রাজধানী
রমজানের প্রথম দিনেই যানজটে নাকাল রাজধানীবাসী

পবিত্র মাহে রমজান শুরু হয়েছে আজ। প্রথম রমজানের ইফতার সবাই পরিবারের সঙ্গে করতে চান। যানজটের কারণে অফিস বা ব্যক্তিগত কাজ শেষে বাসায় গিয়ে ইফতার করা অনেকের জন্য অনিশ্চয়তা তৈরি হতে পারে। রাজধানীর কিছু এলাকার মানুষ অস্বস্তিতে রয়েছেন বিষয়টি নিয়ে।
ইফতারের আগে রাজধানীর মগবাজার, মালিবাগ, কারওয়ান বাজার, গুলিস্তান, মিরপুর রোডসহ অন্তত ১৪টি রুট যানবাহনের চাপমুক্ত রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ ট্রাফিক বিভাগের। পাশাপাশি মেট্রোরেলেও তৈরি হয়েছে বাড়তি চাপ।
মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থায় একাধিক মেগা প্রকল্প যুক্ত হলেও বিগত বছরগুলোর মতো এবারও নগরবাসীর পিছু ছাড়েনি রমজানকেন্দ্রিক যানজটের শঙ্কা। উন্নয়নের আশীর্বাদপুষ্ট কিছু এলাকার মুষ্টিমেয় মানুষ যাতায়াত নিয়ে স্বস্তিতে থাকলেও অধিকাংশের দুশ্চিতার কারণ অফিস শেষে ইফতারের আগে বাসায় ফেরা নিয়ে।
নগরবাসী বলছেন, উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে কিন্তু যানজট কমছে না। রমজানে মেট্রো স্টেশনের আশপাশে থাকা মানুষজন একটু সুবিধা পাবেন। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষকেই আগের মতো ভোগান্তিতে পড়তে হবে। মেট্রোরেল আরও কয়েক রুটে চালু করা গেলে হয়ত এ সমস্যার সমাধান হতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সুবিধাপ্রাপ্ত নগরবাসী স্বস্তিতে থাকলেও বড় অংশেরই শঙ্কার কারণ ইফতারের আগে সঠিক সময়ে বাসায় ফেরা নিয়ে।
অনেকে বলছেন, রমজান এলে আতঙ্ক বেড়ে যায়! অফিস শেষে বাসায় গিয়ে ইফতারের ব্যবস্থা করাটা অনেক কঠিন হয়ে যায়। তাই বাসায় গিয়ে ইফতার করা যাবে কি না, সেটা নিয়ে সন্দেহে অনেকের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর বাড্ডা, পুলিশ প্লাজা, গুলশান তেজগাঁও লিংক রোড, শাহবাগ থেকে ফার্মগেট, বিজয় সরণি, খিলক্ষেত, মগবাজার, মালিবাগ, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, গুলিস্তান ও ধানমন্ডিসহ বেশকিছু সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আজ প্রথম রোজার ইফতার হিসেবে সড়কে কিছুটা যানজট রয়েছে। আমাদের সকল পর্যায়ের সদস্যরা সড়কে কাজ করছেন।
ট্রাফিক রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) জয়নুল আবেদীন বলেন, ইফতারের আগে সড়ক স্বাভাবিক রাখতে কাজ করে যাচ্ছেন ট্রাফিক সদস্যরা। কিছু সড়কে তীব্র যানজট আছে, আর কিছু সড়ক স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে রমজান মাসে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, অবৈধভাবে কেউ রাস্তায় গাড়ি পার্কিং করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, রমজান মাসে আমাদের বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ট্রাফিক। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ কাজ করছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নগরবাসীর সচেতনতা ও সহযোগিতা দরকার। যারা গাড়ি ব্যবহার করছেন, যারা গাড়িতে চড়ছেন এবং যারা রাস্তার আশপাশে ব্যবসা করছেন তাদের সহযোগিতা দরকার। তা নাহলে ৩০৬ বর্গকিলোমিটার জায়গার ভেতরে যেখানে সোয়া দুই কোটি লোক বসবাস করে সেখানে পুলিশ রাতারাতি ট্রাফিক সমস্যা সমাধান করে দিতে পারবে না।
কাফি

রাজধানী
একযোগে ৭৫ ওয়ার্ডে বর্জ্য অপসারণ শুরু করলো ডিএসসিসি

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ৭৫টি ওয়ার্ডে একযোগে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কোরবানির বর্জ্য দ্রুত অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শনের জন্য কলাবাগান শিশু পার্ক সংলগ্ন সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) পরিদর্শন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
এবারের কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রায় ১০০০০ (দশ হাজারেরও) অধিক জনবল মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। ২০৭টি ডাম্প ট্রাক, ৪৪টি কম্পেক্টর, ৩৯টি কন্টেইনার ক্যারিয়ার, ১৬টি পে-লোডারসহ বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে ৭৫টি ওয়ার্ডে মোট ২ হাজার ৭৯টি যানবাহন নিয়োজিত রয়েছে।
কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম ব্যবস্থাপনার জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের জরুরি পরিচালন কেন্দ্রে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপিত হয়েছে এবং সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে।
বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা বলেন, শহরে কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সময়মতো বর্জ্য অপসারণ না হলে দুর্গন্ধ ছড়ায়, এমনকি রোগ-জীবাণু সৃষ্টি হতে পারে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ১২ ঘণ্টার মধ্যেই সকল বর্জ্য অপসারণ করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে উপদেষ্টা বলেন, এ বছর কোরবানির বর্জ্যের কারণে নগরবাসীর ঈদ আনন্দ বাধাগ্রস্ত হবে না।
রাজধানী
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট

ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় থেকে শুরু করে মদনপুর পর্যন্ত ঢাকাগামী লেনে প্রায় ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এ যানজট দেখা গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারও যাত্রী ও চালক।
বুধবার (৪ জুন) রাত পৌনে ১০টা পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা গেছে, যান চলাচল প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। যানবাহনগুলো ঘণ্টার পর ঘণ্টা থেমে আছে।
হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ঢাকার মাতুয়াইল এলাকায় ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ঢুকতে না দেওয়ায় মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) এ সিদ্ধান্তের কারণে গত কয়েকদিন ধরেই যানবাহন চালকদের এই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
মাছ ব্যবসায়ী লতিফ মোগরাপাড়া থেকে যাত্রাবাড়ীর আড়তে যাওয়ার পথে চিটাগাং রোড এলাকায় আটকে পড়েছেন। তিনি বলেন, ৩০ মিনিট ধরে এখানেই বসে আছি, ঈদের আগে এমন ভোগান্তি খুব কষ্টকর।
আরেক যাত্রী আশরাফুল আলম বলেন, শুনেছি ঢাকায় গাড়ি ঢুকতে দিচ্ছে না, তাই এই যানজট। অনেকক্ষণ ধরে বসে আছি।
কয়েকজন বাস চালকও জানান, ঢাকায় ট্রাক-কাভার্ডভ্যান প্রবেশে বাধার কারণে গত ২-৩ দিন ধরে এই পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে জানতে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জুলহাস উদ্দিনকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
তবে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোরশেদ জানান, মাতুয়াইল এলাকায় ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ঢুকতে না দেওয়ায় এ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ চলছে, কিছুক্ষণের মধ্যেই সড়ক স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
কাফি
রাজধানী
রাজধানীর পুরানা পল্টনে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ড

রাজধানীর পুরানা পল্টনে একটি বহুতল ভবনে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট। পরবর্তীতে দ্রুতই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
সোমবার (২ জুন) সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম রনি।
তিনি জানান, পুরানা পল্টনে একটি ১০তলা ভবনের ৬তলায় আগুন লাগে। সকালে সড়ক ফাঁকা থাকায় খবর পেয়ে ৭টা ১ মিনিটেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিস। পাঁচটি ইউনিট মাত্র ১৭ মিনিটের প্রচেষ্টায় সকাল ৭টা ১৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
রাজধানী
সোমবার ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় সোমবার (২ জুন) ১১ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। রোববার (১ জুন) এক বার্তায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানায়।
তিতাস গ্যাস জানায়, সোমবার সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত টেংরা, বাহির টেংরা, হাজীনগর, আমতলা, বড়ভাঙ্গা, কোদালদোয়া, সানাড়পাড়, নিমাইকাশারি, নামা শ্যামপুর, জিয়া সরণি, জাপানি বাজার, তিতাস গ্যাস সড়ক, ছাপড়া মসজিদ, রূপসী বাংলা হাসপাতাল, শনির আখড়া, আরএস টাওয়ার সংলগ্ন এলাকা, গোবিন্দপুর, মাতুয়াইল, মৃধাবাড়ী এলাকার সব শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
কাফি
রাজধানী
৯৯৯-এ ফোনের পর ভাটারা থেকে অপহৃত ব্যক্তি উদ্ধার

জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ নম্বরে ফোন পেয়ে রাজধানী ঢাকার ভাটারা থেকে অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জের একটি পোশাক ফ্যাক্টরীর কর্মী।
রবিবার (০১ জুন) জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এর গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা (পুলিশ পরিদর্শক) আনোয়ার সাত্তারের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, শনিবার (৩১ মে) রাত ৯টায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ভুলতা থেকে রাকিব নামে এক ব্যক্তি ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে জানান, তিনি এনজেড ফেব্রিক্সে কাজ করেন। তার একজন সহকর্মী সাভার, হেমায়েতপুরে একটি ফ্যাক্টরী ভিজিটে গিয়ে কোন এক স্থান থেকে অপহরণের শিকার হন। অপহরণকারীরা ভুক্তভোগীর বাড়িতে ফোন করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে। কিছুক্ষণ আগে অপহৃত সহকর্মী তাঁকে ফোন করে বলেন, তিনি অনেক বড় বিপদে আছেন, দ্রুত মোবাইল ব্যাংকিং মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করতে বলেন। অপহৃত আরও জানান, রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোডের বিআরটিসি বাস-স্ট্যান্ডের কাছে একটি বাসায় তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে। কলার তার সহকর্মীকে দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ৯৯৯ এর কাছে অনুরোধ জানান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৯৯৯–এ কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকার ঢাকার ভাটারা থানায় বিষয়টি দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জানায়। পরবর্তীতে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ভাটারা থানা অপহৃতের অবস্থান সনাক্ত করে, কুড়িল বিশ্বরোডের একটি বাড়ি থেকে আহত অবস্থায় অপহৃত মনিরকে (৩৫) উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।
এ সংক্রান্তে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এসএম