Connect with us
৬৫২৬৫২৬৫২

ধর্ম ও জীবন

রোজা না রাখতে পারলে কি তারাবিহ পড়া যায়?

Published

on

যমুনা ব্যাংক

রমজানের রোজা ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদত। তবে কোনো গ্রহণযোগ্য ওজর থাকলে রোজা ভাঙা যায়। কোরআনে রোজা ফরজ হওয়ার বিধান উল্লেখ করার পরপরই আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়াতাআলা অসুস্থ ও মুসাফিরের জন্য রোজার বিধানে ছাড় থাকার কথা উল্লেখ করে বলেছেন,

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

فَمَنۡ کَانَ مِنۡکُمۡ مَّرِیۡضًا اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ فَعِدَّۃٌ مِّنۡ اَیَّامٍ اُخَرَ
তবে তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ হবে কিংবা সফরে থাকবে, সে অন্যান্য দিনে সংখ্যা পূরণ করে নেবে। (সুরা বাকারা: ১৮৪)

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

অর্থাৎ রমজান মাসে কেউ যদি অসুস্থ বা মুসাফির হয়, সে রমজানের দিনের বেলা রোজা ভাঙতে পারবে এবং অন্য সময় ওই রোজাগুলোর কাজা আদায় করে নিতে পারবে। হাদিসে অন্তঃসত্ত্বা ও স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্যও রোজায় ছাড় থাকার কথা রয়েছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

ওজরের কারণে কেউ যদি রোজা না রাখতে পারে, কিন্তু তারাবিহ পড়ার সুযোগ থাকে, তার উচিত তারাবিহ পড়া। রমজানে রোজা ও তারাবিহ পৃথক আমল। রোজা না রেখেও তারাবিহ আদায় করলে তারাবিহর সওয়াব পাওয়া যাবে। আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সাওয়াব লাভের আশায় রমজানের রাত নামাজে দাঁড়িয়ে কাটাবে, তার আগের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)

শেয়ার করুন:-

ধর্ম ও জীবন

জোহর-আসর নামাজের কেরাত আস্তে পড়তে হয় কেন?

Published

on

যমুনা ব্যাংক

জোহর ও আসরের নামাজে কিরাত আস্তে পড়তে হয়। আর মাগরিব, এশা এবং ফজরের নামাজে কিরাত জোরে বা উচ্চস্বরে পড়া হয়। এটা শরিয়ত কর্তৃক আল্লাহর আদেশ। আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর আমল দ্বারা প্রমাণিত।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

ফলে এই অনুযায়ী আমল করা প্রতিটি মুসলমানের জন্য কর্তব্য। তবে কেন এই বিধান এসেছে, তা জানা থাকতে হবে— বিষয়টা এমন নয়। শুধু এতটুকু জানা ও মানা উচিত যে, এটি মহান আল্লাহ তাআলার হুকুম। আল্লাহর রাসুল (সা.) এভাবেই নামাজ পড়েছেন।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

জোহর-আসর নামাজে কিরাত আস্তে পড়ার দলিল
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে তিনি বলেন, ‘তিনি প্রত্যেক নামাজে তেলাওয়াত করতেন। তিনি যে নামাজগুলোতে আমাদের শুনিয়ে তেলাওয়াত করতেন; সেসব নামাজে আমরাও তোমাদের শুনিয়ে তেলাওয়াত করি। আর তিনি যেসব নামাজে আমাদের না শুনিয়ে তেলাওয়াত করতেন, সেসব নামাজে আমরাও তোমাদের না শুনিয়ে তেলাওয়াত করি।’ (বুখারি, হাদিস : ৭৩৮; মুসলিম, হাদিস : ৩৯৬)

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

আবু মামার (রহ.) সাহাবি খাব্বাব (রা.)-কে জিজ্ঞাসা করেন, রাসুল (সা.) জোহর ও আসরে কিরাত পড়তেন কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ পড়তেন। আবু মামার পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেন, এটা কীভাবে বোঝা যেত? তিনি উত্তরে বলেন, রাসুল (সা.)-এর দাড়ি নড়াচড়া দেখে বোঝা যেত। (বুখারি, হাদিস : ৭৬০)
আল্লামা ইবনে কুদামা ও ইমাম নববি (রহ.)-এর বক্তব্য

ইমাম নববী বলেন, ‘সুন্নত হচ্ছে— ফজর, মাগরিব ও এশার দুই রাকাতে এবং জুমার নামাজে উচ্চস্বরে তেলাওয়াত করা। আর জোহর ও আসরের নামাজে এবং মাগরিবের তৃতীয় রাকাতে এবং এশার তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাতে চুপেচুপে তেলাওয়াত করা। সুস্পষ্ট সহিহ হাদিসের সঙ্গে মুসলিম উম্মাহর ঐকমত্যের ভিত্তিতে এসব বিধান সাব্যস্ত।’ (আল-মাজমু, খণ্ড : ০৩, পৃষ্ঠা : ৩৮৯)

ইবনে কুদামা (রহ.) বলেন, জোহর ও আসরের নামাজে চুপেচুপে তেলাওয়াত করবে। মাগরিব ও এশার নামাযের প্রথম দুই রাকাতে এবং ফজরের নামাজের সব রাকাতে উচ্চস্বরে তেলাওয়াত করবে…।

এর দলিল হচ্ছে— নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আমল। এটি পূর্ববর্তীদের কাছ থেকে পরবর্তীদের কাছে প্রচারের মাধ্যমে সাব্যস্ত হয়েছে। অতএব, কেউ যদি চুপেচুপে পড়ার নামাজে উচ্চস্বরে তেলাওয়াত করে কিংবা উচ্চস্বরে তেলাওয়াত করার নামাজে চুপেচুপে পড়ে— তাহলে সে সুন্নতের বিপরিত কাজ করলো। তবে এমন করলেও তার নামাজ শুদ্ধ হয়ে যাবে।’ (আল-মুগনি, খণ্ড : ০২, পৃষ্ঠা : ২৭০)

এভাবে নামাজ পড়া সুন্নত নাকি ওয়াজিব
প্রথমত এটি শরিয়তের বিধান। ইসলাম এভাবে পড়তে বলেছে, তাই এভাবে পড়তে হয়। প্রত্যেক মাজহাবের ইমামগণ এক্ষেত্রে একমত। আর হানাফি মাজহাব মতে, উল্লেখিত নামাজগুলোতে এভাবে নামাজ পড়া— ইমামের জন্য ওয়াজিব। মুনফারিদ বা একাকী নামাজ আদায়কারীর জন্য সুন্নত।
এছাড়াও জোহর-আসর নামাজ দিনে হয়। আর মাগরিব, এশা ও ফজরের নামাজ রাতে আদায় করা হয়। দিনে মানুষ বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকে এবং বিভিন্ন ধরনের আওয়াজ হয়ে থাকে। তাই দিনের নামাজের ক্ষেত্রে আস্তে কেরাত পড়ার কথা বলা হয়েছে।

এতে কোরআন তিলাওয়াত শ্রবণে কোনো সমস্যায় পড়তে হয় না। রাতে মানুষের ব্যস্ততা কম থাকে। সাধারণত আওয়াজও থাকে কম। চারদিক থাকে নীরব নিস্তব্ধ। তাই রাতে জোরে পড়ার কথা বলা হয়েছে। মুসল্লিরা এতে ভালোভাবে কোরআন শ্রবণ করতে পারে। (হাশিয়াতুত তাহতাভি আলা মারাকিল ফালাহ, পৃষ্ঠা : ২৫৩; ফাতাওয়া মাহমুদিয়া, খণ্ড : ০৭, পৃষ্ঠা : ৪০)

জোহর-আসরের নামাজে কিরাত আস্তে পড়ার হিকমত
মৌলিকভাবে এর নির্দিষ্ট কোনো কারণ জানা নেই। তবে একটি হিকমত এই ছিল যে, দিনের বেলা জোরে কিরাত পড়লে— আরবের মুশরিকরা কিরাতকে ঠাট্টা করে জোরে জোরে আওয়াজ করে বিরক্ত করত। যেটা রাতের বেলায় করা হতো না। তাই দিনে আস্তে কিরাতের বিধান এসেছে, আর রাতে জোরের বিধান।

তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, একটি কেবল একটি হিকমত ও প্রজ্ঞানিঃসৃত ভাবনা। মূলত আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী নবী কারিম (সা.) যেভাবে নামাজ পড়েছেন, আমরাও সেভাবে নামাজ পড়ি।

আল্লাহ তাআলা আমাদের তাওফিক দান করুন।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ধর্ম ও জীবন

ব্যবসা-বাণিজ্যে ইসলামের ৭ নির্দেশনা

Published

on

যমুনা ব্যাংক

ইসলামের নীতি ও নির্দেশনার আলোকে ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করলে একজন ব্যবসায়ী শুধুমাত্র দুনিয়াতেই নয় পরকালেও লাভবান হবেন নি:সন্দেহে। যারা সততা ও আমানতদারিতার সাথে ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করে নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাদের জন্য পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন। আবু সাইদ (রা.) থেকে বর্ণিত নবি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, সত্যবাদী ও বিশ্বস্ত ব্যবসায়ীরা আখেরাতে নাবিগণ, সিদ্দিকগণ ও শহীদগণের সঙ্গে থাকবে। (সুনানে তিরমিজি: ১২০৯)

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

এখানে আমরা ব্যবসা-বাণিজ্যে ইসলামের ৭টি নির্দেশনা তুলে ধরছি:
এক. ব্যবসায় কারো ক্ষতি করা যাবে না
মানুষের ক্ষতি হয় এমন সব পন্থাকে ইসলাম নিষিদ্ধ করেছে। সুতরাং ব্যবসা- বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। মানুষের উপকার করার মানসিকতা থাকতে হবে। কারও ক্ষতি যেন না হয় সেদিকে সজাগ থাকতে হবে।
ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কারো ক্ষতি করাও যাবে না, নিজেও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া যাবে না। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২৩৪১)

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

ব্যবসায় গ্রাহকের কাছ থেকে আমরা শুধু লাভ করছি তা নয়; বরং আমরা তাদের পণ্য ও সেবা প্রদান করছি। যদি আমরা যৌক্তিক লাভ করি এবং একচেটিয়া ব্যবসা না করি তবে সমাজের জন্য এটি একটি বড় সহায়তা। ভালো জিনিস যৌক্তিক দামে প্রদান করায় সমাজের মানুষ সন্তুষ্ট হবে, তাতে মহান আল্লাহও আমাদের ওপর সন্তুষ্ট হবেন। যখন ব্যবসায়ী ও গ্রাহক উভয় পক্ষ অনুভব করবে আমরা উপকৃত হয়েছি, তখন তাদের মধ্যে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হবে যা একটি সুগঠিত সমাজের জন্য প্রয়োজন। এতে উভয় পক্ষই পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতার সাওয়াব পাবেন।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

দুই. ধোঁকা, প্রতারণা ও ফাঁকিবাজি করা যাবে না
বেচাকেনার ক্ষেত্রে মন্দ জিনিস ভালো বলে চালিয়ে দেওয়া, ভালোর সঙ্গে মন্দের মিশ্রণ ঘটিয়ে ধোঁকা দেওয়া ইত্যাদি সম্পূর্ণ হারাম। বিখ্যাত সাহাবি হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন রাসুল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বাজারে গিয়ে একজন বিক্রেতার স্তুপীকৃত খাদ্যপণ্যের ভেতরে হাত ঢুকিয়ে দেখলেন ভেতরের পণ্য ভেজা বা নিম্নমানের। এ অবস্থা দেখে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, এটা কী করলে তুমি? লোকটি বললো, হে আল্লাহর রসুল! বৃষ্টি পড়ে ভিজে গিয়েছিল। রসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ভেজা পণ্য তুমি ওপরে রাখলে না কেন? তাহলে ক্রেতারা দেখতে পেত। যে ধোঁকা দেয় সে আমার উম্মত নয়। (সহিহ মুসলিম: ১০২)

তিন. মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া যাবে না
ইসলামে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব ক্ষেত্রেই মিথ্যা নিন্দনীয় ও বড় ধরনের অপরাধ। কোনো মুসলমান সত্যের সঙ্গে মিথ্যার সংমিশ্রণ করতে পারে না। সত্য গোপন করতে পারে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমরা সত্যের সঙ্গে অসত্যের মিশ্রণ ঘটাবে না। জেনেশুনে সত্য গোপন করবে না। (সুরা বাকারা: ৪২)

একজন মুমিনের মধ্যে মিথ্যা ও খেয়ানতের দোষ থাকা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। একবার আল্লাহর রাসুলকে (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জিজ্ঞাসা করা হলো, একজন মুমিন দুর্বল হওয়া কি স্বাভাবিক? তিনি বললেন, হ্যাঁ, হতে পারে। আবারও জিজ্ঞাসা করা হলো, মুমিন কি কৃপণ হতে পারে? বললেন, হ্যাঁ। তারপর জিজ্ঞাসা করা হলো, একজন মুমিন মিথ্যুক হতে পারে? তিনি বললেন, না। (বাইহাকি, শুআবুল ঈমান: ৪৮১২)

চার. ওজনে কমবেশি করা যাবে না
অন্যকে দেয়ার সময় ওজনে কম দেওয়া আর নেওয়ার সময় বেশি করে নেয়া জঘন্য অপরাধ। মহান আল্লাহ বলেন, যারা পরিমাপে কম দেয় তাদের জন্য ধ্বংস। যারা লোকদের কাছ থেকে মেপে নেয়ার সময় পূর্ণমাত্রায় গ্রহণ করে আর যখন তাদেরকে মেপে দেয় অথবা ওজন করে দেয় তখন কম দেয়। (সুরা মুতাফফিফিন: ১-৩)

সুতরাং বেচাকেনার সময় কাউকে দেওয়ার সময় কম দেওয়া যাবে না। আপনি যে কাজটি নিজের জন্য পছন্দ করেন না, তা অন্যের জন্য কীভাবে পছন্দ করেন? যখন নিজের জন্য নেন তখন তো মাপে কম দিলে আপনি পছন্দ করবেন না। রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আপনারা নিজের জন্য যা ভালোবাসেন তা অন্যের জন্যও ভালোবাসার আগ পর্যন্ত ইমানদার হতে পারবেন না। (সহিহ বুখারি: ১৩)

পাঁচ. পণ্য বিক্রির জন্য মিথ্যা শপথ করা যাবে না
মিথ্যা বলে বা মিথ্যা শপথ করে পণ্য বিক্রি করার পরিণতি খুবই ভয়াবহ। রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, কেয়ামতের দিন আল্লাহ তিন ব্যক্তির সাথে কোনো ধরনের কথা বলবেন না, তাদের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করবেন না, তাদের পবিত্র করবেন না এবং তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। তাদের একজন হলো ওই ব্যক্তি যে তার ব্যবসার পণ্য মিথ্যা কসম খেয়ে বিক্রি করে। (সহিহ মুসলিম: ১০৬)

অন্য একটি হাদিসে এ দৃষ্টান্ত এভাবে তুলে ধরা হয়েছে, এক ব্যক্তি আসরের পর তার পণ্য সম্পর্কে কসম খেয়ে বলে, সে পণ্যটি এত এত মূল্যে কিনেছে, তার কথা ক্রেতা বিশ্বাস করে, অথচ সে মিথ্যুক। (সুনানে আবু দাউদ: ৩৪৭৪)

ছয়. ব্যবসার সাথে সুদ মেশানো যাবে না
সুদ একটি মারাত্মক অপরাধ। সুদ থেকে অবশ্যই দূরে থাকতে হবে। ব্যবসার নামে কোন প্রকার সুদে জড়িত হওয়া যাবে না। সুদের পরিণতি সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, যারা সুদ খায় তারা কেয়ামতের দিন দণ্ডায়মান হবে শয়তানের আসরে মোহাবিষ্টদের মতো। কারণ, তারা বলে ব্যবসাওতো সুদের মতো, অথচ আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন এবং সুদকে হারাম করেছেন। (সুরা বাকারা: ২৭৫)

আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, আল্লাহ সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দান খায়রাতকে বর্ধিত করেন। (সুরা বাকারা: ২৭৬)

হাদিসে এসেছে, জাবের ইবন আব্দুল্লাহ (রা.) বর্ণনা করেন যে, আল্লাহর রসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সুদ গ্রহণকারী, প্রদানকারী, হিসাবকারী এবং সাক্ষী সকলকে অভিশাপ দিয়েছেন এবং তিনি বলেন তারা সকলেই সমান। (সহিহ মুসলিম: ১৫৯৮)

সাত. মজুদদারি বা সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করা যাবে না
অনেক অসাধু ব্যবসায়ী মজুদদারি বা সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে। এতে মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত হয় এবং জনসাধারণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইসলামে মজুদদারি গর্হিত অপরাধ। রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
শুধুমাত্র পাপী ব্যক্তিই মজুদদারি করে থাকে। (সহিহ মুসলিম: ১৬০৫)

লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া গাফুরিয়া মাখযানুল উলুম টঙ্গী গাজীপুর, খতিব, আউচপাড়া জামে মসজিদ টঙ্গী গাজীপুর

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ধর্ম ও জীবন

আশুরার দিন যে আমল করতেন নবীজি (সা.)

Published

on

যমুনা ব্যাংক

আগের নবীগণের উম্মতের তুলনায় এ উম্মতের হায়াত খুব কম। তবে মহান আল্লাহ উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য বিশেষ কিছু সময় ও মৌসুম দিয়েছেন যে সময়ে সামান্য আমল করে সহজেই তার নৈকট্য ও সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। এটি মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ রহমত। আশুরা বলা হয়, মহররমের ১০ তারিখকে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

পবিত্র রমজানের পর সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ মাস বলা হয়েছে মহররমকে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, তিনি বলেন, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, রমজানের রোজার পর সর্বোত্তম রোজা হচ্ছে আল্লাহর মাস মহররমের রোজা। (মুসলিম: ২৬৪৫)

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

আশুরার রোজার ফজিলত
বিভিন্ন হাদিসে আশুরার রোজার ফজিলত রয়েছে। হজরত আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মহান আল্লাহর কাছে আমি আশা পোষণ করি যে, তিনি আশুরার রোজার মাধ্যমে আগের এক বছরের পাপ ক্ষমা করে দেবেন। (তিরমিজি: ৭৫২)

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

আশুরার রোজা রাখার বিধান
রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার আগে আশুরার রোজা ওয়াজিব ছিল। রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার পর এ দিন রোজা রাখা মুস্তাহাব। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, জাহেলি সমাজের লোকেরা রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার আগে আশুরার দিন রোজা রাখত। এ দিন কাবায় গিলাফ জড়ানো হতো। এরপর যখন রমজানের রোজা ফরজ হলো তখন নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যিনি এ দিন রোজা রাখতে চায় সে রাখুক। যিনি না চায় না রাখুক। (বুখারি: ১৫৯২)

তওবা করা
তওবা গুরুত্বপূর্ণ আমল। সবার কর্তব্য এটির কদর করা। আশুরার দিন তওবা কবুলের মোক্ষম সময়। এদিনে তওবা কবুল হওয়া, নিরাপত্তা এবং অদৃশ্য সাহায্য লাভ করার কথাও রয়েছে। এ জন্য এ সময়ে এমন সব আমলের প্রতি মনোনিবেশ করা উচিত, যাতে মহান আল্লাহর রহমত বান্দার দিকে আরও বেশি ধাবিত হয়।

নবীজির এক সাহাবি জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রসুল! রমজানের পর আপনি কোন মাসে রোজা রাখতে বলেন? নবীজি বলেন, তুমি যদি রমজানের পর রোজা রাখতে চাও তাহলে মহররমে রোজা রাখো। কেননা মহররম হচ্ছে আল্লাহর মাস। এ মাসে এমন এক দিন আছে, যেদিন মহান আল্লাহ অতীতে অনেকের তওবা কবুল করেছেন। ভবিষ্যতেও অনেকের তওবা কবুল করবেন। (তিরমিজি: ৭৪১)

আশুরার রোজা কবে?
বাংলাদেশে সোমবার (৮ জুলাই) থেকে মহররম মাস গণনা শুরু হয়। সে হিসেবে বুধবার (১৭ জুলাই) পালিত হবে পবিত্র আশুরা। এ হিসেবে মহররমের ১০ তারিখ বুধবার (১৭ জুলাই) একটি, আর এর আগে মহররমের ৯ তারিখ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) অথবা পরের দিন মহররমের ১১ তারিখ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) আরও একটি।

আশুরার রোজা কয়টি রাখতে হবে?
আশুরার রোজা দুটি রাখতে হবে। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা আশুরার দিনে রোজা রাখো, তবে এ ক্ষেত্রে ইহুদিদের সঙ্গে মিল না হওয়ার জন্য ১০ তারিখের আগের দিন অথবা পরের দিন আরও একটি রোজা রেখো। (মুসনাদে আহমদ: ২১৫৪)

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ধর্ম ও জীবন

আশুরায় রোজা রাখার ফজিলত

Published

on

যমুনা ব্যাংক

মহররম মাসের ১০ তারিখ ‘আশুরা’ উপলক্ষে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রোজা রেখেছেন এবং সাহাবিদেরও রোজা রাখতে বলেছেন। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হিজরতের পর মদিনার ইহুদিদের আশুরার দিন রোজা রাখতে দেখে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। তারা বলল, এটি একটি উত্তম দিন যেদিন আল্লাহ মুসা (আ.) ও বনি ইসরাইলকে ফেরাউনের মুক্তি দিয়েছেন। তাই মুসা (আ.) এ দিন রোজা রাখতেন। তখন আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ‘আমি তোমাদের চেয়েও মুসার (আ.) অধিক নিকটবর্তী।’ এরপর তিনি এ দিন রোজা রাখেন, অন্যদেরও রোজা রাখার নির্দেশ দেন। (সহিহ মুসলিম: ২৫৪৮)

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সব সময় আশুরার রোজা রাখতেন। কখনও তিনি আশুরার রোজা বাদ দেননি। উম্মুল মুমিনীন হাফসা (রা.) বলেন, নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কখনো চারটি আমল পরিত্যাগ করেননি। সেগুলো হলো, আশুরার রোজা, জিলহজের প্রথম দশকের রোজা, প্রতি মাসে তিন দিন রোজা, ও ফজরের পূর্বের দুই রাকাত নামাজ। (সুনানে নাসাঈ: ২৪১৬)

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

আশুরার দিন রোজা রাখলে আল্লাহ তাআলা এক বছরের গুনাহ মাফ করে দেন। আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

صِيَامُ يَوْمِ عَرَفَةَ أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ وَالسَّنَةَ الَّتِي بَعْدَهُ وَصِيَامُ يَوْمِ عَاشُورَاءَ أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ

আশুরার রোজার ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী যে, এ রোজার কারণে আল্লাহ তাআলা পূর্ববর্তী এক বছরের গুনাহ মাফ করে দেবেন। (সহিহ মুসলিম: ২৬১৭)

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রমজান মাসের রোজা ও আশুরার দিনের রোজার মতো অন্য কোনো রোজাকে এত বেশি গুরুত্ব দিতে দেখিনি। (সহিহ বুখারি: ২০০৬)

আশুরার রোজা রাখবেন যে দুই দিন
ইহুদিরা আশুরা উপলক্ষে এক দিন রোজা রাখতো। আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মুসলমানদের নির্দেশ দেন আশুরার দিনটির আগে বা পরে আরও এক দিন মিলিয়ে দুই দিন রোজা রাখতে যেন মুসলমানদের আমল ইহুদিদের আমলের সাথে পুরোপুরি মিলে না যায়। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,

صُومُوا عَاشُورَاءَ وَخَالِفُوا فِيهِ الْيَهُودَ، صُومُوا قَبْلَهُ يَوْمًا وَبَعْدَهُ يَوْمًا

তোমরা আশুরার দিন রোজা রাখ এবং তাতে ইহুদিদের বিরোধিতা কর, আশুরার আগে একদিন বা পরে একদিন রোজা রাখো। (মুসনাদে আহমদ: ২১৫৫)

আমাদের দেশে এ বছর (২০২৫ ইংরেজি মোতাবেক ১৪৪৭ হিজরি) মহররম শুরু হয়েছে গত ২৭ জুন, ১০ মহররম বা পবিত্র আশুরার দিনটি হলো ৬ জুলাই, রোববার। যারা আশুরা উপলক্ষে দুটি রোজা রাখবেন, তাদের ৫ ও ৬ জুলাই শনি ও রোববার অথবা ৬ ও ৭ জুলাই রবি ও সোমবার রোজা রাখতে হবে।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ধর্ম ও জীবন

তওবা কবুল হওয়ার পাঁচ শর্ত

Published

on

যমুনা ব্যাংক

তওবা মানে ফিরে আসা; সঠিক পথে ফিরে আসা, আল্লাহর পথে ফিরে আসা, জান্নাতের পথে ফিরে আসা। মানুষ যখন গুনাহ করে, আল্লাহর অবাধ্যতায় লিপ্ত হয়, তখন সে জাহান্নামের পথে এগিয়ে যায়। গুনাহের জন্য অনুশোচিত হয়ে ক্ষমাপ্রার্থনা করে আল্লাহর পথে ফিরলে বান্দার জন্য রয়েছে ক্ষমা ও জান্নাতের প্রতিশ্রুতি। আল্লাহ বলেন,

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

وَ سَارِعُوْۤا اِلٰي مَغْفِرَةٍ مِّنْ رَّبِّكُمْ وَ جَنَّةٍ عَرْضُهَا السَّمٰوٰتُ وَ الْاَرْضُ اُعِدَّتْ لِلْمُتَّقِيْنَ.

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

আর তোমরা দ্রুত অগ্রসর হও তোমাদের রবের পক্ষ থেকে মাগফিরাত ও জান্নাতের দিকে, যার পরিধি আকাশসমূহ ও পৃথিবীর সমান, যা মুত্তাকিদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। (সুরা আলে ইমরান: ১৩৩)

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা তার বিপথগামী বান্দাদের আহ্বান জানাচ্ছেন তার রহমত ও মাগফেরাতের দিকে ছুটে আসতে বা তওবা করতে। যে তওবা করবে সে আল্লাহর ক্ষমা ও জান্নাত লাভ করবে যা আল্লাহ নেক ও পরহেজগার বান্দাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে।

কোরআনের আরেকটি আয়াতে আল্লাহ তাআলা ইস্তেগফার বা তওবা করলে রিজিক বৃদ্ধি, উত্তম প্রাকৃতিক পরিবেশ, সম্পদ ও সন্তান দিয়ে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। দুনিয়ার সুখ সমৃদ্ধি দান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আল্লাহর নবি নুহের (আ.) ভাষায় আল্লাহ বলেছেন,

فَقُلْتُ اسْتَغْفِرُوْا رَبَّكُمْ اِنَّهٗ كَانَ غَفَّارًا،يُّرْسِلِ السَّمَآءَ عَلَيْكُمْ مِّدْرَارًا، َّ يُمْدِدْكُمْ بِاَمْوَالٍ وَّ بَنِيْنَ وَ يَجْعَلْ لَّكُمْ جَنّٰتٍ وَّ يَجْعَلْ لَّكُمْ اَنْهٰرًا.

আর বলেছি, তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও; নিশ্চয় তিনি পরম ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের উপর মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষণ করবেন, আর তোমাদেরকে ধন-সম্পদ ও সন্তান- সন্ততি দিয়ে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের জন্য বাগ-বাগিচা দেবেন আর দেবেন নদী-নালা। (সুরা নুহ: ১০-১২)

অর্থাৎ ইস্তিগফার ও ক্ষমা প্রার্থনার ফলে পরকালের নেয়ামত তো রয়েছেই, দুনিয়ার জীবনেও আল্লাহ বরকত দান করবেন। দুনিয়ার সুখ-সমৃদ্ধি, ধন-সম্পদ ও উত্তম সন্তান-সন্ততি দান করবেন।

তওবা শুধু মুখে ক্ষমা চাওয়ার নাম নয়। মুখে ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি কাজকর্মে ও সর্বান্তকরণে তওবা করতে হয়। কোরআন-হাদিসের আলোকে আলেমগণ বলেন, তওবাকারী তখনই প্রকৃত তওবাকারী গণ্য হয় এবং আল্লাহর কাছে তার তওবা কবুল হয়, যখন সে পাঁচটি শর্ত পূরণ করে। শর্তগুলো হলো,

১. ইখলাস—অর্থাৎ সে যেন শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি ও ক্ষমা লাভ করার উদ্দেশ্যে তওবা করে। অন্য কাউকে দেখানো, খুশি করা বা দুনিয়াবি কোনো লাভের জন্য তওবা করলে আল্লাহর দরবারে ওই তওবা কবুল হয় না।

২. পাপ কাজ পরিত্যাগ করা। পাপ কাজে জড়িত থেকে তওবা করলে ওই তওবা কবুল হয় না।

৩. গুনাহের জন্য অন্তরে সত্যিকারভাবে লজ্জিত ও অনুতপ্ত হওয়া। কেউ যদি গুনাহের জন্য অনুতপ্ত না হয়, শুধু মুখে তওবা করে, তার তওবা কবুল হয় না।

৪. ভবিষ্যতে ওই গোনাহের দিকে আর ফিরে না যাওয়ার দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করা। অন্তরে যদি ওই গুনাহ আবার করার ইচ্ছা থাকে, তাহলে তওবা কবুল হয় না।

৫. তওবা করতে হবে মৃত্যু যন্ত্রণা শুরু হওয়া বা মৃত্যুর লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার আগেই। মুমূর্ষু ব্যক্তির তওবা কবুল হয় না।

ইমাম নববি (রহ.) বলেন, তওবা কবুল হওয়ার অন্যতম শর্ত হলো—তওবা করতে হবে গলার কাছে আত্মা পৌঁছানোর আগেই। সহিহ হাদিসে এসেছে, আর যখন আত্মা কণ্ঠনালিতে পৌঁছে যায়, অর্থাৎ মৃত্যুর নিকটবর্তী মুহূর্ত আসে, তখন আর তওবা কবুল হয় না। (শরহে মুসলিম লিন-নববি)

এই শর্তগুলো এমন গুনাহসমূহের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যে গুনাহ শুধু বান্দা ও আল্লাহর মাঝে সীমাবদ্ধ থাকে—যেমন নামাজ বা রোজা ছেড়ে দেওয়া ইত্যাদি।

যেসব গুনাহ মানুষের হক বা অধিকার সংশ্লিষ্ট, অর্থাৎ কারো ওপর জুলুম করা, কারো হক নষ্ট করা, কারো সম্পদ চুরি, ছিনতাই বা যে কোনোভাবে আত্মসাৎ করা ইত্যাদি গুনাহের তওবা কবুল হওয়ার জন্য শুধু উপরোক্ত পাঁচটি শর্ত পূরণ করা যথেষ্ট নয়, বরং এর পাশাপাশি যে ব্যক্তি জুলুম বা ক্ষতির শিকার হয়েছে, তাকেও সন্তুষ্ট করতে হবে। কারো সম্পদ আত্মসাৎ করে থাকলে তা ফিরিয়ে দিতে হবে—ওপরের পাঁচটি শর্ত পূরণের পাশাপাশি।

মানুষের ওপর জুলুমের পাপ শুধু আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলেও মাফ হয়ে যায় না। এ রকম পাপ আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের দিনও ক্ষমা করবেন না। বরং এসব পাপের বদলায় নিজের সওয়াব তাদের দিতে হবে বা তাদের পাপের বোঝা নিজের কাঁধে নিতে হবে।

রাসুল (সা.) বলেন, কারো উপর তার ভাইয়ের কোনো দাবি থাকলে সে যেন তা থেকে মুক্ত হয়। কারণ কেয়ামতের দিন পাওনা পরিশোধের জন্য টাকা-পয়সা থাকবে না। তখন অন্যায়ের সমপরিমাণ সওয়াব পাওনাদারের জন্য নিয়ে নেওয়া হবে। সওয়াব না থাকলে পাওনাদারের গুনাহগুলো তার উপরে চাপিয়ে দেওয়া হবে। (সহিহ বুখারি)

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজারের সর্বশেষ

যমুনা ব্যাংক যমুনা ব্যাংক
পুঁজিবাজার6 minutes ago

লেনদেনের শীর্ষে যমুনা ব্যাংক

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে যমুনা ব্যাংক পিএলসি। আজ কোম্পানিটির ৩১ কোটি...

যমুনা ব্যাংক যমুনা ব্যাংক
পুঁজিবাজার29 minutes ago

ডিএসইতে লেনদেনের সঙ্গে সূচক কমেছে ৫০ পয়েন্ট

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব মূল্যসূচকের নেতিবাচক প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন প্রধান সূচক...

যমুনা ব্যাংক যমুনা ব্যাংক
পুঁজিবাজার2 hours ago

পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন করা হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য...

যমুনা ব্যাংক যমুনা ব্যাংক
পুঁজিবাজার3 hours ago

এম.এল ডাইংয়ের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এম.এল ডাইং লিমিটেডের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন করা হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।...

যমুনা ব্যাংক যমুনা ব্যাংক
পুঁজিবাজার4 hours ago

দেড় ঘণ্টায় ২২১ শেয়ারদর বৃদ্ধি, লেনদেন ৪শ কোটি টাকা

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় চলছে লেনদেন। এদিন লেনদেন শুরুর প্রথম দেড়...

যমুনা ব্যাংক যমুনা ব্যাংক
পুঁজিবাজার4 hours ago

ইউসিবি পারপেচুয়াল বন্ডের কূপণ রেট ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইউসিবি ২য় পারপেচুয়াল বন্ডের ট্রাস্টি ৬ মাসের জন্য (০৭ আগস্ট,২০২৫-০৬ ফেব্রুয়ারি,২০২৬) ব্যবসায় বিনিয়োগকারীদের জন্য বাৎসরিক ১০ শতাংশ হারে...

যমুনা ব্যাংক যমুনা ব্যাংক
পুঁজিবাজার22 hours ago

ব্লকে ৩৩ কোটি টাকার লেনদেন

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লকে মোট ৩৮টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ১ কোটি ১০ লাখ...

Advertisement
AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সোশ্যাল মিডিয়া

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
৩১  
যমুনা ব্যাংক
পুঁজিবাজার6 minutes ago

লেনদেনের শীর্ষে যমুনা ব্যাংক

যমুনা ব্যাংক
জাতীয়15 minutes ago

সাবেক সেনা প্রধান হারুন অর রশিদ মারা গেছেন

যমুনা ব্যাংক
পুঁজিবাজার29 minutes ago

ডিএসইতে লেনদেনের সঙ্গে সূচক কমেছে ৫০ পয়েন্ট

যমুনা ব্যাংক
জাতীয়39 minutes ago

নির্বাচনের আগ পর্যন্ত অভিযান চলবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

যমুনা ব্যাংক
রাজনীতি53 minutes ago

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত বিএনপি: সালাহউদ্দিন

যমুনা ব্যাংক
অর্থনীতি1 hour ago

তৃতীয় প্রান্তিকে ভিসার আয় বেড়েছে ১০.২ বিলিয়ন ডলার

যমুনা ব্যাংক
আন্তর্জাতিক2 hours ago

ইয়েমেনে নৌকাডুবি, ৬৮ অভিবাসীর মৃত্যু

যমুনা ব্যাংক
অর্থনীতি2 hours ago

আমদানি-রপ্তানি শুল্ক ও কর কাঠামোতে বড় পরিবর্তন আনলো সরকার

যমুনা ব্যাংক
পুঁজিবাজার2 hours ago

পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন

যমুনা ব্যাংক
পুঁজিবাজার3 hours ago

এম.এল ডাইংয়ের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন

যমুনা ব্যাংক
পুঁজিবাজার6 minutes ago

লেনদেনের শীর্ষে যমুনা ব্যাংক

যমুনা ব্যাংক
জাতীয়15 minutes ago

সাবেক সেনা প্রধান হারুন অর রশিদ মারা গেছেন

যমুনা ব্যাংক
পুঁজিবাজার29 minutes ago

ডিএসইতে লেনদেনের সঙ্গে সূচক কমেছে ৫০ পয়েন্ট

যমুনা ব্যাংক
জাতীয়39 minutes ago

নির্বাচনের আগ পর্যন্ত অভিযান চলবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

যমুনা ব্যাংক
রাজনীতি53 minutes ago

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত বিএনপি: সালাহউদ্দিন

যমুনা ব্যাংক
অর্থনীতি1 hour ago

তৃতীয় প্রান্তিকে ভিসার আয় বেড়েছে ১০.২ বিলিয়ন ডলার

যমুনা ব্যাংক
আন্তর্জাতিক2 hours ago

ইয়েমেনে নৌকাডুবি, ৬৮ অভিবাসীর মৃত্যু

যমুনা ব্যাংক
অর্থনীতি2 hours ago

আমদানি-রপ্তানি শুল্ক ও কর কাঠামোতে বড় পরিবর্তন আনলো সরকার

যমুনা ব্যাংক
পুঁজিবাজার2 hours ago

পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন

যমুনা ব্যাংক
পুঁজিবাজার3 hours ago

এম.এল ডাইংয়ের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন

যমুনা ব্যাংক
পুঁজিবাজার6 minutes ago

লেনদেনের শীর্ষে যমুনা ব্যাংক

যমুনা ব্যাংক
জাতীয়15 minutes ago

সাবেক সেনা প্রধান হারুন অর রশিদ মারা গেছেন

যমুনা ব্যাংক
পুঁজিবাজার29 minutes ago

ডিএসইতে লেনদেনের সঙ্গে সূচক কমেছে ৫০ পয়েন্ট

যমুনা ব্যাংক
জাতীয়39 minutes ago

নির্বাচনের আগ পর্যন্ত অভিযান চলবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

যমুনা ব্যাংক
রাজনীতি53 minutes ago

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত বিএনপি: সালাহউদ্দিন

যমুনা ব্যাংক
অর্থনীতি1 hour ago

তৃতীয় প্রান্তিকে ভিসার আয় বেড়েছে ১০.২ বিলিয়ন ডলার

যমুনা ব্যাংক
আন্তর্জাতিক2 hours ago

ইয়েমেনে নৌকাডুবি, ৬৮ অভিবাসীর মৃত্যু

যমুনা ব্যাংক
অর্থনীতি2 hours ago

আমদানি-রপ্তানি শুল্ক ও কর কাঠামোতে বড় পরিবর্তন আনলো সরকার

যমুনা ব্যাংক
পুঁজিবাজার2 hours ago

পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন

যমুনা ব্যাংক
পুঁজিবাজার3 hours ago

এম.এল ডাইংয়ের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন