চিত্র-বিচিত্র
সোমালিয়ার জেলেরা যেভাবে জলদস্যু হয়ে উঠল
সোমালিয়ার জলদস্যুদের কুখ্যাতি বিশ্বব্যাপী শ্রুত। কিন্তু দরিদ্র এ দেশটির অনেকের দস্যুবৃত্তিকে প্রায় পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (১২ মার্চ) মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে এমভি আবদুল্লাহ নামক একটি বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেয় সোমালি জলদস্যুরা। চট্টগ্রামের কবির (কেএসআরএম) গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং লিমিটেডের মালিকানাধীন এ জাহাজে ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক রয়েছেন।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ’র নাবিকদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তবে কবে তাদের উদ্ধার করা যাবে, সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না।
২০১০ সালেও একই শিপিং কোম্পানির মালিকানাধীন এমভি জাহান মনি সোমালি জলদস্যুদের ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছিল। ওইসময় জাহাজে ২৫ ক্রু এবং ক্যাপ্টেনের স্ত্রীসহ মোট ২৬ ব্যক্তি ছিলেন। ১০৫ কোটি টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ১০০ দিন পর ওই ব্যক্তিদের ফিরিয়ে আনা হয়।
সোমালিয়ার জলদস্যুদের কুখ্যাতি বিশ্বব্যাপী শ্রুত। কিন্তু দরিদ্র এ দেশটির অনেকের দস্যুবৃত্তিকে প্রায় পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে।
জীর্ণ পোশাক, ভারী অস্ত্র, জিপিএস ফোন তাদের এ বেশভূষা দেখে মনে করার উপায় নেই তারা কেবল মরিয়া হয়ে দস্যুবৃত্তির পথে নেমেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সোমালিয়ায়, বিশেষ করে সোমালি উপকূলে যথাযথ আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি না থাকারই সুযোগ নেয় এ জলদস্যুরা।
তবে টাইম ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, সোমালিয়ায় করুণ পরিস্থিতির সুযোগ কিন্তু কেবল এ জলদস্যুরাই নেয়নি। বরং বাকি বিশ্বের অবহেলা ও স্বেচ্ছাচারিতাও এ দস্যুবৃত্তি উত্থানের একটি অন্যতম কারণ।
১৯৯১ সালে গৃহযুদ্ধের ফলে সোমালিয়ায় সর্বশেষ কার্যকর সরকারটিরও পতন ঘটে। আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে বড় উপকূলের মালিক সোমালিয়া। সরকারি বিধিনিষেধ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় তিন হাজার ৩৩০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ উপকূলীয় অঞ্চলের সমুদ্রে বিদেশি নৌযানের লুটাপাটের বিপুল নজির রয়েছে।
সেই ২০০৬ সালেই জাতিসংঘের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছিল, সোমালিয়ায় কোনো সক্রিয় কোস্টগার্ড না থাকায় দেশটির জলসীমায় এসে বিদেশি নৌযান মাছ ও সিফুড আহরণ করে নিয়ে যায়। আর প্রতি বছর সোমালিয়ার সমুদ্র থেকে কেবল ৩০০ মিলিয়ন ডলারেরই সিফুড লুট করে বিদেশি গোষ্ঠীগুলো।
এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছিলেন উপকূলীয় এলাকায় বাস করা সোমালি জনগণ। নিজেদের সমুদ্রে মাছ ধরতে গেলে তাদেরকে সারাক্ষণ সতর্ক থাকতে হতো বহিঃশত্রুর আক্রমণের বিরুদ্ধে। এভাবে বিদেশি ট্রলারের হামলা থেকে রক্ষা পেতে ১৯৯০-এর দশকে সোমালিয়ায় প্রথম জলদস্যুদলের বিস্তার ঘটে।
কোনো একসময়ে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, স্পেনের মতো দেশের মাছ ধরার ট্রলারও সোমালিয়ার জলসীমায় এসে মাছ ধরে নিয়ে যেত। বলা বাহুল্য, এসব ট্রলারের সোমালি উপকূলে মাছ ধরার কোনো বৈধতা বা লাইসেন্স থাকত না। প্রায় দুই দশকের মতো সময় সোমালিয়ার সমুদ্র এলাকায় এভাবে শোষণ চালিয়েছে এসব বিদেশিরা।
এ ধরনের অবৈধ ট্রলার সোমালিদের জলদস্যু হওয়ার পেছনে বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে। অতীতে এসব ট্রলার আটক করার পর দ্রুতই মুক্তিপণের অর্থ পেয়ে যেত দস্যুরা। কারণ বিদেশি এসব গোষ্ঠীগুলোও চাইত না তারা যে আন্তর্জাতিক জলসীমা লঙ্ঘন করেছে তা প্রকাশ্যে আসুক।
এভাবেই ছোট ছোট ট্রলার জিম্মি করার মাধ্যমে নিজেদের কৌশলগত নেটওয়ার্ক বাড়িয়ে তোলে দস্যুরা। একসময় মাছ ধরার ট্রলারের পাশাপাশি পণ্যবাহী সমুদ্রগামী জাহাজের দিকে নজর পড়ে তাদের।
এছাড়া দারিদ্র্য, অরাজকতা, আইনের শাসনের অভাবের পাশাপাশি গৃহযুদ্ধের ফলে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা, সহিংসতাও এ ধরনের অপরাধের পেছনে বড় কারণ হিসেবে কাজ করছে।
শাসনব্যবস্থা শক্তিশালী না থাকায় এ জলদস্যুরা দেশটির অনেক প্রতিষ্ঠানের ওপরই ছড়ি ঘোরাতে পারে। মুক্তিপণের টাকা বিনিয়োগ করে নিজেদের অপরাধের পরিসরও বাড়ায় তারা। বেকার সোমালি তরুণদের বড় অঙ্কের অর্থের লোভ দেখিয়ে নিজেদের দলে ভেড়ায় এ জলদস্যুরা।
তবে গত ১৫ বছর ধরে সোমালি উপকূলে দস্যুবৃত্তি কমানোর চেষ্টাও কম হয়নি। ছয়টি আন্তর্জাতিক শিপিং প্রতিষ্ঠান মিলে ২০১২ সালে ঘোষণা দেওয়া হয়, সোমালি উপকূলে জলদস্যু সমস্যা বৈশ্বিক শিপিংয়ের জন্য আর কোনো ঝুঁকি নয়।
২০২৩ সালেও সংস্থাটি জানায়, ভারত মহাসাগরেও দস্যুবৃত্তির আর বড় ঝুঁকি নেই। কারণ ২০১৮ সালে সোমালি জলদস্যুরা এ মহাসাগরে আর কোনো আক্রমণ চালায়নি। কিন্তু এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাইয়ের পর আফ্রিকার এ সমুদ্রপথটি দিয়ে বাণিজ্য আবার ঝুঁকির মুখে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হলো।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
চিত্র-বিচিত্র
রচনা লিখে নগদ অর্থ ও ক্রেস্ট পুরস্কার পাওয়ার সুযোগ
জাতীয় প্রবাসী দিবস ও আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল) কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। আগামী ৪ ডিসেম্বর বেলা ৩টার মধ্যে রচনা জমা দিতে হবে।
রচনা প্রতিযোগিতা দুটি গ্রুপে অনুষ্ঠিত হবে। ‘ক’ গ্রুপ: একাদশ-দ্বাদশ বা সমমান শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য। ‘খ’ গ্রুপ: বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স/ মাস্টার্স/ সমমান শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য।
‘ক’ গ্রুপের জন্য রচনার বিষয় ‘দক্ষতা ও অভিবাসন: বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের সম্ভাবনা’ এবং ‘খ’ গ্রুপের জন্য রচনার বিষয় ‘রেমিট্যান্স: জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির টেকসই চালিকা শক্তি’।
‘ক’ গ্রুপের প্রতিযোগীদের ১ হাজার ৫০০ শব্দের মধ্যে এবং ‘খ’ গ্রুপে ২ হাজার শব্দের মধ্যে রচনা লিখতে হবে। রচনা এফোর সাইজ সাদা কাগজের এক পাশে নিজ হাতে লিখতে হবে, কম্পিউটার কম্পোজ গ্রহণযোগ্য নয়। প্রতি পৃষ্ঠায় উভয় পাশে আধা ইঞ্চি পরিমাণ মার্জিন ও পৃষ্ঠা নম্বর ব্যবহার করতে হবে। রচনার কভার পেজে রচনার বিষয় ও গ্রুপ, প্রতিযোগীর নাম, শ্রেণি ও মুঠোফোন নম্বর লিখতে হবে। রচনার কোনো অংশে নাম/ মুঠোফোন নম্বর/ কোনো প্রকার সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা যাবে না।
রচনা সরাসরি বা ই–মেইলে স্ক্যান করে জমা দেওয়া যাবে। খামের ওপর ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস ও আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০২৪-রচনা প্রতিযোগিতা-গ্রুপ ক/খ’ লিখতে হবে। উভয় গ্রুপে ১ম, ২য়, ৩য় স্থান অধিকারীকে নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট পুরস্কার দেওয়া হবে।
রচনা জমা দেওয়ার ঠিকানা
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল), প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ভবন (৫ম তলা), ৭১-৭২ ইস্কাটন গার্ডেন, রমনা, ঢাকা- ১০০০, ই–মেইল: info@boesl.gov.bd।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
চিত্র-বিচিত্র
কে এই বিশ্বজয়ী মুয়াজ, জানা গেল পরিচয়
ইসলামী ঐতিহ্যের স্মৃতি বিজড়িত তুরস্কে অনুষ্ঠিত ৯ম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন বাংলাদেশি হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ। ২০১৬ সালের পরে বাংলাদেশ থেকে হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ প্রথম তুরস্কে এই সফলতার গৌরব অর্জন করেন।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বাদ জোহর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের হাত থেকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ মেহমানদের উপস্থিতিতে মুয়াজ মাহমুদই সম্মাননা ক্রেস্ট ও পুরস্কার গ্রহণ করেন।
বিশ্বজয়ী হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ ২২ আগস্ট ২০০৬ সালে চাঁদপুর জেলার, চাঁদপুর সদরের বালিয়াবাজার গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মোহাম্মদ আলি একজন ব্যবসায়ী। চার ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট তিনি। মা-বাবার কাছেই তার প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শুরু হয়।
শিক্ষা জীবনের শুরুতে স্কুলে প্রাথমিক পড়াশোনা করেন। এরপর ঢাকার মিরপুর ১-এ অবস্থিত মারকাজু ফয়জিল কোরআন আল ইসলামিতে ভর্তি হন। এ প্রতিষ্ঠানে তার হাফেজ হতে সময় লেগেছে ৩ বছর। এরপর আরও ২ বছর শোনান। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানেই কিতাব বিভাগে কাফিয়া (নবম) শ্রেণির ছাত্র হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ।
এ ছাড়াও হাফেজ মুয়াজ গত ২১ আগস্ট ২০২৪ তারিখে পবিত্র মক্কার মসজিদে হারামে অনুষ্ঠিত কিং আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অর্জন করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের পর এই প্রথম তুরস্কের আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় লাল-সবুজের পতাকার বাংলাদেশ প্রথম স্থান লাভ করেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ পড়লো যেভাবে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম শুরুতেই ‘জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’ ছিল। তবে পরবর্তীতে মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়া হয়। এসব অনেক আগের ঘটনা হলেও সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের ইতিহাস নিয়ে নতুন করে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। বিষয়টি প্রথম সামনে আনেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকালে জাহিদুল ইসলাম তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘এই ভূখণ্ডে বিভিন্ন নাম থেকে ‘ইসলাম’ ও ‘মুসলিম’ শব্দ মুছে দেয়ার অন্যতম ভিকটিম, ‘জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’।
এ দিন বিকেলে জনপ্রিয় বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারীও তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ‘জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’ লিখে পোস্ট করেন। এরপর বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচিত হতে থাকে।
জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় নামের বিভিন্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেনরা পোস্ট করছেন।
জানা যায়, ১৯৭০ সালের ২০ আগস্ট তৎকালীন সরকার এক অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার পূর্ব নাম জাহাঙ্গীরনগরের সঙ্গে মিলিয়ে জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় নামকরণ করে। মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় নামে এটি ছিল দেশের প্রথম ও একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়।
এরপর ১৯৭১ সালের ১২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট পাস হলে ‘মুসলিম’ শব্দ বাদ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় রাখা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ১৯৭০ সালের শেষের দিকে ঠিক করা হয়। কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অর্ডিন্যান্সের সময় তৎকালীন প্রশাসন মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে দেয়।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
চিত্র-বিচিত্র
মায়ের জানাজায় অংশ নেননি এস আলম ও তার পরিবার
মায়ের জানাজায় অংশ নিতে পারেননি দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপ এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ ওরফে এস আলম। তিনি ছাড়াও তার ৬ ভাই আবদুল্লাহ হাসান, ওসমান গনি, আবদুস সামাদ, রাশেদুল আলম, শহিদুল আলম ও মোরশেদুল আলমসহ কেউ জানাজায় উপস্থিত হতে পারেননি।
রোববার (২০ অক্টোবর) আছর নামাজের পর চট্টগ্রামের পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সাইফুল আলমের মা চেমন আরা বেগমের (৯২) জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তপটিয়া পৌরসভার এস আলম জামে মসজিদের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।
এর আগে রোববার (২০ অক্টোবর) ভোরে বার্ধক্যজনিত রোগে রাজধানী বনানীর বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বেগম মোজাহেরুল আনোয়ার। পরে হেলিকপ্টারে করে তার মরদেহ চট্টগ্রামের পটিয়ায় নেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগে থেকে সাইফুল আলম মাসুদসহ তার অন্য ভাইয়েরা সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন। ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর এস আলম গ্রুপের ব্যাংক খাতে একের পর এক লুটপাটের চিত্র সামনে আসে। এ কারণে দেশে ফেরার সাহস করেননি সাইফুল আলম মাসুদসহ তার অন্য ভাইয়েরা। সবশেষ রোববার মায়ের জানাজায়ও উপস্থিত হতে পারেননি কেউ। ভিডিও কলে শেষবারের মতো মাকে দেখেন সন্তানেরা।
জানাজায় উপস্থিত বেশিরভাগের মুখে ছিল এ কথা। কত ধন-সম্পত্তি এবং কত প্রভাব প্রতিপত্তি। কিন্তু তারপরও মায়ের জানাজায় উপস্থিত হতে পারেননি দেশের অন্যতম শিল্পপতি সাইফুল আলম মাসুদ এবং তার ভাইয়েরা। এটি দেখে দুর্নীতি এবং লুটপাটকারীদের শিক্ষা নেওয়া উচিত বলে মনে করেন অনেকে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
চিত্র-বিচিত্র
কে এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মি?
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের বিতর্কিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মি। এ ছাড়াও ছাত্র আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু সাঈদকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়েছেন তিনি। এর প্রতিবাদে ইতোমধ্যেই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থীরা এই কটূক্তিকারীকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্থায়ী বরখাস্তের দাবি জানিয়েছেন।
বিতর্কিত ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মির বাড়ি ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের নসিবপুর গ্রামে। তিনি ওই এলাকার মো. ইসমাইল হোসেনের মেয়ে। তার বাবা ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা শহীদ স্মৃতি কলেজের সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি ময়মনসিংহ নগরীর ঐতিহ্যবাহী আনন্দ মোহন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজসহ বিভিন্ন সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। তবে বর্তমানে তিনি অবসর জীবনযাপন করছেন।
সোমবার (৭ অক্টোবর) তাপসীর পৈত্রিক পরিচয়ের খোঁজ নিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে।
আরও জানা যায়, উর্মির মা নাসরিন জাহান বতর্মানে হাজি কাশেম আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ মুক্তাগাছায় গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। বতর্মানে তারা ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারের পেছনে কাশর জেল রোড এলাকায় নিজ বাসায় বসবাস করেন। তবে উর্মির বাসায় সরেজমিনে গিয়ে তার পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি।
পূর্বধলা সদর ইউনিয়নের নসিবপুর গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আজিম উদ্দিন বলেন, উর্মি ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। তিনি মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালযয়ে ভর্তি হন। সেখান থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়ালেখা শেষ করে ২০২২ সালে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন উর্মি। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড়। ছোট ভাই জার্মানির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছেন। এর বেশি তাদের সম্পর্কে আমার জানা নেই।
এমআই