ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ এবং এর নাবিকদের মুক্ত করতে ‘সর্বাত্মক প্রচেষ্টা’ চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রয়াত নেতাদের স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, এখন আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়েছে। আমরা পিঅ্যান্ডআই ক্লাবের (সমুদ্রগামী জাহাজের লন্ডনভিত্তিক বীমা প্রতিষ্ঠান পিএন্ডআই ক্লাব) মাধ্যমে জাহাজটিকে এবং জাহাজটির নাবিক যারা তাদেরকে সুস্থভাবে মুক্ত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।
আমরা কোন প্রক্রিয়ায় আগাচ্ছি সেটা আমরা বলতে চাই না। এটি জনসম্মুখ প্রকাশ করার বিষয় নয়। তবে আমাদের প্রচেষ্টা হচ্ছে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে নাবিক এবং জাহাজ মুক্ত করা।
মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাত যাওয়ার পথে মঙ্গলবার ভারত মহাসাগরের সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ২৩ নাবিকের সবাইকে জিম্মি করে।
জিম্মি হওয়ার আগেই জাহাজের চিফ অফিসার আতিক উল্লাহ খান এবং নাবিকরা জাহাজের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে মালিকপক্ষকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বার্তা এবং ভয়েস মেইল পাঠান। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও তারা যোগাযোগ করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে জাহাজটি নিয়ে সোমালি উপকূলে পৌঁছায় জলদস্যুরা। তবে তারা মুক্তিপণের বিষয়ে এখনও জাহাজের মালিকপক্ষ চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।
কবির গ্রুপেরই আরেক জাহাজ এমভি জাহান মণি ২০১০ সালে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল। নানাভাবে দর কষাকষি শেষে তিন মাস পর জাহাজ ও জিম্মি নাবিকদের মুক্ত করা হয়।
কাফি