খেলাধুলা
শ্রীলঙ্কাকে ২৮০ রানে থামিয়ে দিলো বাংলাদেশ
স্রেফ ৫৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে শ্রীলঙ্কা। তখনই হাল ধরলেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস। দুইজনেই পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। তাদের দুইশ ছাড়ানো জুটিতে দল ভালো অবস্থানে পৌঁছালেও নাহিদ রানার শেষদিকের বোলিংয়ে কিছুটা স্বস্তি পায় বাংলাদেশ।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্টে টস জিতে আগে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৬৮ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করতে পারে সফরকারীরা। ২৮০ রানে সবগুলো উইকেট হারিয়েছে তারা।
নিজের প্রথম ওভারের শেষ বলে গিয়ে উইকেট এনে দেন খালেদ। অফ স্টাম্প থেকে বেশ দূরের বলে ড্রাইভ করতে যান নিশান মাদুশকা। তৃতীয় স্লিপে বেশ জোরে যাওয়া বল ক্যাচ ধরেন মিরাজ।
দ্বিতীয় উইকেটের জন্য অবশ্য কিছুটা অপেক্ষা ছিল বাংলাদেশের। ১২তম ওভারে গিয়ে কুশল মেন্ডিসকে ফেরান খালেদ। ২৬ বলে ১৬ রান করে দেরিতে কাট করতে গিয়ে গালিতে দাঁড়ানো জাকির হাসানের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ৫৭ বলে মেন্ডিসের সঙ্গে ৩৭ রানের জুটি ভেঙে যায় দিমুথ করুণারত্নের।
ওই ওভারেই করুণারত্নেকেও ফেরান খালেদ। ৩৭ বলে ১৭ রান করা এই ব্যাটারকে দুর্দান্ত এক বলে বোল্ড করেন খালেদ। অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে ভেতরে ঢুকে বলটি। তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া শ্রীলঙ্কা আরও বেশি বিপদে পড়ে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস রান আউট হলে।
খালেদের বলে অফ সাইডে ফেলে দৌড় শুরু করেন দিনেশ চান্দিমাল। কিন্তু দৌড়ের সময় কিছুটা অলস ছিলেন ম্যাথিউস। নাজমুল হোসেন শান্তর সরাসরি থ্রোতে স্টাম্প ভাঙে তার। এরপর চান্দিমালকেও ফিরিয়ে দেন শরিফুল। লেগ স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ১৩ বলে ৯ রান করে ফেরেন চান্দিমাল। ৫৭ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। এরপর উইকেটে এসে প্রথম বলেই জীবন পেয়ে যান কামিন্দু মেন্ডিস। স্লিপে তার ক্যাচ ছেড়ে দেন মাহমুদুল হাসান জয়।
পরে এজন্য ভুগতে হয়েছে বাংলাদেশকে। আশির উপর স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করে ২৪৫ বলে ২০২ রানের জুটি গড়েন কামিন্দু-ধনঞ্জয়া। ৫৭তম ওভারে এসে কামিন্দুকে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের ক্যাচে পরিণত করেন নাহিদ। ১২৭ বলে ১১ চার ও ৩ ছক্কায় ১০২ রানে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটি সাজান কামিন্দু।
এরপর সেঞ্চুরি তুলে নেন ধনঞ্জয়াও। লঙ্কান অধিনায়ক অবশ্য তাইজুলের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। পরে রিপ্লেতে দেখা যায় রিভিউ নিলে ৯৫ রানেই সাজঘরে ফিরতেন ধনঞ্জয়া। ১১তম সেঞ্চুরির পর অবশ্য খুব বেশিক্ষণ টেকেননি। নাহিদকে পুল করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে থাকা মিরাজের হাতে ধরা পড়েন তিনি। সাজঘরে ফেরেন ১৩২ বলে ১২ চার ও ১ ছক্কায় ১০২ রান করে।
কিছুক্ষণ পর আরও একটি উইকেট নেন রানা। তার দ্রুতগতির বল উইকেটরক্ষকের হাতে তুলে দিয়ে বিদায় নেন প্রবাথ জয়াসুরিয়া। বিশ্ব ফার্নান্দো কিছুক্ষণ প্রতিরোধ করলেও ৯ রানে তাইজুলের শিকার হন। এরপর লাহিরু কুমারা রান আউট হলে লঙ্কানদের প্রথম ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
বাফুফের সদস্য পদে নির্বাচিত হলেন যারা
বাফুফে নির্বাচনে শেষ দিকে রোমাঞ্চ ছিল সদস্য পদের লড়াই ঘিরে। ১৫ পদের বিপরীতে লড়াই করেছেন ৩৭ জন। ভোট গণনা শেষে নির্বাচিত হয়েছেন ১৪ জন। বাকি একটি পদে সমানসংখ্যক ভোট পেয়েছেন দুজন। তাই এ পদে পুনঃভোট অনুষ্ঠিত হবে।
সর্বোচ্চ ৯৮ ভোট পেয়েছেন ইকবাল হোসেন। বাফুফের আগের কমিটিতেও ছিলেন তিনি। এছাড়া আমীরুল ইসলাম বাবু ৯৬, গোলাম গাউছ ৯২, মাহি উদ্দিন আহমদ ৮৮, টিপু সুলতান ৮৭, মঞ্জুরুল করিম ৮৬, জাকির হোসেন চৌধুরী ৮২, মাহফুজা আক্তার কিরণ ৮১, কামরুল হাসান হিল্টন ৮০, সত্যজিৎ দাশ রূপু ৭৬, ইমতিয়াজ হামিদ ৭২, ছাইদ হাসান কানন ৬৭, সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া ৬৬, বিজন বড়ুয়া ৬২ করে ভোট পেয়েছেন।
শেষ পদে এখলাছ উদ্দিন ও সাইফুর রহমান মনি দুজনেরই কপালে জুটেছে সমানসংখ্যক ৬১ ভোট। তাই তাদের জন্য পুনঃনির্বাচনের পথ খোলা রয়েছে। যদিও সমঝোতার ভিত্তিতে কেউ চাইলে সরেও দাঁড়াতে পারেন।
বাফুফের কমিটিতে নতুন যুক্ত হয়েছেন গাউছ, মঞ্জুরুল, হিল্টন ও জাতীয় দলের সাবেক গোলকিপার কানন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথ আউয়াল
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নতুন সভাপতি নির্বাচিত হলেন তাবিথ আউয়াল। ১৩৩ ভোটের মধ্যে কাস্ট হয়েছে ১২৮টি ভোট। তার মধ্যে ১২৩ ভোট পেয়েছেন তাবিথ আউয়াল। তার নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিজানুর রহমান চৌধুরী পেয়েছেন ৫ ভোট। সভাপতির ভোটের সংখ্যা জানিয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহউদ্দিন।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) দিনভর রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কংগ্রেস ও নির্বাচন। টানা ১৬ বছর ধরে বাফুফের সভাপতির দায়িত্ব পালন করা কাজী মো. সালাউদ্দিন এবার অংশ নেননি ভোটে।
প্রার্থীতা ঘোষণার পর থেকেই ব্যাপক আলোচনায় ছিলেন তাবিথ আউয়াল। শেষ পর্যন্ত বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে বাফুফের সভাপতি নির্বাচিত হলেন তিনি।
বাফুফে নির্বাচনে যে এমটনাই হবে, তা আগে থেকেই অনকেটা অনুমেয় ছিল। তাবিথ আউয়ালই হতে যাচ্ছেন বাফুফের পরবর্তী সভাপতি, এটাও একরকম নিশ্চিত ছিল।
প্রার্থীতা চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকেই কোনো হেভিওয়েট প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না তাবিথ আউয়ালের। যে কারণে খুব একটা প্রচারণাও তাকে করতে দেখা যায়নি। তিনি নিজেও বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। জানতেন অঘটন না ঘটলে তিনিই ভোটে জয়ী হবেন। বাফুফের সভাপতি হয়ে দেশের ফুটবলকে এগিয়ে নিতে চান বলে জানিয়েছেন তাবিথ।
তাবিথ বলেন, ২০০৮ সালের ২৮ এপ্রিল বাফুফে সভাপতির দায়িত্ব নেন কাজী সালাউদ্দিন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত টানা ১৬টি বছর বাফুফেতে রাজত্ব করেছেন তিনি। আজ তার অবসান হলো। বাফুফে নতুন সভাপতি পেলো। নতুন নেতৃত্বে দেশের ফুটবল কোন পথে হাটে এটা সময়ই বলে দেবে
১৯৯৮ সাল থেকে ক্রীড়াঙ্গনে শুরু হয় নির্বাচনী ব্যবস্থা। এসএ সুলতান বাফুফের প্রথম নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। কাজী সালাউদ্দিন ছিলেন দ্বিতীয় সভাপতি। চার মেয়াদে সভাপতি ছিলেন তিনি। এবার তিনি নির্বাচনে অংশ নেননি। তাবিথ আউয়াল বাফুফের তৃতীয় সভাপতি। তবে ভোটের হিসেবে তিনিই সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন।
এর আগে ২০১২ ও ২০১৬ সালে ফেডারেশনের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন তাবিথ আউয়াল। ২০২০ সালে সহ-সভাপতি পদে ঠাই হয়েছিল। পুনরায় নির্বাচনে তাবিথ হারেন ৪ ভোটে। এবার তিনি সভাপতি নির্বাচিত হলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন শান্ত
চলমান দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পর অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মূলত নিজের পারফরম্যান্সে মনোযোগ বাড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। বিসিবির এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ক্রিকেটভিত্তিক ভারতীয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ।
শান্তর প্রতিভা নিয়ে বরাবরই আশাবাদী ছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে কখনোই সেই প্রতিভার ছাপ রেখে ধারবাহিক হতে পারেননি এই টপ অর্ডার ব্যাটার। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে বেশ কিছু ভালো ইনিংস খেললেও ধারবাহিকতার সঙ্গে কখনো বন্ধুত্ব হয়নি বাংলাদেশ অধিনায়কের।
গত কয়েক মাস ধরে ব্যাট হাতে বেশ ভুগছেন শান্ত। তাই নিজের পারফরম্যান্সে উন্নতি করতে নিজের ওপর থেকে নেতৃত্বের চাপ সরাতে চান তিনি। এ কারণেই অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। যা ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) জানিয়েছেন শান্ত।
ক্রিকবাজ বলছে, বিসিবির বেশ কয়েকজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা শান্তকে অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলেও সেটাতে রাজী হননি তিনি। এমনকি গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই এই ফরম্যাটের নেতৃত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন তিনি। এবার সরে দাঁড়াচ্ছেন তিন ফরম্যাট থেকেই। তবে এখন পর্যন্ত শান্তর অধিনায়কত্ব ছাড়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি বোর্ড।
ওমরাহ পালন করে সভাপতি ফারুক আহমেদ দেশে আসলে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিসিবি। শান্তর নেতৃত্ব ছাড়া প্রসঙ্গে বিসিবির এক কর্মকর্ত ক্রিকবাজকে বলেছেন, ‘সে আমাদের জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ শেষে সে আর দলকে নেতৃত্ব দিতে চায় না।’ আর এ নিয়ে শান্ত বলেন, ‘দেখা যাক কী হয়। কারণ আমি এখনও সভাপতির কাছ থেকে শোনার অপেক্ষায় আছি।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
ভারতকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সেমিতে বাংলাদেশ
সাফের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ এবারের আসরেও ফেভারিটদের একটি। তবে প্রথম ম্যাচে প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। পাকিস্তানের বিপক্ষে কোনোমতে ড্র করেছে সাবিনা খাতুনের দল। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে নিজেদের ভালোভাবে প্রমাণ করেছে তারা। শক্তিশালী ভারতকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিতে পা রেখেছে বাংলাদেশ নারী দল।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
এই জয়ে চার পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ সেরা হয়ে সেমিতে উঠেছে বাংলাদেশ। ভারত তিন পয়েন্ট নিয়ে রানার্স-আপ। বাংলাদেশের বিপক্ষে এক পয়েন্ট পাওয়া পাকিস্তান টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে।
শুরু থেকেই আক্রমণে দাপট ছিল বাংলাদেশের। ১৫ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন আফিদা খন্দকার। সাবিনা খাতুনের নেয়া কর্ণার কিক থেকে আসা বল ঠিকমতো গ্রিপ করতে পারেননি ভারতের গোলরক্ষক। বল চলে যায় আফিদার কাছে। সুযোগ পেয়ে দ্রুত শট নেন আফিদা। গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে বল গোললাইন অতিক্রম করে।
এগিয়ে যাওয়ার পরেও আক্রমণের ধার কমায়নি বাংলাদেশ। ফলে দ্বিতীয় গোল পেতে বেশি দেরি হয়নি সাবিনাদের। ২৮ মিনিটে বাম প্রান্ত থেকে আসা বল ভারতীয় ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন। বল তহুরা খাতুনের গায়ে লেগে জড়ায় জালে। সৌভাগ্যের ছোঁয়ায় এই গোল পেয়েছে বাংংলাদেশ।
৪২ মিনিটে ব্যবধান ৩-০ করে বাংলাদেশ। এই গোলটিও এসেছে তহুরার পা থেকে। শামসুন্নাহার সিনিয়র ও জুনিয়র বল দেওয়া-নেওয়া করে বক্সের মধ্যে তহুরাকে পাঠান। জোরালো শটে জালে বল জড়ান এই ফরোয়ার্ড।
তহুরার গোলের পরের মিনিটেই একটি গোল পরিশোধ করে ভারত। ডি বক্সের মধ্যে রূপনা চাকমা বল গ্রিপ করতে ব্যর্থ হওয়ায় হেডে জালে জড়ান ভারতীয় অধিনায়ক বালা দেবী।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
সাকিব বিতর্ক রেখে তরুণদের নিয়ে এগিয়ে যেতে চান সিমন্স
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ফিল সিমন্সের সম্পর্কটা অন্য রকম। গত এক সপ্তাহের নাটকীয় পালাবদলের মধ্যে পাঁচ মাসের জন্য বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পাওয়া এই সাবেক ক্যারিবীয় ক্রিকেটার এর আগে আরও দুইবার একই পদের জন্য আবেদন করেছিলেন। ২০১৭ সালে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের পদত্যাগের পর রিচার্ড পাইবাস ও সিমন্স বিসিবিতে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। কিন্তু বিসিবি সেবার বেছে নেয় স্টিভ রোডসকে।
২০১৯ সালে রোডসের বিদায়ের পরও কোচ হতে আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু তখন দায়িত্ব পেয়েছিলেন রাসেল ডমিঙ্গো। এবার হাথুরুসিংহের চাকরি যাওয়ার পর সেই সিমন্সকেই বেছে নিয়েছে বিসিবি। একই সময় সাকিব আল হাসানকে নিয়ে আলোচনা–সমালোচনার ঝড় বইছে বাংলাদেশ ক্রিকেটে। এর মধ্যেই মাত্র দেড় সপ্তাহ আগে বাংলাদেশ দলের কোচ হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছিলেন সিমন্স। এখন তাঁর অধীনে সোমবার থেকে শুরু হতে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল। এই সিরিজে কোচিং প্যানেলে ফিরেছেন স্পিন কোচ মুশতাক আহমেদও।
কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর আজ প্রথমবারের মতো সংবাদ সম্মেলনে এলেন সিমন্স। বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই অস্থির সময়টাকে তিনি পেছনে ফেলতে চান মাঠের ক্রিকেটে মনোযোগ দিয়ে, ‘ভালো দিক হচ্ছে, আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে।’ মাঠের বাইরের বিতর্ক সরিয়ে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের স্বপ্নও দেখালেন তিনি, ‘আমরা সামনের কয়েকটা টেস্ট জিততে পারলে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার সম্ভাবনা জাগবে।’
সে জন্য সব মনোযোগটা ক্রিকেটেই রাখতে চান সিমন্স, ‘আমি ক্রিকেটে মনোযোগ দিতে চাই। সোমবারের জন্য দলটাকে তৈরি করতে চাই। আমার গত দুই দিনের অভিজ্ঞতা দারুণ। আমরা ক্রিকেটের আশপাশে যে সব দোটানা আছে, তা সরিয়ে সোমবারে মনোযোগ দিতে চাই।’
নিজের দীর্ঘ কোচিং ক্যারিয়ারের অভিজ্ঞতা এই অস্থির সময়ে কাজে লাগাতে চান তিনি, ‘সব অভিজ্ঞতাই আমাকে ছেলেদের সোমবারের জন্য তৈরি করতে সাহায্য করবে। আফগানিস্তান আমাকে ভাষা জটিলতার চ্যালেঞ্জ সামলে কাজ করা শিখিয়েছে। আয়ারল্যান্ডে কাজ করে বুঝেছি কীভাবে তরুণদের গড়ে তুলতে হয়। সব কিছুই এখানে কাজে দেবে।’
বাংলাদেশের তারুণ্যনির্ভর টেস্ট দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স সিমন্সের নজর কেড়েছে, ‘আমি আগ্রহী হয়েছি তরুণ খেলোয়াড়ের সামর্থ্য দেখে। ওরা পাকিস্তানে নিজেদের দারুণভাবে প্রমাণ করেছে। ভারতে টি-টোয়েন্টিতে ওরা ভালো খেলেনি। কিন্তু ভারত ওই সংস্করণে সেরা দল। আপনার সেখান থেকে শেখার ছিল অনেক কিছু। প্রথমত, আমি তরুণদের গড়ে তুলতে চাই। পাশাপাশি এখানে টেস্ট ও ওয়ানডে সংস্করণে কাজ করার সুযোগও আছে। সব মিলিয়ে আমার এখানে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন ছিল না।’
তবে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করা যে সহজ নয়, সেটা তো বাংলাদেশ দলের কোচদের আসা-যাওয়ার রেকর্ড ঘাঁটলেই টের পাওয়া যায়। ২০১৭ সালে হাথুরুসিংহের চলে যাওয়ার পর এখন পর্যন্ত পাঁচবার প্রধান কোচের পদে বদল এসেছে। অনিশ্চিতায় ঠাসা এ দায়িত্বকে সিমন্স কীভাবে দেখেন? তাঁর উত্তর, ‘সব আন্তর্জাতিক কোচের চাকরিই চাপের। বাংলাদেশে এক রকম, পাকিস্তানে অন্য রকম। আমার জন্য ক্রিকেটারদের উপভোগের মঞ্চ গড়ে দেওয়া, ম্যাচ জেতাটা গুরুত্বপূর্ণ। আসনটা চাপের নয়। গত দুই দিন বেশ উপভোগ্যই ছিল।’
নিজের কোচিং দর্শনটাও জানালেন সিমন্স, ‘কঠোর পরিশ্রম করলে ফল আসবে। গত দুই দিনে ছেলেদের মধ্যে সেটা দেখেছি। এই ছেলেরা কঠোর পরিশ্রম করছে, দক্ষতা ও ফিটনেস নিয়ে।’
এমআই