জাতীয়
রমজানে গাজায় ত্রাণ পাঠালো বাংলাদেশসহ আরও ৯ দেশ

রমজান মাস উপলক্ষে গাজায় ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে মিসরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক দাতব্য সংস্থা আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি হাউস নামক একটি প্রতিষ্ঠান। এই ত্রাণ সহায়তায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশসহ আরো ৯ দেশ। পবিত্র রমজান উপলক্ষে এবার প্রায় ২ হাজার টন খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠিয়েছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো। খবর আরহাম অনলাইন।
এক বিবৃতিতে আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি হাউস বলেছে, গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ত্রাণের যত চালান গেছে, সেসবের মধ্যে এই চালানটি বৃহত্তম। বাংলাদেশ ব্যতীত আরো যে আটটি দেশের ত্রাণ এই চালানে যুক্ত হয়েছে, দেশগুলো হলো— ইন্দোনেশিয়া, ভারত, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, ফ্রান্স, চীন, কানাডা এবং জার্মানি।
মিসরের অনলাইন সংবাদমাধ্যম আরহাম অনলাইনকে আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটির মুখপাত্র আবদেল-আলীম কাশতা বলেছেন, ত্রাণ পণ্যবাহী ট্রাকগুলো মিসরের উত্তর সিনাই থেকে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ের মাধ্যমে গাজায় প্রবেশ করবে।
৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ বাঁধার পর থেকে রমজান শুরুর আগ পর্যন্ত মোট ৪ হাজার টন ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা পণ্য পাঠিয়েছে আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি। সর্বশেষ গত ডিসেম্বরে ত্রান পাঠানো হয়েছি।
অর্থসংবাদ/এমআই

জাতীয়
রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে: স্বাধীন তদন্ত কমিশন

বিডিআর বিদ্রোহে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান বলেছেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডে তৎকালীন রাজনৈতিক নেতাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে কারও নাম বলতে পারছি না।
বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরির বিআরআইসিএম নতুন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডে তৎকালীন তদন্ত কমিটি চরম অবহেলা করেছে জানিয়ে ফজলুর রহমান বলেন, গণমাধ্যমও বিষয়টি ভিন্নখাতে নেওয়ার কাজ করেছে। সময়মতো সামরিক ব্যবস্থা নেওয়া হলে হত্যাকাণ্ড কমানো যেত।
তিনি আরও বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ইতোমধ্যে ১৫৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ৫০ জনের সাক্ষ্য এখনও বাকি।
কমিশন সভাপতি বলেন, পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা মির্জা আজম ও জাহাঙ্গীর কবীর নানক পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় লিখিত সাক্ষ্য দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে নির্মম ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন।
জাতীয়
পৃথিবীর সর্বনাশের জন্য আমরা আসামি: প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, পৃথিবীর সর্বনাশের জন্য যারা দায়ী তারা আমরা সবাই এখানে হাজির। আমরা আসামি।
বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীর চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব পরিবেশ দিবস এবং পরিবেশ ও বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের পুরোনো কবিরা বলে গেছেন, সাগরের সব পানি যদি কালি হত, বনের সব গাছ যদি কলম হতো, তাহলে এই অপরাধের বর্ণনা শেষ করা যেত না। একই অপরাধ আমরা করে যাচ্ছি প্রতিদিন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আজকের পৃথিবী বিভিন্ন ধরনের সংকটে জড়িত। যুদ্ধবিগ্রহ, প্রযুক্তির অপব্যবহার আমাদের সামনে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। কিন্তু যে চ্যালেঞ্জটা আমরা এখনো অনেকে উপলব্ধি করতে পারছি না, সেটা হলো প্রকৃতির বিধ্বংসী-রূপ। এটা প্রকৃতির দোষ না, আমাদের দোষ। আমরা মানুষ যারা এখানে বসবাস করি, প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার কথা। কিন্তু তাল মিলিয়ে না চলে উল্টো পথে চলি। দোষটা প্রকৃতির না, দোষটা হলো প্রকৃতি-বিধ্বংসী এক জীব, যার নাম মানুষ।
তিনি বলেন, আমাদের সামনে দৈত্যাকারে হাজির হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে জলবায়ু সংকট। সে ক্রমাগত হুঙ্কার দিচ্ছে, হয় আমরা থাকবো, না হয় তোমরা থাকবে। দুইজন একসঙ্গে থাকতে পারবে না।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্লাস্টিকের ব্যবহার পৃথিবীতে তিন ধরনের সংকট বাড়িয়ে দিয়েছে। জলবায়ুগত সংকট, প্রকৃতিগত সংকট, জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি। এটা শুধু প্লাস্টিকের জন্য। আরো বহু জিনিস আছে। প্লাস্টিক ক্রমাগত হুঙ্কার দিচ্ছে, হয় আমরা থাকবো, না হয় তোমরা থাকবে। দুইজন একসঙ্গে থাকতে পারবে না। তাদের জয়যাত্রা অব্যাহত রয়েছে। তারা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাসছে আর আমাদের অসহায়ত্ব দেখছে। আমাদের উদ্যোগের অভাব দেখছে। আমরা সব জয় করে নিলাম তোমরা কিছুই করতে পারলে না। এই অসহায়ত্বের মধ্যে আমরা ২০২৫ সালে এই দিবস পালন করছি।
তিনি বলেন, প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনা ঠিকঠাক না থাকায়, পৃথিবীর জলাশয়গুলো পলিথিন ও প্লাস্টিকে ছেয়ে গেছে। জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের মুখে পড়ছে। প্লাস্টিক এমন এক জিনিস, যার জন্ম আছে মৃত্যু নেই। পৃথিবীর সব কিছুর মৃত্যু আছে, তার মৃত্যু নেই। এসব ক্রমাগত বাড়ে, ফলে তা সবকিছু জয় করে ফেলে। আমরা দিবস উদযাপন করে ঘরে ফিরে যাব, যথারীতি প্লাস্টিক ব্যবহার করব।
আমরা যদি আমাদের লাইফস্টাইল পরিবর্তন না করি, এই যুদ্ধে সামগ্রিকভাবে মানুষের পরাজয় অবধারিত। সেজন্য এর থেকে কীভাবে আমরা বের হবো সেটা হলো আজকের আলোচ্য বিষয়, বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
জাতীয়
মে মাসে ৫০১ সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৪৯০

গত মে মাসে সারাদেশে ৫০১টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৪৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে। একইসঙ্গে আহত হয়েছেন ৫৪১ জন।
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীনের গত ১৭ জুন স্বাক্ষরিত সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনটি অনলাইনে প্রকাশ করা হয় ২৪ জুন। বিআরটিএর বিভাগীয় অফিসের মাধ্যমে সারাদেশের সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়।
এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১২০টি দুর্ঘটনায় ১২৪ জন নিহত ও ৯৭ জন আহত হয়েছেন। চট্টগ্রাম বিভাগে ১০৯টি দুর্ঘটনায় ১০৬ জন নিহত ও ১৫৭ জন আহত হয়েছেন; রাজশাহী বিভাগে ৪৮টি দুর্ঘটনায় ৪৬ জন নিহত ও ২৫ জন আহত হয়েছেন; খুলনা বিভাগে ৭৮টি দুর্ঘটনায় ৭৫ জন নিহত ও ৮৫ জন আহত হয়েছেন; বরিশাল বিভাগে ২৯টি দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত ও ৩০ জন আহত হয়েছেন; সিলেট বিভাগে ২২টি দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত ও ৩৬ জন আহত হয়েছেন; রংপুর বিভাগে ৬৪টি দুর্ঘটনায় ৬৯ জন নিহত ও ৭২ জন আহত হয়েছেন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৩১টি দুর্ঘটনায় ২৮ জন নিহত ও ৩৯ জন আহত হয়েছেন।
মে মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত মোটরযানের মধ্যে মোটরকার/জিপ ১৭টি, বাস/মিনিবাস ১০২টি, ট্রাক/কাভার্ডভ্যান ১৬৫টি, পিকআপ ৫৩টি, মাইক্রোবাস ১১টি, অ্যাম্বুলেন্স ২টি, মোটরসাইকেল ১৭৫টি, ভ্যান ১২টি, ট্রাক্টর ১৬টি, ইজিবাইক ২৪টি, ব্যাটারিচালিত রিকশা ২৬টি, অটোরিকশা ৪৭টি ও অন্যান্য যান ১৩৫টিসহ সর্বমোট ৭৮৫টি যানবাহন রয়েছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, মোটরকার দুর্ঘটনায় ৫ জন, বাস-মিনিবাস দুর্ঘটনায় ৩৫ জন, ট্রাক-কাভার্ডভ্যান দুর্ঘটনায় ৫২ জন, পিকআপ দুর্ঘটনায় ৩৩ জন, মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় ১২ জন, অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় ৬ জন, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৫৮ জন, ভ্যান দুর্ঘটনায় ৯ জন, ট্রাক্টর দুর্ঘটনায় ১০ জন, ইজিবাইক দুর্ঘটনায় ২৩ জন, ব্যাটারিচালিত রিকশা দুর্ঘটনায় ২০ জন, অটোরিকশা দুর্ঘটনায় ৩৪ জন ও অন্যান্য যান দুর্ঘটনায় ৯৪ জনসহ সর্বমোট ৪৯০ জন নিহত হয়।
জাতীয়
কসোভোতে আরও বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের সুবিধা বাড়ানোর অনুরোধ

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কসোভো প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত লুলজিম প্লানা। মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ হয়। এসময় প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত প্লানাকে তার নিয়োগের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানান এবং বাংলাদেশে তাকে সাদর অভ্যর্থনা জানান।
প্রধান উপদেষ্টা মানবিক ও সাংস্কৃতিক সংযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে কসোভোর বিভিন্ন খাতে আরও বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের সুবিধা বাড়ানোর অনুরোধ জানান।
তিনি কসোভোর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি বৃদ্ধির প্রস্তাব দেন এবং এ লক্ষ্যে স্কলারশিপ, ফেলোশিপ ও একাডেমিক অনুদান চালুর আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের ‘জুলাই অভ্যুত্থান’-এর চেতনার কথা স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা কসোভোর জনগণের স্বাধীনতা, শান্তি ও জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি তাদের অবিচল অঙ্গীকারের প্রশংসা করেন।
জবাবে রাষ্ট্রদূত প্লানা বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রতি কসোভোকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি ১৯৯০-এর দশকের শেষ দিকে কসোভোতে সশস্ত্র সংঘর্ষ পরবর্তী সময়ের কথা স্মরণ করে বলেন, গ্রামীণ কসোভো আমাদের জাতিকে জীবনের পথে ফিরিয়ে আনতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশকে একটি মূল্যবান অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করি। আমি আপনার ব্যক্তিগত প্রতিশ্রুতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। গ্রামীণ ট্রাস্টের উদ্যোগ আমাদের জাতির জন্য বড় একটি সহায়তা। কসোভো যুদ্ধোত্তর সময়ে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী হিসেবে বাংলাদেশি সেনাদের অবদান ও সহায়তার জন্যও আমি কৃতজ্ঞতা জানাই।
১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ কসোভো বর্তমানে দেশটির শীর্ষস্থানীয় ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান যা ২০টি পৌরসভা ও ২১৯টি গ্রামে কাজ করছে। তাদের ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে ৯৭ শতাংশই নারী। এই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছে বাংলাদেশের গ্রামীণ ট্রাস্ট।
চ্যালেঞ্জপূর্ণ সেই সময়ের কথা স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের জন্য এটা ছিল একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা। আমরা যখন সেখানে পৌঁছাই, তখন অঞ্চলটি ছিল পুরোপুরি ধ্বংসপ্রাপ্ত। পুরুষরা তখনো ঘরে ফেরেনি, কোনো মুদ্রা ছিল না, কোনো ব্যাংকিং ব্যবস্থা ছিল না। সেই শূন্য থেকে আমরা গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু করি।
সাক্ষাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদারের বিষয়ে আলোকপাত করা হয়, বিশেষ করে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের দিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
প্রধান উপদেষ্টা পোষাকশিল্প, ওষুধ শিল্প, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাটজাত পণ্য, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিংসহ কয়েকটি সম্ভাবনাময় খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর জোর দেন।
তিনি কসোভোর ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত প্লানা দুই দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পর্ক দৃঢ় করার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে বণিকসভাগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রস্তাব দেন।
জাতীয়
শুক্র-শনিবার খোলা থাকবে ডিএসসিসি, মিলবে সব সেবা

আগামী শুক্রবার ও শনিবার ছুটির দিনেও খোলা থাকবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। এ সময় সব ধরনের নাগরিক সেবা পাওয়া যাবে। নগর ভবনের পাশাপাশি আঞ্চলিক কার্যালয়সহ সব পর্যায়ের অফিস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এদিকে দীর্ঘদিন সেবা বন্ধ থাকার পর গতকাল সোমবার থেকে খুলেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নগর ভবনের প্রধান ফটক। চালু হয়েছে সেবা কার্যক্রম। পাশাপাশি ইশরাক অনুসারীদের অবস্থান কর্মসূচিও চলমান রয়েছে।
গত ১৫ মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত নগর ভবন থেকে দেওয়া সব নাগরিক সেবা বন্ধ ছিল। সেসময় দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ইশরাকপন্থি কর্মচারীরা নগর ভবনের মূল ফটক আটকে রাখার পাশাপাশি প্রতিটি বিভাগে তালা ঝুলিয়ে সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে রাখে।
পরে ঈদের বিরতির পর গত ১৫ জুন থেকে ইশরাকের অনুসারীরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নগর ভবনে একত্রিত হয়ে ফের অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে শুরু করে। ফলে গত পরশু পর্যন্ত প্রধান ফটকসহ অন্যান্য বিভাগে তালা ঝোলানোই ছিল। দীর্ঘদিন পর গতকাল প্রধান ফটকসহ অন্যান্য বিভাগের তালা খুলে দেওয়া হয়।
কাফি