পুঁজিবাজার
নতুন মাইলফলকে পুঁজিবাজার, কমোডিটি এক্সচেঞ্জের সনদ পেলো সিএসই

নতুন এক মাইলফলক স্পর্শ করলো দেশের পুঁজিবাজার। কমোডিটি এক্সচেঞ্জের নিবন্ধন সনদ পেলো দেশের দ্বিতীয় পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। আনুষ্ঠানিকভাবে সিএসইকে কমোডিটি এক্সচেঞ্জের নিবন্ধন সনদ প্রদান করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বুধবার (২০ মার্চ) বিএসইসির মাল্টি-পারপাস হলে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সনদ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিমের হাতে এ সনদ তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
এসময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিডিবিএল চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) সভাপতি শেখ কবির হোসেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার প্রমুখ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের মতো বৃহৎ বাজার বিবেচনায় কমোডিটি এক্সচেঞ্জের সম্ভাবনা অনেক। কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে উন্নয়নের নতুন মাত্রা যোগ হবে। কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালু হলে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বাজারে পণ্যের মূল্য সম্পর্কে সবাই ধারণা পাবেন। তখন আর কেউ পণ্যের মূল্য কম বা বেশি দেখিয়ে (আন্ডার বা ওভার ইনভয়েসিং করে) আমদানি-রপ্তানি করতে পারবে না।
এরফলে টাকা পাচার ও রাজস্ব ফাঁকি বন্ধ হবে। সর্বোপরি, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে খুলবে নতুন দিগন্ত। এটি বিএসইসির অন্যতম একটি বড় অর্জন বলে মনে করছেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা।
ইতোমধ্যে কমোডিটি ডেরিভেটিভস মার্কেট এবং ডেরিভেটিভস পণ্যের সুষ্ঠু, দক্ষ ও স্বচ্ছ লেনদেনের জন্য বিধিমালা তৈরি করে গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে বিএসইসি। কমিশনের কাছে এক্সচেঞ্জ নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল সিএসই। সার্বিক দিক বিবেচনা করে সিএসইকে সনদ দিচ্ছে বিএসইসি।
কমোডিটি এক্সচেঞ্জে মূলত খনিজ ও কৃষিপণ্য কেনাবেচা হবে। শুরুতে তিনটি খনিজ পণ্যকে তালিকাভুক্ত করার প্রস্তুতি চলছে। তালিকাভুক্ত পণ্য কেনাবেচা হবে ক্যাশ সেটেলমেন্ট ও নন-ডেলিভারি ক্যাশ সেটেলমেন্টের মধ্যে যেকোনো একটি পদ্ধতিতে।
কমোডিটি এক্সচেঞ্জ হলো অনেকটা স্টক এক্সচেঞ্জ বা শেয়ার কেনাবেচার বাজারের মতো। স্টক মার্কেটে বহু কোম্পানি মূলধন সংগ্রহ করতে শেয়ার বিক্রি করে এবং তা কিনে নেন বহুসংখ্যক বিনিয়োগকারী। কমোডিটি এক্সচেঞ্জও তেমনই।
তবে, এখানে শেয়ার নয়, পণ্য কেনাবেচা হয়। এই পণ্য কেনাবেচা সাধারণ পাইকারি বাজারের মতো নয়। বড় পাইকারি দোকানে (পাইকাররা যাকে মোকাম বলেন) ক্রেতা ও বিক্রেতা সরাসরি দর-কষাকষি করে পণ্য কেনাবেচা করেন। কিন্তু, কমোডিটি এক্সচেঞ্জে ক্রেতা ও বিক্রেতার সরাসরি পণ্য কেনাবেচার সুযোগ নেই। অনেকটা শেয়ারের মতো বিক্রেতার দেওয়া পণ্যের সার্টিফিকেট (সনদ) বিক্রি হয়। মান সনদ দেখেই পণ্যের গুণগত মান বিষয়ে নিশ্চিত হন ক্রেতা এবং অন্য দেশে থেকেও শেয়ার কেনাবেচা করেন। পুঁজিবাজারের মতো কমোডিটি এক্সচেঞ্জেও নির্দিষ্ট ও অনুমোদিত ব্রোকারের মাধ্যমে পণ্য কেনাবেচা করতে হয়। থাকতে হয় নিজ বা প্রতিষ্ঠানের নামে অ্যাকাউন্ট। একেবারে স্টক মার্কেট থেকে শেয়ার কেনাবেচার মতো ব্যাপার।
তবে, এই বাজারে পণ্য কিনে তা ডেলিভারি না নিয়ে ক্রয়কৃত সার্টিফিকেট অন্য কারও কাছে বিক্রি করা হয়। অনেকটা মিলগেটে ডেলিভারি অর্ডার বা ডিও কেনাবেচার মতো।
এটি আইনি প্রক্রিয়ার বাজার, যা নিয়ম বা পদ্ধতি নির্ধারণ করে ও তা প্রয়োগের মাধ্যমে কমোডিটিজ বা পণ্য এবং এ সশ্লিষ্ট বিনিয়োগ পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ে সহায়তা করে। কমোডিটি এক্সচেঞ্জ বা ফিউচার মার্কেটের মাধ্যমে পণ্যের উৎপাদক ও ক্রেতার মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণ করা সহজ হয়।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (কমোডিটি এক্সচেঞ্জ) বিধিমালা ২০২৩-এ কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠায় ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন ৪০০ কোটি টাকা হওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। পরিশোধিত মূলধনের নিট সম্পদ হিসেবে সব সময় ৭৫ শতাংশ রাখতে হবে। কোম্পানি আইন ১৯৯৪ মোতাবেক কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার জন্য অবশ্যই পবলিক লিমিটেড কোম্পানি হতে হবে।
কমোডিটি এক্সচেঞ্জে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার থাকবে, যারা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী হিসেবে বিনিয়োগ করবে। এই স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার কমোডিটি এক্সচেঞ্জের মোট পরিশোধিত মূলধনের সর্বনিম্ন ১০ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারবে।
সিআইবি রিপোর্ট অনুসারে ব্যাংকের ঋণখেলাপি না হলে পরিচালক বা শেয়ারহোল্ডাররা কমোডিটি এক্সচেঞ্জের সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ার ধারণ করতে পারবে। এই এক্সচেঞ্জের কোনো পরিচালক, কর্মকর্তা বা কর্মচারী জালিয়াতি, বিশ্বাসভঙ্গ বা কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী হতে পারবেন না।
এসব শর্ত পরিপালন সাপেক্ষে কমিশনের কাছে ১০ লাখ টাকার পেমেন্ট অর্ডার, ব্যাংক ড্রাফট বা ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার জন্য আবেদন করতে হবে।
এসএম

পুঁজিবাজার
গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের খাতের প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ০৭ জুলাই, বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচিত সভায় গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ ওই প্রতিবেদন অনুমোদন করলে কোম্পানিটি তা প্রকাশ করবে। সভায় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
একই সভায়, গত ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৫-মার্চ’২৫) অনীরিক্ষত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে কোম্পানিটি তা প্রকাশ করবে।
পুঁজিবাজার
পাঁচ কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচ কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানি দুটি হলো- বে-লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, আইপিডিসি ফাইন্যান্স এবং মিডল্যান্ড ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক পিএলসি।
বে-লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট
বে-লিজিংয়ের ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড। কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদী ‘বিবি+’ এবং স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-৪’ রেটিং হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত ও ৩১ ডিসেম্বর,২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।
আইপিডিসি ফাইন্যান্স
আইপিডিসি ফাইন্যান্সের ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড। কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদী ‘এএএ’ এবং স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-১’ রেটিং হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।
মিডল্যান্ড ব্যাংক
মিডল্যান্ড ব্যাংকের ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড। কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদী ‘এ+’ এবং স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-২’ রেটিং হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং রেটিং নির্ণয়ের তারিখ পর্যন্ত অন্যান্য তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।
ডাচ-বাংলা ব্যাংক
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ লিমিটেড। কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদী ‘এএএ’ এবং স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-১’ রেটিং হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং রেটিং নির্ণয়ের তারিখ পর্যন্ত অন্যান্য তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।
উত্তরা ব্যাংক
উত্তরা ব্যাংকের ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড। কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদী ‘এএ’ এবং স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-২’ রেটিং হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং রেটিং নির্ণয়ের তারিখ পর্যন্ত অন্যান্য তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।
পুঁজিবাজার
ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের অবৈধ শেয়ার ইস্যু, তদন্তে বিএসইসির কমিটি

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লিমিটেডের অবৈধ শেয়ার ইস্যু করার বিষয়ে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ লক্ষ্যে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কমিটিকে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি।
সম্প্রতি বিএসইসির মার্কেট ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগ থেকে শর্তসাপেক্ষে এ-সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে। তদন্তের বিষয়ে ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অবহিত করা হয়েছে। বিএসইসির সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মো. ওহিদুল ইসলাম এবং সহকারী পরিচালক রেজাউন নূর মেহেদী।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের ২৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) বেশিরভাগ শেয়ারহোল্ডারের মতামতকে মূল্যায়ন না করে অবৈধভাবে কোম্পানির পরিচালকদের আত্মীয়-স্বজনদের নামে নতুন ৪ কোটি ৬৭ লাখ শেয়ার ১০ টাকা ফেস ভ্যালুতে ইস্যু করার এজেন্ডা পাস করা হয়। বিএসইসির তদন্ত কমিটি এ অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখবে। কী উদ্দেশ্যে কোম্পানির পরিচালকদের আত্মীয়-স্বজনদের নামে এত বড় অংকের শেয়ার ইস্যু করার এজেন্ডা পাস করা হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখবে তদন্ত কমিটি।
এবিষয়ে মঙ্গলবার (০১ জুলাই) ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লিমিটেডের কোম্পানি সচিব মো. মনির হোসেন অর্থসংবাদকে বলেন, বিষয়টি তদন্ত চলছে, যেকারণে এই মুহূর্তে কোনো মতামত দিতে পারছি না। তবে কোনো বিষয়ে জানতে চাইলে অফিসে আসেন।
এবিষয়টি জানতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনের (বিএসইসি) পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
কোম্পানির বোর্ড ড্যাফোডিল পরিবারের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে তার বিপরীতে শেয়ারে রূপান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রতিটি শেয়ার ১০ টাকা করে ৪.৬৭ কোটি শেয়ার ইস্যু করার অনুমোদন দেয় ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের পরিচালনা পর্ষদ, যা বিএসইসির অনুমোদন সাপেক্ষে করার কথা ছিল। তবে, এর আগে কোম্পানিকে এ বিষয়ে এজিএমে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, কোম্পানি তা করেনি। ফলে, অবৈধভাবে শেয়ার ইস্যু করার হয়েছে বলে মনে করছেন শেয়ারহোল্ডাররা।
বিএসইসির তদন্তের আদেশে বলা হয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এ মর্মে অভিমত দিয়েছে যে, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স ২৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় বেশিরভাগ শেয়ারহোল্ডারের মতামতকে মূল্যায়ন না করে অবৈধভাবে কোম্পানির পরিচালকদের আত্মীয়-স্বজনদের নামে নতুন ৪ কোটি ৬৭ লাখ শেয়ার ১০ টাকা ফেসভ্যালুতে ইস্যু করার এজেন্ডা পাস করেছে। তাই, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বৃহত্তর স্বার্থে এ বিষয়ে অনুসন্ধান করা প্রয়োজন বলে মনে করে বিএসইসি।
এমতাবস্থায় সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ২১ এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে দুজন কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে এ বিষয়ে অনুসন্ধান পরিচালনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে ৬০ কার্মদিবসের মধ্যে অনুসন্ধান সম্পন্ন করে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের পরিচালনা পর্ষদ। সর্বশেষ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.০১ টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ০.৫৪ টাকা। গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৩.২৪ টাকা।
ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০০৬ সালে। বর্তমানে কোম্পানিটি ‘বি’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। এ কোম্পানির মোট পরিশোধিত মূলধন ৪৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা। সে হিসাবে কোম্পানিটির মোট শেয়ার ৪ কোটি ৯৯ লাখ ১২ হাজার ২৬২টি। ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত কোম্পানির উদ্যোক্তাদের হাতে ৪১.৪০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ৩৪.১১ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে ০.১০ টাকা এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ২৪.৩৯ শতাংশ শেয়ার আছে। এ কোম্পানির স্বল্প মেয়াদি ঋণ আছে ২৯ কোটি ১১ লাখ টাকা এবং দীর্ঘ মেয়াদি ঋণের পরিমাণ ৮২১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। গত সোমবার (৩০ জুন) কোম্পানির শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৫৪ টাকায়।
ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স ড্যাফোডিল পরিবারের একটি প্রতিষ্ঠান। কোম্পানিটি আইটি সলিউশন, কম্পিউটার অ্যাসেম্বলিং এবং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের ব্যবসা করে।
এসএম
পুঁজিবাজার
কমিটি পুনর্গঠন করবে বিসিএমআইএ, আগ্রহীদের তথ্য পাঠানোর আহ্বান

পুঁজিবাজারের সার্বিক কল্যাণ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমআইএ) কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংগঠনকে আরো গতিশীল করার লক্ষে এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিসিএমআইএ।
মঙ্গলবার (০১ জুলাই) বিসিএমআইএ’র সভাপতি এস. এম. ইকবাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম মানিক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিসিএমআইএ সকলের ভালোবাসা, সহযোগিতা, সমর্থন ও অংশগ্রহণের মাধ্যমে ইতোপূর্বে অনেক গুলো সভা, সেমিনার ও বিক্ষোভ মিছিল সহ নানান কর্মসূচি অত্যন্ত সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এমতবস্থায় সর্বমহলের কাছে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে, সেই সাথে সংগঠনের কাজের পরিধি ও দায়বদ্ধতা বেড়েছে। সংগঠনকে আরো গতিশীল করতে বিসিএমআইএ’র কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যারা সততা, মেধা, সময়, শ্রম ও মার্কেটের অভিজ্ঞতা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য কাজ করতে আগ্রহী তাদেরকে সাদরে সম্মানের সাথে গ্রহণ করবে বিসিএমআইএ। নতুন কমিটিতে যুক্ত হতে চান এমন আগ্রহী বিনিয়োগকারীরা আগামী ১০ জুলাইর মধ্যে নাম, বর্তমান ঠিকানা, মোবাইল নাম্বার, ইমেইল এড্রেস, পুঁজিবাজারের সাথে কত বছর যাবৎ জড়িত?, শিক্ষাগত যোগ্যতা- পূরণ করে বিসিএমআইএ অফিসে অথবা ইমেইল bcmia2024@gmail.com অথবা হোয়াটসঅ্যাপ ০১৫৩৩৫৩৮৬০৭ পাঠাতে হবে।
এসএম
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারকে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের উৎস করতে যৌথ কমিটির সভায় আলোচনা

পুঁজিবাজার উন্নয়নের লক্ষ্যে গঠিত যৌথ কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার ( ০১ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল ভবনে কমিটির জ্যেষ্ঠতম সদস্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. এজাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সকাল ১১ টায় সভাটি আরম্ভ হয়। সভায় বিশেষত অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সমন্বিত ও যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের প্রধান উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারকে উৎসাহিতকরণের বিষয়ে সভায় গঠনমূলক আলোচনা হয়।
সভায় কমিটির সদস্যবৃন্দ- বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক (ডিএমডি) মো. ইস্তেকমাল হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক (গবেষণা) মো. আব্দুল ওয়াহাব, বিএসইসির পরিচালক মো. আবুল কালাম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ফরিদ আহমেদ, বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মো. ইকবাল হোসেইন এবং কমিটির সদস্য সচিব বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্মপরিচালক মো. রেজাউল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
সভায় পুঁজিবাজারের উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় ও দিক নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় পুঁজিবাজারের উন্নয়নের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার ‘দেশের বৃহৎ কোম্পানিসমূহ দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের ক্ষেত্রে ব্যাংক ঋণের পরিবর্তে পুঁজিবাজারে বন্ড বা শেয়ার ছেড়ে পুঁজি সংগ্রহ করে, সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ’ শীর্ষক নির্দেশনা বাস্তবায়নের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। কার্যপরিধি নির্ধারণ করে পুঁজিবাজার উন্নয়নের লক্ষ্যে গঠিত যৌথ কমিটির কাজের পদ্ধতি প্রণয়ন এবং পরবর্তী করণীয় সংক্রান্ত বিষয়ে উক্ত সভায় আলোচনা হয়েছে। বিশেষত অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সমন্বিত ও যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের প্রধান উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারকে উৎসাহিতকরণের বিষয়ে সভায় গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৯ জুন প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা বাস্তবায়নের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সভাপতিত্বে বিএসইসি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের প্রতিনিধির সমন্বয়ে উক্ত যৌথ কমিটি গঠিত হয়েছে।
সরকার ও দেশের অর্থনীতির নিয়ন্ত্রকসংস্থাদ্বয়ের সমন্বয়ের গঠিত উক্ত কমিটির কার্যক্রম, উদ্যোগ ও পদক্ষেপ আগামীতে দেশের পুঁজিবাজার উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে বিএসইসি আশা করে।
এসএম