Connect with us
৬৫২৬৫২৬৫২

আন্তর্জাতিক

ইউরোপে বেড়েছে অস্ত্র বাণিজ্য

Published

on

ন্যায্য

বিশ্বজুড়ে গত পাঁচ বছরে অস্ত্র বাণিজ্য কমে আসার দিনে ইউরোপে বেড়েছে প্রায় ৯৪ শতাংশ। ইউক্রেন ও গাজা যুদ্ধ এ সময় অস্ত্র বাণিজ্যকে প্রভাবিত করেছে বলে স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। খবর ইউরো নিউজ।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

ইউরোপে ২৩ শতাংশ হিস্যা নিয়ে ২০১৯-২৩ সাল মেয়াদে বিশ্বের বৃহত্তম আমদানিকারক ছিল ইউক্রেন। এরপর রয়েছে যুক্তরাজ্য, ইউরোপের মোট অস্ত্র আমদানির ১১ শতাংশ দেশটির দখলে। নেদারল্যান্ডস আমদানি করেছে ৯ শতাংশ।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

এ সময়ে ইউরোপীয় দেশগুলোর আমদানি করা অস্ত্রের ৫৫ শতাংশ সরবরাহকারী ছিল যুক্তরাষ্ট্র, ২০১৪-১৮ সাল সময়সীমায় বৈশ্বিক অস্ত্র বাণিজ্যে এ হিস্যা ছিল ৩৫ শতাংশ। সর্বশেষ পাঁচ বছরে ইউরোপে আমদানি করা অস্ত্রের অন্যান্য উৎস হলো এশিয়া, ওশেনিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য।

সর্বশেষ পাঁচ বছরে অস্ত্র বিক্রেতা হিসেবে এগিয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স। ওয়াশিংটন ২০১৪-১৮ সালের তুলনায় ২০১৯-২৩ সাল মেয়াদে ১৭ শতাংশ এবং প্যারিস ৪৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখেছে।

এ সময় ১০৭টি দেশে অস্ত্র সরবরাহ করে মোট বৈশ্বিক রফতানির ৪২ শতাংশ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ঝুলিতে। অন্যদিকে ভারত, কাতার ও মিসরে যুদ্ধবিমান সংগ্রহের কারণে ফ্রান্সের রফতানি বেড়েছে।

এছাড়া প্রথমবারের মতো অস্ত্র রফতানিতে রাশিয়ার তুলনায় এগিয়ে গেছে ফ্রান্স। এবার রাশিয়ার রফতানি কমেছে ৫৩ শতাংশ। ২০১৯ সালের ৩১টি দেশে মস্কো অস্ত্র রফতানি করলেও গত বছর নেমে আসে ১২-তে।

ফরাসি অস্ত্রের সবচেয়ে বড় ক্রেতা ছিল ভারত, যা দেশটির মোট রফতানির প্রায় ৩০ শতাংশ। তবে ভারতের অস্ত্রের প্রধান সরবরাহকারী ছিল রাশিয়া। মস্কো থেকে মোট আমদানির ৩৬ শতাংশ পেয়েছে দিল্লি।

একই সময়ে কিছু দেশে অস্ত্র রফতানি কমেছে। চীন ৫ দশমিক ৩ শতাংশ, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য ১৪, স্পেন ২ দশমিক ২ ও ইসরায়েলের ২৫ শতাংশ অস্ত্র রফতানি কমেছে।

২০১৯-২৩ সালে পশ্চিম ইউরোপের ৭২ শতাংশ আমদানি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে, আবার একই সময়ের বৈশ্বিক রফতানির এক-তৃতীয়াংশ করেছে ইউরোপ। বিশ্বের শীর্ষ ১০ অস্ত্র রফতানিকারকের মধ্যে রাশিয়া বাদে মোট পাঁচটি দেশই ইউরোপীয়— ফ্রান্স (দ্বিতীয়), জার্মানি (পঞ্চম), ইতালি (ষষ্ঠ), যুক্তরাজ্য (সপ্তম) ও স্পেন (অষ্টম স্থান)। একই সময়ে আন্তর্জাতিক অস্ত্র স্থানান্তরের প্রায় ৩০ শতাংশ গেছে মধ্যপ্রাচ্যে, এ অঞ্চলের শীর্ষ তিন ক্রেতা ছিল সৌদি আরব, কাতার ও মিসর। মধ্যপ্রাচ্যে বেশির ভাগ অস্ত্র সরবরাহ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র (৫২ শতাংশ), ফ্রান্স (১২ শতাংশ), ইতালি (১০ শতাংশ) ও জার্মানি (৭ দশমিক ১ শতাংশ)।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-

আন্তর্জাতিক

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ

Published

on

ন্যায্য

ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত গাজা আর হাজারো নিরীহ ফিলিস্তিনির করুণ পরিণতি দেখে এবার মুখ খুলছে বিশ্বের শীর্ষ ধনী দেশ লুক্সেমবার্গ। দেশটি জানিয়েছে, চলতি মাসেই তারা ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দ্য জেরুসালেম পোস্ট জানিয়েছে, লুক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রী লুক ফ্রিডেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেভিয়ার বেত্তেল তাদের দেশের সংসদীয় কমিশনকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

জানা গেছে, চলতি মাসের শেষ দিকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে লুক্সেমবার্গ আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে। একই সময়ে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, বেলজিয়াম সহ আরও কয়েকটি পশ্চিমা দেশও একই পদক্ষেপ নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এরইমধ্যে বিশ্বের প্রায় ৭৫% দেশের (প্রায় ১৪৭টি রাষ্ট্র) ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এবার ধনী ও প্রভাবশালী পশ্চিমা দেশগুলোও সেই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাজ্য এবং বেলজিয়াম—এই দেশগুলোও শর্তসাপেক্ষে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ভাবছে।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা শুরু

Published

on

ন্যায্য

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চড়া হারে শুল্ক বসানোর পর দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা মঙ্গলবার আবার শুরু হলো।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

ভারত সরকারিভাবে জানিয়েছে, দুই দেশের প্রধান আলোচকরা আবার কথা শুরু করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক বসানোর পর যে পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে, সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার চেষ্টা করা হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমদানি-রপ্তানিতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

মার্কিন প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ায় সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডান লিঞ্চ।

ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সচিব রাজেশ আগরওয়াল বলেছেন, আমরা ভবিষ্যৎ বাণিজ্যের স্পষ্ট ছবি পেতে চাই। তাই এই আলোচনা হচ্ছে। এই আলোচনা শুধু মঙ্গলবারই হওয়ার কথা। এই আলোচনার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে ঠিক হবে দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক পর্যায়ের আলোচনা কবে শুরু হবে।

রাজেশ আগরওয়াল বলেছেন, মঙ্গলবার দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে বাণিজ্য আলোচনা হচ্ছে না। আমরা অবশ্যই বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা করবো। তবে আমরা দেখবো, ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি সম্ভব কিনা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যে তথ্য দিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, জুলাই মাসে ভারতীয় পণ্যের রপ্তানি ৮১০ কোটি ডলার থেকে কমে ৬৮৬ কোটি ডলারে হয়েছে।

ভারতে যিনি এবার মার্কিন রাষ্ট্রদূত হতে চলেছেন, সেই সার্জিও গোর সেনেটে বলেছেন, ভারতীয় বাণিজ্যমন্ত্রীকে যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

রাজেশ আগরওয়াল বলেছেন, এই বিষয়েও কথা হতে পারে। তবে বাণিজ্য ছাড়া অন্য কোনো বিষয় নিয়ে কোনো কথা হবে না।

ভারতে বণিকসভা ফিকি-র সাবেক পরামর্শদাতা অঞ্জন রায় বলেছেন, এখন যা অবস্থা তাতে শুল্ক বসানোর ফলে দুই দেশের কিছুটা অসুবিধা হবে ঠিকই, তবে অর্থনীতিতে খুব বড় ধাক্কা লাগবে না। কারণ, এখন যে শুল্ক বসানো হয়েছে তা পণ্যের উপর। সার্ভিস সেক্টর বা পরিষেবা ক্ষেত্রে কিছু হয়নি। আর এই ক্ষেত্রের উপর যদি আঘাত আসে, তাহলে ভারতের অর্থনীতিতে তার বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। আমেরিকাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

অঞ্জন রায় মনে করেন, এখন শুল্কের জন্য বস্ত্র থেকে শুরু করে ভারতের কয়েকটি ক্ষেত্রে ধাক্কা লাগবে। তবে তা সামলে নেওয়ার ক্ষমতা ভারতের আছে।

তার মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হলেন এমন এক ব্যক্তি, যিনি পরমুহূর্তে কী করবেন তা কেউ জানেন না। তিনি আজ এককথা বলছেন, একরকম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কাল অন্য সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তিনি আনপ্রেডিকটেবল। সেজন্যই এই আলোচনায় কতটা ফল হবে তা আগে থেকে বলা যাচ্ছে না।

অঞ্জন রায় কিছুদিন আগে আমেরিকা থেকে ফিরেছেন। তিনি মনে করেন, সেখানকার সাধারণ মানুষের মধ্যে এই শুল্ক নিয়ে মাথাব্যথা খুব কম। যদি জিনিসের দাম বাড়ে বা পরিষেবা দামী হয়, বেকার মানুষের সংখ্যা বেড়ে যায়, তখন তারা ক্ষুব্ধ হতে পারে। না হলে বাণিজ্য চুক্তি, শুল্ক নিয়ে তারা মাথায় ঘামায় না।

প্রবীণ সাংবাদিক শরদ গুপ্তা বলেছেন, যে পরিস্থিতিতে আলোচনা হচ্ছে, তা অনুকূল পরিবেশ নয়। দুই দেশের মধ্যেই একটা সন্দেহের পরিবেশ আছে। ভারত একটা রেডলাইন টেনে দিয়েছে। তারা রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করবে না। তারা কৃষি ও ডেয়ারি ক্ষেত্রকে খুলে দেবে না। তারপরেও আলোচনা সফল হতে পারে, যদি ট্রাম্প চান এবং মোদী কিছু ক্ষেত্রে শুল্কে ছাড় দেন। সেটা পরের কথা। তবে আলোচনা শুরু হয়েছে, এটাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা কাতারের আমিরের

Published

on

ন্যায্য

কাতারের রাজধানী দোহায় শুরু হয়েছে আরব-ইসলামিক সম্মেলন। দখলদার ইসরায়েল দোহায় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের নেতাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানোর পর মুসলিম নেতারা এক জোট হয়েছেন।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানি রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সম্মেলনে কথা বলেন। এতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দেন তিনি।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

কাতারি আমির বলেন, কাতারে ইসরায়েলি ‘বর্বর’ হামলার নিন্দা জানিয়েছে আরব বিশ্ব। এ হামলার বিরুদ্ধে এবং নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাতার যে আইনি ব্যবস্থা নেবে সেটিকে সমর্থন জানাবে তারা।

ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে কঠোর এবং দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্বিচারিতা পরিহার করে ইসরায়েল যেসব অপরাধ করেছে সেগুলোর বিচার করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। কাতারের আমির বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এখনই দ্বিচারিতা পরিহার করার সময়। এছাড়া ইসরায়েল যেসব অপরাধ করেছে তাদের সেগুলোর জন্য বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

গাজা যুদ্ধ প্রসঙ্গে কাতারের আমির বলেন, ইসরায়েলের জানা উচিত ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে তারা যে গণহত্যামূলক যুদ্ধ শুরু করেছে, মাতৃভূমি থেকে জোরপূর্বক তাদের উচ্ছেদের যে চেষ্টা ইসরায়েল চালাচ্ছে সেটি সফল হবে না, তারা যতই মিথ্যা যুক্তি দিক।

এছাড়া দখলদার ইসরায়েল বারবার গাজা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছে বলেও জানান তামিম বিন হামাদ আল থানি। তিনি বলেন, ইসরায়েলি সরকার প্রস্তাবের পর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধের পরিধি বাড়াচ্ছে। এই অঞ্চলের মানুষ এবং ইসরায়েলিদের ঝুঁকিতে ফেলে করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

নেপালে আন্দোলনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭২

Published

on

ন্যায্য

নেপালে চলতি সপ্তাহের দুর্নীতিবিরোধী সহিংস বিক্ষোভে কমপক্ষে ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে রবিবার জানিয়েছে দেশটির সরকার। একই সময়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কির নেতৃত্বে নতুন অন্তর্বর্তী সরকারও তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সরকারের প্রধান সচিব একনারায়ণ আরিয়াল এক বিবৃতিতে জানান, নিহত হয়েছে ৭২ জন এবং ১৯১ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

দেশটিতে সরকারের পতনের পর তৈরি হওয়া পরিস্থিতির পূর্ণ চিত্র ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

নিহতরা মূলত সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা, দুর্নীতি ও দুর্বল শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের দমন ও পীড়নে প্রাণ হারায়।

পরিস্থিতি মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) আরো ভয়াবহ রূপ নেয়। ক্ষুব্ধ জনতা সংসদ ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপরই প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি পদত্যাগ করেন। তখনই সেনাবাহিনী রাস্তায় নামে ও নিয়ন্ত্রণ নেয়।

নেপালের সেনাবাহিনী শুক্রবার জানিয়েছে, বিক্ষোভ চলাকালে লুট হওয়া ১০০টির বেশি বন্দুক তারা উদ্ধার করেছে। এর আগে বিক্ষোভকারীদের স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র হাতে ঘুরতে দেখা যায়।

পুলিশের মুখপাত্র বিনোদ ঘিমিরে এএফপিকে বলেন, সহিংসতার সময় দেশজুড়ে একাধিক কারাগার থেকে পালানো প্রায় ১৩ হাজার ৫০০ কয়েদির মধ্যে শুক্রবার পর্যন্ত ১২ হাজার ৫৩৩ জন এখনও পলাতক।

নিহতদের মধ্যে জেল পালানো কয়েকজন কয়েদিও ছিলেন। পালানোর সময় বা পরবর্তীতে তারা নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন।
এদিকে জেল থেকে পালানো অনেকে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করলেও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বেশিরভাগ কয়েদিকে আটক করেছে।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

নেপালে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা

Published

on

ন্যায্য

নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন নতুন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কির সুপারিশের ভিত্তিতে সংসদ ভেঙে দিয়েছেন নেপালের প্রেসিডেন্ট। এছাড়া আগামী বছরের মার্চে নতুন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন নেপালের প্রেসিডেন্টের প্রেস উপদেষ্টা কিরণ পোখরেল। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশক্রমে সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। নতুন নির্বাচনের তারিখ হলো ২০২৬ সালের ৫ মার্চ।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

এর আগে, শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) নেপালের রাষ্ট্রপতি ভবনে স্থানীয় সময় রাত সেয়া ৯টায় তিনি শপথ নেন। তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেল।

দুর্নীতি-বিরোধী সহিংস আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী কে.পি. শর্মা ওলির পদত্যাগের পর অস্থির দেশটির দায়িত্ব নিলেন তিনি। রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাওডেলের দপ্তর থেকে জানানো হয়, সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল ও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনার পর কার্কির নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়েছে। আন্দোলনকারীরাই তাকে নেতৃত্বের জন্য প্রস্তাব করেন।

এর আগে, সপ্তাহজুড়ে চলা বিক্ষোভে অন্তত ৫১ জন নিহত এবং ১ হাজার ৩০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা এই দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনকে ‘জেন জি আন্দোলন’ বলা হচ্ছে। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত থেকে বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। এক পর্যায়ে সামাজিকমাধ্যমের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও সহিংসতা থামে গত মঙ্গলবার ওলির পদত্যাগের পর।

তবে প্রকৌশলী কুলমান ঘিসিংকে প্রধানমন্ত্রী পদে চান আন্দোলনকারীদের অনেকে, যিনি নেপালের বিদ্যুৎ সংকট সমাধান করে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। এক বিবৃতিতে তার নামও প্রস্তাব করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। কুলমানের নাম উঠে আসায় কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। আর এরও আগে ওলি সরকারের পতনের পরই প্রাথমিকভাবে নাম শোনা গিয়েছিল রাজধানী কাঠমাণ্ডুর নির্দল মেয়র ও জনপ্রিয় র‌্যাপার বলেন্দ্র শাহের। কিন্তু ৩৫ বছর বয়সী শাহ প্রধানমন্ত্রী হতে আগ্রহী ছিলেন না। বরং তিনি প্রকাশ্যে কার্কির পক্ষেই সমর্থন জানান।

প্রসঙ্গত, সুশিলা কার্কি এর আগে ২০১৬ থেকে ২০১৭ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত নেপালের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেন। সততা, দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান ও দৃঢ়তার কারণে তিনি ব্যাপকভাবে পরিচিত। বিচারপতি থাকাকালে ক্ষমতাসীন মন্ত্রীকে জেলে পাঠানো থেকে শুরু করে সরাসরি সরকারের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতেও পিছপা হননি কার্কি। তবে তার বিচারপতি জীবন ঝঞ্ঝাটমুক্ত ছিল না। দায়িত্ব নেওয়ার এক বছরের মধ্যেই তার বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু হয়, যা ব্যাপকভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে দেখা হয়। জনমতের চাপে শেষ পর্যন্ত তা ভেস্তে যায়। যদিও ঘটনাটি কার্কিকে হতাশ করেছিল এবং তিনি পরে পদ থেকে সরে দাঁড়ান।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজারের সর্বশেষ

ন্যায্য ন্যায্য
পুঁজিবাজার5 hours ago

বড় বিনিয়োগকারীদের মুনাফার তথ্য চেয়ে সকালে সিএসইর চিঠি, বিকেলে না

গত ২০২৪–২৫ অর্থবছরে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে ৫০ লাখ টাকা বা তার বেশি মূলধনি মুনাফা অর্জন করেছে, এমন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের...

ন্যায্য ন্যায্য
পুঁজিবাজার13 hours ago

ব্লকে ৩০ কোটি টাকার লেনদেন

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে মোট ৩০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মোট ৩০কোটি ৫...

ন্যায্য ন্যায্য
পুঁজিবাজার13 hours ago

আইপিও প্রক্রিয়া সহজ করতে কাজ করছে ডিএসই: চেয়ারম্যান

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেছেন, আমরা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ নিজেদেরকে ইতিবাচক পরিবর্তনের চেষ্টা করছি। আইপিও প্রক্রিয়া সহজীকরণের...

ন্যায্য ন্যায্য
পুঁজিবাজার13 hours ago

সিএপিএম বিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ডের সর্বোচ্চ দরপতন

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শেষে দরপতনের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে সিএপিএম বিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড...

ন্যায্য ন্যায্য
পুঁজিবাজার14 hours ago

দর বৃদ্ধির শীর্ষে ইউসিবি

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শেষে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি...

ন্যায্য ন্যায্য
পুঁজিবাজার14 hours ago

লেনদেনের শীর্ষে খান ব্রাদার্স

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে খান ব্রাদার্স পি.পি. ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।...

ন্যায্য ন্যায্য
পুঁজিবাজার14 hours ago

সূচকের পতনে কমেছে লেনদেনও

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব মূল্যসূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। একই সঙ্গে টাকার অংকে...

Advertisement
AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সোশ্যাল মিডিয়া

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০  
ন্যায্য
পুঁজিবাজার5 hours ago

বড় বিনিয়োগকারীদের মুনাফার তথ্য চেয়ে সকালে সিএসইর চিঠি, বিকেলে না

ন্যায্য
জাতীয়6 hours ago

বাংলাদেশ-চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে: প্রধান উপদেষ্টা

ন্যায্য
জাতীয়6 hours ago

বিসিএস পরীক্ষার্থীদের সেনানিবাস এলাকার হলে প্রবেশে বিশেষ নির্দেশনা

ন্যায্য
জাতীয়6 hours ago

সরকারি কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ ভাতা বাড়লো

ন্যায্য
অর্থনীতি7 hours ago

১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৭ কোটি ডলার

ন্যায্য
আবহাওয়া8 hours ago

চার বিভাগে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

ন্যায্য
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার8 hours ago

৪৭তম বিসিএসের প্রিলি আগামীকাল, মানতে হবে যেসব নিয়ম

ন্যায্য
মত দ্বিমত9 hours ago

নরওয়ের অভিজ্ঞতা বনাম বাংলাদেশের বাস্তবতা: জবাবদিহিহীন রাজনীতির অন্তরায়

ন্যায্য
কর্পোরেট সংবাদ9 hours ago

সিটি ব্যাংক ও গার্ডিয়ানের অংশীদারিত্বে ব্যাংকিং অ্যাপে মিলবে ইন্স্যুরেন্স পলিসি

ন্যায্য
আইন-আদালত9 hours ago

দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণ পৃথক করলো সরকার

ন্যায্য
পুঁজিবাজার5 hours ago

বড় বিনিয়োগকারীদের মুনাফার তথ্য চেয়ে সকালে সিএসইর চিঠি, বিকেলে না

ন্যায্য
জাতীয়6 hours ago

বাংলাদেশ-চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে: প্রধান উপদেষ্টা

ন্যায্য
জাতীয়6 hours ago

বিসিএস পরীক্ষার্থীদের সেনানিবাস এলাকার হলে প্রবেশে বিশেষ নির্দেশনা

ন্যায্য
জাতীয়6 hours ago

সরকারি কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ ভাতা বাড়লো

ন্যায্য
অর্থনীতি7 hours ago

১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৭ কোটি ডলার

ন্যায্য
আবহাওয়া8 hours ago

চার বিভাগে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

ন্যায্য
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার8 hours ago

৪৭তম বিসিএসের প্রিলি আগামীকাল, মানতে হবে যেসব নিয়ম

ন্যায্য
মত দ্বিমত9 hours ago

নরওয়ের অভিজ্ঞতা বনাম বাংলাদেশের বাস্তবতা: জবাবদিহিহীন রাজনীতির অন্তরায়

ন্যায্য
কর্পোরেট সংবাদ9 hours ago

সিটি ব্যাংক ও গার্ডিয়ানের অংশীদারিত্বে ব্যাংকিং অ্যাপে মিলবে ইন্স্যুরেন্স পলিসি

ন্যায্য
আইন-আদালত9 hours ago

দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণ পৃথক করলো সরকার

ন্যায্য
পুঁজিবাজার5 hours ago

বড় বিনিয়োগকারীদের মুনাফার তথ্য চেয়ে সকালে সিএসইর চিঠি, বিকেলে না

ন্যায্য
জাতীয়6 hours ago

বাংলাদেশ-চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে: প্রধান উপদেষ্টা

ন্যায্য
জাতীয়6 hours ago

বিসিএস পরীক্ষার্থীদের সেনানিবাস এলাকার হলে প্রবেশে বিশেষ নির্দেশনা

ন্যায্য
জাতীয়6 hours ago

সরকারি কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ ভাতা বাড়লো

ন্যায্য
অর্থনীতি7 hours ago

১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৭ কোটি ডলার

ন্যায্য
আবহাওয়া8 hours ago

চার বিভাগে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

ন্যায্য
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার8 hours ago

৪৭তম বিসিএসের প্রিলি আগামীকাল, মানতে হবে যেসব নিয়ম

ন্যায্য
মত দ্বিমত9 hours ago

নরওয়ের অভিজ্ঞতা বনাম বাংলাদেশের বাস্তবতা: জবাবদিহিহীন রাজনীতির অন্তরায়

ন্যায্য
কর্পোরেট সংবাদ9 hours ago

সিটি ব্যাংক ও গার্ডিয়ানের অংশীদারিত্বে ব্যাংকিং অ্যাপে মিলবে ইন্স্যুরেন্স পলিসি

ন্যায্য
আইন-আদালত9 hours ago

দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণ পৃথক করলো সরকার