২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’জিম্মি করার পর আবারও আলোচনায় এসেছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। যা নিয়ে একের পর এক সংবাদ পরিবেশন করছে আন্তর্জাতিক ও দেশি গণমাধ্যমগুলো। এরপর এই জলদস্যুদের বিশেষত আর্থিক বিষয়টি সামনে উঠে আসছে। এবার চমকপ্রদ একটি বিষয় সামনে এসেছে। এই দস্যুদের নিজস্ব শেয়ার বাজার রয়েছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে, সোমালিয়ার জলদস্যুদের নিজস্ব শেয়ার বাজার রয়েছে। অভিযানে যাওয়ার আগে তারা বাজারে শেয়ার ছেড়ে দেয় এবং সেই শেয়ার বিক্রির অর্থ থেকেই আসে তাদের অভিযানের প্রয়োজনীয় খরচ। এ ক্ষেত্রে সোমালিয়ার জনগণই তাদের একমাত্র ভরসা।
বিশদ বিশ্লেষণে গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, জলদস্যুরা তাদের প্রতিটি অভিযান সফল হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত থাকতে পারেন না। অন্যদিকে, অভিযানে যাওয়ার খরচের জন্য তাদের টাকার প্রয়োজন। তাই তারা প্রতিটি অভিযানের আগে তাদের শেয়ার বাজারে শেয়ার বিক্রি শুরু করে। অভিযান সফল বা মুক্তিপণ মিললে তা থেকে শেয়ারের লভ্যাংশ প্রদান করা হয় বিনিয়োগকারীদের। আর সফল না হলে বা মুক্তিপণ না মিললে কিছুই প্রদান করতে হয় না।
তথ্যমতে, জলদস্যুদের এই শেয়ার বাজার প্রায় ৭২টি জলদস্যুর গ্রুপের সমন্বয়ে গঠিত। এখানে শুধু অর্থ নয়, রাইফেল কিংবা রকেটচালিত গ্রেনেড দিয়ে শেয়ার কেনা যায়। তাদের বিনিয়োগকারীরা মনে করেন, তারা প্রতিটি অভিযানে সফল হয়ে প্রচুর মুক্তিপণ পাবেন। যা থেকে তারা বিনিয়োগকৃত অর্থের লাভ পাবেন।
এদিকে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের অর্থের ভাগ দিতে গিয়ে জলদস্যুরা প্রতিটি অভিযান থেকে স্বল্প পরিমাণে টাকার ভাগ পান। যারা সমুদ্রে ভেসে গুলি ছোড়ার কাজ করেন, তারা পান মুক্তিপণের ৩০ থেকে ৭৫ হাজার ডলার। যারা বন্দুক কিংবা জাহাজে দলের সদস্যদের ওঠানামার কাজে সাহায্য করে, তারা পান জাহাজে ওঠা সদস্যদের ভাগের অতিরিক্ত ১০ হাজার ডলার। এ ছাড়া বিদ্যালয়, হাসপাতালসহ বিভিন্ন কাজে তাদের সম্প্রদায়কে তারা অর্থে দান করে।
কাফি