জাতীয়
ট্রেনের সামনে সিসি ক্যামেরা বসানোর সুপারিশ
ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে ট্রেনের সামনে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসাতে এবং দুর্ঘটনার আগে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রযুক্তি ‘সেন্সর সিস্টেম’ চালুর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।
বুধবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ‘রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র সভাপতি এ. বি. এম ফজলে করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সদস্য রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম, শফিকুল ইসলাম শিমুল, মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, মো. শফিকুর রহমান ও মোছা. নুরুন নাহার বেগম বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের গৃহীত কার্যক্রম, যাত্রী সেবা ও টিকিট ব্যবস্থাপনা এবং ধীরাশ্রম কন্টেইনার ডিপো নির্মাণের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। বাসসের এক প্রতিবেদনে এ বৈঠকের কথা তুলে ধরা হয়েছে।
রাজশাহী রেল স্টেশনে এক তলা ভবনের পাইলিং পরবর্তী নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকার বিষয়টি তদন্তের লক্ষ্যে কমিটির সদস্য মো. শফিকুর রহমানকে আহ্বায়ক, মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও মোছা. নুরুন নাহার বেগমকে সদস্য করে বৈঠকে একটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়।
ট্রেনের অনলাইন টিকেটিংয়ে সহজ ডট কমের সাথে গৃহীত চুক্তি অনুযায়ী যন্ত্রপাতি সরবরাহের কাজ কত শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে তার হালনাগাদ তথ্য আগামী বৈঠকে প্রদান এবং কোম্পানির সাথে চুক্তি অনুযায়ী বাকি কাজ আগামী ২ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সেতু বিভাগের নতুন সচিব ফাহিমুল ইসলাম
সেতু বিভাগের নতুন সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম।
তাকে সচিব পদে পদোন্নতির পর সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক নিয়োগ দিয়ে সোমবার (৭ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মনজুর হোসেনকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সাবেক এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর গ্রেপ্তার
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
রবিবার (৬ অক্টোবর) দিনগত রাতে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের প্রধান রেজাউল করিম মল্লিক।
তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ও এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে সোমবার (৭ অক্টোবর) আদালতে সোপর্দ করা হবে।
২০১৫ সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব হিসেবে নিয়োগ পান নজিবুর রহমান৷ ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর তাকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নতুন মুখ্য সচিব করা হয়।
নজিবুর ১৯৮২ সালে বিসিএস ব্যাচের প্রসাশন ক্যাডারের কর্মকর্তা। তার বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ৩০ কর্মকর্তাকে বদলি
বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ৩০ জন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন ইউনিটে বদলি করা হয়েছে।
রবিবার (৬ অক্টোবর) পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ বদলি করা হয়েছে।
বদলি হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে ২০ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং ১০ জন সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা রয়েছেন। তাদের ডিএমপি, জেলা পুলিশ, সিআইডি, এসবি, এপিবিএন ও র্যাবেও বদলি করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ আটক
সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও খুলনা-৫ আসনের সাবেক সংসদ নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর সীমান্ত থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
আজ রোববার রাতে এক খুদে বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে বিজিবি। এতে বলা হয়, অবৈধভাবে ভারতে পালানোর সময় মহেশপুর সীমান্ত থেকে নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে আটক করা হয়েছে।
নারায়ণ চন্দ্র চন্দ খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) আসনের টানা চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি দশম জাতীয় সংসদে প্রথমে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০১৮ সালে একই মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রী হন। গত জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ভূমিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর নারায়ণ চন্দ্র চন্দসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অপহরণের মামলা করেন এক তরুণী। মামলায় ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদকেও আসামি করা হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভিসা কমিয়ে দেওয়ায় যেসব সমস্যার মুখোমুখি বাংলাদেশ-ভারত
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের ভারতীয় দূতাবাস কিছুদিন ভিসা কার্যক্রম বন্ধ রেখে আবার চালু করলেও তা চলছে অত্যন্ত সীমিত আকারে। বর্তমানে শুধু শিক্ষা ও জরুরি চিকিৎসার জন্য ভিসার আবেদন করা যাচ্ছে। ভারতের ভিসা জটিলতার কারণে বাংলাদেশ থেকে ভারতগামী ফ্লাইটের সংখ্যাও কমে অর্ধেকে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে ইউরোপের অনেক দেশের দূতাবাস ভারতে থাকায় সংকটে পড়ছেন ইউরোপে পড়তে যেতে আগ্রহী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।
এ ছাড়া চিকিৎসার জন্যও ভিসা পেতেও হিমশিম খাচ্ছেন আবেদনকারীরা। সীমিত ভিসা দেওয়ার প্রভাব পড়ছে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও।
ফ্লাইটসংখ্যা কমে অর্ধেক
ভিসা জটিলতার সম্ভবত সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়েছে এয়ারলাইনস ব্যবসায়। বাংলাদেশের তিনটি বিমান সংস্থা নভোএয়ার, ইউএস বাংলা ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ভারতে ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে।
ভিসা জটিলতায় যাত্রী যেতে না পারায় এদের মধ্যে দুইটি বিমান সংস্থার ফ্লাইট কমে অর্ধেকে নেমেছে, আর পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে একটির।
বাংলাদেশ থেকে ভারতে সবচেয়ে বেশি ফ্লাইট পরিচালনা করত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস। ৫ আগস্টের আগে ঢাকা-কলকাতা, ঢাকা-চেন্নাই ও চট্টগ্রাম-কলকাতা এই তিনটি রুটে সপ্তাহে মোট ৩২টি বিমান পরিচালনা করত সংস্থাটি। তবে ৫ আগস্টের পর থেকে দুটি রুটে এই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১২-তে।
আর পুরোপুরি বন্ধ আছে চট্টগ্রাম-কলকাতা রুটে বিমান চলাচল।
একই অবস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের। আগে ঢাকা-কলকাতা, ঢাকা-চেন্নাই ও ঢাকা-দিল্লি রুটে সপ্তাহে ২৮টি ফ্লাইট পরিচালিত হলেও বর্তমানে চলছে মাত্র ১৩টি ফ্লাইট।
আর পুরোপুরি বন্ধ আছে শুধু ঢাকা-কলকাতা রুটে চলাচলকারী নভোএয়ারের ফ্লাইট। সংস্থাটির মার্কেটিং অ্যান্ড সেলসের প্রধান মেজবাউল ইসলাম জানান, আগে প্রতিদিন নভোএয়ারের একটি করে ফ্লাইট ঢাকা থেকে কলকাতায় গেলেও যাত্রী কমার পর তা কমিয়ে সপ্তাহে তিনটি করা হয়।
তবে ১৬ তারিখ থেকে ফ্লাইট চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রেখেছে সংস্থাটি।
ভিসার কারণেই ফ্লাইটসংখ্যা কমে গেছে বলে জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘যারা এখনো ট্র্যাভেল করছেন তাদের আর্লিয়ার (আগের) ভিসা ছিল। হয়তো কিছুদিন পর সেই ভিসাগুলো শেষ হয়ে গেলে ফ্লাইটের সংখ্যা হয়তো আরো কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে, যদি ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা এর মধ্যে ক্লিয়ার না হয়।’
ভারত চিকিৎসা ভিসা দিলেও চেন্নাইগামী ফ্লাইটের সংখ্যাও ‘আপ টু দ্য মার্ক’ না বলে জানান এই কর্মকর্তা। এ ছাড়া ‘৫০ থেকে ৬০ শতাংশ লোড নিয়ে ফ্লাইটগুলো অপারেট করতে হচ্ছে’ বলেও জানান তিনি।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক বোসরা ইসলাম বলেন, ‘যাত্রী যাওয়ার ফ্লো কমে গেছে। কমার ফলে দেখা যাচ্ছে অনেক ফ্লাইট আন্ডারলোড যাচ্ছে। তখন আমরা এটা কমিয়ে নিয়ে এসে এডজাস্ট করেছি যে এ রকম ফ্রিকোয়েন্সি থাকলে আমাদের মোটামুটি অপারেটিং কস্ট উঠে আসবে।’
তবে ভিসা আবার আগের মতো দেওয়া শুরু হলে এবং যাত্রী চাপ বাড়লে আবারও আগের মতো ফ্লাইট পরিচালনা করা যাবে বলে মনে করছেন এই খাতসংশ্লিষ্টরা।
সংকটে ইউরোপে পড়তে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা
ইউরোপের বেশির ভাগ দেশের দূতাবাস বাংলাদেশে নেই। ফলে বাংলাদেশি কোনো শিক্ষার্থীকে ইউরোপের দেশগুলোতে পড়তে যেতে হলে, ভারতে গিয়ে সেই দেশের দূতাবাস থেকে দেশটির ভিসা সংগ্রহ করতে হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ভর্তীচ্ছু শিক্ষার্থীদের প্রথমে ভারতের ভিসা প্রয়োজন হয়। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ৫ আগস্টের দুই দিন পর থেকে ভারতীয় দূতাবাস ভিসা কার্যক্রম বন্ধ রাখে। প্রায় এক সপ্তাহ পর দেশটি ‘সীমিত আকারে’ ভিসার কাজ চালু করে।
সাধারণত কূটনৈতিক, ব্যবসায়ী ও ভ্রমণসহ ১৫টি ক্যাটাগরিতে ভারত বাংলাদেশকে ভিসা দিয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে শুধু শিক্ষা ও জরুরি চিকিৎসার জন্য ভিসা আবেদন করা যাচ্ছে। তবে সে ক্ষেত্রেও বেশ বেগ পেতে হচ্ছে ভিসা আবেদনকারীদের।
পর্যটন ব্যবসায় ধস
গত রবিবার রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে গিয়ে দেখা যায় ভারতীয় ভিসা আবেদনকারীদের ভিড়। কাগজ হাতে দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলোর অপেক্ষা ভারতীয় ভিসার জন্য। কিন্তু সেখানকারই যে দোকানগুলো থেকে ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করা যায়, সেখানটা ছিল অনেকটাই ফাঁকা। বন্ধও ছিল কয়েকটি দোকান।
ব্যবসায়ীরা বলছিলেন, ভারতীয় ভিসা বন্ধ থাকায় ব্যবসার অবস্থা বেশ খারাপ। কারণ এসব দোকান থেকে যে দেশগুলোর ভিসার জন্য আবেদন করা হয়, তার বড় একটি অংশই ভারতের।
কথা হয় এশিয়া ট্যুরস অ্যান্ড ট্র্যাভেলস নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আগে যেখানে শুধু ভারতের জন্য মাসে বারো শ থেকে পনেরো শ ফাইল রেডি করা হতো, সেখানে গত এক মাসে ‘ইমার্জেন্সি কেসের’ মাত্র ১০০টি ফাইল রেডি করা গেছে।’
আর সাবমিট করতে পেরেছেন শুধু আট থেকে ১০টি ফাইল। একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্লট খোলার কারণে সবাই একসঙ্গে তাতে ঢোকার চেষ্টা করায় সার্ভার ডাউন থাকে বলেও জানান এই ব্যবসায়ী। তবে পাসপোর্ট জমা দেওয়ার পাঁচ থেকে সাত দিন পর ডেলিভারি থাকলেও ১৫ দিন পরও তা হাতে না পাওয়ায় আরো বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
চার শয়ের বেশি বাংলাদেশি ভিসা রিভিউ
ভারত থেকে বাংলাদেশিদের যে সীমিতসংখ্যক ভিসা দেওয়া হচ্ছে সেগুলোও বিশেষভাবে খতিয়ে দেখছে ভারত সরকার। ভারতীয় দৈনিক দ্য হিন্দুতে প্রকাশিত একটি খবর বলছে, নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে করা আবেদনের মধ্যেও শুধু আগস্টেই ৪৩৪টি বাংলাদেশি ভিসা রিভিউ করেছে ভারত।
পিআরসি বা প্রায়োর রেফারেল চেকের এই প্রক্রিয়ায় সাধারণত ভিসা দেওয়ার আগে গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলো আবেদনকারীর ব্যাকগ্রাউন্ডের খোঁজ-খবর নেয়। একই মাসে পাকিস্তানের ৮৭৮টি ভিসা রিভিউ করা হয়েছে বলে খবরটিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রভাব পড়েছে ভারতের স্থানীয় ব্যবসায়
ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসে দেশটিতে পর্যটন খাতে ভ্রমণের শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ, যা কিনা সে দেশে মোট বিদেশি পর্যটকের ২১ দশমিক ৫৫ শতাংশ। ফলে ভিসা না দেওয়ায় কেবল যে বাংলাদেশিরাই ভোগান্তিতে পড়ছে, তেমনও না। ভিসা কার্যক্রম সীমিত থাকায় সমস্যায় পড়েছেন ভারতের পর্যটন খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরাও।
রাজেশ আহুজা নামের কলকাতার একজন ব্যবসায়ী বিবিসি বাংলাকে বলেন, “বাংলাদেশে যে ঘটনাটা ঘটল, শুরুতে তাতে একটা ধাক্কা লেগেছে। প্রথম কিছুদিন আমরা ক্লিয়ারলি দেখতে পাই, মানুষ আসা কমে যায়। মাস দুয়েক প্রভাব ছিল। কিন্তু পুরনো যাদের ভিসা ছিল তারা ফিরে আসছে।”
হোটেল ও ট্যুরিজম ব্যবসায়ী মনোতোষ সরকার বলেন, ‘এখন কিছুটা হলেও আমাদের ভাটা পড়েছে। কেননা ট্যুরিস্ট ভিসা বন্ধ আছে, যারা মেডিক্যাল ভিসায় আসছে, তারা টুকটাক আসছে।’
ট্যুরিস্ট ভিসা না থাকায় ব্যবসায় প্রভাব পড়ছে বলে জানাচ্ছিলেন মো. কামরুদ্দিন মল্লিক। তিনি বলেন, ‘সর্বোচ্চ ২০ পারসেন্ট আসছে এখন, ৮০ পারসেন্ট ট্যুরিস্ট নেই। যারা আসছে তারাও মেডিক্যালের কাজ করে চলে যাচ্ছে। ট্যুরিস্ট ভিসা হলে কেনাকাটা কিছুটা হয়।’
ভিসা না দেওয়ার কারণ কী?
‘সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর প্রেক্ষাপটে ভারত আশ্বস্ত হচ্ছে না বলেই হয়তো’ এখনো ভিসা নিয়ে এমন কড়াকড়ি করছে দেশটি, এমনটাই মনে করছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ূন কবির।
কিন্তু কিন্তু ভিসা না দেওয়ায় ভারত ও বাংলাদেশের ওপর কী প্রভাব পড়ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রভাব তো নেতিবাচক বটেই। ভিসা যদি না দেওয়া হয় তাহলে যাতায়াত কমে যায়। যাতায়াত কমা মানে ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ব্যক্তিগত জীবনে অনেকেই নানান জটিলতায় পড়েন। দুই দেশের পিপল টু পিপল কানেক্টিভিটি যেটা ব্যাহত হয় নিশ্চিভাবেই।’
আবার বাংলাদেশিরা দেশটিতে কম যাওয়ায় ভারতের স্থানীয় ব্যবসাও ক্ষতির মুখে পড়ে। হুমাউন কবির বলেন, ‘কলকাতায় বাংলাদেশি ভিজিটরস না থাকার ফলে ট্যুরিজম বড় রকমের ধাক্কা খেয়েছে। কলকাতার বিপণীবিতানগুলোর অবস্থা একটু চাপের মুখে আছে। তাতে করে স্থানীয় অর্থনীতির ওপর একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এটাতে লাভ কারোই হচ্ছে না। দুই দেশের মানুষ এতে করে এফেক্টেড হয়ে যাচ্ছে।’
লাভ না হলেও ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের কঠোরতার কারণ কি শুধুই নিরাপত্তা, না এর পেছনে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তও আছে- উঠছে এমন প্রশ্নও। তবে এ ক্ষেত্রে যদি নিরাপত্তার প্রসঙ্গ মুখ্য হয়ে ওঠে, তবে কূটনৈতিক পদক্ষেপের মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে বলেই মত এই বিশ্লেষকের।
এমআই