কমে ৭ দশমিক ১ শতাংশে নেমেছে।
অর্থনীতিবিদেরা বলেন, জিডিপির চেয়ে জিভিএর হিসাব দিয়ে অর্থনীতির চালচিত্র বেশি বোঝা যায়। জিভিএর সঙ্গে কর ও ভর্তুকির নিট ফলাফল যোগ করে জিডিপির হিসাব পাওয়া যায়। ধরা যাক, দেশে গত বছর ১০০ টাকা মূল্যের পণ্য তৈরি হয়েছিল। এ বছরও ১০০ টাকা মূল্যের পণ্য তৈরি হয়েছে। জিভিএর হিসাব বলবে, বৃদ্ধির হার শূন্য। কিন্তু ওই পণ্যের ওপর যদি এ বছর ২০ টাকা কর চাপে, তাহলে গত বছরের জিডিপি ১০০ টাকা হলেও এ বছর তা ১২০ টাকা হবে। সে ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার ২০ শতাংশ।
এ ছাড়া বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ও অন্যান্য লাভজনক ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধির হার ৩ দশমিক ৪ থেকে বেড়ে ১০ দশমিক ৪ শতাংশ হয়েছে। নির্মাণ খাতে গত বছর একই সময়ে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৮ দশমিক ৬। এই প্রান্তিকে তার হার ১০ দশমিক ৫। হোটেল, পরিবহন ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধির হার কমেছে; নেমে এসেছে ৪ শতাংশে। যদিও চলতি বছর প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশের কাছাকাছিই থাকবে বলে আশাবাদী বিশেষজ্ঞেরা।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের চার প্রান্তিকেই ভারতের প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৭ শতাংশের বেশি। গত বছরের এপ্রিল-জুন থেকে শুরু করে প্রথম তিনটি প্রান্তিকে তা ছিল ৮ শতাংশের ওপরে। ফলে গত অর্থবছরে বিশ্বের বড় অর্থনীতিগুলোর মধ্যে দ্রুততম প্রবৃদ্ধির দেশ ছিল ভারত। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, চলতি বছর হয়ে যাওয়া নির্বাচনে জিতে তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসতে মোদি সরকার বিপুল পরিমাণে অর্থ ব্যয় করেছে। কিন্তু নির্বাচনের পর সরকারি ব্যয় কমেছে। সে কারণেই প্রবৃদ্ধির গতি কমেছে। আশঙ্কা আছে, প্রবৃদ্ধির হার আরও কমে যেতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ইরানের প্রথম নারী মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি
ইরানের মাসুদ পেজেস্কিয়ান সরকারের মুখপাত্র হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ফাতেমেহ মোহাজেরানি। তিনি ইরান সরকারের প্রথম নারী মুখপাত্র। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।
তেহরান টাইমস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরান সরকারের নবনিযুক্ত মুখপাত্র ফাতেমেহ ১৯৭০ সালে আরাকে জন্মগ্রহণ করেন। এরপর স্কটল্যান্ডের এডিনবরার হেরিয়ট-ওয়াট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ডক্টরেড ডিগ্রি অর্জন করেন। ব্যবসা এবং প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেছেন ফাতেমেহ।
ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সরকারের আমলেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। তিনি সেখানকার টেকনিক্যাল অ্যান্ড ভোকেশনাল ট্রেনিং ইউনিভার্সিটি অব শরিয়তির প্রধান হিসেবে কার্যনির্বাহ করেন। ইরানের সেন্টার ফর ব্রিলিয়ান্ট ট্যালেন্টসের প্রধানের দায়িত্ব পেয়েছিলেন ২০১৭ সালে।
উল্লেখ্য, বছর দুয়েক আগে ইরানে হিজাব না পরায় মাহশা আমিনি (২২) নামে এক নারীকে পুলিশি হেফাজতে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
আম্বানিকে সরিয়ে ফের ভারতের শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি
ভারতের শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানিকে পেছনে ফেলেছেন আরেক ধনকুবের গৌতম আদানি। গত ৫ বছরে ভারতীয় শীর্ষ ১০ ধনীর মধ্যে আদানির সম্পদই সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বেড়েছে। সম্পদের সবশেষ হিসাবে আম্বানিকে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) ‘হুরুন ইন্ডিয়া রিচ লিস্ট ২০২৪’ প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, গৌতম আদানি গোষ্ঠির মোট সম্পদ এখন ১১ লাখ ৬০ হাজার কোটি রুপি। হুরুনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন মুকেশ আম্বানি। তার সম্পদের পরিমাণ ১০ লাখ ১৪ হাজার কোটি রুপি।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, হুরুন রিচ লিস্ট অনুযায়ী গত এক বছরে আদানির মোট সম্পদের পরিমাণ ৯৫ শতাংশ বেড়েছে।
তার মধ্যে আদানি পোর্টসের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯৮ শতাংশ। জ্বালানি খাতের কোম্পানি আদানি এনার্জি, আদানি গ্যাস, আদানি ট্রান্সমিশন ও আদানি পাওয়ারের শেয়ারের দাম গড়ে ৭৬ শতাংশ বেড়েছে।
ভারতের শীর্ষ ধনীর মধ্যে তৃতীয়স্থানে রয়েছেন এইচসিএল টেকনোলোজিসের কর্ণধার শিভ নাদার এবং তার পরিবার। তাদের সম্পদের পরিমাণ ৩ দশমিক ১৪ লাখ কোটি রুপি।
চতুর্থস্থানে আছেন সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার সায়রাস এস পুনওয়াল্লা এবং তার পরিবার। তাদের সম্পদের পরিমাণ ২ দশমিক ৮৯ লাখ কোটি রুপি।
২ দশমিক ৪৯ লাখ কোটি রুপির সম্পদ নিয়ে পঞ্চমস্থানে আছেন সান ফার্মাসিউটিক্যালসের দিলীপ সাংঘভি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বাংলাদেশের উদাহরণ টেনে যে বার্তা দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী
ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বাংলাদেশের উদাহরণ দিয়ে ঐক্যের বার্তা দিয়েছেন। রাজ্যটিতে জন্মাষ্টমীর এক অনুষ্ঠানে ঐক্যের এই বার্তা দেন তিনি।
যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘একসঙ্গে থাকার মধ্যেই জাতির শক্তি নিহিত রয়েছে’। এসময় উদাহরণ হিসাবে টানেন বাংলাদেশ প্রসঙ্গও।
সোমবার জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে আগ্রায় গিয়েছিলেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সেখানে বক্তৃতায় বার বার সাম্প্রদায়িক ঐক্যের ওপর জোর দেন তিনি। ভাষণের পর রাষ্ট্রীয় বীর দুর্গাদাস রাঠৌরের একটি ভাস্কর্য উন্মোচন করেন তিনি।
সেখানেই যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘বাঁটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে (বিভাজন মানে ধ্বংস)’। ‘একতায় উত্থান, বিভেদে পতন!’ বলেও প্রাচীন একটি প্রবাদবাক্য মনে করিয়ে দেন তিনি।
আদিত্যনাথ আরও বলেন, ঐক্য ছাড়া কিছুই করা যায় না। কোনও কিছু অর্জনও করা যায় না। আমরা ঐক্যবদ্ধ হলেই জাতি শক্তিশালী হবে। দেখুন না, প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে কী হচ্ছে। দেখছেন তো? আমরা যেন সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি না করি।
অবশ্য আদিত্যনাথের মন্তব্যের পরেই কটাক্ষ করেছেন কনৌজের সংসদ সদস্য তথা সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ নিয়ে যোগীর মন্তব্য শুনে মনে হচ্ছে যেন ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য লড়তে চলেছেন তিনি! অবশ্য তিনি যে প্রথম বার এমন ইঙ্গিত দিচ্ছেন এমনটা নয়। তবে আমার বিশ্বাস, এবার দিল্লির কর্মকর্তারা তাকে শিগগিরই জানিয়ে দেবেন রাষ্ট্রীয় বিষয়ে নাক না গলাতে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ভোটমুখী উত্তরপ্রদেশে উল্টো পথে হেঁটেছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। সেসময় তিনি বলেছিলেন, এ হলো আশি-বিশের ভোট। বিরোধীদের দাবি, ইঙ্গিতটা ছিল উত্তরপ্রদেশে সংখ্যালঘু ২০ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যার দিকে।
বরং সে সময় ‘বাঁটে তো কাটে’ ছিল সমাজবাদী পার্টির নির্বাচনী স্লোগান! এবার বিরোধীদের সেই নির্বাচনী স্লোগান উল্লেখ করেই ঐক্যের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ।