কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংক ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের এজিএম অনুষ্ঠিত

ইসলামী ব্যাংক ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের (আইবিসিএমএল) ১৪তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৩ মার্চ) ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে আইবিসিএমএল পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. ফসিউল আলম সভাপতিত্ব করেন।
সভায় কোম্পানির পরিচালক মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, মোহাম্মদ কামরুল হাসান, মুহাম্মদ কায়সার আলী, মো. আলতাফ হুসাইন , জি. এম. মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন কাদের, শেয়ারহোল্ডার মো. আশরাফুল হক, এফসিএ, মো. সালেহ ইকবাল কোম্পানির শরী’আহ সুপারভাইজরি কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মোহাম্মদ আবদুর রহিম, এফসিএ, কোম্পানী সেক্রেটারি আবু সাঈদ মো, নাহিদ, এফসিএস, অ্যাডমিন ইনচার্জ মো. আল আমিন, হিসাব বিভাগের ইনচার্জ মো. মনির হোসেন তালুকদার ও আইটি ইনচার্জ আশরাফ খান উপস্থিত ছিলেন ।
এসময় শেয়ারহোল্ডারগণ কর্তৃক ২০২৩ সালের আর্থিক বিবরণীর অনুমোদন এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক সফলতাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান জুবায়দুর রহমান

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান। বুধবার (২৩ জুলাই) ব্যাংকের বোর্ড সভায় তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন।
এর আগে তিনি ইসলামী ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
জুবায়দুর রহমান ১৯৭৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে তিনি যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ম্যানচেস্টার থেকে ফিন্যান্স বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউ ইয়র্ক-এ অধ্যাপক, ইতালির ইউনিভার্সিটি অব বোকোনিতে ভিজিটিং প্রফেসর, যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়, আরবানা শ্যাম্পেইন এবং রাশিয়ার মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ভিজিটিং স্কলার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ঢাকার জেডএনআরএফ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস (জুমস)-এর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চ্যান্সেলর।
বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা প্রফেসর রহমান উন্নয়নশীল ও উদীয়মান অর্থনীতির দেশসমূহে বিভিন্ন কোম্পানি, সরকারি এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার একজন অভিজ্ঞ স্বতন্ত্র উপদেষ্টা। তিনি কৌশলগত পরামর্শ এবং পরিবর্তন ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করে থাকেন। আর্থিক জবাবদিহিতা এবং কর্পোরেট গভর্ন্যান্স বিষয়ক ব্যবস্থাপনায় তার দক্ষতা রয়েছে। তার কাজের কেন্দ্রবিন্দু ছিল প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম, যার মাধ্যমে বিশ্ব ব্যাংকের সদস্য দেশগুলোকে আর্থিক স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং গভর্ন্যান্সের ভিত্তি শক্তিশালী করতে সহায়তা করা। তার কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট অনেক দেশে দীর্ঘমেয়াদি ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
বিশ্বব্যাংকে থাকাকালীন, প্রফেসর রহমান আন্তর্জাতিক আর্থিক কাঠামোকে শক্তিশালী করতে ‘স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড কোডস ইনিশিয়েটিভ’ নামে একটি কর্মসূচি ডিজাইন ও বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দেন। এ কার্যক্রমের আওতায় তিনি বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে নীতিনির্ধারণী সংলাপে অংশগ্রহণ করেন, বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ ও বাইরের অংশীজনদের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির কার্যক্রম গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
প্রফেসর রহমান রাশিয়া, কাজাখস্তান ও উজবেকিস্তানে ডেলোয়েট নামক আন্তর্জাতিক পেশাদারি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনায় নেতৃত্বস্থানীয় ভূমিকা পালন করেন। এসব দেশে তিনি বাজার অর্থনীতি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
টানা তৃতীয়বার ইউরোমানি অ্যাওয়ার্ড পেল ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ম্যাগাজিন ইউরোমানি আয়োজিত ‘অ্যাওয়ার্ডস ফর এক্সিলেন্স ২০২৫’ পেলো ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড (ইউসিবিআইএল)। টানা তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশের সেরা ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এই অর্জন ইউসিবিআইএল’র পেশাদার কাজের মান, নতুনত্বপূর্ণ চিন্তাভাবনা এবং গ্রাহক-কেন্দ্রিক আর্থিক সেবার প্রতি দৃঢ় প্রতিশ্রুতির প্রমাণ। ইউসিবিআইএল বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ লেনদেন ও পরামর্শের মাধ্যমে দেশের পুঁজিবাজারকে আরও শক্তিশালী করে তুলছে।
ইউসিবিআইএল কর্তৃপক্ষ বলেছেন, এই সম্মান শুধু ইউসিবিআইএল-এর নয়-আমাদের সম্মানিত গ্রাহক, বিনিয়োগকারী এবং অংশীদারদের। তাঁদের বিশ্বাস ও সহযোগিতাই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে সাহস ও শক্তি জোগায়। এই অর্জন প্রথম নয়- গত কয়েক বছর ধরেই ইউসিবিআইএল ফাইন্যান্সএশিয়া, এশিয়ামানি সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে একই স্বীকৃতি পেয়ে আসছে।
সম্প্রতি ইউসিবিআইএল আরেকটি বড় অর্জন করেছে: দ্য অ্যাসেট ট্রিপল এন অ্যাওয়ার্ডস ফর সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ২০২৫- এ সব ক্যাটাগরিতে (পাঁচটি) বিজয়ী হয়ে দেশের আর্থিক খাতে টেকসই উন্নয়নে তার নেতৃত্ব আরও দৃঢ় করেছে।
ইউসিবিআইএল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একটি দায়িত্বশীল, টেকসই এবং সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে, যা দেশের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
আইএফআইসি ব্যাংকের উপশাখা বিজনেস মিট

এক হাজার ৪১৪টি শাখা ও উপশাখা নিয়ে ‘আইএফআইসি ব্যাংক উপশাখা বিজনেস মিট-২০২৫’ এর আয়োজন করেছে দেশের বৃহত্তম ব্যাংক আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি। সোমবার (২১ জুলাই) পুরানা পল্টনস্থ আইএফআইসি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় আইএফআইসি টাওয়ারে মাল্টিপারপাস হলে এ বিজনেস মিট অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকবৃন্দ, প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তাগণ। হাইব্রিড মডেলে আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠানে শাখা-উপশাখা থেকে ব্যাংকের প্রায় ২৫০০ এর অধিক অফিসার সরাসরি অনলাইনে অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় মো. মেহমুদ হোসেন বলেন, আইএফআইসি ব্যাংকের শক্তি সম্মানিত গ্রাহকদের আস্থা আর নিবেদিত সকল অফিসারদের অক্লান্ত পরিশ্রম। গতবছর আগষ্ট পরবর্তী সময়ে ব্যাংকিং ইন্ড্রাস্ট্রির ওপর সম্মানিত গ্রাহকেরা যখন আস্থা সংকটে ভুগছিল, তখনও আমাদের ব্যাংকের উপশাখাগুলো আশানরুপ আমানত সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়েছে। ভবিষ্যতে মাঠ পর্যায়ে গ্রাহকদের কাছে সকল ব্যাংকিং সেবার জন্য আইএফআইসি একক নির্ভরতার জায়গা হয়ে উঠবে বলেও দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
একই ধারাবাহিকতায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা বলেন, আইএফআইসি ব্যাংকের একটি শক্তিশালী ভিত্তি হচ্ছে দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা তারুণ্যদৃপ্ত সকল অফিসারেরা। তাদের ক্যারিয়ারের টেকসই উন্নয়নে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময় উপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ অব্যাহত রেখেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ অব ব্রাঞ্চ বিজনেস মো. রফিকুল ইসলাম। এ সময় বিভিন্ন ব্যবসায়িক পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। পরিশেষে প্রশ্ন-উত্তর পর্বের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ সভার।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের ক্যাশ ওয়াক্ফ অ্যাকাউন্ট: মানবতার সেবায় স্থায়ী দান

আর্তমানবতার সেবায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া মানবজীবনের অন্যতম মহৎ দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে সমাজের বিত্তবানদের উদ্বুদ্ধ করতে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির রয়েছে মুদারাবা ওয়াক্ফ ক্যাশ জমা হিসাব। এটি সাদাকায়ে জারিয়ার একটি সহজ রূপ। স্থায়ী প্রকৃতির স্বেচ্ছামূলক এই দান অ্যাকাউন্টে মূল টাকা সংরক্ষিত থাকে এবং তা থেকে প্রাপ্ত আয় মানবকল্যাণে ব্যয় করা হয়। মূলত এই হিসাবের মাধ্যমে সমাজের ধনী ও স্বচ্ছল ব্যক্তিদের দানকৃত টাকা শরী‘আহসম্মত বিভিন্ন লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করা হয় এবং তা থেকে অর্জিত মুনাফা বিভিন্ন কল্যাণধর্মী কাজে ব্যয় করা হয়।
গ্রাহক সমুদয় অর্থ এককালীন অথবা ন্যূনতম এক হাজার টাকা জমা দিয়ে এ হিসাব খুলতে পারবেন এবং বাকি টাকা কিস্তিতে জমা করতে পারবেন। ঘোষিত সম্পূর্ণ অর্থ ব্যাংকে জমা হলে ওয়াক্ফদাতাকে একটি ক্যাশ ওয়াক্ফ সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
এই অ্যাকাউন্টে জমাকৃত অর্থ মুদারাবা নীতির ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। ব্যাংকের নির্ধারিত খাতে অথবা হিসাবধারীর পছন্দ অনুযায়ী শরীয়াহসম্মত খাতে মুনাফা ব্যয়ের নির্দেশনা প্রদান করা যায়। এ হিসাবে অর্জিত মুনাফা বন্টন ও স্থানান্তর করার জন্য এক বা একাধিক সঞ্চয়ী/চলতি হিসাব সংশি¬ষ্ট শাখায় পরিচালনা করা যাবে। হিসাবের বর্ষপূর্তিতে মুনাফা প্রদান করা হয়। তবে গ্রাহক যদি মাসিক মুনাফা নিতে আগ্রহী হন, তা প্রাক্কলিত হারে প্রদান করা হয়। হিসাবধারী চাইলে নিজেও সেই মুনাফা নির্ধারিত কল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করতে পারেন।
আঠারো বা তদূর্ধ্ব বয়সের বাংলাদেশের যেকোন নাগরিক এই হিসাব খুলতে পারবেন। আবেদনকারী সম্প্রতি তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জাতীয় পরিচয় পত্র/বৈধ পাসপোর্ট/ ড্রাইভিং লাইসেন্সেরে ফটোকপি দিয়ে ব্যাংকের যেকোন শাখা, উপশাখা কিংবা এজেন্ট আউটলেটে এ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। এছাড়া অংশীদারী প্রতিষ্ঠান, ট্রাস্ট, ক্লাব, সোসাইটি, সমবায় সমিতি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামেও এই অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানেরর সাথে সংশ্লিষ্ট যেমন অংশিদারী দলিল, ট্রেড লাইসেন্স, ডিড অব ট্রাস্ট ও ট্যাক্স সার্টিফিকেট সরবরাহের মাধ্যমে এই অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে। নাবালকদের নামে পিতা-মাতা অথবা অভিভাবকও এই হিসাব খুলতে পারবেন।
গ্রাহকের নির্দেশক্রমে তার ব্যক্তিগত চলতি/সঞ্চয়ী হিসাব থেকে প্রতিমাসে সরাসরি কিস্তির টাকা জমা করার সুযোগ রয়েছে। অনলাইন, আইব্যাংকিং এবং সেলফিন অ্যাপের মাধ্যমে কিস্তি জমা করা যায়। এছাড়া ওয়াকফ অ্যাকাউন্টে বৈদেশিক মুদ্রাও জমা দেওয়া সম্ভব।
গ্রাহকের মৃত্যু হলে ওয়াকফ হিসাবের মুনাফা তার নির্দেশিত খাতে ব্যায় করা হবে। এক্ষেত্রে ঘোষিত পরিমাণের চেয়ে কম অর্থ জমা হয়ে থাকলে মৃতের উত্তরাধিকারী (গণ) বাকি অংশ জমা দিতে পারবেন।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
সমসাময়িক ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের এএমএল কনফারেন্স

ব্র্যাক ব্যাংক ‘সমসাময়িক ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক অ্যান্টি-মানিলন্ডারিং (এএমএল) কনফারেন্সের আয়োজন করে। এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল, ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মাঝে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধবিষয়ক দক্ষতা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
নিয়মিত সচেতনতামূলক কর্মসূচি আয়োজনের মাধ্যমে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের অ্যান্টি-মানিলন্ডারিং এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ-সম্পর্কিত চলমান ট্রেন্ড, আইন, বেস্ট-প্র্যাকটিস এবং সর্বোপরি তাঁদের সক্ষমতা বাড়ানোর অংশ হিসেবে এই কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়েছে।
কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান এএফএম শাহীনুল ইসলাম।
সম্প্রতি ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান এবং ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড ক্যামলকো চৌধুরী মঈনুল ইসলামসহ ব্যাংকটির প্রায় ১৮০জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
কনফারেন্সে বিএফআইইউ’র অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর সাদরিল আহমেদ ‘কারেন্ট ট্রেন্ডস অব ফ্রড ফর্জারিস ইনক্লুডিং অনলাইন গ্যাম্বলিং, বেটিং, গেমিং, ট্রেডিং অব ক্রিপ্টোকারেন্সি অ্যান্ড এফএক্স’ বিষয়ে সেশন পরিচালনা করেন। এছাড়াও, বিএফআইইউ-এর জয়েন্ট ডিরেক্টর মো. মোশাররফ হোসেন ‘রিস্ক অ্যান্ড ইমপ্যাক্ট অব ট্রেড বেজড অ্যান্ড ক্রেডিট ব্যাকড মানিলন্ডারিং, টাইপোলজিস অ্যান্ড ট্রেন্ডস’ এবং ‘এএমএল অ্যান্ড সিএফটি সিস্টেম চেক ইন্সপেকশন অ্যান্ড রেটিং’ বিষয়ে দুটি সেশন পরিচালনা করেন।
কনফারেন্সে বিএফআইইউ’র প্রধান এএফএম শাহীনুল ইসলাম বলেন, “অপরাধীরা যাতে ব্যাংকিং চ্যানেলের অপব্যবহার করতে না পারে, সে বিষয়ে ব্যাংকারদের সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। এএমএল ও সিএফটি বিষয়ে বিএফআইইউ’র প্রবর্তিত কমপ্লায়েন্সসহ দেশি-বিদেশি সকল বিধিনিষেধ কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। সঠিকভাবে কেওয়াইসি সম্পন্ন করা, নিয়মিতভ গ্রাহকের ট্রানজ্যাকশন মনিটরিং এবং সময়মতো রেগুলেটরি রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে আমরা মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে সক্ষম হবো।”
মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির বিষয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, “এএমএল কমপ্লায়েন্স কেবল একটি রেগুলেটরি বিষয়ই নয়, বরং এটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের ব্যাংকের প্রতি গ্রাহক, রেগুলেটর এবং সমাজের আস্থা ও বিশ্বস্ততার মূল ভিত্তি। প্রতিদিন আমরা অসংখ্য লেনদেন পরিচালনা করি। সর্বোচ্চ সততা ও শুদ্ধাচার বজায় রেখে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক গ্রাহকদের সেবা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। এএমএল বিষয়ে নিজের জ্ঞান সমৃদ্ধ করলে শুধু ব্যাংকই শক্তিশালী হয় না, বরং দেশের পুরো আর্থিক ব্যবস্থাকেও সুরক্ষিত হয়।”
তিনি আরও বলেন, “দক্ষতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক সপ্তাহব্যাপী এএমএল সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন শুরু করেছে। এমন উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা আমাদের ব্যাংকের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও এএমএল কমপ্লায়েন্সে উৎকর্ষতা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য হলো, এএমএল নিয়ে এমন উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রিতে এমন একটি বেঞ্চমার্ক সেট করা, যাতে এএমএল অনুশীলনের ব্যাপারে এই ইন্ডাস্ট্রিতে ব্র্যাক ব্যাংক রোল মডেলে রূপান্তরিত হয়।”
কনফারেন্সটি ব্যাংকটির কর্মকর্তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এতে অ্যান্টি-মানিলন্ডারিংয়ের চলমান ট্রেন্ড ও টাইপোলজিস সম্পর্কে জানার সুযোগের পাশাপাশি ছিল সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি মোকাবেলায় করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানার সুযোগ। একটি মূল্যবোধ-নির্ভর প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক নিয়মিত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানবসম্পদে বিনিয়োগ করে, যাতে ব্যাংকের কর্মীরা তাঁদের পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়ানোর সুযোগ পান।
কাফি