Connect with us
৬৫২৬৫২৬৫২

ধর্ম ও জীবন

রমজানে সাহাবিরা যেসব আমল করতেন

Published

on

বঙ্গবন্ধু

রমজানের রোজা ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ ও বিধান। এটিকে আল্লাহ ঈমানদারদের জন্য ফরজ করেছেন। এই বিধানের অন্যতম লক্ষ্য হলো তাকওয়া বা আল্লাহভীতির গুণ অর্জন করা। কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে মুমিনরা! তোমাদের জন্য সিয়ামের বিধান দেওয়া হলো, যেমন বিধান দেওয়া হয়েছিল পূর্ববর্তীদের, যাতে তোমরা মুত্তাকি (তাকওয়াসম্পন্ন) হতে পারো।’ (সুরা বাকারা, আয়াত, ১৮৩)

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সাহাবায়ে-কেরাম (রা.) শাবান মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণ করতেন। পবিত্র মাস আগমনের আগে থেকেই তাদের মাঝে উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখা দিতো।আগে থেকেই রমজানের প্রতীক্ষায় প্রহর গুনতেন তারা।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

নতুন রমজান মাস শুরু হওয়ার আগে তারা পুরোনো কোনও রোজা কাজা থাকলে তা আদায় করতেন। এ বিষয়ে হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘বিগত বছরের রমজানের রোজা আমার ওপর আবশ্যক থাকলে, নতুন বছরের রোজা আগমনের পূর্বে শাবান মাসে আমি সে রোজাগুলোর কাজা আদায় করে ফেলতাম।’ (বুখারি : ১৯৫০)

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সাহাবায়ে-কেরাম (রা.) রোজার প্রস্তুতি গ্রহণ করতেন আল্লাহ তায়ালার দরবারে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে কান্নাকাটি করে। ছয় মাস দোয়ায় কাটিয়ে দিতেন আর ছয় মাস রোজা, ইবাদত, আনুগত্যের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতেন। কেমন যেন পুরো বছরই তাদের রোজার মাস ছিল!

হজরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.) দোয়া করতেন, ‘আল্লাহুম্মা জিদনা ওয়ালা তানকুসনা, ওয়া আকরিমনা ওয়ালা তুহিননা, ওয়া আতিনা ওয়ালা তুহরিমনা, ওয়া আসারনা ওয়া তুসির আলাইনা।’ অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ! আমাদেরকে বৃদ্ধি করে দিন, হ্রাস করবেন না। আমাদেরকে সম্মানিত করুন, লাঞ্ছিত করবেন না। আমাদেরকে দান করুন, বঞ্চিত করবেন না।’ (মুসনাদে আহমদ : ১/১২৪)।

শাবান হচ্ছে রমজান মাসের অনুশীলন মাস। এ মাসেও রোজা, কোরআন তেলাওয়াতসহ অন্যান্য ইবাদতের অনেক ফজিলত। আল্লাহর আনুগত্য ও রমজানের প্রস্তুতির মোক্ষম মাস শাবান। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রমজানের রোজার পর নবী (সা.) শাবান মাসের রোজাকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে পালন করতেন।’ (বুখারি : ১৯৭০)। নবী করিমের (সা.) দেখাদেখি সাহাবায়ে-কেরামও (রা.) শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা পালন করতেন।

সাহাবায়ে-কেরাম (রা.) রমজানের প্রস্তুতি হিসেবে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করতেন। আব্দুল্লাহ ইবনে উমর, দাউদ তায়ি, মালেক ইবনে দিনার, আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) প্রমুখ ইফতার সামগ্রী প্রদানের প্রথম সারিতে ছিলেন। ইবনে উমর (রা.) এতিম-মিসকিন ছাড়া সাধারণত ইফতার করতেন না।

চতুর্থ খলিফা আলি (রা.) বলতেন, বাজারে গিয়ে কোনো গোলাম ক্রয় করে আজাদ করার চেয়ে আমার নিকট বেশি উত্তম মনে হয়, আমি এক সা’ (শরিয়তের নির্দিষ্ট একটি পরিমাপ) খাবার প্রস্তুত করে সাহাবিদের আহারের ব্যবস্থা করি। (মাজদি আল হিলালিকৃত ‘মাযা নুরিদু মিন রমজান’ : ১/১৩)।

এমআই

শেয়ার করুন:-

ধর্ম ও জীবন

পবিত্র আশুরা ৬ জুলাই

Published

on

বঙ্গবন্ধু

দেশের আকাশে ১৪৪৭ হিজরি সনের মহররম মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আগামীকাল শুক্রবার থেকে মহররম মাস গণনা করা হবে। এ হিসাবে পবিত্র আশুরা পালিত হবে আগামী ৬ জুলাই রোববার।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমের সভাকক্ষে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

মহররম মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। এতে দেখা যায় যে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র মহররম মাসের চাঁদ দেখা গেছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সভায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামাণিক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) আব্দুস ছালাম খান, ওয়াকফ প্রশাসক মো. নূর-ই-আলম, তথ্য অধিদপ্তরের উপ- প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী সরকার, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন, ঢাকা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পারভেজ চৌধুরী, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. রাশেদুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কাফি

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ধর্ম ও জীবন

সৌদি আরবে কক্সবাজারের ওয়াহিদুর রহমানের পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন

Published

on

বঙ্গবন্ধু

কক্সবাজারের কৃতী সন্তান আ.ফ.ম.ওয়াহিদুর রহমান মাক্কী সৌদি আরবের মক্কা উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০২৫ সালে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেছেন।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

তিনি কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলাধীন গর্জনীয়া পূর্ব বোমাংখিল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম মাওলানা মোহাম্মদ ইসমাইল ছিলেন, গর্জনীয়া ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা হেড মাওলানা। তার দাদা মাওলানা ওবায়দুল হক চট্টগ্রামের বিখ্যাত দারুল উলুম আলিয়া মাদরাসার শিক্ষক ছিলেন।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

অ.ফ.ম ওয়াহীদুর রহমান বর্তমানে পবিত্র হারামাইন শরীফাইন সৌদি আরবের অনুবাদ প্রকল্পে বাংলা বিভাগে অনুবাদক, ভাষ্যকার ও তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কর্মরত।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

তিনি সৌদি আরবের মক্কা উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০২৫ সালে পিএইচডি অর্জন করেন। তার গবেষণা অভিসন্দর্ভের শিরোনাম ছিল- ‘ইমাম আল-বায়হাকী আস-সুনান আল-কুবরায় যা বর্ণনা করেছেন তার মাধ্যমে আল্লাহর দিকে ডাকার আইনশাস্ত্র’।

তিনি ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশের প্রখ্যাত দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকার তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা থেকে হাদিস বিভাগে কামিল ও ঐতিহ্যবাহী মাদ্রাসা-ই- আলিয়া, ঢাকা থেকে কামিল তাফসির বিভাগে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন।

এর আগে কক্সবাজারের টেকনাফের রঙ্গিখালী দারুল উলুম মাদ্রাসা থেকে দাখিল এবং দক্ষিণ চট্টগ্রামের উম্মুল মাদারিস খ্যাত চুনতী হাকিমিয়া আলিয়া মাদ্রাসা থেকে যথাক্রমে আলিম ও ফাজিল পরীক্ষায় সম্মানের সাথে উত্তীর্ণ হন।

তিনি ১৯৯৯-২০০৪ ইংরেজি সাল পর্যন্ত ঢাকা মোহাম্মদপুরে অবস্থিত গাউছিয়া ইসলামীয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

আ.ফ.ম.ওয়াহীদুর রহমান মাক্কী সৌদি সরকারের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ পৃথিবীর ২০টি ভাষায় খুতবাতুল আরাফার তথা হজের খুতবাহ সম্প্রচার প্রকল্পে বাংলা ভাষ্যকার হিসেবে ২০২০, ২০২১ ও ২০২৩ সালে দায়িত্ব পালন করেন।

এছাড়া ও তিনি মক্কায় ইসলামিক সেন্টার এর একজন দায়ী হিসেবে বাংলা ভাষাভাষীদের মাঝে দাওয়াতী কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন।

কাফি

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ধর্ম ও জীবন

কেয়ামতের দিন হিসাব সহজ হওয়ার দোয়া

Published

on

বঙ্গবন্ধু

কিয়ামতের দিন নেককার, বিশ্বাসী এবং আল্লাহতে অবিশ্বাসী প্রত্যেকেই তার আমলনামা, কাজকর্ম নিজের চোখে দেখতে পাবে। সেদিন অবিশ্বাসী কাফেরেরা নিজেদের বদ আমল দেখে আফসোস করবে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

এ বিষয়ে হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত, কিয়ামতের দিন ভূপৃষ্ঠ সমতল ভূমিতে রুপান্তর করা হবে। সবার হিসাব নেওয়া হবে। কেউ কারো ওপর জুলুম করলে তার কাছ থেকে এর বদলা নেওয়া হবে। পশু-পাখি জীব-জন্তুদের মধ্যে কেউ দুনিয়াতে কারো ওপর জুলুম- অত্যাচার করে থাকলে তার কাছ থেকে প্রতিশোধ নেওয়া হবে। পশু-পাখির হিসাব নেওয়া শেষ হলে তাদেরকে আল্লাহ তায়ালা বলবেন, ‘তোমরা মাটি হয়ে যাও’। তখন সব মাটি হয়ে যাবে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

এ দৃশ্য দেখে তখন অবিশ্বাসী কাফেরেরা আফসোস করে বলবে, وَ یَقُوۡلُ الۡکٰفِرُ یٰلَیۡتَنِیۡ کُنۡتُ تُرٰبًا

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

‘হায়! আমরা যদি মাটি হয়ে যেতাম। এমন হলে আমরা হিসাব-নিকাশ ও জাহান্নামের আজাব থেকে বেঁচে যেতাম।’ (তাফসিরে মাআরিফুল কোরআন, ৮ম খণ্ড, পৃষ্ঠা, ৬৮১, তাফসিরে ইবনে কাসির, ১১ তম খণ্ড, পৃষ্ঠা, ৩৯৪, সূরা নাবা, (৭৮), আয়াত, ৪০, পারা, ৩০)

কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা যাদের ক্ষমা করবেন তারা হবেন সৌভাগ্যবান আর যাদের হিসাব নেবেন কঠিন করে তাদের রক্ষা পাওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না।

এ বিষয়ে হজরত আব্দুল্লাহ ইবন ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন-

আল্লাহ ঈমানদারদের কাছাকাছি হবেন। নিজের উপর একটা পর্দা রেখে দিবেন। আর তাকে বলবেন, তুমি কি সেই পাপটি সম্পর্কে জানো? সেই পাপটির কথা কি তোমার মনে আছে? সে উত্তরে বলবে, হ্যা, প্রভূ। এভাবে সে সকল পাপের কথা স্বীকার করবে। আর ধারনা করবে আমি ধ্বংস হয়ে গেছি। আল্লাহ তায়ালা তখন তাকে বলবেন, আমি দুনিয়াতে তোমার পাপগুলো গোপন রেখেছি আর আজ তা ক্ষমা করে দিলাম। এ কথা বলে তার নেক আমলের দফতর তাকে দেওয়া হবে। আর যারা কাফির বা মুনাফিক সকলের সামনে তাদের ডাকা হবে। ফিরিশতারা বলবে, এরাইতো তাদের প্রতিপালক সম্পর্কে মিথ্যা বলেছে। জালিমদের উপর আল্লাহর অভিসম্পাত। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৪৪১)

কিয়ামতের দিন হিসাব সহজ হওয়ার জন্য হাদিসে বর্ণিত এই দোয়াটি পড়া যেতে পারে— اَللّٰهُمَّ حَاسِبْنِـىْ حِسَابًا يَّسِيْــرًا

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা হাসিব-নি হিসাবাই-ইয়াসিরা

অর্থ: হে আল্লাহ! আমার হিসাব সহজ করে দাও। (মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস: ৮৭২৭)

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ধর্ম ও জীবন

হজের পর যেসব ভুল করবেন না

Published

on

বঙ্গবন্ধু

হজ শেষে একজন মুসলমান নতুন করে আল্লাহ তায়ালার দিকে ফিরে আসেন। হজের বিনিময়ে আল্লাহ তাকে পরকালে পুরস্কার দেবেন, সব গুনাহ মাফ করবেন এই প্রত্যাশা রাখেন। আল্লাহ তায়ালার ক্ষমা এবং পুরস্কার লাভের জন্য একজন মুসলমানের উচিত নিজেকে সবসময় পাপমুক্ত রাখা। নিজেকে কিছু ভুল-ত্রুটি থেকে মুক্ত রাখা।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

হজের পর যেসব ভুল-ত্রুটি থেকে বিরত থাকবেন—

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

হজ করলেই গুনাহ মাফ

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

হাদিসে হজের মাধ্যমে গুনাহ মাফের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তাই বলে এমন ধারণা রাখা যাবে না যে, হজের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দিয়েছেন, এখন যত ইচ্ছা গুনাহ করা যাবে।

হাদিসে হজের মাধ্যমে গুনাহ মাফের যেই সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে তা হজে মাবরুরের ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে। কোনো ব্যক্তি নিশ্চিত করে বলতে পারবেন না যে তিনি হজে মাবরুর লাভ করেছেন।

তাই হজের পর যথাসম্ভব পাপ ও গুনাহ থেকে মুক্ত থাকতে হবে। হজের পর কারো ভেতর খারাপ কাজ করা বা নৈতিক অবনতি দেখা দিলে তা এই ইঙ্গিত দিতে পারে যে, হজ কবুল হয়নি— কারণ তার জীবনে কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন আনেনি।

রমজান ও হজের মতো ইবাদতের মৌসুমগুলো আমাদের আত্মিক শক্তি জোগানোর মাধ্যম। এর মাধ্যমে আমাদের সঠিক পথে পরিচালনার শিক্ষা দেওয়া হয়।

হজ শেষে ঘরে ফেরার সময়ও ইহরাম পরা

১০ জিলহজের সব হজের কাজ শেষ করার পর হজযাত্রীদের উচিত স্বাভাবিক পোশাক পরা। কিন্তু কেউ কেউ বাড়ি না ফেরা পর্যন্ত ইহরাম পরে থাকেন।

এর মাধ্যমে নিজেদের ওপর অপ্রয়োজনীয় কষ্ট চাপিয়ে দেওয়া হয়, যা সুন্নাহর পরিপন্থী। বরং এতে আত্মপ্রদর্শনের শঙ্কাও থাকে— মানুষকে দেখানোর জন্য এমন কিছু করা অনুচিত।

নিজেকে ‘হাজি সাহেব’ বলে ডাকতে জোর করা

হজ শেষে কেউ যদি ‘হাজি’ নামে পরিচিত হন, এতে কোনো সমস্যা নেই। তবে কেউ যদি তাকে ‘হাজি সাহেব’ ডাকতে অন্যদের জোর করেন। তাহলে তা অহংকারের প্রকাশ হিসেবে গণ্য হবে। এটি ইসলামের দৃষ্টিতে নিন্দনীয় কাজ।

হজের পরও পাপ করা ও ইবাদতের প্রতি অবহেলা

হজের পর কেউ যদি মন্দ আচরণ ও পাপ ছাড়তে না পারে এবং আগের মতোই মন্দ আচরণ ও গুনাহে লিপ্ত থাকেন। ইবাদতের প্রতি অবহেলা দেখান। তবে তা হজ কবুল না হওয়ার আলামত হতে পারে।

একজন প্রকৃত হজযাত্রীর জীবন হজের পরে আরও সুন্দর, ধার্মিক ও নৈতিকভাবে উন্নত হওয়ার কথা।

নবীজির কবরের ওপর শপথ করা

কেউ কেউ মদিনায় গিয়ে নবীজির (সা.) কবর জিয়ারত করার পর বলেন, ‘আমি সেই নবীর কসম করে বলছি, যার কবর আমি হাতে ছুঁয়েছি।’

ইসলামের দৃষ্টিতে শপথ একমাত্র আল্লাহর নামেই করা উচিত, অন্য কারো নামে নয়। আর না পারলে চুপ থাকা শ্রেয়।

হজ জীবনে এক বিশাল পরিবর্তনের সুযোগ এনে দেয়। তাই সবার খেয়াল রাখতে হবে আমাদের হজ যেন শুধুমাত্র একটি সফর হিসেবে পরিচিতি না পায়। বরং তা জীবনের আলোকবর্তিকা হিসেবে গণ্য হয়। তবেই তা হজে মাবরুরের বলে গণ্য হবে।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ধর্ম ও জীবন

তাকবিরে তাশরিক পড়তে হবে মঙ্গলবার আসর পর্যন্ত

Published

on

বঙ্গবন্ধু

৯ জিলহজ থেকে ১৩ জিলহজ আসর পর্যন্ত প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পর তাকবিরে তাশরিক পড়া ওয়াজিব। জিলহজের ৯-১৩ তারিখ পর্যন্ত ৫ দিন মোট ১৩ ওয়াক্তের ফরজ নামাজের পর এ তাকবির পড়তে হয়।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন,
وَاذْكُرُوا اللَّهَ فِي أَيَّامٍ مَّعْدُودَاتٍ
আল্লাহকে স্মরণ কর নির্দিষ্ট দিনসমূহে। (সুরা বাকারা: ২০৩)

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

কোরআনের ব্যখ্যাকারদের মতে এ আয়াতে ‘নির্দিষ্ট দিন’ বলে তাশরিকের দিনগুলো অর্থাৎ জিলহজের ৯, ১০, ১১, ১২ ও ১৩ তারিখ বোঝানো হয়েছে। এ দিনগুলোতে ফরজ নামাজসমূহের পরবর্তী তাকবির ছাড়া অন্যান্য সময়ও বেশি বেশি জিকির করা বাঞ্চনীয়।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

বাংলাদেশে আজ (৯ জুন) ১২ জিলহজ। আগামীকাল (১০ জুন) ১৩ জিলহজ আসর পর্যন্ত তাকবিরে তাশরিক পড়তে হবে।

অর্থ ও উচ্চারণসহ তাকবিরে তাশরিক
اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَا إلَهَ إلَّا اللَّهُ وَاَللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর; লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু; ওয়াল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর; ওয়ালিল্লাহিল হামদ্।’

অর্থ : ’আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই; আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; সব প্রশংসা মহান আল্লাহ জন্য।’

তাকবিরে তাশরিক যাদের ওপর ওয়াজিব
মুসলমান প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ, নিজের বাড়িতে অবস্থানকারী ও মুসাফির, একা ও জামাতে নামাজ আদায়কারী সবার জন্য ফরজ নামাজের পর একবার তাকবিরে তাশরিক পড়া ওয়াজিব।

অনেকে মনে করে এটা মসজিদে নামাজ আদায়ের সাথে সম্পর্কিত। এ ধারণা সঠিক নয়। কোনো কারণে জামাত ছুটে গেলে ঘরে নামাজ আদায়ের পরও তাকবিরে তাশরিক পড়তে হবে। নারীরা ঘরে নামাজ আদায়ের পর তাকবিরে তাশরিক পড়বে।

তবে কোনো নারী এ সময় মাসিক অবস্থায় থাকলে তার ওপর তাকবিরে তাশরিক পড়া ওয়াজিব নয়। যেহেতু সে এ সময় নামাজ আদায় থেকে বিরত থাকে, নামাজ তার ওপর আবশ্যক থাকে না, তাই নামাজ পরবর্তী তাকবির পড়াও তার ওপর আবশ্যক হবে না।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজারের সর্বশেষ

বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু
পুঁজিবাজার15 hours ago

ব্যাক অফিস সফটওয়্যার বাস্তবায়নে ৮৫ ব্রোকারেজ হাউজকে সময়সীমা বেধে দিলো বিএসইসি

পুঁজিবাজারের সদস্যভুক্ত ৮৫টি ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য নতুন সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ...

বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু
পুঁজিবাজার16 hours ago

প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের খাতের প্রতিষ্ঠান প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেড পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী...

বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু
পুঁজিবাজার16 hours ago

ব্লকে ১৬ কোটি টাকার লেনদেন

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৩৩টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মোট ১৬ কোটি ৭৮...

বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু
পুঁজিবাজার17 hours ago

ইসলামিক ফাইন্যান্সের সর্বোচ্চ দরপতন

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৮১ টির দর কমেছে। আজ...

বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু
পুঁজিবাজার17 hours ago

দর বৃদ্ধির শীর্ষে রূপালী ব্যাংক

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭ টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫৪ টির দর বেড়েছে।...

বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু
পুঁজিবাজার18 hours ago

লেনদেনের শীর্ষে ব্র্যাক ব্যাংক

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)...

বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু
পুঁজিবাজার18 hours ago

পুঁজিবাজারে লেনদেন ছাড়ালো ৫০০ কোটি টাকা

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্যসূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন লেনদেনে অংশ নেওয়া...

Advertisement
AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সোশ্যাল মিডিয়া

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১৩১৫১৬১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭৩০৩১  
বঙ্গবন্ধু
অর্থনীতি9 hours ago

আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ৩৫.৩১ শতাংশ ঋণই এখন খেলাপি

বঙ্গবন্ধু
রাজনীতি9 hours ago

১৯ জুলাই ঐতিহাসিক ‘জাতীয় সমাবেশ’ সফল করার আহ্বান জামায়াতের

বঙ্গবন্ধু
আন্তর্জাতিক9 hours ago

গাজায় একদিনে আরও ১১৮ ফিলিস্তিনি নিহত

বঙ্গবন্ধু
জাতীয়10 hours ago

জাইকার কাছে বনভূমিকে ন্যাচার লার্নিং হাবে রূপান্তরের প্রস্তাব পরিবেশ উপদেষ্টার

বঙ্গবন্ধু
অর্থনীতি10 hours ago

অফশোর ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা জামানত রেখে টাকায় মিলবে ঋণ

বঙ্গবন্ধু
অন্যান্য10 hours ago

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম আরও কমলো

বঙ্গবন্ধু
রাজনীতি10 hours ago

খুনি হাসিনা ও তার দোশরদের বিচার দৃশ্যমান করতে হবে: ড. হেলাল

বঙ্গবন্ধু
আন্তর্জাতিক11 hours ago

মে মাসে মার্কিন বাণিজ্য ঘাটতি আরও বেড়েছে

বঙ্গবন্ধু
জাতীয়11 hours ago

ড. ইউনূস-রুবিওর ফোনালাপে শিগগিরই নির্বাচন করার আলোচনা

বঙ্গবন্ধু
কর্পোরেট সংবাদ12 hours ago

ব্র্যাক ব্যাংকে কর্মীদের জন্য হেলথ ক্যাম্পের আয়োজন

বঙ্গবন্ধু
অর্থনীতি9 hours ago

আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ৩৫.৩১ শতাংশ ঋণই এখন খেলাপি

বঙ্গবন্ধু
রাজনীতি9 hours ago

১৯ জুলাই ঐতিহাসিক ‘জাতীয় সমাবেশ’ সফল করার আহ্বান জামায়াতের

বঙ্গবন্ধু
আন্তর্জাতিক9 hours ago

গাজায় একদিনে আরও ১১৮ ফিলিস্তিনি নিহত

বঙ্গবন্ধু
জাতীয়10 hours ago

জাইকার কাছে বনভূমিকে ন্যাচার লার্নিং হাবে রূপান্তরের প্রস্তাব পরিবেশ উপদেষ্টার

বঙ্গবন্ধু
অর্থনীতি10 hours ago

অফশোর ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা জামানত রেখে টাকায় মিলবে ঋণ

বঙ্গবন্ধু
অন্যান্য10 hours ago

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম আরও কমলো

বঙ্গবন্ধু
রাজনীতি10 hours ago

খুনি হাসিনা ও তার দোশরদের বিচার দৃশ্যমান করতে হবে: ড. হেলাল

বঙ্গবন্ধু
আন্তর্জাতিক11 hours ago

মে মাসে মার্কিন বাণিজ্য ঘাটতি আরও বেড়েছে

বঙ্গবন্ধু
জাতীয়11 hours ago

ড. ইউনূস-রুবিওর ফোনালাপে শিগগিরই নির্বাচন করার আলোচনা

বঙ্গবন্ধু
কর্পোরেট সংবাদ12 hours ago

ব্র্যাক ব্যাংকে কর্মীদের জন্য হেলথ ক্যাম্পের আয়োজন

বঙ্গবন্ধু
অর্থনীতি9 hours ago

আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ৩৫.৩১ শতাংশ ঋণই এখন খেলাপি

বঙ্গবন্ধু
রাজনীতি9 hours ago

১৯ জুলাই ঐতিহাসিক ‘জাতীয় সমাবেশ’ সফল করার আহ্বান জামায়াতের

বঙ্গবন্ধু
আন্তর্জাতিক9 hours ago

গাজায় একদিনে আরও ১১৮ ফিলিস্তিনি নিহত

বঙ্গবন্ধু
জাতীয়10 hours ago

জাইকার কাছে বনভূমিকে ন্যাচার লার্নিং হাবে রূপান্তরের প্রস্তাব পরিবেশ উপদেষ্টার

বঙ্গবন্ধু
অর্থনীতি10 hours ago

অফশোর ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা জামানত রেখে টাকায় মিলবে ঋণ

বঙ্গবন্ধু
অন্যান্য10 hours ago

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম আরও কমলো

বঙ্গবন্ধু
রাজনীতি10 hours ago

খুনি হাসিনা ও তার দোশরদের বিচার দৃশ্যমান করতে হবে: ড. হেলাল

বঙ্গবন্ধু
আন্তর্জাতিক11 hours ago

মে মাসে মার্কিন বাণিজ্য ঘাটতি আরও বেড়েছে

বঙ্গবন্ধু
জাতীয়11 hours ago

ড. ইউনূস-রুবিওর ফোনালাপে শিগগিরই নির্বাচন করার আলোচনা

বঙ্গবন্ধু
কর্পোরেট সংবাদ12 hours ago

ব্র্যাক ব্যাংকে কর্মীদের জন্য হেলথ ক্যাম্পের আয়োজন