জাতীয়
এনআইডি যাচাই: কারিগরি সহায়তায় ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা নিয়োগ

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) যাচাই সংক্রান্ত সেবায় হরহামেশায় সার্ভার ডাউনের অভিযোগ তোলা হয়। অন্য কোনো সমস্যা থাকলেও সেবা নেওয়া প্রতিষ্ঠান একই অভিযোগ তোলে। ফলে বিভ্রান্তিতে পড়েন সাধারণ নাগরিকরা। এ ঝামেলা দূর করতে এবার এনআইডি অনুবিভাগে নিয়োগ দেওয়া হলো ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, সার্ভার ডাউনের জটিলতা নিয়ে মোবাইল অপারেটর, ব্যাংকের গ্রাহকরা বেশি বিভ্রান্তিতে পড়েন। অনেক সময় একটি ব্যাংক থেকে সার্ভার ডাউন বলে ফেরত পাঠানো হলেও অন্য ব্যাংকে কোনো অসুবিধা হয় না। মোবাইল অপারেটরের ক্ষেত্রেও এমন বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। এজন্য তিন কর্মকর্তাকে ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এনআইডি অনুবিভাগের সিস্টেম অ্যানালিস্ট মোহাম্মদ আরিফুল ইসলামের সই করা এ সংক্রান্ত অফিস আদেশে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের এনআইডি ডাটাবেস থেকে এনআইডি তথ্য যাচাই সংক্রান্ত সেবা নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবা ব্যবস্থাপনার জন্য এবং সেবা দেওয়ার জন্য একজন কর্মকর্তাকে ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা এবং দুজনকে বিকল্প ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এক্ষেত্রে এনআইডি অনুবিভাগের মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সোহাগকে ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা ও প্রোগ্রামার মো. সেলিম উল আলম ও সিফাত জাহানকে বিকল্প ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়টি সেবা নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকেও জানানো হয়েছে। বর্তমানে এনআইডি সার্ভার থেকে ১৭০টির মতো সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নাগরিকের তথ্য যাচাই করে নেয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
ইশরাককে শপথ না পড়ানোর কারণ জানালেন উপদেষ্টা আসিফ

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ানোর কারণ হিসেবে ১০টি জটিলতার কথা তুলে ধরেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
সোমবার (১৯ মে) বিকেল ৩টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এসব কথা জানান।
আসিফ মাহমুদ লেখেন, প্রথমত, আর্জি সংশোধন অবৈধ মর্মে হাইকোর্টের রায় ভায়োলেট করে নির্বাচন কমিশন ট্রাইব্যুনাল এই রায় প্রদান করেছে।
দ্বিতীয়ত, নির্বাচন কমিশন শুনানিতে অংশগ্রহণ না করায় একপাক্ষিক রায় হয়েছে এবং পরবর্তীতে কমিশন আপিলও করেনি।
তৃতীয়ত, আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হলেও মতামত দেওয়ার আগেই এবং একই সাথে দুইজন নাগরিকের পাঠানো লিগ্যাল নোটিশ উপেক্ষা করে রাত ১০টায় গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
চতুর্থত, উক্ত মামলায় স্থানীয় সরকার বিভাগ পক্ষভুক্ত ছিল না এবং রায়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতি কোনো নির্দেশনার উল্লেখ নেই।
পঞ্চমত, শপথ না দেওয়ার কারণে নির্বাচন কমিশন স্থানীয় সরকার বিভাগকে বিবাদী করে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে, যা এখনো বিচারাধীন।
ষষ্ঠত, বরিশাল সিটি করপোরেশন সংক্রান্ত মামলায় আর্জি সংশোধন সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়কে আমলে নিয়ে খারিজ করেছে ট্রাইব্যুনাল। ফলে ট্রাইব্যুনালের দ্বিমুখী অবস্থান বোধগম্য হচ্ছে না।
সপ্তম, মেয়াদ সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দিয়েছে; কতদিন মেয়র থাকবেন বা আদৌ মেয়াদ আছে কি না তা স্পষ্ট নয়।
অষ্টম, নির্বাচন কমিশনের চিঠিতে ‘‘কোনো প্রকার আইনি জটিলতা না থাকলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ’’ এর কথা বলা হয়েছে। স্পষ্টতই বিতর্কিত রায়, স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতি কোনো নির্দেশনা না থাকা, লিগ্যাল নোটিশ এবং রিট পিটিশন বিচারাধীন থাকা সংক্রান্ত আইনি জটিলতা রয়েছে।
নবম, এই জটিলতা নিরসনে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে।
দশম, আওয়ামী আমলের অবৈধ নির্বাচনগুলোকে বৈধতা দেওয়ার প্রশ্নও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি স্বীকার করে যে আওয়ামী আমলের নির্বাচনগুলো বৈধ, তবে সরকারের জন্য এসব প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে না।
তিনি আরও লিখেছেন, উচ্চ আদালতে বিচারাধীন এবং উপরোল্লিখিত জটিলতা নিরসন না করা পর্যন্ত শপথ গ্রহণ সম্ভব নয়। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে বরং গায়ের জোরে আদায় করার উদ্দেশ্যেই নগর ভবন বন্ধ করে মহানগর বিএনপি এই আন্দোলন চালাচ্ছে। ফলে সিটি করপোরেশনের দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হওয়াসহ জন দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
এই উপদেষ্টা বলেন, এসব জটিলতা নিরসন হলে স্থানীয় সরকার বিভাগের শপথ দিতে কোনো সমস্যা নেই। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমার বিরুদ্ধে ইশরাক হোসেনের এই আক্রমণাত্মক ও অপমানজনক কার্যক্রমের কোনো কারণ খুঁজে পেলাম না! আবার কেউ বলবেন না যে এটা সাধারণ জনগণ করছে, কারণ বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন গ্রুপের নির্দেশনা এবং গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী দলীয় নেতাকর্মীরাই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ভাঙ্গা-কুয়াকাটা ৬ লেন সড়ক প্রকল্পের অনুমোদন

পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা সড়ক ছয়লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ মে) বরিশাল সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসন আয়োজিত মহানগরের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা সর্ম্পকে স্থানীয় সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, গণমাধ্যমকর্মী, সুশীল সমাজ ও এনজিও প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার কাজ করছে। বরিশাল একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগীয় শহর। এ শহর শিল্পসমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করতে ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা সড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। এ সময় তিনি সামাজিক নিরাপত্তার স্বার্থে দারিদ্র্যবিমোচন প্রকল্পগুলো চলমান থাকবে বলে উল্লেখ করেন।
উপদেষ্টা বলেন, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা যত শক্তিশালী হবে সাধারণ মানুষ তত উপকৃত হবে। স্থানীয় সরকারের সব সুযোগ-সুবিধা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ভালো, যোগ্য ও সৎ জনপ্রতিনিধির বিকল্প নাই। আগামী নির্বাচনে জনবান্ধব একটি দল সরকার গঠন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মতবিনিময় সভায় উন্মুক্ত আলোচনায় উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের দাবির প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, প্রাচ্যের ভেনিস বরিশালের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য শহরের আশপাশের খালগুলো খনন করা হবে। এ ছাড়া বরিশাল-বানারিপাড়া সন্ধ্যা নদীর ওপর সেতু, নথুল্লাবাদ থেকে দপদপিয়া ব্রিজ পর্যন্ত বাইপাস সড়ক, বরিশালের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ফুট ওভারব্রিজ এবং একটি উন্নতমানের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণে সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন। এ সময় তিনি জীবনানন্দ দাশের স্মৃতি রক্ষার্থে পাঠাগার নির্মাণ এবং শহরের ঐতিহ্য সংরক্ষণ করার আহ্বান জানান।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে বরিশাল চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এবায়দুল হক চান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম ফরিদ, সৈয়দ হাতেম আলী সরকারি কলেজের উপাচার্য প্রফেসর আক্তারুজ্জামান খান, বরিশাল আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাদিকুর রহমান লিংকন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
একযোগে পুলিশের ১৭ এসপিকে বদলি

বাংলাদেশ পুলিশের পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ১৭ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০ কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত ডিআইজি (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ মে) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব মো. মাহবুবুর রহমানের সই করা পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এ বদলি করা হয়।
এর মধ্যে জিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার এস এম নাসিরুদ্দিনকে ডিএমপিতে, শিল্পাঞ্চল পুলিশের এ কে এম জহিরুল ইসলামকে ডিএমপিতে, পুলিশ সদর দপ্তরের ড. মাসুরা বেগমকে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি, ১৩ এপিবিএনের আবদুল্লাহ আল মামুনকে ডিএমপিতে, সিএমপির মাহমুদা বেগমকে শিল্পাঞ্চল পুলিশের পুলিশ সুপার, পুলিশ সদর দপ্তরের খালেদা বেগমকে এপিবিএনে পুলিশ সুপার, আরএমপির এস এম শফিকুল ইসলামকে জিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
এ ছাড়া পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি জান্নাতুল হাসানকে অতিরিক্ত ডিআইজি (চলতি দায়িত্বে), পাকশি রেলওয়ে জেলার পুলিশ সুপার মো. শাহাব উদ্দীনকে রাজশাহী রেঞ্জে অতিরিক্ত ডিআইজি (চলতি দায়িত্বে), পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি আতিয়া হুসনাকে অতিরিক্ত ডিআইজি (চলতি দায়িত্বে), পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার শাহ মমতাজুল ইসলামকে রংপুর রেঞ্জে অতিরিক্ত ডিআইজি (চলতি দায়িত্বে), ডিএমপির উপ-কমিশনার আ স ম শামসুর রহমান ভূঁঞাকে হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (চলতি দায়িত্বে), এসবির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামকে পিবিআইতে অতিরিক্ত ডিআইজি (চলতি দায়িত্বে) হিসেবে, নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার কফিল উদ্দিনকে শিল্পাঞ্চল পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (চলতি দায়িত্বে), পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার শেখ জয়নুদ্দীনকে খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (চলতি দায়িত্বে), ট্যুরিস্ট পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের পুলিশ সুপার খন্দকার নুর রেজওয়ানা পারভীনকে পিবিআইতে অতিরিক্ত ডিআইজি (চলতি দায়িত্বে) হিসেবে এবং এসবির পুলিশ সুপার এ কে এম আক্তারজ্জামানকে এসবিতেই পিবিআইতে অতিরিক্ত ডিআইজি (চলতি দায়িত্বে) হিসেবে হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
তালিকা দেখতে ক্লিক করুন এখানে ও এখানে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
কোরবানির পশু জবাইয়ে ইমামদের প্রশিক্ষণ দেবে ডিএনসিসি

ঈদুল আজহা উপলক্ষে ধর্মীয় ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানির পশু জবাই এবং মাংস প্রস্তুতের বিষয়ে ইমাম ও মাংস প্রস্তুতকারীদের প্রশিক্ষণ দেবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। সোমবার (১৯ মে) ডিএনসিসির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পশুর চামড়া বিশেষ করে গরুর চামড়া একটি অন্যতম রপ্তানিযোগ্য জাতীয় সম্পদ। বছরে যে পরিমাণ পশুর চামড়া সংগৃহীত হয় তার বেশিরভাগই আসে কোরবানি করা পশু থেকে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ইমাম ও মাংস প্রস্তুতকারীদের কোরবানির পশুর চামড়া ছাড়ানোর সঠিক পদ্ধতি জানা না থাকায় এই জাতীয় সম্পদের গুণগত মান বজায় থাকে না এবং রপ্তানিযোগ্যতা হারায়।
বিষয়টি মাথায় রেখে এ বছর ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলেই প্রশাসকের নির্দেশে ইমাম ও মাংস প্রস্তুতকারীদের প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে।
ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের নির্দেশে এ বছর ডিএনসিসির আওতাধীন প্রত্যেক পশুর হাটে ১৪ সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল টিম থাকবে। এবং তারা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে।
কোরবানির পশুর বর্জ্য সঠিক ব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা মাথায় রেখে এলাকাভিত্তিক কোরবানির জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানে এলাকাবাসীকে পশু কোরবানি দিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে যাতে সহজে অল্প সময়ের মধ্যেই পশুর বর্জ্য সঠিক ভাবে অপসারণ করা যায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
১০ হাজারের বেশি রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়রানিমূলক ১০ হাজারের বেশি মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন-১ শাখার কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সারাদেশে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ৫০৬টি হয়রানিমূলক রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর ফ্যাসিস্ট আমলে করা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়। সেই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে এসব মামলা প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে স্ব স্ব জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে পত্র মারফত মামলার নম্বর উল্লেখ করে জেলা পাবলিক প্রসিকিউটরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮-এর ৪৯৪ ধারার আওতায় উক্ত মামলাগুলো প্রত্যাহার করে না চালানোর জন্য সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক কারণে হওয়া হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের লক্ষ্যে দুটি কমিটি গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। এর মধ্যে একটি জেলা পর্যায়ের কমিটি এবং অন্যটি মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটি।
জেলা পর্যায়ের কমিটির সভাপতি হিসেবে থাকবেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সদস্যসচিব অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং সদস্য পুলিশ সুপার (মহানগর এলাকার জন্য পুলিশের একজন ডেপুটি কমিশনার) ও পাবলিক প্রসিকিউটর (মহানগর এলাকার মামলাগুলোর জন্য মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর)।
জেলা কমিটির কাছে যদি মনে হয় মামলাটি রাজনৈতিক বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে হয়রানির জন্য করা হয়েছে, তাহলে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য কমিটি সরকারের কাছে সুপারিশ করবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সেই সুপারিশ, মামলার এজাহার, অভিযোগপত্রসহ আবেদন পাওয়ার ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে নির্দিষ্ট ছক অনুযায়ী তথ্যাদিসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন। এ ছাড়া ব্যক্তি পর্যায়েও আবেদন করা যাবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব অথবা আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর বরাবরেও আবেদন নেওয়া হচ্ছে। তবে সেই আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে প্রথমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তালিকা প্রস্তুত করে আইন উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে রেজল্যুশন আকারে অনুমোদন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠানো হয়। পরে আবারও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হয়। সেখান থেকে ফেরত আসার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে স্ব স্ব জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর চূড়ান্তভাবে চিঠি পাঠানো হয়।
জেলা পর্যায়ের কমিটির কার্যপরিধি ও কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে জারি করা একটি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জেলা কমিটির কাছ থেকে সুপারিশপ্রাপ্তির পর মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটি সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। প্রত্যাহারযোগ্য মামলা চিহ্নিত করে তালিকা প্রস্তত করবে এবং মামলা প্রত্যাহারের কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটির সভাপতি হিসেবে আছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং সদস্যসচিব হিসাবে দায়িত্বপালন করছেন জননিরাপত্তা বিভাগের আইন-১ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব। আর কয়েকজন রয়েছেন সদস্য হিসেবে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত দায়ের হওয়া রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলার শিকার যে কেউ এই সুযোগ পাবেন। তবে আবেদনপত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মামলার এজাহার এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অভিযোগপত্রের (চার্জশিট) সত্যায়িত অনুলিপি দাখিল করতে হবে।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পরিচালক) ফয়সল হাসান বলেন, নিরপরাধ ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের অনর্থক হয়রানি থেকে পরিত্রাণ দেওয়ার লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে গৃহীত এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।