ক্যাটাগরি: পুঁজিবাজার

পাঁচ কোম্পানির বাজার মূলধন কমেছে ৪ হাজার ৯৭ কোটি কোটি টাকা

পুঁজিবাজারে সূচকের ওঠানামায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ফ্রি ফ্লোট শেয়ার। গত সপ্তাহে ফ্রি ফ্লোট বাজার মূলধনের ভিত্তিতে শীর্ষ কোম্পানিগুলোর বাজার মূলধন কমেছে। আলোচ্য সময়ে পুঁজিবাজারের নিম্নমুখিতার পেছনে পাঁচ কোম্পানির উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল। এ সময়ে কোম্পানি পাঁচটির মোট বাজার মূলধন কমেছে ৪ হাজার ৯৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাজার মূলধন কমেছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি (বিএটিবিসি), গ্রামীণফোন, বিকন ফার্মা, রেনাটা ও বেক্সিমকো ফার্মার।

গত ৭ মার্চ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ফ্রি ফ্লোট বাজার মূলধনে শীর্ষ ১০ কোম্পানির মোট বাজার মূলধন ছিল ৯৫ হাজার ৯৯৩ কোটি টাকা। গত সপ্তাহ শেষে কোম্পানিগুলোর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৯১ হাজার ৭১৫ কোটি টাকায়। আর গত ৭ মার্চ ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর বাজার মূলধন ছিল ২৪ হাজার ৪৫৬ কোটি টাকা, গত সপ্তাহে শেষে তা ১ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা কমে দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ২২০ কোটি টাকায়।

এছাড়া ৭ মার্চ রেনাটার ১০ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা, বেক্সিমকো ফার্মার ৫ হাজার ৭৩২ কোটি, গ্রামীণফোনের ৩৪ হাজার ২৩০ কোটি ও বিকন ফার্মার ৫৪৬ কোটি টাকা বাজার মূলধন ছিল। গত সপ্তাহ শেষে কোম্পানিগুলোর বাজার মূলধন যথাক্রমে ৫৩১ কোটি, ৩৮৮ কোটি, ১ হাজার ৩৭৮ কোটি ও ৫৪৬ কোটি টাকা কমেছে। এছাড়া আলোচ্য সময়ে ব্র্যাংক ব্যাংকের ১১২ কোটি ও লাফার্জহোলসিমের ৬৯ কোটি টাকা বাজার মূলধন কমেছে। তবে এ সময় ফ্রি ফ্লোট বাজার মূলধনের দিক দিয়ে শীর্ষ কোম্পানি শুধু স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের বাজার মূলধন ৩৫ কোটি টাকা বেড়েছে। গত বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ১২৯ কোটি টাকায়। আলোচ্য সময়ে বেক্সিমকো লিমিটেড ও ইসলামী ব্যাংকের বাজার মূলধন অপরিবর্তিত ছিল। কোম্পানি দুটির বাজার মূলধন যথাক্রমে ১০ হাজার ৩৮৪ ও ৫ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা রয়েছে।

উল্লেখ্য, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর ওঠানামার ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয় সূচকের উত্থান-পতন। সূচকের অধীন কোম্পানিগুলোর বাজার মূলধন নির্ধারণে ব্যবহার করা হয় ফ্রি ফ্লোট পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে দেশের শেয়ারবাজারে সূচকের ওঠানামায় মূল নিয়ামকের ভূমিকা রাখছে মাত্র ২০টি কোম্পানি। এ কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বাড়ার বিপরীতে বাজারের অন্যান্য কোম্পানির দর কমলেও দিন শেষে সূচক থাকে ঊর্ধ্বমুখী। বিপরীতে এ কোম্পানিগুলোর দর কমলে তালিকাভুক্ত বাকি কোম্পানির শেয়ারদর বাড়লেও সূচকে প্রতিফলন ঘটে সামান্যই।

এসএম

শেয়ার করুন:-
শেয়ার