কর্পোরেট সংবাদ
রমজানজুড়ে ব্র্যাক ব্যাংক দিচ্ছে ১ হাজারের বেশি আউটলেটে ডিসকাউন্ট

এই রমজানে ব্র্যাক ব্যাংক দিচ্ছে দেশজুড়ে ১০০০টিরও বেশি আউটলেটে আকর্ষণীয় ছাড়। ব্র্যাক ব্যাংকের ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডহোল্ডাররা দেশের স্বনামধন্য পাঁচ তারকা হোটেলগুলোতে ইফতার ও সেহরিতে উপভোগ করবেন ‘বাই ওয়ান গেট ফোর’ পর্যন্ত অফার। এছাড়াও কার্ডহোল্ডাররা ডাইনিং, লাইফস্টাইল, জুয়েলারি, এয়ারলাইন টিকিট ও হোটেল বুকিং, ইলেকট্রনিক্স ও ফার্নিচার, ই-কমার্স কেনাকাটাসহ আরও অসংখ্য জিনিসের ওপর উপভোগ করতে পারবেন বিশেষ ছাড়। পাশাপাশি গ্রাহকরা বিভিন্ন ধরনের কেনাকাটায় পাবেন বিভিন্ন পরিমাণে ক্যাশব্যাক সুবিধা।
পুরো রমজান মাসজুড়ে ঈদের দিন পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংকের গ্রাহকরা ৬০০০-এরও বেশি মার্চেন্ট পার্টনারদের ১০০০টিরও বেশি আউটলেটে বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় অফার উপভোগ করতে পারবেন।
সকল ব্র্যাক ব্যাংক কার্ডহোল্ডার রমজানের প্রথম ১০ দিন সিক্স সিজন্স হোটেলে ইফতার-ডিনার ও সেহরিতে উপভোগ করবেন ‘বাই ওয়ান গেট ফোর’ অফার এবং রমজানের বাকি দিনগুলোতে উপভোগ করবেন ‘বাই ওয়ান গেট থ্রি অফার’। পুরো রমজানজুড়ে লেকশোর হাইটে থাকছে ‘বাই ওয়ান গেট ফোর’, বেস্ট ওয়েস্টার্ন প্লাস মায়ায় থাকছে ‘বাই ওয়ান গেট থ্রি’ এবং আমারি ঢাকা, ক্রাউন প্লাজা গুলশান, রেনেসাঁ গুলশান, হোটেল সারিনা, হোটেল বেঙ্গল ব্লুবেরি, গোল্ডেন টিউলিপ এবং ইনোটেল হোটেলে থাকছে ‘বাই ওয়ান গেট টু’ উপভোগ করার সুযোগ।
এছাড়াও ‘বাই ওয়ান গেট ওয়ান’ অফার উপভোগের সুযোগ থাকছে শেরাটন ঢাকা, দ্য ওয়েস্টিন ঢাকা, লো মেরিডিয়েন ঢাকা, ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা, প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও, রেডিসন ব্লু ঢাকা ও চট্টগ্রাম, রামাদা কক্সবাজার, আমারি ঢাকা, হলিডে ইন, লেকশোর গ্র্যান্ড, হোটেল সারিনা, অ্যাস্কট দ্য রেসিডেন্স, স্প্যারোস, দ্য পেনিনসুলা চট্টগ্রাম, হোটেল আগ্রাবাদ, গ্র্যান্ড সিলেট হোটেল এবং রোজ ভিউ হোটেলসহ ৫৫টি হোটেলে।
ব্রিউজ অ্যান্ড বাইটস, সিক্রেট রেসিপি, দ্য মাস্টার শেফ বারবিকিউ, রিগালো, এল তোরো, বার-বি-কিউ টুনাইট, ব্যাম্বু শুট, মাস্টার শেফ বারবিকিউ, দ্য ওয়েস্টিন ঢাকা, শেরাটন ঢাকা, আমারি ঢাকা, ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা, হলিডে ইন ঢাকা, দ্য কফি লাউঞ্জসহ দেশের প্রধান প্রধান শহরগুলোর ১১৩টি হোটেল এবং রেস্তোরাঁয় গ্রাহকরা ৩০% পর্যন্ত ছাড় উপভোগ করতে পারবেন। ব্র্যাক ব্যাংক কার্ডহোল্ডাররা ১৭৭টি লাইফস্টাইল পার্টনার শপে ৬০ শতাং শ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট উপভোগ করতে পারবেন।
প্রধান প্রধান লাইফস্টাইল পার্টনারদের মধ্যে রয়েছে জারা ফ্যাশন মল, আর্টিসান, অ্যাস্টোরিয়ন, বিশ্বরং, কে ক্রাফ্ট, রং বাংলাদেশ, টাঙ্গাইল শাড়ি কুটির, সেইলর, ওমেনস ওয়ার্ল্ড ইত্যাদি। এছাড়াও গ্রাহকরা নামকরা ২২টি জুয়েলারি শপে ৬০% পর্যন্ত ছাড় উপভোগ করতে পারবেন।
ব্র্যাক ব্যাংকের গ্রাহকরা লং বিচ হোটেল, ওশেন প্যারাডাইস, মোমো ইন, নাজিমগড় রিসোর্টস, ব্র্যাক সিডিএম, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, নভোএয়ার, গোজায়ান, শেয়ারট্রিপসহ ৭৭টি ট্রাভেল এবং এয়ারলাইন পার্টনারদের কাছ থেকে ৭০শতাংশ পর্যন্ত ছাড় উপভোগ করতে পারবেন।
অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলের ক্ষেত্রে ব্র্যাক ব্যাংক কার্ড ব্যবহারকারী গ্রাহকরা নভোএয়ার, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এবং এয়ার অ্যাস্ট্রার টিকিটের বেইজ প্রাইসে পাবেন ১০% ছাড়। ৩১ মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে গোজায়ান থেকে আন্তর্জাতিক রুটের টিকিট কেনার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের জন্য থাকছে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত ছাড় উপভোগ করার সুযোগ। এয়ার টিকিট এবং হোটেল বুকিংয়ের ক্ষেত্রে গ্রাহকরা ৭৭টি ট্রাভেল এবং এয়ারলাইন্স পার্টনারদের সাথে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় উপভোগ করতে পারবেন।
আসবাবপত্র কেনাকাটায় ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডহোল্ডাররা ব্রাদার্স ফার্নিচার, রিগাল, হাতিল, অটোবি, নাদিয়া ফার্নিচার এবং নাভানা ফার্নিচারসহ নামকরা সব ব্র্যান্ডে পাবেন ১২ মাস পর্যন্ত ০% পেফ্লেক্স সুবিধা উপভোগের সুযোগ।
ট্রান্সকম, বাটারফ্লাই মার্কেটিং, সিঙ্গার, এস্কয়ার ইলেকট্রনিক্স, র্যাংগস ইলেকট্রনিক্স, র্যাংগস ইন্ডাস্ট্রিজ এবং ফেয়ার ইলেকট্রনিক্সসহ নামীদামি ইলেকট্রনিক্স এবং হোম অ্যাপ্লায়েন্স ব্র্যান্ডগুলোর পণ্য কেনাকাটায় ক্রেডিট কার্ডহোল্ডাররা ২৪ মাস পর্যন্ত ০% পেফ্লেক্স সুবিধা উপভোগ করার পাশাপাশি পাবেন ২,৫০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পাওয়ার সুযোগ। ই-কমার্স কেনাকাটায় ব্র্যাক ব্যাংকের কার্ডহোল্ডাররা ব্যাংকের ৩৬টি মার্চেন্ট পার্টনারের কাছে পাবেন ২০% পর্যন্ত ছাড় উপভোগের সুযোগ।
রমজান মাসজুড়ে গ্রাহকদের আকর্ষণীয় ক্যাশব্যাক অফার দিচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংক। ব্র্যাক ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডহোল্ডাররা আস্থা অ্যাপের মাধ্যমে কিউআর ট্রানজ্যাকশনে ১০% ক্যাশব্যাক সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। কার্ডহোল্ডাররা অনলাইন শপিং এবং খাবার ডেলিভারির ক্ষেত্রেও ১০% ক্যাশব্যাক সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়াও ব্যাংকের ‘তারা’ কার্ডহোল্ডাররা রমজানজুড়ে নির্দিষ্ট পার্লার এবং সেলুনে ৫% ক্যাশব্যাক সুবিধা পাবেন। তাছাড়া ব্র্যাক ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডহোল্ডারদের জন্য থাকছে দেশব্যাপী নামকরা শপিংমলে ঈদের কেনাকাটায় ২,০০০ রিওয়ার্ড পয়েন্টস অর্জনের সুযোগ।
এই আকর্ষণীয় অফারগুলো সম্পর্কে ব্র্যাক ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং মো. মাহীয়ুল ইসলাম বলেন, বিশেষ উপলক্ষ্যগুলোকে আরও বেশি রাঙিয়ে তুলতে ব্র্যাক ব্যাংক সবসময় গ্রাহকদের জন্য সেরা অফারগুলো নিয়ে আসে। সব ক্যাটাগরির সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আমাদের রমজান এবং ঈদকেন্দ্রিক এই অফারগুলো আমাদের গ্রাহকদের পরিবার ও পরিজনদের নিয়ে এই বিশেষ উৎসব উদ্যাপনের সাথে যোগ করবে আনন্দের নতুন মাত্রা। আমাদের ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ড ১,০০০-এরও বেশি পার্টনারদের কাছে আমাদের গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে এসেছে। আমরা আশা করি, এই অফারগুলো রমজানজুড়ে আমাদের গ্রাহকদের আকর্ষণীয় ও আনন্দময় সুযোগ-সুবিধা দেবে।

কর্পোরেট সংবাদ
ব্র্যাক ব্যাংকের ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্কের নিট ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা

চলতি ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্ক ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকার নিট ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এই ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি আমানত সংগ্রহে ব্যাংকটির টেকসইতার প্রতিফলন। বিগত কয়েক বছর ধরে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কের এই লক্ষণীয় ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ব্যাংকটির ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্কের এমন মাইলফলক ব্যাংকিং খাতে আমানত সংগ্রহে নতুন বেঞ্চমার্ক তৈরি করে চলেছে।
এই সাফল্য উদ্যাপনের লক্ষ্যে ব্যাংকটি ১৫ জুলাই ২০২৫ ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আয়োজনে ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্কের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগ দেন ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান এবং ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক শেখ মোহাম্মদ আশফাক।
এ সময় ব্র্যাংকটির ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কের রিজিওনাল হেড, ক্লাস্টার হেড এবং ব্রাঞ্চ ম্যানেজারসহ উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র জোনাল হেড (নর্থ) এ. কে. এম. তারেক এবং সিনিয়র জোনাল হেড (সাউথ) তাহের হাসান আল মামুন।
ব্যাংকের এমন সাফল্যে গ্রাহক আস্থা এবং গ্রাহকদের সাথে সুসম্পর্কের বিষয়টির ওপর জোর দিয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, গ্রাহকের সাথে আস্থার সম্পর্ককে আমরা আমানত সংগ্রহে সবচেয়ে বড় দক্ষতা হিসেবে দেখি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ২০২৫ সালের বাকি সময়ে এবং সামনের বছরগুলোতেও ডিপোজিট প্রবৃদ্ধিতে আমাদের এমন সাফল্য অব্যাহত থাকবে।
কর্পোরেট সংবাদ
এসডিজি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করলো ইউনিলিভার বাংলাদেশ

বাংলাদেশের ‘মোস্ট সাসটেইনেবল কোম্পানি অব দ্য ইয়ার’ হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় নিত্য-ব্যবহার্য ও ভোগ্যপণ্য (এফএমসিজি) উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড (ইউবিএল)। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি ‘মোস্ট সাসটেইনেবল এফএমসিজি কোম্পানি অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কারও অর্জন করেছে।
ষাট বছরেরও বেশি সময় ধরে, ৩৯.২৫% সরকারি মালিকানাধীন এই এফএমসিজি (কনজিউমার গুডস / ভোগ্যপণ্য) কোম্পানিটি শুধু আন্তর্জাতিক মানের পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহ করেই নয়, বরং মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, সামাজিক অগ্রগতি এবং পরিবেশ সংরক্ষণে ইতিবাচক অবদান রেখে চলেছে। ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড জাতিসংঘ ঘোষিত ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের মধ্যে ১৩টিতে কৌশলগতভাবে অবদান রেখে আসছে এবং ২০২০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১২ কোটি মানুষের জীবন স্পর্শ করেছে ও ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
২০২৫ সালের এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড উদ্যোগে ‘সেরা টেকসই কোম্পানি’ হিসেবে সম্মাননা অর্জনের পাশাপাশি, ইউনিলিভার বাংলাদেশ আরও ৬টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম আয়োজিত উদ্যোগে ইউনিলিভার বাংলাদেশ সামগ্রিক ভাবে সর্বোচ্চ সংখ্যক সম্মাননা অর্জন করেছে।
ইউনিলিভার বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের জন্য পুরস্কৃত হয়েছে। ‘সাসটেইনেবল পার্টনারশিপস অ্যান্ড ইনস্টিটিউশন্স’ ক্যাটাগরিতে ‘ডোমেক্স অ্যান্ড ভূমিজ’স ফাইট অ্যাগেইনস্ট পুওর স্যানিটেশন’, ‘সাসটেইনেবল কমিউনিটি’ ক্যাটাগরিতে ‘এমপাওয়ারিং দ্য ইয়ুথ ইন ভলান্টিয়ারিজম’ এবং ‘ডিসেন্ট ওয়ার্ক অ্যান্ড ইকোনমিক গ্রোথ’ ক্যাটাগরিতে ‘ওয়েস্ট ওয়ার্কার্স লাইভলিহুড এনহ্যান্সমেন্ট ইন চট্টগ্রাম’ প্রকল্পেও পুরস্কার পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ‘রেসপন্সিবল কনজাম্পশন অ্যান্ড প্রোডাকশন’ ক্যাটাগরিতে ‘রেসপনসিবল সোর্সিং ফর আ গ্রিনার টুমরো’ এবং ‘ক্লাইমেট অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ক্যাটাগরিতে ‘সাসটেইনেবিলিটি ইন মোশন: টুওয়ার্ডস আ গ্রিনার টুমরো’ প্রকল্পে ‘অনারেবল মেনশন’ অর্জন করেছে।
বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায়, বাংলাদেশ সাসটেইনেবল সামিটে আয়োজিত ‘এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫’ অনুষ্ঠানে ইউনিলিভার বাংলাদেশ এই সম্মাননাগুলো লাভ করে।
কর্পোরেট সংবাদ
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে অনুদান দিলো জিপিএইচ ইস্পাত

বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় স্টিল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জিপিএইচ ইস্পাত শিল্প শ্রমিকদের কল্যাণে তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে অর্থ প্রদান করে প্রতিষ্ঠানটি এ অঙ্গীকারের বাস্তব প্রতিফলন ঘটালো।
কোম্পানির ওয়ার্কারস প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড (ডব্লিউপিপিএফ) থেকে এই অর্থ শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে প্রদান করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকায় এক আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই অনুদান হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানটিতে চেক গ্রহণ করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। জিপিএইচ ইস্পাতের পক্ষে অনুদানের চেক আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন প্রতিষ্ঠানটির ডিরেক্টর মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান, চিফ পিপল অফিসার শারমিন সুলতান এবং গ্রুপ চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) এইচ এম আশরাফ-উজ-জামান এফসিএ।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে জিপিএইচ ইস্পাত অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই শিল্পোন্নয়নে তাদের প্রতিশ্রুতি পুনঃনিশ্চিত করেছে। প্রতিষ্ঠানটি দৃঢ় বিশ্বাস করে যে, শিল্পের উন্নয়ন ও শ্রমিক কল্যাণ একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এই অনুদান প্রদানের মাধ্যমে জিপিএইচ ইস্পাত প্রমাণ করেছে যে, তারা একটি দায়িত্বশীল কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে শ্রমিকদের সঠিক উন্নয়নের অংশীদার করতে বদ্ধপরিকর, যা তারাই নিজেদের শ্রম ও প্রচেষ্টায় গড়ে তুলছেন।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল দেশের শ্রমিক ও তাদের পরিবারের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। জিপিএইচ ইস্পাতের মতো দায়িত্বশীল বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অনুদান এই তহবিলকে আরও শক্তিশালী করছে, যাতে দেশের শ্রমজীবী মানুষের জন্য কার্যকর সহায়তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।
জিপিএইচ ইস্পাত দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক নীতিতে অটল রয়েছে এবং এমন এক ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যেখানে দেশের প্রতিটি শ্রমিক জাতীয় সমৃদ্ধিতে তাদের ন্যায্য অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে পারেন।
কর্পোরেট সংবাদ
পেনশন সেবায় ইউসিবি ও ন্যাশনাল পেনশন অথরিটির মধ্যে চুক্তি

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি) ও জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের (এনপিএ) মধ্যে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
এই চুক্তির মাধ্যমে ইউসিবি পেনশন কিস্তি সংগ্রহে একটি ব্যাংকিং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে। পেনশন গ্রাহকেরা ইউসিবি’র বিভিন্ন নিরাপদ চ্যানেলের মাধ্যমে কিস্তি জমা দিতে পারবেন। এর মধ্যে রয়েছে ইউসিবি’র নিজস্ব ও অংশীদার এক্সচেঞ্জ হাউস, শাখা ও উপশাখা, এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট, মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং এবং অন্যান্য অনুমোদিত মাধ্যম।
সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. মাহিউদ্দিন খান এবং ইউসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার। এছাড়াও ইউসিবি ও পেনশন কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের নাগরিকদের জন্য পেনশন জমা দেওয়া আরও সহজ হবে। ইউসিবি বিশ্বাস করে, এই চুক্তি দেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে।
কর্পোরেট সংবাদ
রূপালী ব্যাংকের ব্যবসায়িক পর্যালোচনা সভা

সরকারী মালিকানাধীন রূপালী ব্যাংক পিএলসি’র ব্যবসায়িক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দিলকুশাস্থ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে ভার্চ্যুয়ালি এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম।
এসময় ব্যবস্থাপনা পরিচালক শ্রেণীকৃত ও অবলোপনকৃত ঋণ হতে আদায়, লো কস্ট, নো কস্ট আমানত সংগ্রহ, নতুন হিসাব খোলা, সিএমএসএমই ঋণ বিতরণ, গ্রাহকদের নিকট প্রযুক্তি নির্ভর ব্যাংকিং সেবা পৌছে দেয়া এবং মুনাফার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
সভায় উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পারসুমা আলম, হাসান তানভীর ও মো. হারুনুর রশীদ উপস্থিত ছিলেন। ভার্চ্যুয়ালি আয়োজিত এ সভায় ব্যাংকের সকল মহাব্যবস্থাপক, উপ- মহাব্যবস্থাপক এবং শাখা ব্যবস্থাপক অংশ নেন।