সিগারেট ফিল্টার ও ভেপোরাইজারকে দ্রুত নিষিদ্ধের জন্য সম্প্রতি সুপারিশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ডব্লিওএইচও এফসিটিসি কপ-১০ সভায় পরিবেশ সুরক্ষা সংক্রান্ত আর্টিক্যাল ১৮ এর বাস্তবায়নে এ বিষয়ে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল- এফসিটিসি’র সদস্য হিসেবে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বাধ্যবাধকতা রয়েছে বাংলাদেশের। এ লক্ষ্যে গতকাল (১৪ মার্চ) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী সাথে বৈঠক করে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স- আত্মা’র একটি প্রতিনিধি দল।
বৈঠকে প্লাস্টিক দূষণ রোধে আগামী ২৩-২৯ এপ্রিল কানাডায় অনুষ্ঠেয় ‘ইন্টারগভমেন্টাল নেগোসিয়েশন কমিটি’ বা ‘আইএনসি’ এর চতুর্থ সম্মেলনে সিগারেট ফিল্টার এবং ভেপোরাইজারকে হিসেবে নিষিদ্ধ করা, সিগারেট ফিল্টারকে ক্ষতিকর প্লাস্টিক বর্জ্য হিসেবে শ্রেণীভুক্ত করা এবং তামাক কোম্পানিগুলোর এক্সটেন্ডেড প্রোডিউসার রেস্পন্সিবিলিটি (ইপিআর) কার্যক্রমকে প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী।
সিগারেট ফিল্টার ও ভেপোরাইজার অপ্রয়োজনীয়, পরিহারযোগ্য ও ক্ষতিকর, একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক যা দ্রুত পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে, অণুজীব ও সামুদ্রিক জীব ধ্বংস করে এবং সাগরে দূষণ ঘটায় বলে এগুলো দ্রুত নিষিদ্ধের সুপারিশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সমন্বিত প্রচেষ্টায় এ লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন পরিবেশ মন্ত্রী।
বৈঠকে পরিবেশমন্ত্রীর সাথে আলোচনায় অংশ নেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ও ন্যাশনাল ফোকাল পারসন (ইন্টারগভামেন্টাল নেগোশিয়েনস কমিটি অন প্লাস্টিক পলিউশনস) মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সুকান্ত গুপ্ত অলোক, আত্মা’র আহ্বায়ক মতুর্জা হায়দার লিটন ও সহ-আহ্বায়ক নাদিরা কিরণ, প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের। বৈঠকে মূল উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রজ্ঞা’র হেড অব প্রোগ্রামস মো. হাসান শাহরিয়ার।
এমআই