অর্থনীতি
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগে নতুন নীতিমালা

ব্যাংক-কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের গঠন বিষয়ে আগেই নীতিমালা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পরিচালকদের পাশাপাশি স্বতন্ত্র পরিচালকদের যোগ্যতা, দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কিত নীতিমালাও জানানো হয়। এবার ব্যাংক বর্হিভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের স্বতন্ত্র পরিচালক হওয়ার যোগ্যতা, কে হতে পারেন, কত বয়স এব বেতন কী পরিমাণ পাবেন তা নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নতুন নীতিমালার আলোকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের স্বতন্ত্র পরিচালক হতে ব্যক্তির ন্যূনতম বয়স লাগবে ৪৫ বছর। একই সঙ্গে তার সর্বোচ্চ বয়সও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৩ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুশাসন নিশ্চিতে উপযুক্ত ও পেশাগতভাবে দক্ষ ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে পরিচালনা পর্ষদ গঠিত হওয়া অপরিহার্য। ফাইন্যান্স কোম্পানি ও আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে স্বতন্ত্র পরিচালকের দায়-দায়িত্ব অপরাপর পরিচালকদের তুলনায় অধিক গুরুত্বপূর্ণ। ফলে উপযুক্ত ও পেশাগতভাবে দক্ষ ব্যক্তিবর্গকে ফাইন্যান্স কোম্পানির পরিচালক পর্ষদে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত করা আবশ্যক।
স্বতন্ত্র পরিচালক
ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০২৩ এর ধারা ১৪ এর ব্যাখ্যা অনুযায়ী, স্বতন্ত্র পরিচালক এরূপ ব্যক্তি যিনি ফাইন্যান্স কোম্পানির ব্যবস্থাপনা ও শেয়ার ধারক হবেন স্বাধীন এবং যিনি কেবল ফাইন্যান্স কোম্পানির স্বার্থে স্বীয় মতামত প্রদান করবেন। তিনি ফাইন্যান্স কোম্পানির সঙ্গে বা ফাইন্যান্স কোম্পানি সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তির সঙ্গে যার অতীত, বর্তমান বা ভবিষ্যত কোন প্রকৃত স্বার্থ কিংবা দৃশ্যমান স্বার্থের বিষয় জড়িত না।
স্বতন্ত্র পরিচালকের সংখ্যা
ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন ২০২৩ এর ধারা ১৪ মোতাবেক, আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইন অথবা কোনো ফাইন্যান্স কোম্পানির সংঘ-স্মারক বা সংঘবিধিতে যা কিছুই থাকুক না কেন, অন্যূন দুজন স্বতন্ত্র পরিচালকসহ কোনো ফাইন্যান্স কোম্পানিতে সর্বোচ্চ ১৫ জন পরিচালক থাকবেন।
উপযুক্ততা
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিযুক্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ন্যূনতম ১০ বছরের ব্যবস্থাপনা বা ব্যবসায়িক বা পেশাগত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে ন্যূনতম বয়স ৪৫ বছর এবং সর্বোচ্চ বয়স হবে ৭৫ বছর। সরকারি বা বেসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ বা ব্যবসায় প্রশাসন, ব্যবস্থাপনা, আইন ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে অভিজ্ঞ শিক্ষক, আইন পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তি, হিসাব পেশায় নিয়োজিত হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে প্রফেশনাল ডিগ্রিধারী ব্যক্তি, অভিজ্ঞ ব্যাংকার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও অর্থ বিভাগ, শিল্প মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয়ের অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করা যাবে। কোনো ফাইন্যান্স কোম্পানি বা ফাইন্যান্স কোম্পানি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কোনো প্রকৃত স্বার্থ কিংবা দৃশ্যমান স্বার্থের বিষয়ে জড়িত কোনো ব্যক্তি উক্ত ফাইন্যান্স কোম্পানির স্বতন্ত্র পরিচালক হতে পারবেন না।
বেতন-ভাতা
স্বতন্ত্র পরিচালকের প্রতি মাসে স্থায়ী সম্মানী বাবদ ৫০ হাজার টাকা (প্রযোজ্য কর কর্তন সাপেক্ষে) প্রাপ্য হবেন। পর্ষদ বা সহায়ক কমিটির প্রতিটি সভায় উপস্থিতির জন্য সম্মানি হিসেবে সর্বোচ্চ ১০ হাজার (প্রযোজ্য কর কর্তন সাপেক্ষে) প্রাপ্য হবেন। কোনো মাসে ব্যাংক-কোম্পানির পর্ষদ ও অন্যান্য সহায়ক কমিটির যত সংখ্যক সভাই অনুষ্ঠিত হোক না কেন প্রতি মাসে সর্বোচ্চ পরিচালনা পর্ষদের ২টি সভা, নির্বাহী কমিটির ৪টি সভা, অডিট কমিটির একটি সভা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির একটি সভায় উপস্থিতির জন্য এরূপ সম্মানি প্রাপ্য হবেন।
মেয়াদ ও অপসারণ
সাধারণভাবে স্বতন্ত্র পরিচালকরা ৩ বছর মেয়াদের জন্য নিযুক্ত হবেন। মেয়াদ শেষে ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন-২০২৩ এর ১৫ ও ১৬ ধারার বিধান সাপেক্ষে পরবর্তী মেয়াদে নিয়োগের জন্য নির্বাচিত হতে পারবেন। সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখপূর্বক পরিচালক পর্ষদ সংশ্লিষ্ট স্বতন্ত্র পরিচালককে অপসারণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুরোধ করতে পারবে। স্বতন্ত্র পরিচালক নিজে ৭ দিনের নোটিশ প্রদান করে স্বতন্ত্র পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করতে পারবেন। বাংলাদেশ ব্যাংক সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখপূর্বক যে কোনো স্বতন্ত্র পরিচালককে অপসারণ করতে পারবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
কুয়েতে স্বর্ণের দামে রেকর্ড

বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কুয়েতে রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে স্বর্ণের মূল্য। গত এক মাসের ব্যবধানে গ্রাম প্রতি তিন থেকে চার দিনার বৃদ্ধি পেয়েছে স্বর্ণের দাম। অল্প সময়ের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম বেড়ে যাওয়ায় হতাশ সাধারণ ক্রেতারা। গত এক মাসের ব্যবধানেই গ্রাম প্রতি বেড়েছে তিন দিনার। আর ভরিতে বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩ থেকে ১৪ হাজার টাকা বেশি।
কুয়েতে স্বর্ণের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতি মিনিটে পরিবর্তন হতে থাকে। দেশটির প্রত্যেকটি স্বর্ণের দোকানে কুয়েত সরকার নির্ধারিত অনলাইন মূল্য তালিকা রয়েছে। দিন দিন মূল্য বৃদ্ধির কারণে অনেক ক্রেতাই এখন স্বর্ণ কিনতে দ্বিধায় ভুগছেন।
তবে দাম আরও বাড়তে পারে এই আশঙ্কায় ভবিষ্যত প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে কেউ কেউ স্বর্ণ কিনে রাখছেন। ক্রেতারা বলেন, সপ্তাহ ব্যবধানে স্বর্ণের দাম অনেক বেড়েছে। সামনে আরও বাড়তে পারে। তাই ভবিষ্যতে বিয়ে, অনুষ্ঠান ও প্রিয়জনকে উপহার দেয়ার জন্য কিনে রাখতে হচ্ছে।
তবে স্বর্ণের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেচাকেনাও বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, উৎসবের মৌসুম থাকায় স্বর্ণের দাম বাড়ার পরও বেড়েছে বেচাকেনা। তাছাড়া সামনে আরও দাম বাড়ার আশঙ্কায় মজুতও করছেন অনেকে।
কুয়েতে স্বর্ণ বিক্রি হয় গ্রাম হিসেবে। তারা ২১ ক্যারেট অথবা ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের অলংকার ব্যবহার করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। আর প্রবাসী বাংলাদেশিদের পছন্দের শীর্ষে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ক্রেতা কমলেও বেড়েছে গরু ও মুরগির মাংসের দাম

ঈদুল ফিতরে সরবরাহ ঘাটতির প্রভাব পড়েছে বাজারে। যে কারণে ক্রেতা কমলেও কমেনি মাংস, সবজির দাম। কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা করে বেড়েছে গরুর মাংস ও মুরগির দাম। তবে দুটি বাজার খুঁজেও মেলেনি খাসির মাংস।
পেঁয়াজ রসুনে স্বস্তি মিললেও গরুর মাংস আর মুরগির দামে অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।
রাজধানীর মিরপুরের উত্তর ও মধ্য পীরেরবাগের একাধিক মাংসের দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কেজিতে অন্তত ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। কোনো দোকানে আরেকটু বেশি।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর মিরপুর-২ উত্তর পীরেরবাগ ছাপড়া মসজিদ কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, সবজি, মাছ ও গরুর মাংসের দোকানে ক্রেতাদের ভিড়।
মরিয়ম গোস্ত বিতানের বিক্রেতা বাবুল মিয়া বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে প্রচুর গরু কাটছি। চাহিদা অনুযায়ী বিক্রিও ছিল বেশি। আজকে আর গরু কাটি নাই। তবে চাহিদা থাকায় মিরপুর-১ থেকে একমণ মাংস এনেছি। আর ৫ কেজি বিক্রি বাকি আছে। তিনি বলেন, গতকালও ৭৮০ টাকায় মাংস বিক্রি করছি। আজ ৮০০ টাকা বিক্রি করছি।
তবে কাদের গোশত বিতানে গরুর মাংসের দাম আরও ২০ টাকা বেশি, অর্থাৎ সেখানে ৮২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। পাইকারি এই দোকানে মুরগি ডিমসহ নিত্যপণ্য বিক্রি করা হয়।
কাদের গোশত বিতানের বাদশা মিয়া বলেন, আজও সবচেয়ে বেশি মাংসের চাহিদা। ঈদের আগের দিন থেকে এখানে ৮২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। দেশি মুরগি ৬০০ টাকা, ব্রয়লার ২৩০ টাকা, লেয়ার মুরগি বাজারে নেই। পাকিস্তানি কক ৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ডিম মিলছে কমেই, ১২০ টাকা ডজন।
উত্তর পীরেরবাগ এলাকার একটি আবাসিক ভবনের এক বাসিন্দা বলেন, হাসপাতালে চাকরি করি। এ ঈদে ছুটি মেলেনি। বাসায় রাতে কিছু অতিথি আসবে। গরুর মাংস কিনতে এসে দেখি কেজি প্রতি ৪০ টাকা বেশি চাওয়া হচ্ছে। গত ৩ দিন আগেও গরুর মাংসের কেজি ছিল ৭৮০ টাকা। আজকে নিলো ৮২০ টাকা।
নির্মাণ শ্রমিক ফরহাদ গরুর মাংসের দাম শুনে কপালে ভাঁজ নিয়ে মুরগির দাম জানতে চান। সেখানেও বাড়তি দাম। বাধ্য হয়ে ৩৩০ টাকায় একটি পাকিস্তানি কক কিনে ফেরার পথে ফরহাদ বলেন, গরুর মাংস আমগো নাগালের না, মুরগিও দেখতাছি দাম বাড়তাছে। খামু কি? ৩৩০ টাকায় কক কিনে আমগো পোষায় না। কি করমু। ব্রয়লার আর কতো! একটা দিন তো কক খাইতে মন চায়।
মরিয়ম গোশত বিতানের মালিক বাবুল শিকদার বলেন, গরুই বেচতেছিলাম, খাসির মাংসের বাড়তি দাম, তাই দোকানেই তুলি নাই।
ব্রয়লার মুরগি কিনে মুসলিমা বেগম বলেন, কক ৩৩০ টাকা কেজি। কেমনে খামু কন! ব্রয়লারও যে খুব কম তা না, তবে দেড় কেজি ব্রয়লার কিনে যা বাঁচবে তা দিয়ে কিন্তু সবজি কেনা যায়। তাই কক বাদ দিয়ে ব্রয়লারই কিনতে হলো।
মধ্য পীরেরবাগ বিসমিল্লাহ গোশত বিতানে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতা ভিড় করেও ফিরে যাচ্ছেন। মাংস শেষ। মালিক মো. জাহাঙ্গীর বলেন, প্রতি রমজানের ঈদে অন্তত ২০টা গরু কাটি। গতকালও ২টা কাটছি। আজ একটা, তা সকাল সকালই শেষ হয়ে গেছে।
মাছের সরবরাহ কমেছে বাজারে। যা আছে তাও ক্রেতা কম।
নদীর চিংড়ির কেজি ৭০০ টাকা, তবে লাল ও অন্য সাদা চিংড়ি ৬৬০ টাকায় মিলছে। রুই মাছ যেন ছুলেই দাম। ৪৬০ টাকা কেজি হাঁকিয়ে বেচা হচ্ছে ৪২০ টাকায়। তেলাপিয়া ১৮০ টাকা। নলা মাছ ১৬০ টাকা। ইলিশ ৭৬০ থেকে ১৩০০ টাকার মধ্যে আকার অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে।
মাছ বিক্রেতা তরিকুল ইসলাম বাজারে মাছের সরবরাহ কম। ক্রেতাও কম। যা পাইছি তাই বেচতাছি। ক্রেতারা তো মাছের চেয়ে মাংসই বেশি কিনতাছে।
ছাপড়া মসজিদ কাঁচাবাজারে গিয়ে জানা যায়, কিছু সবজিতে বেড়েছে দাম। দামে কাঁচা মরিচের ঝাঁজ নেই। কেজিতে টমেটোর দাম বেড়েছে ২০ টাকা। টমেটো ৬০ টাকা ও গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। আলু ২০-২৫ টাকায় মিলছে। তবে পটল ও শশায় অসন্তুষ্ট ক্রেতারা।
ছাপড়া মসজিদ কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা সেলিম মিয়া বলেন, বেগুন গত সপ্তাহে কিনেছি ৮০ টাকায়। গত সপ্তাহেও ঢেঁড়শ ছিল ৫০ টাকা, আজ তা ৬০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে, কেজি বাড়তি ১০ টাকা। গত সপ্তাহেও শশার দাম ছিল ৬০টাকা, আজ ৮০ বেচতে হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, লাউ ৫০ থেকে ৭০ টাকা পিস, কচুরলতি ৮০ টাকা কজি, ১০ টাকা বাড়তিতে করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা। ৫০০ গ্রাম ওজনের ছোট পাতা কপির পিস ৫০ টাকা, ঝিঙা ৭০, চিচিঙ্গা ৭০, কাঁচা কলার হালি ৩০ টাকা। পেঁপে আর পটলে বিরক্ত ক্রেতারা। পটল ৮০, পেঁপে ৬০ টাকা।
হুসাইন আল মামুন নামে ক্রেতা বলেন, গরুর মাংসের সঙ্গে আলু আর পটল ভাল লাগে। আলুটার দাম ঠিক আছে। পটল যে ৮০! আর গরুর মাংসের দাম তো জানেনই ৮২০ টাকা! আমাদের মতো মধ্যবিত্তের ৬ সদস্যের পরিবারের জন্য এটা বেশিই।
ধনেপাতার ১০০ গ্রাম ২৫ টাকায় বিক্রি হলেও লেবুর দাম ফের বেড়েছে। ছোট ছোট লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।
সবজি বিক্রেতা আলমগীর বলেন, টমেটো ও গাজরের দাম বাড়তি। পেঁপে ও পটলে বিরক্ত ক্রেতারা। কিন্তু কিছু করার নাই। কেনাই তো বাড়তি আমাদের।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছে আইএমএফ দল

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে চলমান ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচি থেকে কিস্তি পেতে বাংলাদেশ যে প্রথমবারের মতো হোঁচট খেয়েছে, এ দফায় তা থেকে উত্তরণ ঘটতে পারে। এ জন্য ভর্তুকি কমানো, বিদ্যুতের দাম বাড়ানো, মুদ্রা বিনিময় হার বাজারের পর ছেড়ে দেওয়ার মতো অজনপ্রিয় সিদ্ধান্ত নিতে হবে বাংলাদেশকে।
শর্ত পূরণে বাংলাদেশ ও আইএমএফ যদি নিজ নিজ অবস্থানে অনমনীয় থাকে, তাহলে আর কোনো কিস্তি না–ও মিলতে পারে। তখন বাংলাদেশের জন্য দেখা যাবে নতুন জটিলতা। অর্থাৎ অন্য উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোও তখন বাংলাদেশকে ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে রক্ষণশীল হয়ে যেতে পারে। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ নিজেও এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইএমএফের ঋণ কর্মসূচি থেকে দুই কিস্তির অর্থ একসঙ্গে পেতে বাংলাদেশের সামনে মোটাদাগে তিনটি বাধা রয়েছে। এসব বাধা অতিক্রম করতে না পারলে আইএমএফের কিস্তি পাওয়া কঠিন হবে। এগুলো হলো মুদ্রা বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) দশমিক ৫ শতাংশ হারে বাড়তি রাজস্ব আদায় ও এনবিআরের রাজস্ব নীতি থেকে রাজস্ব প্রশাসনকে আলাদা করা।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যদিও আইএমএফকে জানানো হয়েছে, এসব শর্ত বাস্তবায়ন করা হবে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রাজস্ব নীতি থেকে রাজস্ব প্রশাসনকে আলাদা করার পদক্ষেপ ছাড়া বাকি দুটির বিষয়ে তেমন অগ্রগতি নেই।
আগামী জুনের মধ্যে বাজারভিত্তিক মুদ্রা বিনিময় হার বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সম্প্রতি এক প্রাক্-বাজেট আলোচনায় বলেন, তা এখন বলব না। কারণ, মূল্যস্ফীতি আরও কত দিন থাকে, দেখতে হবে। হঠাৎ বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ায় পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মতো হয়ে গেলে তো বিপদ বাড়বে।
বর্তমানে ক্রলিং পেগ পদ্ধতিতে বিনিময় হার নির্ধারণ করা হচ্ছে। যার কারণে হঠাৎ ডলারের দাম খুব বেশি বেড়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। এ পদ্ধতিতে ডলারের দাম আপাতত ১২২ টাকায় স্থিতিশীল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এপ্রিলেও অপরিবর্তিত থাকবে জ্বালানি তেলের দাম

এপ্রিল মাসেও জ্বালানি তেলের দাম নতুন করে নির্ধারণ করা হচ্ছে না। মার্চে ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রলের যে দাম ছিল, এপ্রিলেও তা অপরিবর্তিত থাকছে।
তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি তেল সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার বিদ্যমান মূল্য অপরিবর্তিত রেখেছে।
সোমবার (৩১ মার্চ) জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
আদেশে বলা হয়, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য কমা বা বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে দেশে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতিমাসে জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ করা হয়। ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসের জন্য বিদ্যমান মূল্য কাঠামো অনুযায়ী ডিজেলের বিক্রয়মূল্য প্রতি লিটার ১০৫ টাকা, কেরোসিন ১০৫, অকটেন ১২৬ টাকা এবং পেট্রোল ১২২ টাকায় অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
সর্বশেষ গত ১ ফেব্রুয়ারি সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম লিটারে এক টাকা বাড়িয়ে বর্তমান মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। এ মূল্য মার্চ মাসেও বহাল ছিল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ঈদযাত্রায় প্রতি মিনিটে যমুনা সেতু পাড়ি দিয়েছে ২৯ গাড়ি

যমুনা সেতুতে ঈদের আগের তিন দিন এক লাখ ২৫ হাজার ২৭৮টি গাড়ি পারাপার হয়েছে। এসব যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ৮ কোটি ৮৫ লাখ ৪৪ হাজার ৩৫০ টাকা। এই তিনদিন প্রতি মিনিটে গড়ে ২৯টি গাড়ি সেতু পারাপার হয়েছে।
সোমবার (৩১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, প্রত্যেক বছর ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার পর থেকেই সেতুতে গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। তবে এবার কোনো প্রকার যানজট ছাড়াই উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ ঘরে ফিরেছেন।
যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, ঈদের শেষ তিন দিনের বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে পরদিন শুক্রবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৪৮ হাজার ৩৩৫টি গাড়ি সেতু পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয় তিন কোটি ৩৮ লাখ ৫২ হাজার ৯০০ টাকা। এর মধ্যে পূর্ব প্রান্ত থেকে উত্তরবঙ্গের দিকে ৩০ হাজার ৯৯৮টি গাড়ি এবং বিপরীত দিক থেকে ১৭ হাজার ৯৩৭টি গাড়ি পার হয়েছে। পরের দিন শুক্রবার রাত ১২টা থেকে শনিবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ৪৫ হাজার ৪৭৮টি গাড়ি পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে তিন কোটি ২১ লাখ ৬৪ হাজার ৬০০ টাকা।
একইসঙ্গে ঈদের আগের দিন শনিবার রাত ১২টা থেকে রোববার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত সেতু দিয়ে গাড়ি পারাপার হয়েছে ৩১ হাজার ৪৬৫টি। এর মধ্যে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী লেনে ২১ হাজার ১২৬ ও উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকামুখী লেনে ১০ হাজার ৩৩৯ গাড়ি পারাপার হয়। এ থেকে টোল আদায় হয়েছে দুই কোটি ২৫ লাখ ২৬ হাজার ৮৫০ টাকা।