কর্পোরেট সংবাদ
রমজানজুড়ে ব্র্যাক ব্যাংক দিচ্ছে ১ হাজারের বেশি আউটলেটে ডিসকাউন্ট

এই রমজানে ব্র্যাক ব্যাংক দিচ্ছে দেশজুড়ে ১০০০টিরও বেশি আউটলেটে আকর্ষণীয় ছাড়। ব্র্যাক ব্যাংকের ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডহোল্ডাররা দেশের স্বনামধন্য পাঁচ তারকা হোটেলগুলোতে ইফতার ও সেহরিতে উপভোগ করবেন ‘বাই ওয়ান গেট ফোর’ পর্যন্ত অফার। এছাড়াও কার্ডহোল্ডাররা ডাইনিং, লাইফস্টাইল, জুয়েলারি, এয়ারলাইন টিকিট ও হোটেল বুকিং, ইলেকট্রনিক্স ও ফার্নিচার, ই-কমার্স কেনাকাটাসহ আরও অসংখ্য জিনিসের ওপর উপভোগ করতে পারবেন বিশেষ ছাড়। পাশাপাশি গ্রাহকরা বিভিন্ন ধরনের কেনাকাটায় পাবেন বিভিন্ন পরিমাণে ক্যাশব্যাক সুবিধা।
পুরো রমজান মাসজুড়ে ঈদের দিন পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংকের গ্রাহকরা ৬০০০-এরও বেশি মার্চেন্ট পার্টনারদের ১০০০টিরও বেশি আউটলেটে বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় অফার উপভোগ করতে পারবেন।
সকল ব্র্যাক ব্যাংক কার্ডহোল্ডার রমজানের প্রথম ১০ দিন সিক্স সিজন্স হোটেলে ইফতার-ডিনার ও সেহরিতে উপভোগ করবেন ‘বাই ওয়ান গেট ফোর’ অফার এবং রমজানের বাকি দিনগুলোতে উপভোগ করবেন ‘বাই ওয়ান গেট থ্রি অফার’। পুরো রমজানজুড়ে লেকশোর হাইটে থাকছে ‘বাই ওয়ান গেট ফোর’, বেস্ট ওয়েস্টার্ন প্লাস মায়ায় থাকছে ‘বাই ওয়ান গেট থ্রি’ এবং আমারি ঢাকা, ক্রাউন প্লাজা গুলশান, রেনেসাঁ গুলশান, হোটেল সারিনা, হোটেল বেঙ্গল ব্লুবেরি, গোল্ডেন টিউলিপ এবং ইনোটেল হোটেলে থাকছে ‘বাই ওয়ান গেট টু’ উপভোগ করার সুযোগ।
এছাড়াও ‘বাই ওয়ান গেট ওয়ান’ অফার উপভোগের সুযোগ থাকছে শেরাটন ঢাকা, দ্য ওয়েস্টিন ঢাকা, লো মেরিডিয়েন ঢাকা, ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা, প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও, রেডিসন ব্লু ঢাকা ও চট্টগ্রাম, রামাদা কক্সবাজার, আমারি ঢাকা, হলিডে ইন, লেকশোর গ্র্যান্ড, হোটেল সারিনা, অ্যাস্কট দ্য রেসিডেন্স, স্প্যারোস, দ্য পেনিনসুলা চট্টগ্রাম, হোটেল আগ্রাবাদ, গ্র্যান্ড সিলেট হোটেল এবং রোজ ভিউ হোটেলসহ ৫৫টি হোটেলে।
ব্রিউজ অ্যান্ড বাইটস, সিক্রেট রেসিপি, দ্য মাস্টার শেফ বারবিকিউ, রিগালো, এল তোরো, বার-বি-কিউ টুনাইট, ব্যাম্বু শুট, মাস্টার শেফ বারবিকিউ, দ্য ওয়েস্টিন ঢাকা, শেরাটন ঢাকা, আমারি ঢাকা, ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা, হলিডে ইন ঢাকা, দ্য কফি লাউঞ্জসহ দেশের প্রধান প্রধান শহরগুলোর ১১৩টি হোটেল এবং রেস্তোরাঁয় গ্রাহকরা ৩০% পর্যন্ত ছাড় উপভোগ করতে পারবেন। ব্র্যাক ব্যাংক কার্ডহোল্ডাররা ১৭৭টি লাইফস্টাইল পার্টনার শপে ৬০ শতাং শ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট উপভোগ করতে পারবেন।
প্রধান প্রধান লাইফস্টাইল পার্টনারদের মধ্যে রয়েছে জারা ফ্যাশন মল, আর্টিসান, অ্যাস্টোরিয়ন, বিশ্বরং, কে ক্রাফ্ট, রং বাংলাদেশ, টাঙ্গাইল শাড়ি কুটির, সেইলর, ওমেনস ওয়ার্ল্ড ইত্যাদি। এছাড়াও গ্রাহকরা নামকরা ২২টি জুয়েলারি শপে ৬০% পর্যন্ত ছাড় উপভোগ করতে পারবেন।
ব্র্যাক ব্যাংকের গ্রাহকরা লং বিচ হোটেল, ওশেন প্যারাডাইস, মোমো ইন, নাজিমগড় রিসোর্টস, ব্র্যাক সিডিএম, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, নভোএয়ার, গোজায়ান, শেয়ারট্রিপসহ ৭৭টি ট্রাভেল এবং এয়ারলাইন পার্টনারদের কাছ থেকে ৭০শতাংশ পর্যন্ত ছাড় উপভোগ করতে পারবেন।
অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলের ক্ষেত্রে ব্র্যাক ব্যাংক কার্ড ব্যবহারকারী গ্রাহকরা নভোএয়ার, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এবং এয়ার অ্যাস্ট্রার টিকিটের বেইজ প্রাইসে পাবেন ১০% ছাড়। ৩১ মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে গোজায়ান থেকে আন্তর্জাতিক রুটের টিকিট কেনার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের জন্য থাকছে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত ছাড় উপভোগ করার সুযোগ। এয়ার টিকিট এবং হোটেল বুকিংয়ের ক্ষেত্রে গ্রাহকরা ৭৭টি ট্রাভেল এবং এয়ারলাইন্স পার্টনারদের সাথে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় উপভোগ করতে পারবেন।
আসবাবপত্র কেনাকাটায় ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডহোল্ডাররা ব্রাদার্স ফার্নিচার, রিগাল, হাতিল, অটোবি, নাদিয়া ফার্নিচার এবং নাভানা ফার্নিচারসহ নামকরা সব ব্র্যান্ডে পাবেন ১২ মাস পর্যন্ত ০% পেফ্লেক্স সুবিধা উপভোগের সুযোগ।
ট্রান্সকম, বাটারফ্লাই মার্কেটিং, সিঙ্গার, এস্কয়ার ইলেকট্রনিক্স, র্যাংগস ইলেকট্রনিক্স, র্যাংগস ইন্ডাস্ট্রিজ এবং ফেয়ার ইলেকট্রনিক্সসহ নামীদামি ইলেকট্রনিক্স এবং হোম অ্যাপ্লায়েন্স ব্র্যান্ডগুলোর পণ্য কেনাকাটায় ক্রেডিট কার্ডহোল্ডাররা ২৪ মাস পর্যন্ত ০% পেফ্লেক্স সুবিধা উপভোগ করার পাশাপাশি পাবেন ২,৫০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পাওয়ার সুযোগ। ই-কমার্স কেনাকাটায় ব্র্যাক ব্যাংকের কার্ডহোল্ডাররা ব্যাংকের ৩৬টি মার্চেন্ট পার্টনারের কাছে পাবেন ২০% পর্যন্ত ছাড় উপভোগের সুযোগ।
রমজান মাসজুড়ে গ্রাহকদের আকর্ষণীয় ক্যাশব্যাক অফার দিচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংক। ব্র্যাক ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডহোল্ডাররা আস্থা অ্যাপের মাধ্যমে কিউআর ট্রানজ্যাকশনে ১০% ক্যাশব্যাক সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। কার্ডহোল্ডাররা অনলাইন শপিং এবং খাবার ডেলিভারির ক্ষেত্রেও ১০% ক্যাশব্যাক সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়াও ব্যাংকের ‘তারা’ কার্ডহোল্ডাররা রমজানজুড়ে নির্দিষ্ট পার্লার এবং সেলুনে ৫% ক্যাশব্যাক সুবিধা পাবেন। তাছাড়া ব্র্যাক ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডহোল্ডারদের জন্য থাকছে দেশব্যাপী নামকরা শপিংমলে ঈদের কেনাকাটায় ২,০০০ রিওয়ার্ড পয়েন্টস অর্জনের সুযোগ।
এই আকর্ষণীয় অফারগুলো সম্পর্কে ব্র্যাক ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং মো. মাহীয়ুল ইসলাম বলেন, বিশেষ উপলক্ষ্যগুলোকে আরও বেশি রাঙিয়ে তুলতে ব্র্যাক ব্যাংক সবসময় গ্রাহকদের জন্য সেরা অফারগুলো নিয়ে আসে। সব ক্যাটাগরির সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আমাদের রমজান এবং ঈদকেন্দ্রিক এই অফারগুলো আমাদের গ্রাহকদের পরিবার ও পরিজনদের নিয়ে এই বিশেষ উৎসব উদ্যাপনের সাথে যোগ করবে আনন্দের নতুন মাত্রা। আমাদের ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ড ১,০০০-এরও বেশি পার্টনারদের কাছে আমাদের গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে এসেছে। আমরা আশা করি, এই অফারগুলো রমজানজুড়ে আমাদের গ্রাহকদের আকর্ষণীয় ও আনন্দময় সুযোগ-সুবিধা দেবে।

কর্পোরেট সংবাদ
প্রাইম ব্যাংক ও বিকাশের ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট সেবা বিষয়ক চুক্তি

দৈনন্দিন লেনদেন কার্যক্রমে অধিক দক্ষতা নিশ্চিত করতে প্রাইম ব্যাংক পিএলসির বিশেষায়িত ডিজিটাল ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট সেবা ব্যবহার করবে বিকাশ লিমিটেড। সম্প্রতি গুলশানে ব্যাংকের করপোরেট কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠান দুটি এ সম্পর্কিত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
এই অংশীদারিত্বের আওতায় বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর ও এজেন্টরা ই-মানি সঞ্চয় এবং সেটি ক্যাশ করার প্রয়োজনে সার্বক্ষণিক (২৪x৭) ভিত্তিতে বিকাশ চ্যানেল অ্যাকাউন্ট ও বিশেষ ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মধ্যে সহজেই ফান্ড ট্রান্সফার করতে পাবেন। এই প্রক্রিয়া একটি এপিআই ভিত্তিক যাচাইকরণ ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হবে, যা সকল ছুটির দিনেও কার্যকর থাকবে। সেবাটির সাথে অটোমেটেড রিকনসিলিয়েশন এবং কাস্টমাইজড রিপোর্টিংয়ের সুবিধাও থাকছে, যা কার্যক্রমে গতি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে।
এছাড়াও, বিকাশ প্রাইম ব্যাংকের অমনি-ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘প্রাইমপে’ ব্যবহার করে হোস্ট-টু-হোস্ট সংযোগের মাধ্যমে সকল ধরণের অভ্যন্তরীণ লেনদেন কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
প্রাইম ব্যাংক পিএলসির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সাল রহমান এবং বিকাশের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার মঈনুদ্দিন মোহাম্মদ রাহগীর নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রাইম ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কর্পোরেট ও ইনস্টিটিউশনাল ব্যাংকিং বিভাগের ঢাকা এরিয়া হেড সাজিদ রহমান; সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট প্রোডাক্ট মো. রাশেদুল হোসেন; বিকাশের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ; এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব ট্রেজারি, ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস আহমেদ আশরাফ শরীফ এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
এসএম
কর্পোরেট সংবাদ
বিকাশ অ্যাপেই এখন পাওয়া যাচ্ছে রেমিটেন্স স্টেটমেন্ট

প্রবাসীদের প্রিয়জনের সুবিধার কথা বিবেচনায় রেখে বিকাশ অ্যাপে এবার যুক্ত হয়েছে ‘রেমিটেন্স স্টেটমেন্ট’ সেবা। নতুন যুক্ত হওয়া এই ফিচারের মাধ্যমে এখন গ্রাহক যেকোনো সময় তাঁর প্রয়োজনমত রেমিটেন্স স্টেটমেন্ট নিতে পারবেন যা অ্যাকাউন্টে গ্রহণ করা রেমিটেন্সের রেকর্ড রাখবে। ফলে, তাঁর আর্থিক ব্যবস্থাপনা হবে আরো সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময়। আয়কর পরিশোধের ক্ষেত্রেও এই স্টেটমেন্ট কাজে লাগবে।
বিকাশ অ্যাপের রেমিটেন্স আইকনে তিনটি ট্যাব যুক্ত আছে- দেশ অনুযায়ী অপারেটর, রেমিটেন্স স্টেটমেন্ট এবং রিসিট। স্টেটমেন্ট অংশে ট্যাপ করে গ্রাহক রেমিটেন্স স্টেটমেন্ট নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবেন। চাইলে ৩০ দিন, ১৮০ দিন, কর-বছর বা নিজের পছন্দমত তারিখ অনুসারে রেমিটেন্সের স্টেটমেন্টের জন্য রিকুয়েস্ট করা যাবে। দিনে ২ বার ও মাসে সর্বোচ্চ ৫ বার এই রিকুয়েস্ট করা যাবে। রিকুয়েস্ট জমা দেয়ার পর সর্বোচ্চ ৭২ ঘন্টার মধ্যে স্টেটমেন্ট পেয়ে যাবেন গ্রাহক। স্টেটমেন্ট তৈরি হলে অ্যাপে নোটিফিকেশনও পাবেন গ্রাহক। এরপর ডাউনলোড করে স্টেটমেন্ট টি ব্যবহার করতে পারবেন। গ্রাহক নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে স্টেটমেন্টটিকে পাসওয়ার্ড দ্বারা সুরক্ষিত রাখা হয়েছে। গ্রাহক রেমিটেন্স স্টেটমেন্টটি পাবেন বিনামূল্যে।
রেমিটেন্স গ্রহীতার নাম, বিকাশ নম্বর, গ্রহীতার ধরন, স্টেটমেন্টের এর সময়সীমা, এবং ইস্যু ডেট থাকবে স্টেটমেন্টের উপরের অংশে এবং নিচের অংশে মোট রেমিটেন্সের সংখ্যা এবং পরিমান থাকবে গ্রাহকের সুবিধার জন্য।
অন্যান্য আর্থিক লেনদেনের মত পরের অংশ প্রতিটি লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে-শুরুতে রেমিটেন্স গ্রহণের সময় এবং তারিখ, যে দেশ থেকে পাঠানো হয়েছে সে দেশের নাম, সেটেলমেন্ট ব্যাংকের নাম, মানি ট্রান্সফার প্রতিষ্ঠানের নাম এবং পাঠানো রেমিটেন্সের সমপরিমান টাকার অংক লেখা থাকবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আসা সব রেমিটেন্সেরই বিস্তারিত তারিখ অনুসারে স্টেটমেন্টে যুক্ত থাকবে।
উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত দেশে থাকা প্রিয়জনের ৪০ লাখেরও বেশি বিকাশ অ্যাকাউন্টে বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। প্রবাসীর পাঠানো রেমিটেন্স সবচেয়ে সহজে তাঁর প্রিয়জনের কাছে পৌঁছে দিতে ধারাবাহিকভাবে নানা সুবিধা যুক্ত করে চলেছে বিকাশ। দেশে থাকা পরিবারের জীবন-মান উন্নয়নের পাশাপাশি প্রবাসীদের পাঠানো এই রেমিটেন্স বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী করে দেশের অর্থনীতিকেও গতিশীল করছে। বর্তমানে বিশ্বের ১৪০টিরও বেশি দেশ থেকে ১১০টি আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটরের (এমটিও) মাধ্যমে দেশের ২৫টি শীর্ষ বাণিজ্যিক ব্যাংকে সেটলমেন্ট হয়ে রেমিট্যান্স পৌঁছাচ্ছে বিকাশ অ্যাকাউন্টে। এ ছাড়া বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে বিকাশ।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
এবি ব্যাংকের ৪৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা

এবি ব্যাংক পিএলসির ৪৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাইজার এ. চৌধুরী। এছাড়া এতে ব্যাংকের পরিচালকবৃন্দ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মিজানুর রহমানসহ শেয়ারহোল্ডাররা অংশগ্রহণ করেন।
এতে সাজির আহমেদকে ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে পুনঃনির্বাচিত এবং ড. নাসিমা এ. রহমানকে ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগের অনুমোদন করা হয়। এতে পরিচালক প্রতিবেদন ও নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন-২০২৪ গৃহীত হয়।
এছাড়াও, ২০২৫ সালের জন্য এমএম রহমান এন্ড কোং, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসকে বিধিবদ্ধ নিরীক্ষক এবং এস এফ আহমেদ এন্ড কোং, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসকে কর্পোরেট গভর্নেন্স কমপ্লায়েন্স নিরীক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
দেশের প্রথম বেসরকারি ব্যাংক হিসাবে এ বছর এবি ব্যাংক ব্যাংকিং কার্যক্রমের ৪৩ বছর পূর্ণ করেছে। সভায় ব্যাংকের এই চার দশকের সঙ্গী সকল নীতিনির্ধারক, শেয়ারহোল্ডারবৃন্দ, আমানতকারী, গ্রাহক এবং পৃষ্ঠপোষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের নবনিযুক্ত এমডির সঙ্গে মতবিনিময় সভা

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির নবনিযুক্ত ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (এমডি) মো. ওমর ফারুক খাঁন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, জোন ও শাখা প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।
সোমবার (৪ আগস্ট) হাইব্রিড সিস্টেমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. আলতাফ হুসাইন, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মাহমুদুর রহমান ও মুহাম্মদ সাঈদ উল্লাহ। স্বাগত বক্তব্য দেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ড. এম কামাল উদ্দীন জসীম। এসময় ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টরবৃন্দ, প্রধান কার্যালয়ের উইং ও ডিভিশন প্রধান, ঊর্ধ্বতন নির্বাহীবৃন্দ, ১৬টি জোনের জোনপ্রধান, ৪০০টি শাখার ব্যবস্থাপকগণ এবং ২৭১টি উপশাখার ইনচার্জগণ অংশ নেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. ওমর ফারুক খাঁন বলেন, ইসলামী ব্যাংক দেশের বৃহত্তম ব্যাংক এবং সামগ্রিক অর্থনীতির মেরুদন্ড হিসেবে বিবেচিত। দেশের মানুষের অবিরাম আস্থার কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। বিগত কয়েক বছরে এ আস্থার কিছু ঘাটতি হলেও নতুন বাংলাদেশে তা ফিরে এসেছে।
তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংকের ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তিনি ব্যাংকের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা থেকে উত্তরণে সার্বিক প্রচেষ্টা চালাতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন। তিনি ইসলামী ব্যাংককে একটি আধুনিক এবং স্মার্ট ব্যাংক হিসেবে গড়ে তুলতে সততা, আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
কর্পোরেট সংবাদ
রেমিট্যান্স গ্রাহকদের সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন জেলায় ব্র্যাক ব্যাংকের নানা আয়োজন

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জেলায় রেমিট্যান্স গ্রাহকদের নিয়ে একাধিক গ্রাহক-সম্পৃক্ততা সেশনের আয়োজন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
সুনামগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদী, চাঁদপুর, সিলেট এবং কুমিল্লার মতো রেমিট্যান্স-নির্ভর জেলাগুলোতে আয়োজিত এই সেশনের লক্ষ্য ছিল, রেমিট্যান্সের ব্যবহার ও বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানো নিয়ে রেমিটেন্স গ্রহীতাদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শের পাশাপাশি ব্যাংকটির প্রবাসী ব্যাংকিং সেবা সম্পর্কে গ্রাহকদের জানানো।
‘উঠান বৈঠক’ ও ব্রাঞ্চ লেভেলে আয়োজিত এই সেশনগুলোতে বিদ্যমান ও সম্ভাব্য রেমিট্যান্স গ্রাহকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। সেশনে অংশগ্রহণকারীদের কাছে ব্র্যাক ব্যাংকের ‘প্রবাসী পরিবার’ এবং ‘তারা প্রবাসী পরিবার’ অ্যাকাউন্টের বৈশিষ্ট্য ও সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরা হয়। হুন্ডির মতো অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ পথে রেমিট্যান্স না পাঠিয়ে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানোর ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয় সেশনগুলোতে।
এই ক্যাম্পেইনে বিপুলসংখ্যক গ্রাহকের অংশগ্রহণ ও উৎসাহ দেখা গিয়েছে, যার ফলস্বরূপ ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে থাকা গ্রাহকরা কয়েকশ নতুন ব্যাংক অ্যাকাউন্টও খুলেছেন। এ সময় অংশগ্রহণকারীরা ব্র্যাক ব্যাংকের ডিজিটাল চ্যানেল ও প্রোডাক্ট- যেমন অ্যাস্থা অ্যাপ, এসএমই স্বাবলম্বী ঋণ এবং রেমিট্যান্স-কেন্দ্রিক অন্যান্য সেবার ব্যাপারে নিজেদের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ব্র্যাক ব্যাংকের এমন উদ্যোগ সম্পর্কে ব্র্যাক ব্যাংকটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব ট্রেজারি অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস মো. শাহীন ইকবাল সিএফএ বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো, রেমিট্যান্স গ্রাহকদের সর্বোত্তম ব্যাংকিং সেবা দেওয়ার মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি করা। এ লক্ষ্যে আমরা আমাদের ব্যাংকিং সেবাগুলো এমনভাবে সাজিয়েছি, যা একদিকে যেমন দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে ভূমিকা রাখবে, তেমনি অন্যদিকে গ্রাহকদের অবৈধ চ্যানেলের পরিবর্তে ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহারে উৎসাহিত করবে।”
এই উদ্যোগ দেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির প্রসার এবং একটি নিরাপদ ও টেকসই রেমিট্যান্স ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।