আন্তর্জাতিক
হারামাইনে ইতিকাফের নিবন্ধন শুরু ১৭ মার্চ
সৌদি আরবের হারামাইন শরিফাইন জেনারেল অথোরিটি মসজিদুল হারামে ইতিকাফের জন্য রেজিস্ট্রেশনের তারিখ জানিয়েছে।
জেনারেল অথোরিটির সূত্রে সাবাক ওয়েব সাইট জানিয়েছে, মসজিদুল হারামে ইতিকাফের জন্য রেজিস্ট্রেশন শুরু হবে ১৭ মার্চ অর্থাৎ, ৭ রমজান থেকে। অথোরিটির ওয়েব সাইটের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।
মসজিদুল হারামে ইতিকাফের বিষয়ে কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম হলো, ইতিকাফের জন্য আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছরের কম হওয়া যাবে না। এবং ২০ রমজানে ইতিকাফের জন্য নির্ধারিত সময়ে মসজিদুল হারামে উপস্থিত হতে হবে।
মসজিদুল হারামে ইতিকাফে ইচ্ছুকদের দ্রুত রেজিস্ট্রেশন করার আহ্বান জানিয়েছে অথোরিটি। কারণ, নির্ধারিত সংখ্যা পূর্ণ হওয়ার পর রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করে দেওয়া হবে।
প্রতি বছর রমজানে ইতিকাফের জন্য মসজিদুল হারাম ও নববীতে আগমন করেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলামানেরা।
শরীয়তের পরিভাষায় ইতিকাফ বলা হয়, আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে জাগতিক কাজকর্ম ও পরিবার-পরিজন থেকে বিছিন্ন হয়ে বিশেষ সময়ে ও বিশেষ নিয়মে আল্লাহর ইবাদতের নিয়তে নিজেকে আবদ্ধ রাখাকে ইতিকাফ বলে।
রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ পালন করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা কিফায়া। প্রতি বছর রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফে অধিক সওয়াব লাভের আশায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ছুটে যান ইসলামের কেন্দ্রস্থল মক্কার মসজিদুল হারাম ও মদিনার মসজিদে নববীতে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বুধবার বিশ্বের আর্থিক খাতগুলো তাকিয়ে থাকবে মার্কিন ফেডের দিকে
পুরো বিশ্বের আর্থিক খাত এখন তাকিয়ে আছে ফেডারেল রিজার্ভের দিকে। সুদের হার কমানোর বিষয়ে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগামী বুধবার কী সিদ্ধান্ত নেয়, নজর সেদিকেই। এই বহুল প্রত্যাশিত পদক্ষেপ শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, তার প্রভাব থাকবে পৃথিবীজুড়েই। এমনকি ডলার তেজি থাকবে, নাকি তা তেজ হারাবে, তা–ও নির্ভর করবে ফেডের সিদ্ধান্তের ওপর।
মূল্যস্ফীতির রাশ টানতে ফেড দীর্ঘ সময় ধরে নীতি সুদহার বাড়িয়েই চলছিল। অনেক বছরের মধ্যে এখন তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। রয়টার্স জানিয়েছে, বেশ কয়েক বছরের মধ্যে নেওয়া প্রথম পদক্ষেপে সুদের হার কতটা কমানো হবে, তা নিয়ে পরিষ্কার কোনো ধারণা এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। একই সঙ্গে চলতি বছরের শেষে রয়েছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ফলে বিনিয়োগকারীদের জন্য এটি বাড়তি উদ্বেগের বিষয়।
সোসাইটি জেনারেলের এফএক্স অ্যান্ড রেটস বিভাগের করপোরেট গবেষণা বিষয়ক প্রধান কেনেথ ব্রো বলেন, ‘আমরা জানি না এই ধারা কেমন হবে। এটি কি ১৯৯৫ সালের মতো হবে, যখন ৭৫ ভিত্তি পয়েন্ট করে হার কমানো হচ্ছিল। নাকি এটা ২০০৭–০৮ সালের মতো হবে, যখন ৫০০ ভিত্তি পয়েন্ট কমানো হয়েছিল।’
দেখা যাক বিশ্বের আর্থিক বাজারে প্রত্যাশা কী:
১. নেতৃত্বকে অনুসরণ করা
গত বসন্তে যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি প্রত্যাশার চেয়েও বেশি ছিল। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তখন এই প্রশ্ন ছিল যে ফেড যদি নীতি সুদ না কমায়, তাহলে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিংবা ব্যাংক অব কানাডা সুদের হার কতটা কমাতে পারবে। শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র যে সুদের হার কমাচ্ছে, তা দুর্বল অর্থনীতির দেশগুলোকে এখন স্বস্তি দেবে।
ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমাতে যাচ্ছে বলে বাজারে যে আশাবাদ তৈরি হয়েছে, তা ইতিমধ্যে অন্যান্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নীতি সুদ কমাতে উৎসাহিত করেছে। তবে ইউরোপে ফেডের তুলনায় সুদের হার হ্রাস কম হবে। কারণ, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও ব্যাংক অব ইল্যান্ড মূল্যস্ফীতির বিষয়ে সতর্ক অবস্থানের কথা জানিয়েছে।
বন্ড বাজারের জন্যও নীতিসুদ কমানো আশীর্বাদ হতে পারে। ২০২৩ সাল শেষের পর এই প্রথম বারের মতো মার্কিন, জার্মান ও ব্রিটিশ সরকারি বন্ডের বিপরীতে সুদ আয় কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২. স্বস্তির জায়গা
উদীয়মান দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য মার্কিন সুদের হার কমানোর বিষয়টি বেশ স্বস্তির ব্যাপার হবে। এর ফলে তারা অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির জন্য আরও বেশি সমর্থন জোগাতে পারবে। রয়টার্স যে ১৮টি উদীয়মান দেশের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করেছে, তাদের অর্ধেকই এরই মধ্যে সুদের হার কমাতে শুরু করেছে। তারা এই কাজ করছে ফেডের পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের অনিশ্চয়তার বিষয়টিও তাদের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে রয়েছে। বিএনপি পারিবাসের কর্মকর্তা ট্রাং নগুয়েন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হবে। রাজস্ব নীতির যে ভিন্নতা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে, তা সুদের হার কমানোর এই কালচক্রকে জটিল করে তুলেছে।
৩. ডলারের শক্তিক্ষয়
যেসব দেশ আশা করছে যে মার্কিন নীতিসুদ কমানোর ফলে ডলারের শক্তি কমবে এবং তাদের মুদ্রা শক্তিশালী হবে, তাদের সেই আশা পূরণ না–ও হতে পারে। বিনিয়োগ ব্যাংক জে পি মর্গান স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যে ফেডের সুদের হার কমানোর সর্বশেষ চার কালচক্রের তিনটির ক্ষেত্রেই প্রথম দফায় ডলার শক্তিশালী হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের নীতি সুদহার কমানো অন্যদের জন্য কতটা আপেক্ষিক, তার ওপর ডলারের দামের বিষয়টি নির্ভর করবে। ডলার যদি সত্যিই কম আয়ের মুদ্রা না হয়ে ওঠে, তাহলে অ–মার্কিন বিনিয়োগকারীদের কাছে এর আবেদন থেকেই যাবে।
তবে এশিয়ার অনেক দেশ মার্কিনদের আগেই সুদের হার কমিয়েছে। এর ফলে জুলাই ও আগস্টে দক্ষিণ কোরিয়ার ওন, থাইল্যান্ডের বাথ ও মালয়েশিয়ার রিঙ্গিতের দাম বেড়েছে। আর ডলারের বিপরীতে চীনের ইউয়ানের দাম বছরজুড়ে যতটা কমেছিল, সেই ঘাটতি ওই সময়ে পূরণ হয়ে যায়।
৪. ইকুইটির অগ্রযাত্রা
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকার কারণে অর্থ বিনিয়োগ হোঁচট খেয়েছিল। মার্কিন সুদহার কমলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড জোরদার হবে, ফলে ইকুইটি বিনিয়োগ আবার বাড়তে পারে। আগস্টে দুর্বল মার্কিন কর্মসংস্থান পরিসংখ্যান প্রকাশের পরের তিন দিনে বিশ্বে শেয়ারবাজারের ৬ শতাংশ পতন হয়েছিল।
৫. উজ্জ্বল দিন
ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমালে মূল্যবান ও মৌলিক ধাতু সুবিধা পেতে পারে। কম সুদের হার ও দুর্বল ডলার বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন ধাতু কিনতে উৎসাহিত করতে পারে। স্বর্ণের মতো মূল্যবান ধাতুর দাম বাড়তে পারে। দেখা গেছে বন্ড থেকে আয় কমে গেলে এর দাম বাড়ে, কারণ বিনিয়োগকারীরা সোনা কেনেন।
সোনার দাম এখন রেকর্ড উচ্চতায় রয়েছে। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের জন রিড বলেন, বিনিয়োগকারীদের সোনা কেনার ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া উচিত।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
দ্বিতীয় দফা সুদহার বাড়ালো রুশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক
ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির চাপ নিয়ন্ত্রণে সুদহার ১৮ থেকে বাড়িয়ে ১৯ শতাংশ করেছে রুশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির এ আর্থিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বিবৃতিতে বলা হয়, পণ্য ও পরিষেবা উৎপাদনের ক্ষমতাকে অতিক্রম করে চলেছে অভ্যন্তরীণ চাহিদা। এ কারণে চলতি বছরে দ্বিতীয়বারের মতো বাড়ল সুদহার। খবর আরটি।
বিবৃতিতে আরো বলা হচ্ছে, জুলাইয়ে চলতি বছরের জন্য ৬ দশমিক ৫ থেকে ৭ শতাংশ মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সে পূর্বাভাস ছাড়িয়ে যেতে পারে। গত মাসে ভোক্তা মূল্যসূচক বেড়ে ৯ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা সরকারের লক্ষ্য ৪ শতাংশের দ্বিগুণেরও বেশি।
এর আগে জুলাইয়ে সুদহার ২০০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছিল রাশিয়া। ২০২৩ সালের দ্বিতীয়ার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) পাঁচ দফা সুদহার বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫ থেকে ১৮ শতাংশে উন্নীত করা হয়।
অক্টোবরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরবর্তী সভায় সুদহার আরেক দফা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এক কারণ হিসেবে ‘একগুঁয়ে মূল্যস্ফীতি চাপ’কে দায়ী করা হচ্ছে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, রাশিয়ায় মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখী প্রবণতা এখনো শুরু হয়নি।
সুদহার ২০ শতাংশ বা এর ওপরে উন্নীত হতে পারে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে রুশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান এলভিরা নাবিউলিনা জানান, মূল্যস্ফীতি ৪ শতাংশে ফিরিয়ে আনতে ব্যাংক যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তুত।
এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন) জিডিপি এবং জুলাই-আগস্টের অর্থনৈতিক সূচক বিশ্লেষণ করে রুশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কিছুটা মন্থর হয়েছে। এর পেছনে ভূমিকা রেখেছে সীমিত সরবরাহ ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদার পতন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
পাকিস্তানে লিটারে পেট্রলের দাম কমলো ১০ রুপি
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম গত দুই সপ্তাহে কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। এমন পরিস্থিতিতে সব ধরনের তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির সরকার পেট্রলের দাম লিটারে ১০ রুপি কমানোর ঘোষণা দিয়েছে।
পাকিস্তানের অর্থ বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পেট্রলিয়াম পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করেছে তেল ও গ্যাস নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
দেশটিতে পেট্রলের পাশাপাশি হাইস্পিড ডিজেলের দাম ২৬২ দশমিক ৭৫ রুপি থেকে কমিয়ে ২৪৯ দশমিক ৬৯ রুপি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতি লিটারে দাম কমানো হয়েছে ১৩ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ।
তাছাড়া কেরোসিনের দাম ১৬৯ দশমিক ৬২ রুপি থেকে কমিয়ে ১৫৮ দশমিক ৪৭ রুপি করা হয়েছে। লাইট ডিজেলের দাম ১৫৪ দশমিক শূন্য ৫ রুপি থেকে কমিয়ে ১৪১ দশমিক ৯৩ রুপি করা হয়েছে।
পেট্রল প্রধানত ব্যক্তিগত পরিবহন, ছোট যানবাহন, রিকশা ও দুই চাকার গাড়িতে ব্যবহৃত হয়। উচ্চ জ্বালানির দাম মধ্যম ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণির সদস্যদের বাজেটকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করে।
অন্যদিকে পরিবহনখাতের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ উচ্চ গতির ডিজেলের ওপর নির্ভরশীল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
মহাকাশে গবেষণা স্যাটেলাইট পাঠালো ইরান
মহাকাশে এবার একটি গবেষণা স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে ইরান। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) চামরান-১ নামের স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এটা চলতি বছর উৎক্ষেপণ করা ইরানের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে। পুরো বিষয়টির দেখভাল করেছে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) মহাকাশ বিষয়ক বিভাগ অ্যারোস্পেস ফোর্স।
আরও বলা হয়, মাত্র ৬০ কেজি ওজনের স্যাটেলাইটটি ঘায়েম-১০০ রকেটে করে কক্ষপথে স্থাপন করা হয়। এটাকে কক্ষপথের ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় (৩৪০ মাইল) স্থাপন করা হয়েছে। এর আগের স্যাটেলাইটটিও এই ঘায়েম-১০০ রকেটে করে পাঠানো হয়েছিল।
এই ধরনের উৎক্ষেপণের ব্যাপারে ইরানকে বারবার সতর্ক করে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো। তারা বলছে, একই প্রযুক্তি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য ব্যবহার করা হতে পারে। আর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরমাণু ওয়ারহেড বহন করতে পারে।
তবে ইরান বলছে যে, তারা পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে চাচ্ছে না। তাদের স্যাটেলাইট ও রকেট উৎক্ষেপণের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র বেসামরিক ব্যবহার বা প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করা।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিশ্বের কোনো দেশের চেয়ে পিছিয়ে থাকতে চায় না ইরান। সেই অঙ্গিকার থেকে দেশটি তার মহাকাশ গবেষণা ও কর্মকাণ্ড এগিয়ে নিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র পশ্চিমাদের প্রবল বিরোধিতার মুখেও পিছপা হচ্ছে না দেশটির সরকার। ইরানি কর্মকর্তারা জোর দিয়েই বলছেন, তাদের মহাকাশ কর্মকাণ্ড শান্তিপূর্ণ এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনা অনুসারেই চলছে।
তারই অংশ হিসেবে একের পর রকেট ও স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে সবসময়ই যে উৎক্ষেপণ সফল হচ্ছে, তেমনটা নয়। সম্প্রতি তাদের বেশ কয়েকটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পরই বিস্ফোরিত হয়।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে সোরাইয়া নামে একটি স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণ করে ইরান। এটি কক্ষপথের ৭৫০ কিলোমিটার (৪৬৫-মাইল) উচ্চতায় স্থাপন করা হয়, যা এখন পর্যন্ত কোনো দেশের জন্য সর্বোচ্চ।
এরপর ফেব্রুয়ারিতে কক্ষপথে একটি রিমোট সেন্সিং ও ইমেজিং স্যাটেলাইট স্থাপন করে ইরান। যা পাঠাতে সহায়তা করেছিল রাশিয়া। স্যাটেলাইটটি পাঠানোর পর যুক্তরাষ্ট্র এর নিন্দা জানায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
জর্ডানের নতুন প্রধানমন্ত্রী জাফর হাসান
সরকার ও মন্ত্রিসভার মেয়াদ পূর্ণ করে রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বাদশাহর কাছে অব্যাহতিপত্র জমা দেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিশের খাসাউনে। তিনি চিঠি দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ তার নিজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা জাফর হাসানকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।
অব্যাহতিপত্র জমা দিলেও অবশ্য এখনই সরকারি দায়িত্ব পুরোপুরি বিদায় নিচ্ছেন না খাসাউনে। জর্ডানের সংবিধান অনুসারে, নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের আগ পর্যন্ত বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে থাকবেন তিনি।
ভৌগলিকভাবে মধ্যপ্রাচ্য ও পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলের দেশ জর্ডানে পার্লামেন্টারি সরকার ব্যবস্থা শুরু হয়েছে ১৯২৯ সাল থেকে। তবে জর্ডানের সংবিধান অনুসারে বেশিরভাগ ক্ষমতা বাদশাহের হাতে রয়েছে। তিনি সরকারপ্রধান নিয়োগ এবং পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। সরকারি যে কোনা ইস্যুতে সিদ্ধান্তের ব্যপারে বাদশাহর মতামতকেই চূড়ান্ত বলে গণ্য করা হয়।
জর্ডানের দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের নাম হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এবং উচ্চকক্ষের নাম সিনেট। হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভিসের মোট আসনসংখ্যা ১৯৫টি এবং এই কক্ষের সদস্যরা সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন। সিনেট সদস্যদের নিয়োগ দেন বাদশাহ।
সংবিধান অনুযায়ী দেশটির পার্লামেন্টের মেয়াদ ৪ বছর। গত সপ্তাহের মঙ্গলবার নির্বাচনে হয়েছে জর্ডানে; সেই দিনই ঘোষণা করা হয়েছে ফলাফল। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা মেনে রোববার বাদশাহ বরাবর অব্যাহতিপত্র জমা দেন বিশের খাসাউনে।
নতুন প্রধানমন্ত্রী জাফর হাসান যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী। এতদিন তিনি টেকনোক্র্যাট মর্যাদায় বাদশাহ আবদুল্লাহর উপদেষ্টা ছিলেন। দেশে তার গ্রহণযোগ্যতাও ভালো।
তবে এমন এক সময়ে তিনি দেশের সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নিয়েছেন, যখন জর্ডান কঠিন সময় পার করছে। গাজা উপত্যকার অভিযান এবং পশ্চিম তীরে নিয়মিত ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘাতের প্রভাব পড়েছে দেশটির অর্থনীতির ওপর। গত বছর অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খাত পর্যটনে রীতিমতো ধস নেমেছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে জর্ডানে প্রবৃদ্ধি ছিল শতকরা ২ শতাংশ। দেশটির ইতিহাসে বাৎসরিক নিম্নপ্রবৃদ্ধির অন্যতম নজির এটি।