খেলাধুলা
হৃদয়ের ব্যাটে বাংলাদেশের লড়াকু সংগ্রহ
একটি বলের আক্ষেপ করতেই পারেন তাওহিদ হৃদয়। ইনিংসের শেষ বলেও ছক্কা হাঁকালেন। কিন্তু মাত্র ৪ রানের জন্য সেঞ্চুরিটা করতে পারলেন না। নাজমুল হোসেন শান্ত এবং সৌম্য সরকার যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, সবাই ধারণা করেছিলো এই ম্যাচে ৩০০ রান করবে বাংলাদেশ। ব্যাপারটা অসম্ভব ছিল না, যতক্ষণ পর্যন্ত হাসারাঙ্গা দেখা না দিলেন। লঙ্কান ক্রিকেটে এই অলরাউন্ডার এখন সবচেয়ে বড় তারকা। বাংলাদেশের সর্বনাশটাও তিনিই করেছেন। এরপরেও অবশ্য তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটে ভর করে বড় এক পুঁজি পেয়েছে টাইগাররা।
চার উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের মিডলঅর্ডার একাই ধসিয়ে দিয়েছেন হাসারাঙ্গা। মাঝের ওভারের সেই বিপর্যয়ের পর ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ খুব একটা ছিল না টাইগারদের সামনে। শেষ অব্দি যদিও লড়ে গেছেন হৃদয়। শুরুতে সৌম্য সরকারের পর ইনিংসের শেষে হাফসেঞ্চুরি করেছেন তিনি। অল্পের জন্য মিস করে গিয়েছেন সেঞ্চুরি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৯৬ রানের ইনিংস খেলেছেন হৃদয়।
চট্টগ্রামের রানসহায়ক উইকেটে তার দারুণ এক ইনিংসের গুণে বাংলাদেশের স্কোর ৮ উইকেটে ২৮৬ রান। এরসঙ্গে অধিনায়ক শান্ত করেছেন ৪০ রান। একেবারে শেষ পর্যায়ে হৃদয়ের বড় শট আর তাসকিনের ক্যামিওতে টাইগাদের ইনিংসটা হয়েছে আরেকটু বড়। সৌম্য সরকারের ব্যাট থেকে এসেছে ৬৮ রান। শেষদিকে তাসকিন ১০ বলে ১৮ করে দলের স্কোর বাড়িয়ে নিয়েছেন ২৮৬ পর্যন্ত।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই দলকে বিপদে ফেলে সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। দিলশান মাদুশাঙ্কার বলে দুনিথ ভেল্লালাগের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ডাক খেলেন লিটন। আর কোনো রান করার আগেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর অবশ্য দলকে পথ দেখিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল শান্ত এবং সৌম্য সরকার। দুজনের ব্যাট থেকে এসেছিল ৭২ বলে ৭৫ রানের এক জুটি। ফিফটির পথেই ছিলেন শান্ত। গত ম্যাচে শতকের পর আজ আভাস দিয়েছিলেন বড় কিছুর। কিন্তু মাদুশাঙ্কার দিনের দ্বিতীয় শিকার হলেন টাইগার অধিনায়ক। ৪০ রান করে সাজঘরে ফিরলেন শান্ত।
বিপরীতে থাকা সৌম্য কিছুটা ধীরগতির ইনিংসই খেলেছেন। দেখেশুনে থিতু হয়ে, তবেই ব্যাট চালিয়েছেন সৌম্য। ৫২ বলে স্পর্শ করেছেন ফিফটি। অর্ধশতকের পথে মেরেছেন ৯টি চার। বড় করতে পারতেন ইনিংসটাকে, হয়নি হাসারাঙ্গার কারণে।
হাসারাঙ্গা ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেছিলেন সৌম্য সরকারকে দিয়ে। এদিন ফিফটির পরেও ঠিকই এগুচ্ছিলেন তিনি। বড় স্কোরের পথেই ছিলেন। তবে কাটা পড়েন হাসারাঙ্গাকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে। ভাল শটে ছয় পেয়েই যেতেন। কিন্তু মিডউইকেট থেকে বাঁয়ে ছুটে এসে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন দিলশান মাদুশঙ্কা। ৬৬ বলে ৬৮ রান করে আউট সৌম্য।
এক বল বিরতি দিয়ে আউট হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। নিচু হয়ে গুগলি মিস করে যান পুরোপুরি হয়েছেন স্ট্যাম্পিং। হাসারাঙ্গার ৩ বলে ২ উইকেট শিকারে ম্যাচে ফেরে লংকানরা। আগের ম্যাচে ফিফটি করা মুশফিক এদিনও পেয়েছেন ভালো শুরু। কিন্তু ২৮ বলে ২৫ রান করে ফিরতে হয়েছে তাকে। হাসারাঙ্গার বলে এলবিডব্লিউ তিনি। রিভিউ নিয়ে তার উইকেট নিশ্চিত করেছে লঙ্কান বোলার হাসারাঙ্গা। শেষ ভরসা হয়ে থাকা মিরাজকেও বোল্ড করেছেন এই স্পিনারই।
তানজিম সাকিব সময় দিয়েছেন ক্রিজে। হৃদয় ফিফটি পান ৭৪তম বলে। দলীয় স্কোর পেরোয় দুইশ। তানজিম সাকিব আউট হওয়ার পরেও খুব বড় স্কোরের সম্ভাবনা দেখেনি বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ তিন ওভারে বদলে যায় চিত্রটা। শেষের ১৮ বলে বাংলাদেশ নিয়েছে ৪৪ রান। তবে আক্ষেপ থেকে যাবে হৃদয়ের কল্যাণে। ৯৬ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। শতকের খুব কাছে থেকেও ইনিংস শেষ করতে হলো তাকে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
সাকিবের ঘরের মাঠে খেলা নিয়ে যা বললেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
দেশ সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছেন। ২১ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুরে দুই টেস্টের প্রথমটি খেলবে বাংলাদেশ। ওই টেস্ট খেলে অবসর নিতে চান তিনি। তবে সাকিবের দেশে ফেরার নিশ্চয়তা এখনও মেলেনি। তিনি নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেলে দেশে ফিরতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলে দল সূত্রে জানা গেছে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, সাকিব দেশে ফিরলে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে। তিনিও চান ঘরের মাঠেই বিদায় বলার সুযোগ পান বাঁ-হাতি স্পিন অলরাউন্ডার।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘দেশের জন্য অনেক অবদান রয়েছে সাকিবের। তিনি দেশে নিজের শেষ টেস্ট খেলতে চান, আমি চাই সেই সুযোগ তিনি পান। খেলোয়াড় হিসেবে আমরা তাকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেব। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে, সেটা আইন মন্ত্রণালয়ের বিষয়। আমরা তার যে নিরাপত্তার কথা বলেছি, সেটা নিশ্চিত করব।’
এর আগে আসিফ বলেছিলেন, ক্রিকেটার সাকিবের নিরাপত্তা তারা নিশ্চিত করবেন। কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকারের সংসদ সদস্য সাকিবের নিরাপত্তা দেওয়া কঠিন। এছাড়া সাকিবের রাজনৈতিক অবস্থান পরিষ্কার করার কথাও বলেন তিনি।
কানপুরে টেস্ট খেলতে নামার আগেরদিন অবসর নেওয়া প্রসঙ্গে সাকিব জানান, বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে তার দেশে ফিরতে কোন বাধা নেই। তবে দেশ থেকে ফিরে আসা নিয়ে উদ্বেগ আছে। তিনি দেশে গিয়ে যখন দরকার তখন ফেরার ব্যাপারে সরকারের থেকে আশ্বাস চান। সাকিবের নামে হত্যা মামলা করা হয়েছে। দেশে ফিরতে তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে এমন কথা বলেন তিনি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
বিয়ে করলেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান
সন্দেহাতীতভাবে আফগানিস্তান ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা রশিদ খান। সম্ভবত দেশটির সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত ব্যাচেলরও হয়ে উঠেছিলেন রশিদ। কারণ, ২৬ বছর বয়সী লেগ স্পিনার কবে বিয়ে করবেন, এ নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে ছিল প্রবল আগ্রহ ও কৌতূহল। অবশেষে সেসবের ইতি ঘটল।
বিয়ে করেছেন আফগানিস্তানের টি–টোয়েন্টি অধিনায়ক রশিদ খান। তা–ও একা নন; একসঙ্গে বিয়ে করেছেন তাঁর তিন ভাইও। গতকাল দেশটির রাজধানী কাবুলের ইম্পেরিয়াল কন্টিনেন্টাল হোটেলে রশিদ ও তাঁর তিন ভাই আমির খলিল, জাকিউল্লাহ ও রাজা খান শুভ কাজ সারেন।
বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রশিদের সতীর্থ মোহাম্মদ নবী, মুজিব উর রহমান, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, নজিবউল্লাহ জাদরান, রহমত শাহ, ফজলহক ফারুকি, আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (এসিবি) চেয়ারম্যান মিরওয়াইজ আশরাফ, বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নসিব খানসহ আরও অনেকে।
বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পশতুন রীতি অনুযায়ী বিয়ে করেছেন রশিদ ও তাঁর তিন ভাই। তবে তাঁদের স্ত্রীদের নাম–পরিচয় জানা যায়নি। রশিদের বিয়ে উপলক্ষে হোটেলের ভেতরে ও বাইরে ছিল কড়া নিরাপত্তা। একটি ভিডিওতে অস্ত্র হাতে নিরাপত্তাকর্মীদের পাহারা দিতে দেখা গেছে। গভীর রাত পর্যন্ত চলেছে বিয়ের অনুষ্ঠান। ছিল ব্যাপক খানাপিনার আয়োজন।
বিয়ের অনুষ্ঠানে রশিদ ও তাঁর ভাইদের সঙ্গে তোলা একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন আফগানিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী। তিনি লিখেছেন, ‘তোমাদের বিয়েতে অনেক অনেক অভিনন্দন। তোমাদের জীবন ভালো ও সমৃদ্ধ হোক।’
কদিন আগেই বিয়ে করেছেন ওমরজাই। এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার এবার রশিদের বিয়ের অনুষ্ঠানের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘বিয়ে করার জন্য জাতীয় দলের চ্যাম্পিয়ন রশিদ খানকে অভিনন্দন। আল্লাহর রহমতে তার সুখী জীবন কামনা করছি।’
২০২০ সালে রশিদ নাকি জানিয়েছিলেন বিশ্বকাপ না জেতা পর্যন্ত বিয়ে করবেন না। তবে ২০২২ সালে বাংলাদেশ সফরে এসে রশিদ দাবি করেন, তিনি এ ধরনের কথা কোথায় বলেছেন, তা জানা নেই।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে তারকা এই লেগ স্পিনার বাংলাদেশের সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমি এটা অনেকবারই শুনেছি, আমি নাকি বিশ্বকাপ জয়ের পর বিয়ে করব। জানি না কোথায় এটা বলেছি। আমার কাছে এটার কোনো ভয়েস ক্লিপ নেই। তবে এটা সত্যি যে এ নিয়ে সমর্থকদের অনেক বার্তা পাই। আমি একবার মিডিয়ায় বলেছিলাম, আগামী দুই বছর বিয়ের কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, একটি ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে। তারপর বিয়ের ব্যাপারে ভাবব। মানুষ এটাকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছে।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১০ বছর পর ম্যাচ জিতল বাঘিনীরা
সময়ের হিসেবে ১০ বছর, ম্যাচের হিসেবে ১৬ আর টুর্নামেন্টের হিসেবে ৪টি সময় অতিবাহিত করার পর মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে লম্বা সময় পর জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ। আজ ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে ১৬ রানে হারিয়েছে নিগার সুলতানার দল।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের সংগ্রহ খুব একটা বড় ছিল না। তবে ৭ উইকেটে ১১৯ রানের পুঁজিতেই জয় এনে দেন বোলাররা। রান তাড়ায় স্কটল্যান্ডের ইনিংস থামে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১০৩ রানে।
স্কটিশদের হারানোর আগে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বশেষ জিতেছিল ২০১৪ সালে। সে বার সিলেটে নবম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ১৭ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে সাথি রানী ও সোবহানা মোস্তারীর ব্যাটে ৭ উইকেটে ১১৯ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে রিতু মণি, মারুফা আক্তার, নাহিদা আক্তারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে ৭ উইকেটে ১০৩ রানে থামে স্কটিশদের ইনিংস।
লক্ষ্য তাড়ায় ওপেনার সারা ব্রাইস ছাড়া কেউ-ই স্কটল্যান্ডকে পথ দেখাতে পারেননি। ব্যাটিং করা বাকিদের মধ্যে কেবল দুজন দুই অঙ্কের রান করেন, তবে এদের কেউ ২০ রানের গণ্ডিও পেরোতে পারেননি। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করা ব্রাইস ৫২ বলে একটি চারে ইনিংস সেরা ৪৯ রানের ইনিংস খেলেও অপরাজিত থাকেন।
অধিনায়ক ক্যাথরিন ব্রাইস ও অ্যালিসা লিস্টার ১১ রান করে করেন। স্কটল্যান্ডের আর কেউ ৯ রানের বেশি করতে পারেননি। রিতু মণি ৪ ওভারে ১৫ রানে ২টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান মারুফা, নাহিদা, ফাহিমা ও রাবেয়া।
এর আগে ব্যাটিং করা বাংলাদেশের কোনো ব্যাটারই টি-টোয়েন্টি সুলভ ব্যাটিং করতে পারেননি। সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলা সোবহানা মোস্তারী ৩৮ বলে ২টি চারে করেন ৩৬ রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান করা সাথি রানীও রানের চেয়ে বেশি বল খরচা করেন। ৩২ বলে ৩টি চারে ২৯ রান করেন তিনি। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ১ উইকেটে ৩৫ রান তোলে বাংলাদেশ।
দলীয় ২৬ রানে আউট হন মুর্শিদা খাতুন, বাঁহাতি এই ব্যাটার ১৪ বলে একটি চারে ১২ রান করেন। প্রথম উইকেট হারানোর পর ৪৪ বলে ৪২ রানের জুটি গড়েন দলের ইনিংসে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখা সাথি ও সোবহানা। এরপর সেভাবে আর জুটি গড়ে ওঠেনি, কেউ সেভাবে রানও করতে পারেননি। এক বল খেলা তাজ নেহার রান আউটে কাটা পড়েন, রানের খাতা খোলা হয়নি তার।
ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে আউট হওয়া অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ১৮ বলে একটি চারে ১৮ রান করেন। শেষ দিকে দ্রুত গতিতে রান তোলেন ফাহিমা খাতুন, ডানহাতি এই অলরাউন্ডার ৫ বলে ২ চারে অপরাজিত ১০ রান করেন। স্কটল্যান্ডের সাসকিয়া হর্লে ২ ওভারে ১৩ রানে ৩টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান ক্যাথরিন ব্রাইস, অলিভিয়া বেল ও ক্যাথরিন ফ্রেজার।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
সাকিবকে ব্যাট উপহার দিলেন বিরাট কোহলি
বাংলাদেশ ক্রিকেটে সাকিব আল হাসান এক নক্ষত্রের নাম। নক্ষত্রেরও একদিন থেমে যেতে হয়। সাকিবও থামছেন। ওয়ানডে ক্রিকেট চালিয়ে গেলেও টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। যদিও, চেয়েছেন দেশের মাটিতে আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ খেলে টেস্টকে বিদায় বলতে। দেশের সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে যা অনেকটা অসম্ভব। সেই হিসেবে কানপুরে নিজের শেষ টেস্টটি খেলে ফেললেন সাকিব।
শেষ ম্যাচে বল হাতে জ্বলে উঠলেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ সাকিব। বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে ভারতের চার উইকেট নিয়েছেন তিনি। যার মধ্যে ছিল বিরাট কোহলির উইকেট। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে কোহলিকে বোল্ড করেন সাকিব। বাংলাদেশ অবশ্য জিততে পারেনি ম্যাচ। সাকিবের সম্ভাব্য শেষটা তাই হলো হারের তিক্ততায়।
ম্যাচ হারলেও খেলা শেষে সাকিবকে বেশ ফুরফুরে মেজাকে দেখা যায়। কানপুরে আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) উপহারও পেয়েছেন তিনি। তাকে ব্যাট উপহার দিয়েছেন কোহলি। এমআরএফ কোম্পানির ব্যাট ব্যবহার করেন কোহলি। নিজ হাতে সাকিবকে ব্যাট দেন কোহলি। বিদায়ী উপহার দেওয়ার সময় বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারকে জড়িয়ে ধরেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার।
বিদায়ী টেস্টে দুই ইনিংসে সাকিব নিয়েছেন চার উইকেট। যার সবগুলোই প্রথম ইনিংসে। ব্যাট হাতে হতাশই করেছেন তিনি। লম্বা সময় ধরেই ব্যাটে রান নেই তার। কানপুরেও পারেননি ভালো করতে। দুই ইনিংস মিলিয়ে করেন ৯ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে খুলতে পারেননি রানের খাতাই।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
মুমিনুলের সেঞ্চুরিতে যত রেকর্ড
একটা সময় সেঞ্চুরিকে নিজের অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছিলেন মুমিনুল হক সৌরভ। তবে সেই ধারায় ছেদ এসেছে আগেই। অনেকটা দিন ধরেই সেঞ্চুরি নেই টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিয়ানের ব্যাটে। সবশেষ টেস্টে শতক পেয়েছিলেন ২০২৩ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে। আর ১৫ মাস পর এবারে পেলেন আরেক সেঞ্চুরি।
রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে সুইপ শট খেলে টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের ১৩তম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন সাবেক টেস্ট অধিনায়ক। দেশের বাইরে এটি তার মাত্র ২য় সেঞ্চুরি। এর আগে নিজের ১১তম সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০২১ সালে ক্যান্ডি টেস্টে। সে হিসেবে দেশের বাইরে প্রায় ৩ বছরের সেঞ্চুরি খরা কাটিয়েছেন তিনি।
তবে ভারতের মাটিতে সেঞ্চুরি করে একাধিক রেকর্ড গড়েছেন মুমিনুল হক। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে ভারতের মাটিতে সেঞ্চুরি গড়েন তিনি। এর আগে ২০১৭ সালে ভারতের মাটিতে সেঞ্চুরি করেছিলেন মুশফিকুর রহিম।
ক্যারিয়ারের ১৩তম সেঞ্চুরির মধ্যে বিদেশে মাত্র দুটি সেঞ্চুরি করেছেন মুমিনুল। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করা সেঞ্চুরির পর আজ করলেন ভারতের বিপক্ষে।
ভারতে এর আগে খেলা ব্যাটারদের মধ্যে সর্বনিম্ন গড় নিয়ে খেলা মুমিনুল পেলেন প্রথম সেঞ্চুরির দেখা। এর আগে ভারতে ৮ ইনিংসে ৯৬ রান করা মুমিনুলের ব্যাটিং গড় ছিল ১২। তবে কিংবদন্তী রিকি পটিংও ১৪ ইনিংসে ১২ গড়ে রান করার পর ভারতে প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২৯তম সেঞ্চুরি করা মুমিনুল স্বীকৃত ক্রিকেটে করেছেন ৩৩ শতক। বলে রাখা ভালো, একদিন আগে জন্মদিন উদযাপন করা মুমিনুলের বয়সটাও এখন ৩৩।
এমআই