অর্থনীতি
অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী ঘানা

অংশীদারিত্ব-পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য ও নিজেদের অর্থনীতিকে আরও সুদৃঢ় এবং মজবুত করতে চায় ঘানা ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য আরো বাড়াতে এ দেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী আফ্রিকার এই দেশটি।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকেলে এফবিসিসিআই এর মতিঝিল কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী। তিনি বলেন, ঘানাসহ আফ্রিকার দেশগুলো প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। এছাড়া তাদের বিশাল ভূখণ্ড রয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের রয়েছে বিপুল জনসম্পদ। অংশীদারিত্ব এবং পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা সেখানে তুলাসহ কৃষি পণ্য উৎপাদন করতে পারি।
বাংলাদেশের বস্ত্র, ওষুধ, চামড়া, পাট, সিরামিকসহ ভোগ্যপণ্যের উৎপাদন সক্ষমতার চিত্র তুলে ধরে আমিন হেলালী বলেন, গুণগত দিক থেকে বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্য বিশ্ব মানের। বাংলাদেশে সম্ভাবনাময় খাতে বিনিয়োগ আফ্রিকান ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান তিনি। এ দেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বিটুবি সভা এবং সম্পর্ক জোরদারে এফবিসিসিআই সহযোগিতা করবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
এ সময় ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের প্রধান এবং ঘানা জিইটি প্রোগ্রামের প্রধান ইউজেন টি স্যানমর্তে বলেন, ঘানা বিনিয়োগের জন্য অন্যতম প্রধান একটি গন্তব্য। পণ্য উৎপাদন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য আমাদের দরজা সব সময় খোলা।
এই বৈঠক অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশ ও ঘানার অংশীদারিত্বকে গতিশীল করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বৈঠক উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই পরিচালক খন্দকার রুহুল আমিন, সৈয়দ মো. বখতিয়ার, এফবিসিসিআই’র মহাসচিব মো. আলমগীর, সাধারণ পরিষদের সদস্য, ব্যবসায়ী নেতা, উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা প্রমুখ।

অর্থনীতি
৪৭২ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার, নির্মাণ হবে বাফার গুদাম

সরকার আবারও ৯৫ হাজার টন সার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে ৩৫ হাজার টন এমওপি এবং ৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার রয়েছে। এতে সরকারের মোট ব্যয় হবে ৪৭২ কোটি ৮ লাখ ৬৬ হাজার ২৫০ টাকা। কৃষি ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সরকার এই সার কিনবে। এছাড়া সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার্থে রাজশাহীতে ২৫ হাজার টন ধারণক্ষমতার একটি গুদাম নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় রাশিয়া থেকে ৩৫ হাজার টন মিউরেট-অব-পটাশ (এমওপি) সার আমদানির একটি প্রস্তাব নিয়ে আসে কৃষি মন্ত্রণালয়। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে অনুমোদন দিয়েছে।
জানা গেছে, এই ৩৫ হাজার টন সার আমদানিতে ব্যয় হবে ১ কোটি ২৬ লাখ ৩৫ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৫৪ কোটি ৯০ লাখ ৫১ হাজার টাকা। প্রতি টন সারের দাম ধরা হয়েছে ৩৬১ ডলার। রাশিয়ার জেএসসি ‘ফরেন ইকোনমিক করপোরেশন’ থেকে এ সার আমদানি করা হবে।
সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের অপর এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সৌদি আরব থেকে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ সার কিনতে ব্যয় হবে ১ কোটি ৩৪ লাখ ২৫ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৬৪ কোটি ৫৯ লাখ ৫ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের দাম ধরা হয়েছে ৪৪৭ দশমিক ৫০ ডলার।
বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অপর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) কাছ থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ সার কিনতে ব্যয় হবে ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৬ হাজার ২৫০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৫২ কোটি ৫৯ লাখ ১০ হাজার ২৫০ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের দাম ধরা হয়েছে ৪১৪ দশমিক ৮৭৫ ডলার।
‘সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার্থে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় প্যাকেজ-৪ এর লট-২ (রাজশাহী-২৫০০০ টন)-এর অধীন একটি সাইটে গোডাউন নির্মাণকাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় রাজশাহীতে ২৫ হাজার টন ধারণক্ষমতার বাফার গুদাম নির্মিত হলে ওই অঞ্চলে কৃষকদের প্রয়োজন মতো সার সরবরাহ এবং আপদকালীন সার মজুত সহজ হবে। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশ করা রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে মেসার্স মার্ক বিল্ডার্স লিমিটেড (এমবিএল) এবং রওশন এলিভেটর লিমিটেড (আরইএল) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ৬৭ কোটি ৯ লাখ ৮৯ হাজার ৬৬৯ টাকা।
অর্থনীতি
পুলিশের জন্য ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা আনা হবে: অর্থ উপদেষ্টা

নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে ইউএনডিপির মাধ্যমে কয়েকশ কোটি টাকায় পুলিশের জন্য ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা আনা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আজকের বৈঠকে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় এসেছে। সেটা হলো নির্বাচনের সময় পুলিশদেরকে ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা দেওয়া হবে। পুলিশের এটা লাগবে। এ প্রস্তাব আমরা অনুমোদন করেছি। দ্রুত এটা আনতে হবে।
কত টাকা খরচ হবে জানতে চাইলে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, কয়েকশ কোটি টাকা খরচ হবে। নির্দিষ্ট করে এখন বলতে পারব না। এটা আমরা সংগ্রহ করব ইউএনডিপির মাধ্যমে।
ইউএনডিপি কেন– জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা টিকা আনি ইউনিসেফের মাধ্যমে। কারণ হলো টেন্ডার করে আনতে গেলে মানের বিষয় থাকে, দামের বিষয় থাকে। এজন্য ইউএনডিপি মান ও দামের নিশ্চয়তা দেবে। এতে করে আমরা কারো সঙ্গে নেগোসিয়েশন করব না।
টাকাটা কে দেবে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ সরকারের টাকায় এই ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা আনা হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা করবে। নির্বাচন খাতের ব্যয় থেকে এটা মেটানো হবে। আমরা পুলিশকে দিচ্ছি, নির্বাচন কমিশনকে না।
অর্থনীতি
দিল্লিতে ৫০০ কেজি চিনিগুড়া চাল উপহার পাঠালো ঢাকা

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতের নয়া দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ৫০০ কেজি সুগন্ধি চিনিগুড়া চাল উপহার হিসেবে পাঠিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দিল্লির হাইকমিশন থেকে এই চালগুলো ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের উপহার হিসেবে দেওয়া হবে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার স্থলবন্দর দিয়ে একটি পিকআপ ভ্যানে করে চালগুলো আগরতলা স্থলবন্দরে প্রবেশ করে।
এর আগে সকালে চিনিগুড়া চাল ভর্তি পিকআপ ভ্যানটি আখাউড়া স্থলবন্দরে আসে। পরে বন্দর থেকে চালের কাস্টমস ক্লিয়ারিংয়ের কাজ করে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সুয়েব ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল।
প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী রাজীব ভুঁইয়া জানান, চালগুলো ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের উপহার হিসেবে দেওয়া হবে।
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান খান জানান, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সব প্রক্রিয়া মেনে উপহারের চালগুলো দ্রুত ছাড়করণ করা হয়েছে।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে এবারও ভরতে ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে প্রতিবছর বিভিন্ন পণ্য উপহার হিসেবে বিনিময় হয়ে থাকে
কাফি
অর্থনীতি
সব রেকর্ড ভেঙে নতুন উচ্চতায় সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৯১ হাজার ১৯৬ টাকা

দেশের বাজারে আবারও সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৮৮৯ টাকা।
এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৯১ হাজার ১৯৬ টাকা হয়েছে। দেশের বাজারে এর আগে কখনো এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ৯০ হাজার টাকা হয়নি।
স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর সোনার দাম বাড়ানো হয়। তার আগে ১৮ সেপ্টেম্বর দেশের বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমানো হয়। অবশ্য তার আগে ১৭, ১০, ৯, ৮, ৪ ও ২ সেপ্টেম্বর এবং ৩১ ও ২৭ আগস্ট দাম বাড়ানো হয়। এতে ১৭ সেপ্টেম্বর ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম দাঁড়ায় ১ লাখ ৮৯ হাজার ৬২২ টাকা। এতদিন এটিই দেশের বাজারে সোনার সর্বোচ্চ দাম ছিল।
মঙ্গলবার থেকে নতুন রেকর্ড দামে বিক্রি হবে সোনা। এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৮৮৯ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯১ হাজার ১৯৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৭৯৬ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৮২ হাজার ৪৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৫৪০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪২৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৩১৮ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার ৭৯৭ টাকা।
এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১৫৫ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৩০৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ২১ ক্যারেটের এক ভরির দাম ১ হাজার ৯৭ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৮০ হাজার ৬৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ৯৪৫ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ৮০৫ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ২৮ হাজার ৪৭৯ টাকা। আজ সোমবার পর্যন্ত এই দামে সোনা বিক্রি হয়।
সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপা ৩ হাজার ৩১৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপা ২ হাজার ৮৪৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপা ২ হাজার ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থনীতি
২১ দিনে রেমিট্যান্স এলো দুই বিলিয়ন ডলার

সেপ্টেম্বর মাসেও রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। এ মাসের প্রথম ২১ দিনে প্রবাসীরা দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এই ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসে রেমিট্যান্স তিন বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, সেপ্টেম্বরের ২১ দিনে ২০৩ কোটি ১০ লাখ বা ২ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৪ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)। গত বছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬৩ কোটি ডলার।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের ২১ দিন পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ৬৯৩ কোটি ডলার। গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ৫৭৭ কোটি ডলার। অর্থবছর হিসাবে গত অর্থবছরে একই সময়ের চেয়ে রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি ২০ দশমিক ১ শতাংশ।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৪৭ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩০ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। আর গেল আগস্টে এসেছিল ২৪২ কোটি ২০ লাখ ডলার বা ২৯ হাজার ৫৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
এর আগে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মার্চ মাসে সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল, যা ছিল বছরের রেকর্ড পরিমাণ। আর পুরো অর্থবছর (২০২৪-২৫) জুড়ে প্রবাসী আয় এসেছে ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।