ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বাংলার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু, শিক্ষার্থীদের চিন্তা ও মননে বহমান

বঙ্গবন্ধু ছিলেন এক জ্বলন্ত সূর্য্য, দেশ ও মানুষের নেতা যিনি বলেছিলেন আমি ক্ষমতা চাই না, আমি এ দেশের মানুষের অধিকার চাই। পরাধীনতার শিকল ভাঙার জন্যে তিনি সকলকে যার কাছে যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। কোটি জনতা যাদের ভালোবাসা ও আবেগের মধ্যে রয়েছে একটি নাম তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শিক্ষার্থীদের মননে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে গভীর চিন্তা ও ভাবনা তুলে ধরছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার অর্থসংবাদ প্রতিনিধি মো. সাকিব আসলাম।
প্রত্যয় হোক জন্মদিনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার
সাল ১৯২০,১৭ মার্চ।
মহাকালের অতি প্রাচীন নিয়মের মত প্রভাতের পূর্ব আকাশের রাঙা হয়ে সূর্য উঠেছিল। সেদিন হয়তোবা সকলে নিজের কাজে ব্যস্ত ছিল। কিন্তু একজন মানুষ চিন্তার বোধ হয় একেবারে হাপিয়ে উঠেছিল। ঠিক কিছুক্ষণ পর যেন তিনি শুনতে পেলেন তার ঘরে আলোকিত এক ফুটফুটে শিশু এসেছে।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামের সেই শেখ পরিবারের কথায় এতোক্ষণ যে কার আসার কথা বলছিলাম সকলে তা বোধহয় বুঝে নিয়েছেন। সাধারণত ভাবে মানুষ হয়তো ভেবেছিল এ শিশুটিও হবে এক ক্ষন জন্মা। নশ্বর এ পৃথিবীতে সেই কিছুদিন বিচরণ করার পর আবারও কালের গর্ভে হারিয়ে যাবে।
কিন্তু তা হয়নি, বাবা শেখ লুৎফর রহমানের রাখা নাম খোকা, হয়েছিল এক মহাপুরুষ। যিনি এক জাতিকে পথ দেখিয়েছেন। কখনো বন্ধু কখনো নেতা আবার জাতির আলোর দিশারী হয়ে পথ দেখিয়েছেন পথভোলা সামরিক শাসন ও হানাদার বাহিনীর যাতায় পিষ্ট বাঙালী জাতিকে।
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ লক্ষকোটি বাঙ্গালীর এক আশা ভরসা ও আস্থার নাম। যে নামের মানুষটিকে চিনতে ভুল হয়না কারো। তার করে যাওয়া কাজের কথা মনে করে অজান্তে চোখের কোণা বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ে। কারণ যে মানুষটি না থাকলে আজকে বাংলাদেশ থাকত না। ঘাতকের যাতা কল থেকে দেশকে বের করে আনতে, শোষণের হাত থেকে দেশকে ছাড়িয়ে নিতে, অন্যের পরাধীনতা থেকে নিজেদের স্বাধীন করতে, নিজের জীবনকে বাজি রেখেছেন বারংবার। সদ্যজাত সন্তানের মুখ দেখা হয়নি অনেকদিন, যার কারণে নিজ ছেলে বাবাকে চিনতে ভুল করছে অনেকদিন।
পাওলো কোহেলোর মতে When you want something the whole world start conspired to achieve it. ঠিক যেন তিনি এই অর্জনের ফিসফিসে শব্দটাকে স্পষ্ট শোনার জন্যে ছুটে বেরিয়েছেন হাজারো দিন। পরিবার স্বজন সকল কে ছেড়ে পালিয়ে বেড়িয়েছেন,জেল খেটেছেন বহুদিন। তবুও তার যেন কোন ক্লান্তি নেয়। আর্নেস্ট হেমিংওয়ের সান্টিয়াগো যেমন মার্লিন মাছ কে ধরে রেখেছেন প্রাণপণ চেষ্টায় ঠিক তেমনি তিনিও একইভাবে নিজের দৃঢ় আত্মবিশ্বাস দিয়ে দেশের হাল ধরে রেখেছেন যেমন করে হোক দেশকে স্বাধীন করতে হবে।
১৯৪৭ এর দেশভাগের পরে পূর্বপাকিস্তান সৃষ্টি থেকে দেশকে স্বাধীন করা পর্যন্ত তিনি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন। দেশ ও মাটিকে আকড়ে রেখেছেন নিজের বুকে। দেশের মানুষকে যুদ্ধে অনুপ্রেরণা দিতে ৭ই মার্চ যে তিনি ভাষণ দিয়েছিলেন সেইটার বর্ণনা দিতে গেলে বুঝি পাতা শেষ হয়ে যাবে।
শুধুমাত্র দেশকে স্বাধীন করে নয়। একটা দেশকে কিভাবে বিশ্বের কাছে মাথা উঁচু করে দাড়াতে হবে সেইটাও তিনি দেখিয়েছেন। যুদ্ধপরবর্তী একটা ভাঙা মেরুদন্ড দেশকে কিভাবে দাড় করাতে হয় সেইটাও নিজ হাতে করে গেছেন বঙ্গবন্ধু। আজ তিনি স্বশরীরে নেই। কিন্তু তার আত্মত্যাগ, তার দেখানো পথ, তার বুকে ধরণ করা স্বপ্নের বাংলাদেশ রয়েছে।
বাঙালির জাতির পিতা,হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, সর্বকালের সেরা নেতা,বাঙালি জাতির আলোর দিশারী,বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আজকের জন্মদিনে জানাই হাজার কোটি শুভেচ্ছা। তাঁর দেখানো পথে এগিয়ে যাচ্ছে তাঁর স্বপ্নে বোনা সোনার বাংলাদেশ। শুভ জন্মদিন হে সোনার বাংলার কারিগর।
আফ্রিদি হাসান, সমাজকল্যাণ বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
বঙ্গবন্ধুর অস্তিত্ব ও অবদান বাঙালির বন্ধু ও পিতা হয়ে আজীবন রবে
মধুমতি নদীর তীরবর্তী অঞ্চল গোপালগঞ্জের এক প্রত্যন্ত গ্রাম টুঙ্গিপাড়া ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ জন্মগ্রহণ করেন এক শিশু। পরিবারের স্নেনের দানের নাম খোকা। মাতামহ নাম রেখেছিল মুজিব। সেদিনের সে খোকাটি আজ দেশ ও দশের কাছে পরিচিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হিসেবে। মধুমতির জল আজ গড়িয়েছে, কতশত হাজার বছরের ইতিহাসের সাক্ষী সে, সেই সাথে মধুমতির স্মৃতির মনসপটের ১৯২৪ সালের ১৭ই মার্চ থেকে ১৯২৪ সালের ১৭ই মার্চ পর্যন্ত আমাদের বন্ধু, বঙ্গের বন্ধুর সকল ইতিহাস কথার ধারক হয়ে এখনো বহমান।
কথায় বলে ‘গবরেও পদ্মফুল ফোটে’ তেমনি আজ আমাদের স্বাধীন বাঙ্গালিদের ইতিহাসে এক সাধারণ খোকা শেখ মুজিবুর রহমানের পদ্মফুল হয়ে ওঠার গল্পটা ভীষণ সংগ্রামের ও তেজদীপ্তময়। প্রত্যন্ত গ্রামের এক অতি সাধারণ পরিবার, যে পরিবারের ছিল না কোন রাজনৈতিক যোগসূত্র, এমন একটি পরিবারে সাধারণ খোকা থেকে এক বিশাল রাজনৈতিক নেতা ও তার নেতৃত্বগুণে গোটা বাঙালি জাতির পিতা হয়ে ওঠা, একটি দেশকে পরাধীনতার শিকল থেকে মুক্ত করা। বাঙালী জাতির কেড়ে নেওয়া মুখের ভাষা ছিনিয়ে আনা, ভীষণ দেশপ্রেমী, মানবদরদী হৃদয়ের অধিকারী ব্যক্তিত্ব আমাদের পদ্মফুল এবং আজ ১৭ মার্চ ২০২৪ তার ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী।
বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোরদের ভীষণ পছন্দ করতেন, তিনি তৎকালীন সমাজ গঠনের ক্ষেত্রে সবার আগে শিশুদের গড়ে তোলার প্রয়াশ করেছিলেন। এবং তিনি নিজেও সরল ও শিশুসুলভ স্বভাবের ছিলেন। তাই তো ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে শিশুদিবস পালন করা হয়।
আজ মানুষটি আমাদের মাঝে শারীরিক ভাবে নেই, কিন্তু তার অস্তিত্ব কখনোই মুছে যাবে না। ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা যে নাম, বাংলাদেশের সৃষ্টিলগ্নের সাথে জুড়ে আছে যে নাম তা কি আর কখনো ক্ষয়ে যেতে পারে। বঙ্গবন্ধু থাকবেন, বাঙালী থাকবে, বাংলাদেশ থাকবে। তিনি মৃত্যুর পরও তার অস্তিত্ব ও অবদান সমুহ বাঙালির বন্ধু ও পিতা হয়ে আজীবন আমাদের ছায়া দিয়ে যাবে।
উমাইয়া ঊর্মি, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
১৮ মিনিট থেকে ১৮ বছরে প্রবাহমান যিনি
সেদিন ছিল ১৭ই মার্চ, টুঙ্গীপাড়ার এক বাড়িতে, আনন্দের ধ্বনির সাথে ভেসে এলো শিশুর কান্নার আওয়াজ। দিনটি ছিল এক সম্ভাবনাময় তরুণের আগমনের। বাবা মা পরম মমতায় ডেকেছিলেন খোকা বলে। দরদি মনোভাবকে অবলম্বন করে ধীরে ধীরে খোকা হয়ে উঠেছিল অসহায় মানুষের জন্য নিবেদিত প্রাণ। মানুষের জন্য ইতিবাচক ভাবনায় তার প্রথম উৎসাহ ছিল ‘মা’। মানুষের প্রতি দরদি মনোভাব তার দেশপ্রেমকে জাগ্রত করে। খোকা নিজেকে জড়িয়ে নেয় রাজনীতির দাবানলে। যে আগুনে নিজেকে পুড়িয়ে খাটি সোনায় পরিণত হন তিনি। সকলের স্নেহের ছোট্ট খোকা হয়ে ওঠে শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে ওঠেন ‘জাতির জনক’। কতশত শত্রুদের মোকাবিলা করেছেন। জীবন তাঁর সংশয়াপন্ন জেনেও শত্রুদের মুখোমুখি হয়েছেন। শত্রুদের কোনো প্রলোভনেই তিনি মাথা নুয়াতে পারিনি। মিথ্যা দোষে সাজা পেয়ে জীবনের অর্ধেক সময় কেটেছে তার অন্ধকার কারাগারের নির্জনতায়। নানান বৈষম্যের স্বীকার হওয়া বাঙালি জাতির অধিকার বুঝে দিতে ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ এক ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন তিনি। শত্রুর ধারণার সময়কে ব্যতিরেকে; ১৮ মিনিটের ভাষণটি পৌছে গেল ১৮ বছরের তরুণ প্রজন্মের রন্ধ্রে। জেগে উঠলো বাঙালি সত্তার। শত্রুরা পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য হলো।
খোকা থেকে ‘জাতির জনক’ এভাবে ছিলেন তিনি আমাদের অনুপ্রেরণা। আমাদের আদর্শের ধারক। তিনি এমন এক জাতির রূপকার, যাদের কথা আজ বিশ্ব স্মরণ করে। পরাশক্তির মনে যাদের কথার উদিত হলে, ভয়ে শিহরণ সৃষ্টি হয়। আমাদের মতো তরুণ প্রজন্মকে তিনি জাগিয়েছেন। আজও তার আদর্শকে লালন করে, তাজা প্রাণ হয়ে ওঠে বিদ্রোহী, পূণরায় হয়ে ওঠে মানব দরদি।
১৮ মিনিট থেকে ১৮ বছর এভাবেই তিনি প্রবাহমান। তরুণ প্রজন্মের হৃদয় স্পন্দন। কিংবদলির মত্য হয়নি। তিনি বেঁচে আছেন। ১৮ বছরের তরুণ প্রজন্মের রন্ধ্রে। জেগে উঠলো বাঙালি সত্তার। শত্রুরা পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য হলো। ১৮ মিনিট থেকে ১৮ বছর এভাবেই তিনি প্রবাহমান। তরুণ প্রজন্মের হৃদয় স্পন্দন। কিংবদন্তির মৃত্যু হয়নি। তিনি বেঁচে আছেন এবং থাকবেন ১৮ এর হৃদয়ে।
সুরাইয়া, অর্থনীতি বিভাগ, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
আরও ২৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাদ শেখ পরিবারের নাম

দেশের আরও ২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শেখ পরিবার ও তাদের সদস্যদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নতুন নামকরণও করা হয়েছে। আজ বুধবার (৪ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব রহিমা অক্তারের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে দেখা যায়, নাম পরিবর্তন হওয়া ২৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০টিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম, ৫টি শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব, ৪টি শেখ রাসেলের নামে ছিল। এছাড়া শেখ হাসিনা, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ আরজু মনি ও আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের নামে একটি করে প্রতিষ্ঠানের নাম ছিল।
এর আগেও অন্তর্বর্তী সরকার শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তাদের নাম বাদ দেয়। শেখ পরিবারের নামে থাকা ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামও পরিবর্তন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ১০টি, শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবের নামে একটি, শেখ হাসিনার নামে একটি এবং মুজিবনগর নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল।
এছাড়া সম্প্রতি ৬৮টি কলেজের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৬টি শেখ পরিবারের নামে ছিল। ৩৭টিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ছিল। শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবের নাম ছিল ১৬টি কলেজে। এছাড়া শেখ হাসিনার নামে ছিল ৫টি, শেখ রাসেল এবং আব্দুর রব সেরনিয়াবতের নামে দুটি কলেজ ছিল।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ফল প্রকাশ

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। আজ বুধবার (০৪ জুন) বিকেল ৫টা ১০ মিনিটের পর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে পাসের হার ৭০ শতাংশ বলে জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, এদিন বিকেল ৫টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন এনটিআরসিএর বোর্ড সভা শেষ হওয়ার পরই ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়। দুপুর থেকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এনটিআরসিএর কার্যালয়ে এ বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বোর্ড সভা সম্পর্কে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক) হেলালুজ্জামান সরকার বলেন, মূলত ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ফল প্রকাশ নিয়েই আজকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আজ বিকেলে ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত হয়।
২০২৩ সালের ২ নভেম্বর ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এ পর্যায়ে রেকর্ডসংখ্যক প্রায় ১৯ লাখ প্রার্থী আবেদন করেন। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০২৪ সালের ১৫ মার্চ।
এরপর গত বছরের ১৪ অক্টোবর লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। সেখানে ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন উত্তীর্ণ হন, পাসের হার ছিল ২৪ শতাংশ। তখনই জানা যায়, উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ যোগ্যদের নিয়েই চূড়ান্ত ফল প্রস্তুত করা হবে।
কোন স্তরে কতজন?
এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদের মধ্যে— স্কুল-২ পর্যায়ে ২৯ হাজার ৫১৬ জন, স্কুল পর্যায়ে ২ লাখ ২১ হাজার ৬৫২ জন, কলেজ পর্যায়ে: ২ লাখ ২৮ হাজার ৮১৩ জন রয়েছেন। সবমিলিয়ে মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
যেভাবে দেখা যাবে ফল
১৮তম নিবন্ধনের ফল জানতে প্রার্থীরা http://ntrca.gov.bd এবং http://ntrca.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটের যেকোনটিতে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে লগইন করলেই ফলাফল দেখতে পারবেন।
সামনে কী?
চূড়ান্ত ফল প্রকাশের মধ্যদিয়ে এখন প্রার্থীদের নিয়োগ সুপারিশের অপেক্ষা। এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে, দেশের বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। এসব পদে নিয়োগে সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের যাচাইয়ের পর যথাযথ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে।
উল্লেখ্য, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) হলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, যা দেশের বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগ্য ও দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে। প্রতিষ্ঠানটি ২০০৫ সাল থেকে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থীদের লিখিত, মৌখিক ও প্রিলিমিনারি যাচাইয়ের মাধ্যমে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে থাকে। নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রার্থীদের যোগ্য শিক্ষক হিসেবে প্রত্যয়ন দেওয়া হয়।
কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
অভিজ্ঞতা ছাড়াও চাকরি দেবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। দেশের সর্ববৃহৎ বেসরকারি বিমান সংস্থাটির সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগ এক্সিকিউটিভ পদে একাধিক জনবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। গত ২৯ মে থেকেই আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। আবেদন করা যাবে আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও মোবাইল বিল, সাপ্তাহিক ২ দিন ছুটি, বিমা,দুপুরের খাবার সুবিধা, প্রতি বছর বেতন পর্যালোচনা, বছরে ২টি উৎসব বোনাস, কোম্পানির নীতিমালা অনুযায়ী বিমান টিকিটে ছাড় পাবেন।
প্রতিষ্ঠানের নাম: ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স
পদের নাম: এক্সিকিউটিভ
বিভাগ: সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং
পদসংখ্যা: ১০টি
শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিবিএ/এমবিএ
অন্যান্য যোগ্যতা: সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা
অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ২ বছর, তবে অভিজ্ঞতা না থাকলেও আবেদন করতে পারবেন আগ্রহীরা।
চাকরির ধরন: ফুলটাইম
কর্মক্ষেত্র: অফিসে
প্রার্থীর ধরন: শুধু পুরুষ
বয়সসীমা: ২১ থেকে ২৮ বছর
কর্মস্থল: দেশের যেকোনো স্থানে
বেতন: ৩০,০০০ টাকা (মাসিক)
অন্যান্য সুবিধা: মোবাইল বিল, সাপ্তাহিক ২ দিন ছুটি, বিমা,দুপুরের খাবার সুবিধা, প্রতি বছর বেতন পর্যালোচনা, বছরে ২টি উৎসব বোনাস, কোম্পানির নীতিমালা অনুযায়ী বিমান টিকিটে ছাড়।
আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
আবেদনের শেষ সময়: ১৪ জুন ২০২৫
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকীতে দোয়া ও মোনাজাত

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব আশরাফ উদ্দিন খান আজহারি।
শুক্রবার (৩০ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জুম্মা নামাজের পরে এ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এর পূর্বে বেলা ১১টার দিকে প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে একটি শোক যাত্রা শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে শহীদ রাষ্ট্রপতির স্থাপিত ভিত্তিপ্রস্তরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হকসহ অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ।
দোয়া অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী বলেন, শহীদ জিয়া ১৯৭৬ সালের পহেলা ডিসেম্বর ঘোষণা করেছিলেন দেশে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হবে। তিনি ১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আজ তাকে শুধু রাষ্ট্রপতি হিসেবে নয় বরং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করছে। বিরূপ আবহাওয়া থাকলেও আমাদের আন্তরিকতার কোনো অভাব নাই। শহীদ জিয়ার স্মরণে আজ গরিব দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানকে আজকের দিনে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে হত্যা করা হয়েছিল। দেশের উন্নত-সমৃদ্ধ করতে চেয়েছিলেন তাই জনগণ তাকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলো। তিনি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সহ বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনি দেশে এই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আজকে আমরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে স্মরণ করছি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে তার স্বপ্ন উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, ঐক্যবদ্ধভাবে বহুদলীয় রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইফাজের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থী ইফাজের ওপর হামলার প্রতিবাদে এবং সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রদল।
শুক্রবার (৩০ মে) দুপুর ১২টার দিকে ইবি থানা-ফটক থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। পরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের সামনে এসে সমবেত হন। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন সংগঠনটি।
বিক্ষোভ সমাবেশে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ ও সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুনের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার পারভেজ, যুগ্ম আহবায়ক আবু দাউদ, আনারুল ইসলাম, আহসান হাবিব, সদস্য সাব্বির হোসাইন, রাফিজ আহমেদ, নুর উদ্দিন, উল্লাস মাহমুদ, রাকিব হোসেন সাক্ষর, রনি, তৌহিদুল ইসলাম, ইব্রাহিম, আলামিন, রিয়াজ, রায়হান, মেহেদী, সাবিক, ওয়াশিকুর, জনি, উৎস, অনিক, বাপ্পী প্রমুখ।
ইবি শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুন বলেন, আপনারা জানেন, একদল সন্ত্রাসী কুয়েটের মেধাবী ছাত্র ইফাজের ওপর হামলা করেছে। গুপ্ত সংগঠন এই হামলা চালিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আনার দাবি জানাই।
ইবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, সারাদেশের প্রতিটি ক্যাম্পাসে প্রতিনিয়ত যে গুপ্ত হামলার শিকার হচ্ছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিরাপদ নয়। আমাদের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েও নিরাপত্তা চাই। সব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ, আপনারা জাতির মেধাবী সন্তানদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করুন এবং ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করার জন্য সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। আমাদের অভিভাবক তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে আসছি। বর্তমান দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য ইন্টেরিম গভর্মেন্টের প্রতি এবং ইফাজের ওপর হামলালারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম