জাতীয়
জিম্মি নাবিক ও জাহাজ উদ্ধারে আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক আজ

সোমালি জলদস্যুদের কবজা থেকে এমভি আবদুল্লাহ ও এতে থাকা ২৩ নাবিককে উদ্ধারে কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতে আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক ডেকেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সকাল ১১টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করবেন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. খুরশিদ আলম।
বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও এজেন্সি কর্তৃপক্ষকে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে। সিনিয়র সহকারী সচিব (আফ্রিকা) মো. ইফতেখার রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বৈঠকের উদ্দেশ্য সম্পর্কে চিঠিতে বলা হয়েছে, সোমালি জলদস্যুদের কবজায় থাকা জাহাজ ও ক্রুদের নিরাপদে উদ্ধারে কর্মকৌশল ঠিক করতেই এ বৈঠক।
তথ্যমতে, মঙ্গলবার (১২ মার্চ) কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়েছে। জলদস্যুরা মুক্তিপণের দাবিতে জাহাজ ও ক্রুদের জিম্মি করে রেখেছে।

জাতীয়
মূলনীতি নিয়ে ঐকমত্য তৈরি হয়নি: আলী রীয়াজ

রাষ্ট্রীয় মূলনীতি নিয়ে ঐকমত্য তৈরি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ।
বুধবার (২৫ জুন) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ষষ্ঠ দিনের দ্বিতীয় দফার বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
আলী রীয়াজ বলেন, কমিশন জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের (এনসিসি) প্রস্তাব পরিবর্তন করেছে। এর পরিবর্তে সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করে বলেন, এতে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা, দুই কক্ষের স্পিকার, রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান বিচারপতির প্রতিনিধি সদস্য থাকবেন। এ বিষয়ে অধিকাংশ দল স্বাগত জানিয়েছে। কিছু দল আপত্তি জানিয়েছে। আরও কিছু পরামর্শও এসেছে। এ নিয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব আগামী সপ্তাহে করা হবে।
ড. আলী রীয়াজ আরও বলেন, সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি নিয়ে সিদ্ধান্তে না এলে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়েও সিদ্ধান্তে আসা যাচ্ছে না।
কাফি
জাতীয়
নোংরামি সত্ত্বেও ভদ্রতার সীমা লঙ্ঘন করিনি: আসিফ মাহমুদ

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভোটারদের আন্দোলন নিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
এর জবাবে নিজের ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে আসিফ মাহমুদ বলেন, “অকারণে আমার ছবিতে জুতা মারা, গুজব ছড়িয়ে পিতাকে ‘চালচোর’ বলা, নগর ভবন বন্ধ করে ১ কোটির বেশি নগরবাসীকে ভোগান্তিতে ফেলা এবং আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে জবাইয়ের শ্লোগান দেওয়ার জন্য কি তারা ক্ষমা চেয়েছে?” তিনি আরও বলেন, “অনেক নোংরামি করার পরও গত দেড় মাসে একবারও আমি ভদ্রতার সীমা লঙ্ঘন করিনি।”
উপদেষ্টা বলেন, যাদের প্ররোচনায় আন্দোলন হয়েছে এবং এর পেছনে থাকা রাজনীতির খেলা তারা ভালোই জানেন। তিনি ধৈর্য ধরেছেন, ব্যক্তিগতভাবে কাউকে আক্রমণ করেননি এবং এ ধরনের অন্যায় কখনোই জবাবহীন থাকে না — ইতিহাসই সবার প্রাপ্য বুঝিয়ে দেবে।
জাতীয়
ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩২৬

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩২৬ জন রোগী। এসব রোগীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১১৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন বরিশাল বিভাগে। এই সময়ে ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২৫ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৩ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৩ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৪৫ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২৬ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৬ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৯ জন, ময়মনসিংহে ৫ ও সিলেটে বিভাগে একজন রয়েছেন।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১৯ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৭ হাজার ৭৪৯ জন। চলতি বছরের ২৫ জুন পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৮৭০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের।
২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন মোট এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং মৃত্যুবরণ করেন ৫৭৫ জন। এর আগে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়। ওই বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।
কাফি
জাতীয়
মাদক ও দুর্নীতি আমরা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারিনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মাদক ও দুর্নীতি সরকার নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
২৬ জুন মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে বুধবার (২৫ জুন) সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
সরকারের পক্ষ থেকে সবসময় দাবি করা হয় মাদকের বিস্তার কমে আসছে। এ বিষয়ে কোনো পরিসংখ্যান আছে কি না- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি কিন্তু কোনোদিন এটা দাবি করিনি। দুটি জিনিস আমরা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারিনি- একটি হলো মাদক আরেকটি দুর্নীতি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো, কিন্তু মাদক আমরা কমিয়ে এনেছি এটা আমি কোনোদিন বলিনি। আপনাদের সাহায্য-সহযোগিতা দরকার, এটা কমিয়ে আনতে হবে।’
জাতীয়
এনবিআরে আন্দোলনের পেছনে ‘ব্যবসায়ীদের’ ইন্ধন: অর্থ উপদেষ্টা

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংস্কার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে কর্মচারীদের চলমান আন্দোলনের সঙ্গে আওয়ামী সরকারের সময়কার কিছু সুবিধাভোগী ব্যবসায়ীর ইন্ধন থাকার বিষয়ে সন্দেহ করছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বুধবার (২৫ জুন) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
এনবিআরকে পৃথক করে রাজস্ব শাখা ও নীতি শাখা হিসেবে নতুন বিভাগ করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তবে এমনটি করা হলে এখানে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের অধিপত্য ও উপস্থিতি বাড়বে- এমটি বলে আসছেন বিসিএস (কর) ক্যাডার এবং বিসিএস (শুল্ক ও আবগারী) ক্যাডার কর্মকর্তারা।
এরই ভিত্তিতে আগারগাঁওয়ে এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে আন্দোলন, কর্মবিরতি চলছে। সেখানে পুলিশ পাহারায় নিয়মিত আসা-যাওয়া করছেন প্রশাসন ক্যাডার থেকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাওয়া সচিব আবদুর রহমান খান।
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘এনবিআর কর্মকর্তাদের ক্যারিয়ার নিয়ে একটা নেতিবাচক ধারণা আছে। ওদের ক্যারিয়ারের কোনো অসুবিধা হবে না। বরং এনবিআর একটা স্বতন্ত্র ডিভিশন হবে। ওদের স্ট্যাটাসটা বাড়বে। ওদের ক্যারিয়ারটা আরও প্রসপেক্ট হবে। ওদের প্রমোশনটা আরও বেটার হবে। এখন তাদেরকে কারা কী বুঝিয়েছে। ভেতরের ব্যাপার আপনারা আরও ভালো বলতে পারবেন।’
তিনি বলেন, ‘ওরা যেটা করেছে যে, কর্মস্থলে অনুপস্থিতি, এটা কোনো সরকারি কর্মচারী বিশেষ করে এনবিআরের কেউ কোনোদিন করেনি। এটা আপনার আমার ব্যাপার না। পুরা দেশের ব্যবসা, বাণিজ্য, রাজস্বের ব্যাপার। বন্দর, স্থলবন্দর, আমদানি-রপ্তানির ব্যাপার। আমি বলেছি, এমন কোনো সমস্যা নেই যেটা আলোচনা করে সমাধান করা যাবে না।’
আন্দোলনে ব্যবসায়ীদের ইন্ধন প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘এনবিআরে সংস্কার করার কারণ হচ্ছে এখানে আগে অনেক রকম অসঙ্গতি (ডিসক্রেপেন্সি) ছিল। সেখানে অ্যাকাউন্টেবিলিটি, ট্রান্সপারেন্সি নেই। এখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আগের সরকারের সময় কিছুসংখ্যক ব্যবসায়ী বেনিফিটেড হতো, ভালো যারা তারা সুবিধা পেত না। এনবিআর লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ধারেকাছেও ছিল না।’
‘অতএব আমি অনুমান করে বলছি, এখানে ব্যবসায়ীদের কিছু স্বার্থ আছে। না হয় ক্যারিয়ার ট্যারিয়ার নিয়ে ওরা হঠাৎ করে এত চটে গেল কেন? অন্য কোনো ইসে যদি না থাকে তাহলে এমন হওয়ার কথা না। এটা হলো আমার অনুমান। আমি ব্যবসায়ীদের ওভাবে দোষ দিচ্ছি না’, বলেন অর্থ উপদেষ্টা।
আন্দোলনের মাধ্যমে এনবিআর কর্মকর্তারা চাকরিবিধি লংঘন করছেন কি না এমন প্রশ্ন করলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা তো হ্যাঁ, আমরা একটু ধৈর্য্য ধরছি। চাকরি করতে হলে অনেক বিধিনিষেধ মানতে হবে, শৃঙ্খলা থাকতে হবে।’
কাফি