সারাদেশ
কুমিল্লায় বিজয় এক্সপ্রেসের ৯ বগি লাইনচ্যুত

চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিজয় এক্সপ্রেসের নয়টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। দুর্ঘটনার পর থেকে চট্টগ্রামের সঙ্গে ঢাকা, সিলেট ও ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আজ রবিবার দুপুরে নাঙ্গলকোট উপজেলার ঢালুয়া ইউনিয়নের তেজের বাজার এলাকায় এ বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটে। নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে।
রেলওয়ে কুমিল্লার ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) লিয়াকত আলী মজুমদার জানান, এদিন নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে ময়মনসিংহ অভিমুখী বিজয় এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসে। চৌদ্দগ্রামের গুণবতী স্টেশন পার হয়ে নাঙ্গলকোটের হাসানপুর স্টেশনে প্রবেশের সময় আউটারে ট্রেনটির ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়।
তিনি বলেন, হঠাৎ গরমের কারণে এমন হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় অর্ধশত যাত্রী আহত হয়েছেন এবং অন্তত চার থেকে চারজন গুরুতর আহত আছেন। ট্রেনটিকে উদ্ধারে লাকসাম থেকে আরেকটি ট্রেন ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম জানান, আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি এটা বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন। হাসানপুর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে নাঙ্গলকোটের আগে ঘটনাটি ঘটেছে। ইঞ্জিন লাইনে আছে। তবে ৬ থেকে ৭টি কোচ লাইনচ্যুত হয়েছে। আমরা প্রাথমিকভাবে এ বিষয়টুকু জেনেছি। রিলিফ ট্রেন পাঠানোসহ আরো কিছু প্রাথমিক কাজ আছে, সেগুলো আমরা এই মুহূর্তে করছি।
লাকসাম রেলওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরাদ উল্ল্যাহ বাহার জানান, ঘটনার পর থেকে আপলাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল করবে। ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। বিস্তারিত পরে জানাতে পারব।
প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর জানা না গেলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে অনেক আহত হওয়ার। তবে দুর্ঘটনার বেশ কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে ট্রেনটির কয়েকটি বগি ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
কাফি

সারাদেশ
গোমতী নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে, কুমিল্লায় বন্যার শঙ্কা

টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হু হু করে বাড়ছে কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি। ফলে জেলার কয়েকটি উপজেলায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বুধবার (৯ জুলাই) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে গোমতী নদীর পানি ৮ দশমিক ৫৬ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হতে দেখা গেছে। যা বিপৎসীমার ৩ মিটার নিচে। গোমতী নদীর বিপৎসীমা ১১ দশমিক ৩ সেন্টিমিটার।
কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, আকস্মিক ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে গত ২৪ ঘণ্টায় গোমতীর পানি ৫ মিটারের মতো বৃদ্ধি পেয়েছে। কুমিল্লা অঞ্চলের পাশাপাশি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যেও ব্যাপক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ওই রাজ্যের পানি গোমতী দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কুমিল্লা অংশের দিকে নামছে।
কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মো. ওয়ালিউজ্জামান জানান, টানা ভারী বর্ষণ আর উজানের ঢলে গোমতী নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃষ্টি থেমে গেলে এবং উজানের ঢল বন্ধ হলে বিপদ কাটতে পারে। নতুবা বন্যার শঙ্কা রয়ে যাবে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অপরদিকে কুমিল্লা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেল ৩টা থেকে আজ বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১২৯ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। একটি ভারী বর্ষণের সংকেত রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও এই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।
কুমিল্লা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মো. আরিফ জানান, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ভারী বর্ষণ হচ্ছে। সাগরে একটি লঘুচাপ আছে, তবে সেটি অনেক দূরে ভারতের অংশে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য আবহাওয়ার একই পূর্বাভাস রয়েছে।
এদিকে গোমতীর পানি বৃদ্ধির ফলে বন্যার আগাম প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।
কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া জানান, জেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে বন্যার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। আমাদের ৫৮৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও জিআর চাল মজুত আছে। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।
সারাদেশ
ফেনীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙন, ৩০ গ্রাম প্লাবিত

ফেনীতে ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানিতে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৪টি স্থান ভেঙে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এতে অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে, ভোগান্তিতে পড়েছে হাজারো মানুষ। এছাড়া রাস্তা-ঘাট ডুবে যাওয়ায় জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পরশুরাম উপজেলা।
পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পরশুরাম উপজেলার জঙ্গলঘোনায় দুইটি, অলকায় তিনটি, শালধর এলাকায় একটি ও ফুলগাজী উপজেলার উত্তর শ্রীপুর এলাকায় একটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সিলোনিয়া নদীর পরশুরামের গদানগর এলাকায় একটি ও ফুলগাজীর দেড়পড়া এলাকার দুইটি স্থানে ভেঙেছে। এছাড়া কহুয়া নদীর পরশুরাম উপজেলার সাতকুচিয়ায় দুইটি, বেড়াবাড়িয়ায় একটি ও ফুলগাজী উপজেলার দৌলতপুর এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের একটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
পরশুরামের মধ্যম ধনীকুন্ডা এলাকার বাসিন্দা নাহিদা সুলতানা বলেন, সন্ধ্যার পর ঘরে পানি ঢুকতে শুরু করে। কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে ছাদে আশ্রয় নিয়েছি। গেলো বছরের বন্যাতেও সব জিনিসপত্র নষ্ট হয়েছে। বছর না ঘুরতে আবার আমাদের স্বপ্ন পানিতে ডুবছে।
মির্জানগর ইউনিয়নের পূর্ব রাঙামাটিয়া এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণে বল্লামুখা বাঁধের প্রবেশ মুখটি বন্ধ করা হয়নি। সময়মতো বাঁধের এ স্থানটি বন্ধ করা হলে পানি প্রবেশের সুযোগ ছিল না। প্রতিবছরই কিছু মানুষের দায়সারা কাজের কারণে বড় একটি জনগোষ্ঠীকে ভোগান্তি পোহাতে হয়।
পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমান বলেন, মাঠপর্যায়ে থেকে সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। মানুষজন এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে আসছে না। বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙনের ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহরিয়া ইসলাম বলেন, উপজেলায় তিনটি নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের চারটি স্থানে ভাঙনের তথ্য পেয়েছি। এরইমধ্যে শতাধিক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছে। তাদের জন্য শুকনো খাবার ও রান্না করা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া বুধবার (৯ জুলাই) উপজেলার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চলমান অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
ফেনী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান বলেন, জেলায় টানা দুই দিন ধরে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা বিগত কয়েক বছরে সর্বোচ্চ। বুধ ও বৃহস্পতিবারও জেলাজুড়ে মাঝারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কাশেম বলেন, নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে আরও বাঁধ ভাঙনের শঙ্কা রয়েছে।
অপরদিকে টানা ভারী বর্ষণ ও ভারতের উজানের পানিতে ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় নানা প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে দুই উপজেলায় মোট ১৩১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্গতদের জন্য শুকনো খাবার ও রান্না করা খাবারের জন্য সাড়ে ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ফুলগাজী উপজেলায় ৩২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৬৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পরশুরাম উপজেলায় ৩২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে শুকনো খাবার, রান্না করা খাবার ও বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখায় ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় ৪০০ করে মোট ৮০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি দুর্গতদের মাঝে রান্না করা খাবার সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সারাদেশ
আজ ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলার ডিএনডি খাল খনন প্রকল্পের আওতায় ঢাকা অংশের ৯ টি খালে বিদ্যমান গ্যাস পাইপলাইন স্থানান্তর কাজের জন্য আজ (সোমবার) ঢাকার বিভিন্ন স্থানে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
রবিবার (৬ জুলাই) এক বার্তায় এই তথ্য জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
বার্তায় বলা হয়, সোমবার (৭ জুলাই) সকাল ৮ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত মোট ১১ ঘণ্টা টেংরা, বাহির টেংরা, হাজীনগর, আমতলা, বড়ভাঙ্গা, কোদালদোয়া, সানাড়পাড়, নিমাইকাশারি, নামা শ্যামপুর, জিয়া সরণি, জাপানি বাজার, তিতাস গ্যাস সড়ক, ছাপড়া মসজিদ, রূপসী বাংলা হাসপাতাল, শনির আখড়া, আরএস টাওয়ার সংলগ্ন এলাকা, গোবিন্দপুর, মাতুয়াইল, মৃধাবাড়ী, কাজলা, ভাঙ্গা ব্রিজ, ডেমরা, স্টাফ কোয়ার্টার, আমুলিয়া, পাইটি, জহির স্টিল, শাহরিয়ার স্টিল, ধার্মিক পাড়া ও কাউন্সিল এলাকায় বিদ্যমান সব শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
ওই বার্তায় আরও বলা হয়, এছাড়া এর আশপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে। গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
সারাদেশ
পুটিয়ায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে ফুটসাল ডে-নাইট ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু

হাজারো দর্শকের উপস্থিতিতে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠলো পুটিয়া ফুটসাল ডে-নাইট ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫ (সিজন-০১)-এর। শুক্রবার (৪ জুলাই) রাত ৮টায় পুটিয়া বড় তালুকদার বাড়ি মোড় সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত হয় টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধনী ম্যাচ।
পুটিয়া ফুটসাল কর্তৃক আয়োজিত এবারের প্রতিযোগিতায় মোট ২৬টি দল অংশগ্রহণ করছে। উদ্বোধনী খেলায় মুখোমুখি হয় ভেদরগঞ্জ ক্রীড়া একাডেমি বনাম বাংলা বাজার ফুটবল একাডেমি। জমজমাট এই খেলায় ভেদরগঞ্জ ক্রীড়া একাডেমি ৪-২ গোলে জয়লাভ করে।
পুরো মাঠ ছিল উৎসবমুখর, করতালিতে মুখরিত দর্শকদের উচ্ছ্বাসে। ম্যাচ সেরা (ম্যান অব দ্য ম্যাচ) নির্বাচিত হন ভেদরগঞ্জ ক্রীড়া একাডেমির অন্তর।
টুর্নামেন্টের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভেদরগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক মোহাম্মদ মোজাহেরুল হক। তিনি বলেন, এলাকাভিত্তিক খেলাধুলার মাধ্যমে যুবসমাজকে খারাপ দিক থেকে দূরে রাখা যায়। খেলাধুলা সময়কে গঠনমূলক কাজে ব্যয় করতে শেখায়। আমি আয়োজক খেলোয়াড় অভিভাবক ও দর্শকদের আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই।
আরও উপস্থিত ছিলেন আহ্বায়ক ভেদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি হাবিবুর রহমান তালুকদার, পারভেজ আহমেদ সেলিম, ডা.সাইফুল ইসলাম সুমন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর মনিরুজ্জামান তালুকদার। টুর্নামেন্ট উদ্যোক্তা ছিলেন হাবিবুর রহমান রতন তালুকদার এবং আতাউর রহমান রানা তালুকদার। এছাড়াও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ক্রীড়াপ্রেমী দর্শকবৃন্দ এবং বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদ/তাহের/কাফি
সারাদেশ
কুমিল্লায় একই পরিবারের ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যা

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা থানার কড়াইবাড়ি গ্রামে মাদক সংশ্লিষ্টতার জের ধরে নারীসহ একই পরিবারের ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে উপজেলার বাঙ্গরা থানার আকবপুর ইউনিয়নের কড়াইবাড়ি গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।
এ দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঙ্গুরা বাজার থানার উপ-পরিদর্শক মো. নাহিদ জানান, এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন রুবি বেগম (৫৮), তার ছেলে রাসেল (৩৫) ও মেয়ে জোনাকি আক্তার (২৭)।
এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মাহফুজুর রহমান বলেন, গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছেন, এ তিনজন দীর্ঘদিন ধরে মাদক চোরাকারবারের সঙ্গে জড়িত।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয়রা তাদের পিটিয়ে হত্যা করেছেন। আমরা ঘটনা তদন্ত করছি। এ নিয়ে এলাকায় সামান্য উত্তেজনা থাকলেও পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেখানে অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়ন রয়েছে বলেও জানান ভাঙ্গরা বাজার থানার ওসি।
মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, কড়াইবাড়ি গ্রামে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনা ঘটেছে। কুমিল্লার পুলিশ সুপার নজির আহম্মেদ খান এরই মধ্যে ঘটাস্থলে পৌঁছেছেন।
কাফি