Connect with us

জাতীয়

জাতির মহানায়কের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী আজ

Published

on

বাজার মূলধন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী আজ। সারাদেশে দিনটি জাতীয় শিশু কিশোর দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালির অবিসংবাদিত এই নেতা ১৯২০ সালের এই দিনে তৎকালীন ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শেখ লুৎফর রহমান এবং সায়েরা খাতুন দম্পতির তৃতীয় সন্তান ছিলেন তিনি।

জাতির পিতার জন্মদিনকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ‘জাতীয় শিশু দিবস’হিসেবে উদযাপন করা হচ্ছে। দিনটিতে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিতে রোববার (১৭ মার্চ) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ঘিরে তার জন্মভিটায় বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে আয়োজন করা হয়েছে শিশু সমাবেশ। থাকবে নাচ-গান ও কবিতা আবৃত্তির আয়োজন।

জানা গেছে, টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। এ সময় বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেবেন তারা।

এরপর রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানিয়ে সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সের ১ নম্বর গেটে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত শিশু দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ঢাকা ফিরবেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন। তবে গোপালগঞ্জে বেশ কিছু অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

নানা কর্মসূচির পাশাপাশি দিনটিতে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতেও দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করা হবে।

এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন দিবসটি উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সরকারি বেসরকারি টেলিভিশন ও বেতার এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে।

কিশোর বয়স থেকেই রাজনীতি সচেতন ছিলেন শেখ মুজিব। গোপালগঞ্জের মিশন স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে তৎকালীন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যোগদানের কারণে শেখ মুজিবুর রহমান প্রথমবারের মতো কারাবরণ করেন।

ম্যাট্রিক পাসের পর কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে অধ্যয়নকালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও আবুল হাশিমের মতো রাজনৈতিক নেতাদের সান্নিধ্যে আসেন তিনি। এসব নেতার সাহচার্যে নিজেকে ছাত্র-যুবনেতা হিসেবে রাজনীতির অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত করেন।

১৯৪০ সালে সর্বভারতীয় মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগদানের মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। ১৯৪৬ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ (বর্তমানে মওলানা আযাদ কলেজ) ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ গঠন করেন। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগ গঠন হলে যুগ্ম সম্পাদক পদ পান বঙ্গবন্ধু।

তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৮ সালের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬-দফা ও পরবর্তী সময়ে ১১ দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন এবং বঙ্গবন্ধু উপাধি লাভ করেন।

১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জিত হলেও তৎকালীন পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করে বাঙালি জাতির ওপর নানা নির্যাতন শুরু করে। এরপর বঙ্গবন্ধু স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলনকে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে প্রথমে স্বাধিকার আন্দোলন এবং চূড়ান্ত পর্বে স্বাধীনতার আন্দোলনে রূপ দেন।

এ আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় একাত্তরের মার্চে নজিরবিহীন অসহযোগ আন্দোলন শুরু করেন বঙ্গবন্ধু। ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানের (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জনসমুদ্রে ঐতিহাসিক ভাষণে তিনি বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। এরই ধারাবাহিকতায় ২৬ মার্চে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়।

স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু বেশি দিন দেশ গঠনের কাজ করতে পারেননি। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেন। ঠিক সেই মুহূর্তে তার বিরুদ্ধে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র শুরু করে।

ওই ষড়যন্ত্রেরই অংশ হিসেবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তিনি ধানমন্ডির বাসভবনে কতিপয় বিপথগামী সেনা কর্মকর্তার হাতে সপরিবারে নিহত হন। বিদেশে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যান তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

কাফি

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আরাকান আর্মিই বড় সমস্যা: তৌহিদ হোসেন

Published

on

বাজার মূলধন

দূতাবাসের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আরাকান আর্মি বড় সমস্যার জায়গা। বাংলাদেশ না পারছে তাদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করতে, না পারছে তাদেরকে এড়িয়ে যেতে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ফরেন সার্ভিস ডে উপলক্ষে কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় এ কথা বলেন তিনি।

বক্তব্যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিদেশগামীদের ৮০ শতাংশ সমস্যা ঢাকা থেকে সৃষ্টি আর ২০ শতাংশ গন্তব্য দেশে গিয়ে। দূতাবাসে লোকবল কম থাকলেও প্রবাসীদের ১০০ শতাংশ সমস্যা সমাধান করতে হয়।

তিনি বলেন, প্রবাসীদের সমস্যা সবার আগে সমাধান করতে হবে। দূতাবাসের সীমাবদ্ধতা থাকলেও মানুষকে আগে সেবা দিতে হবে।

রেমিট্যান্সের ব্যাপারে তৌহিদ হোসেন বলেন, ১৯৮০ এর দশকে এক বিলিয়ন ডলার রপ্তানি ছিল। এখন (বর্তমান) ৬০ বিলিয়ন ডলার, যেখানে কিছুটা হলেও দূতাবাসের ভূমিকা আছে। এ ছাড়া সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এক কোটি প্রবাসী দেশে রেমিট্যান্স পাঠান।

এ সময় তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বৈশ্বিক জনমত সৃষ্টিতে ফরেন সার্ভিসের কর্মকর্তারা কলকাতা থেকে কাজ শুরু করেছিলেন। ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল তখন ৬৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে কলকাতায় ডেপুটি হাইকমিশন গঠন হয়।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

জাতীয়

নয় মাসে এক আকাশ ভালোবাসা পেয়েছি: প্রেস সচিব

Published

on

বাজার মূলধন

গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের ক্ষমতায় আসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, যার নেতৃত্বে রয়েছেন নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই সরকারের প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পান সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শফিকুল আলম।

প্রায় নয় মাস দায়িত্ব পালনের পর নিজের ফেসবুক পেজে এক আবেগঘন স্ট্যাটাসে আজ তিনি তুলে ধরেছেন তার অভিজ্ঞতা ও প্রাপ্তি।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া স্ট্যাটাসে শফিকুল আলম লেখেন, গত নয় মাসে আমি কী অর্জন করেছি: এক চিমটি ঘৃণা, একমুঠো অবিশ্বাস ও এক আকাশ ভালোবাসা।

শফিকুল আলমের এই স্ট্যাটাস ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই মন্তব্য করছেন, একজন মুখপাত্র হিসেবে তার প্রকাশভঙ্গি প্রশংসনীয়।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

জাতীয়

ভারতে মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ

Published

on

বাজার মূলধন

ভারতে ওয়াকফ বিল পাস ও মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, বাংলাদেশ।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) জুমার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ প্রতিবাদ জানায় সংগঠনটি।

এসময় বক্তারা বলেন, গুজরাটের কসাই মোদী একের পর এক মুসলিমদের অধিকার খর্ব করছে। তারা মুসলমানদের ঘর-বাড়ি ভেঙে দিছে। তাদের জন্মস্থান থেকে উচ্ছেদ করছে। সর্বশেষ ওয়াকফ বিল পাস করে ভারতে মুসলমানদের অধিকার খর্ব করছে। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে সমগ্র ভারতে মুসলিমরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তাদের হত্যা করা হচ্ছে। আমরা এসব নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানাই। এক হিন্দুত্ববাদী সরকার আমাদের ১৬ বছর নিষ্পেষিত করছে। এর পরিণতি ভারতকে ভোগ করতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন,গাজাকে আজ পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্ত আমাদের বিজয় গাজাতেই হবে। ইসরায়েল তাদের পাপের ফল ভোগ করবে। আমরা আরব বিশ্বকে বলবো, আপনারা মাঠে নামুন। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইহুদিদের মোকাবিলা করুন। বিশ্ব মুসলমান একত্র হলে ইহুদিসহ মুসলমানদের শত্রুরা নিশ্চয় পরাজিত হবে।

এসময় জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, বিগত ৬ সপ্তাহ ফিলিস্তিনে কোনো সহায়তাও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এই মুহূর্তে সারা দুনিয়ার জন্য ইসরায়েল একটি বিষফোঁড়া। পৃথিবীতে সভ্যতা প্রতিষ্ঠা করতে হলে ইসরায়েলকে থামাতে হবে। বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। এদেশের কোনো দোকানে ইসরায়েলের পণ্য চলতে পারে না।

তিনি বলেন, মসজিদ মাদরাসা বন্ধ করে দেওয়াই ভাততের এজেন্ডা। তাই বিতর্কিত ওয়াকফ বিল ভারতে আর চলতে দেওয়া যাবে না। আমরা হয়তো দেখে যেতে পারবো না তবে ভারত একসময় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হবে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

জাতীয়

প্রবাসীদের সমস্যা সবার আগে সমাধান করতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

Published

on

বাজার মূলধন

কর্মীদের বিদেশ পাঠানোর ক্ষেত্রে ৮০ ভাগ সমস্যা দেশ থেকেই তৈরি হয়। পরে সৃষ্ট সমস্যা দূতাবাসকে সামলাতে হয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ফরেন সার্ভিস ডে উপলক্ষে কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দূতাবাসের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রবাসীদের সমস্যা সবার আগে সমাধান করতে হবে। দূতাবাসের সীমাবদ্ধতা থাকলেও মানুষকে আগে সেবা দিতে হবে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কর্মীদের বিদেশ পাঠানোর ক্ষেত্রে ৮০ ভাগ সমস্যা দেশ থেকেই তৈরি হয়। পরে সৃষ্ট সমস্যা সামলাতে হয় দূতাবাসকে। সুতরাং প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা দিয়েই কর্মী পাঠানো গেলে প্রবাসীদের সমস্যা কম হবে। একইসঙ্গে মিশনগুলোর ওপর চাপ কমবে।

রেমিটেন্সের ব্যাপারে তৌহিদ হোসেন বলেন, ১৯৮০ এর দশকে এক বিলিয়ন ডলার রফতানি ছিল। এখন (বর্তমান) ৬০ বিলিয়ন ডলার, যেখানে কিছুটা হলেও দূতাবাসের ভূমিকা আছে। এছাড়া সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এক কোটি প্রবাসী দেশে রেমিটেন্স পাঠান।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আরাকান আর্মি বড় সমস্যার জায়গা। বাংলাদেশ না পারছে তাদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করতে, না পারছে তাদেরকে এড়িয়ে যেতে।

এ সময় তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বৈশ্বিক জনমত সৃষ্টিতে ফরেন সার্ভিসের কর্মকর্তারা কলকাতা থেকে কাজ শুরু করেছিলেন। ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল তখন ৬৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে কলকাতায় ডেপুটি হাইকমিশন গঠন হয়।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

জাতীয়

পররাষ্ট্রনীতি হবে একান্তভাবে বাংলাদেশের স্বার্থনির্ভর

Published

on

বাজার মূলধন

প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, একটি প্রতিবেশীকে খুশি রাখতে গিয়ে আরেকজন থেকে দূরে থাকার নীতি একটি স্বাধীন দেশের পররাষ্ট্রনীতি হতে পারে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জন্য অতীতের সমস্যা কাটিয়ে ভবিষ্যতের মঙ্গল চিন্তা করে একসঙ্গে কাজ করার সম্ভবত এখন সময় এসেছে।

আজ, ১৮ এপ্রিল (শুক্রবার) সকালে ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এমন কথা বলেন।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, আমরা এমন একটি প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলাম, বাংলাদেশ কি এখন পাকিস্তানপন্থি পররাষ্ট্রনীতির দিকে ঝুঁকছে? প্রশ্নটি মোটেই আমাদের বিস্মিত করেনি। সব সময় কিছু মানুষ থাকবে যারা বাংলাদেশের স্বাধীন পরিচয়ে বিশ্বাস করতে চায় না।

তিনি বলেন, আমাদের জবাব ছিল স্পষ্ট। অতীতে যাই ঘটুক না কেন, এখন থেকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি হবে একান্তভাবে বাংলাদেশের স্বার্থনির্ভর ও প্রো-বাংলাদেশ।

পাকিস্তানের বেসামরিক সমাজ, গণমাধ্যম ও বুদ্ধিজীবী মহলের অনেকেই মনে করেন যে, ক্ষমাপ্রার্থনা একটি সদিচ্ছা ও সৌজন্যের প্রতিফলন হতো। কিন্তু পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সামরিক আমলাতন্ত্র বরাবরই এ ধারণার বিপক্ষে থেকেছে, ফলে আজও আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়া হয়নি।

ডেপুটি সেক্রেটারি আরও লেখেন, বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাছ থেকে সম্পদ বণ্টনের বিষয়টিও উত্থাপন করেছে। যেটি পূর্ববর্তী সরকারগুলো এড়িয়ে চলেছিল এবং আলোচনার পরিবর্তে বিচ্ছিন্নতাকে প্রাধান্য দিয়েছিল। একটি হিসাবে, ১৯৭৪ সালের হিসাবে বাংলাদেশের দাবি করা অর্থের পরিমাণ ছিল অন্তত ৪.৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই হিসাব তৈরি হয়েছিল অভ্যন্তরীণ মূলধন সৃষ্টি, বৈদেশিক ঋণ নিষ্পত্তি এবং বৈদেশিক সম্পদের ধারণার ভিত্তিতে।

এছাড়া ১৯৭০ সালের নভেম্বরে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পূর্ব পাকিস্তানের জন্য বিদেশি দেশ/সংস্থাগুলোর দেওয়া প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত দাবি রয়েছে বাংলাদেশের। এই অর্থ যুদ্ধের সময় ঢাকা থেকে পাকিস্তানের স্টেট ব্যাংকের লাহোর শাখায় স্থানান্তর করা হয়।

‘আটকে পড়া পাকিস্তানিদের’ প্রত্যাবাসনও দুই দেশের সম্পর্কের অন্যতম একটি অন্তরায়। অতীতে পাকিস্তান প্রায় ১,২৫,০০০ নাগরিককে ফেরত নিয়েছে, কিন্তু এখনো প্রায় ৩,২৫,০০০ মানুষ বাংলাদেশের ১৪টি জেলার ৭৯টি ক্যাম্পে বসবাস করছেন।

এ বিষয়গুলোই মূলত বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে বারবার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সম্ভবত এখন সময় এসেছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জন্য অতীতের সমস্যা কাটিয়ে ভবিষ্যতের মঙ্গল চিন্তা করে একসঙ্গে কাজ করার। একটি প্রতিবেশীকে খুশি রাখতে গিয়ে আরেকজন থেকে দূরে থাকার নীতি একটি স্বাধীন দেশের পররাষ্ট্রনীতি হতে পারে না।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজারের সর্বশেষ

বাজার মূলধন বাজার মূলধন
পুঁজিবাজার18 hours ago

সপ্তাহজুড়ে পতন, কমেছে লেনদেন ও বাজার মূলধন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন বিদায়ী সপ্তাহে (১৩ এপ্রিল তেকে ১৭ এপ্রিল) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের...

বাজার মূলধন বাজার মূলধন
পুঁজিবাজার18 hours ago

প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের লভ্যাংশ ঘোষণা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রগতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।...

বাজার মূলধন বাজার মূলধন
পুঁজিবাজার2 days ago

শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেবে না বিডি ফাইন্যান্স

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেড গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের...

বাজার মূলধন বাজার মূলধন
পুঁজিবাজার2 days ago

সেনা ইন্স্যুরেন্সের আয় বেড়েছে ১০৭ শতাংশ

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সেনা ইন্স্যুরেন্স পিএলসি ৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৫-মার্চ’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক...

বাজার মূলধন বাজার মূলধন
পুঁজিবাজার2 days ago

আইডিএলসির ২০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আইডিএলসি ফাইন্যান্স পিএলসি গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ...

বাজার মূলধন বাজার মূলধন
পুঁজিবাজার2 days ago

সরকার পুঁজিবাজারের সমস্যা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছে: প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সরকার পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সংস্কার নিশ্চিত করতে বিদ্যমান সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করছে বলে...

বাজার মূলধন বাজার মূলধন
পুঁজিবাজার2 days ago

ব্লকে ১৭ কোটি টাকার লেনদেন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লকে মোট ২১ টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে।...

Advertisement
Advertisement

Advertisement

সোশ্যাল মিডিয়া

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩

অর্থসংবাদ আর্কাইভ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১৩১৫১৬১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭৩০  
বাজার মূলধন
রাজধানী2 minutes ago

বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা, বাতাস অস্বাস্থ্যকর

বাজার মূলধন
টেলিকম ও প্রযুক্তি55 minutes ago

১৪০ কোটি অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে ফেসবুক

বাজার মূলধন
আবহাওয়া1 hour ago

ঢাকায় বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস

বাজার মূলধন
সারাদেশ1 hour ago

রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে অংশ নিয়ে বাংলাদেশি যুবক নিহত

বাজার মূলধন
রাজনীতি2 hours ago

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক আজ

বাজার মূলধন
রাজধানী2 hours ago

শনিবার বন্ধ থাকবে রাজধানীর যেসব মার্কেট

বাজার মূলধন
অর্থনীতি11 hours ago

প্রতীক গ্রুপকে সুবিধা দিয়ে চাকরি হারালেন এনবিআরের দুই কর্মকর্তা

বাজার মূলধন
সারাদেশ12 hours ago

এখন কেউ চাইলেই ইমামকে বহিষ্কার করতে পারবে না: ধর্ম উপদেষ্টা

বাজার মূলধন
অন্যান্য12 hours ago

মগবাজার ও শান্তিনগরে জামাতের গণসংযোগ

বাজার মূলধন
জাতীয়18 hours ago

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আরাকান আর্মিই বড় সমস্যা: তৌহিদ হোসেন

বাজার মূলধন
রাজধানী2 minutes ago

বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা, বাতাস অস্বাস্থ্যকর

বাজার মূলধন
টেলিকম ও প্রযুক্তি55 minutes ago

১৪০ কোটি অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে ফেসবুক

বাজার মূলধন
আবহাওয়া1 hour ago

ঢাকায় বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস

বাজার মূলধন
সারাদেশ1 hour ago

রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে অংশ নিয়ে বাংলাদেশি যুবক নিহত

বাজার মূলধন
রাজনীতি2 hours ago

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক আজ

বাজার মূলধন
রাজধানী2 hours ago

শনিবার বন্ধ থাকবে রাজধানীর যেসব মার্কেট

বাজার মূলধন
অর্থনীতি11 hours ago

প্রতীক গ্রুপকে সুবিধা দিয়ে চাকরি হারালেন এনবিআরের দুই কর্মকর্তা

বাজার মূলধন
সারাদেশ12 hours ago

এখন কেউ চাইলেই ইমামকে বহিষ্কার করতে পারবে না: ধর্ম উপদেষ্টা

বাজার মূলধন
অন্যান্য12 hours ago

মগবাজার ও শান্তিনগরে জামাতের গণসংযোগ

বাজার মূলধন
জাতীয়18 hours ago

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আরাকান আর্মিই বড় সমস্যা: তৌহিদ হোসেন

বাজার মূলধন
রাজধানী2 minutes ago

বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা, বাতাস অস্বাস্থ্যকর

বাজার মূলধন
টেলিকম ও প্রযুক্তি55 minutes ago

১৪০ কোটি অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে ফেসবুক

বাজার মূলধন
আবহাওয়া1 hour ago

ঢাকায় বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস

বাজার মূলধন
সারাদেশ1 hour ago

রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে অংশ নিয়ে বাংলাদেশি যুবক নিহত

বাজার মূলধন
রাজনীতি2 hours ago

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক আজ

বাজার মূলধন
রাজধানী2 hours ago

শনিবার বন্ধ থাকবে রাজধানীর যেসব মার্কেট

বাজার মূলধন
অর্থনীতি11 hours ago

প্রতীক গ্রুপকে সুবিধা দিয়ে চাকরি হারালেন এনবিআরের দুই কর্মকর্তা

বাজার মূলধন
সারাদেশ12 hours ago

এখন কেউ চাইলেই ইমামকে বহিষ্কার করতে পারবে না: ধর্ম উপদেষ্টা

বাজার মূলধন
অন্যান্য12 hours ago

মগবাজার ও শান্তিনগরে জামাতের গণসংযোগ

বাজার মূলধন
জাতীয়18 hours ago

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আরাকান আর্মিই বড় সমস্যা: তৌহিদ হোসেন