জাতীয়
ফেব্রুয়ারিতে ৫৬৯ সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৫২৩
গত ফেব্রুয়ারি মাসে সারাদেশে ৫৬৯টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৫২৩ জন মানুষ মারা গেছেন। একইসঙ্গে আহত হয়েছেন ৭২২ জন মানুষ।
গত রোববার (১০ মার্চ) বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার স্বাক্ষরিত সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। বিআরটিএ’র বিভাগীয় অফিসের মাধ্যমে সারাদেশের সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও জানায়।
এসবের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৮০টি দুর্ঘটনায় ৯৫ জন নিহত এবং ১১৬ জন আহত হয়েছেন। চট্টগ্রাম বিভাগে ১২৬টি দুর্ঘটনায় ১১২ জন নিহত এবং ২২৩ জন আহত হয়েছেন; রাজশাহী বিভাগে ৯৪টি দুর্ঘটনায় ৯১ জন নিহত এবং ৪২ জন আহত হয়েছেন; খুলনা বিভাগে ৬৮টি দুর্ঘটনায় ৫৮ জন নিহত এবং ৬০ জন আহত হয়েছেন; বরিশাল বিভাগে ২৭টি দুর্ঘটনায় ১৮ জন নিহত এবং ৬২ জন আহত হয়েছেন; সিলেট বিভাগে ৩৬টি দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত এবং ৬৫ জন আহত হয়েছেন; রংপুর বিভাগে ৭৪টি দুর্ঘটনায় ৬২ জন নিহত এবং ৭৩ জন আহত হয়েছেন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৬৪টি দুর্ঘটনায় ৬১ জন নিহত এবং ৮১ জন আহত হয়েছেন।
ফেব্রুয়ারি মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত মোটরযানের মধ্যে মোটরকার/জিপ ২৬টি, বাস/মিনিবাস ১১৮টি, ট্রাক/কাভার্ডভ্যান ১৭০টি, পিকআপ ৪০টি, মাইক্রোবাস ১৯টি, অ্যাম্বুলেন্স ১টি, মোটরসাইকেল ২০৬টি, ভ্যান ২৩টি, ট্রাক্টর ১৯টি, ইজিবাইক ২৮টি, ব্যাটারিচালিত রিকশা ৩৬টি, অটোরিকশা ৪৬টি ও অন্যান্য যান ১৪২টিসহ সর্বমোট ৮৭৪টি।
এসবের মধ্যে মোটরকার/জিপ দুর্ঘটনায় ৭ জন, বাস/মিনিবাস দুর্ঘটনায় ৫০ জন, ট্রাক/কাভার্ডভ্যান দুর্ঘটনায় ৬১ জন, পিকাপ দুর্ঘটনায় ১৫ জন, মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় ১০ জন, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৭০ জন, ভ্যান দুর্ঘটনায় ১৪ জন, ট্রাক্টর দুর্ঘটনায় ১৩ জন, ইজিবাইক দুর্ঘটনায় ২৫ জন, ব্যাটারিচালিত রিকশা দুর্ঘটনায় ৩২ জন, অটোরিকশা দুর্ঘটনায় ৪৯ জন ও অন্যান্য যান দুর্ঘটনায় ৭৭ জনসহ সর্বমোট ৫২৩ জন নিহত হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ভোলায় আরও ১৯টি গ্যাসকূপ খনন হবে: জ্বালানি উপদেষ্টা
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ভোলায় ৫টি কূপ খনন করা হবে এবং ২০২৬ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে আরও ১৪টি গ্যাসকূপ খননসহ মোট ১৯টি কূপ খনন করা হবে। সবগুলো হবে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে। যার কাছ থেকে ভালো প্রস্তাব পাব তাকেই দেব।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) দুপুরে ভোলার ইলিশা-১ গ্যাসক্ষেত্র পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এই কথা জানান তিনি। এ সময় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান, অতিরিক্ত সচিব, বাপেক্সের পরিচালক, উপদেষ্টার একান্ত সচিব, ভোলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোলায় বাণিজ্যিক গ্যাস চালু আছে। বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগের বিষয়টি সারা দেশব্যাপী সিদ্ধান্ত হবে। কেউ যদি গ্যাস সংযোগের জন্য টাকা দিয়েও গ্যাস সংযোগ না পেয়ে থাকে, তাহলে তার টাকা ফেরত দেয়া হবে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা বলেন, আমরা বিদেশ থেকে ৬ হাজার কোটি টাকার এলএনজি আনি। পরে ভোলায় যদি আরও বড় গ্যাসক্ষেত্রের হদিস পাওয়া যায় তাহলে কিন্তু পরিস্থিতি বদলে যাবে। তাহলে আর এলএনজি আমদানির জন্য ৬ হাজার কোটি টাকা আমাদের আর লাগবে না।
ফাওজুল কবির খান বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ও বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) চেয়ারম্যানকে ভোলায় এসে দেখে যেতে বলব। এখানে যদি শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠা করা যায়, তাহলে সেটি হবে ভোলাবাসীর জন্য ভালো ব্যাপার। লোকজন চাকরি পাবে। বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ভোলায় আবিষ্কৃত গ্যাসকে কীভাবে পূর্ণ ব্যবহার করা যায় সেটি নিয়ে আমরাও কাজ করছি। ভোলায় আরও কয়েকটি গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ প্লান্ট করার বিষয়টি আমরা চিন্তা করছি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রোববার চালু হচ্ছে ঢাকা-আদ্দিস আবাবা সরাসরি ফ্লাইট
আগামী রোববার থেকে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনস ঢাকা-আদ্দিস আবাবা রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালু হচ্ছে। আফ্রিকার শীর্ষ উড়োজাহাজ সংস্থা এবং স্টার অ্যালায়েন্সের সদস্য এই এয়ারলাইনস। এরফলে বাংলাদেশ থেকে ভ্রমণ পিপাসুরা আফ্রিকা, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা এবং এর বাইরেও ১৫৫টিরও বেশি গন্তব্যে ভ্রমণের সুযোগ পাবে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স এ তথ্য জানায়।
ইথিওপিয়া আগামী ৩ নভেম্বর থেকে অত্যাধুনিক বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৯ উদ্বোধনী ফ্লাইট চালু করবে। ফ্লাইটটি সকাল ৮টা ৩০মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে এবং একই দিন সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে আবার আদ্দিস আবাবায় ফিরে যাবে।
এই রুটে নিয়মিত বিমানগুলো রোববার, মঙ্গলবার এবং বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাবে। এছাড়া অতিরিক্ত ফ্লাইট প্রতি সোমবার এবং শুক্রবার সকালে ঢাকা ছাড়বে।
ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের গ্রুপ চিফ কমার্শিয়াল অফিসার লেম্মা ইয়াদেচা ও বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের গ্রুপের সিইও মেসফিন তাস্যু বলেছেন, বাংলাদেশ একটি প্রাণবন্ত ও দ্রুত বর্ধনশীল বাজার। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের আধুনিক বহর ও ব্যতিক্রমী পরিষেবা দুই দেশের মধ্যে ভ্রমণের চাহিদা পূরণ করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ইথিওপিয়ার মধ্যে সংযোগকারী ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের নতুন পরিষেবা চালু হলে দুই দেশের মধ্যে আর্থ-সামাজিক সম্পর্ক ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে এবং বৃহত্তর অঞ্চলের সুবিধা প্রসারিত হবে।
বাংলাদেশে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের জেনারেল সেলস এজেন্ট রিদম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহাগ হোসেন বলেছেন, এটি কেবল একটি ফ্লাইট চালু নয়। এরফলে বাংলাদেশ ও বিশ্বকে আরো কাছাকাছি আনার সুযোগ তৈরি হবে। তিনি বলেন, প্রতিযোগিতামূলক ভাড়া এবং বিশাল বৈশ্বিক নেটওয়ার্কের সাথে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স বাংলাদেশি ভ্রমণকারীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠবে।
সোহাগ হোসেন জানান, নতুন এই রুটটি প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সুবিধাজনক সংযোগ প্রদান করবে এবং সাশ্রয়ী ভাড়ায় পৌঁছানোর সুযোগ তৈরি হবে।
তিনি বলেন, ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স আফ্রিকার সবচেয়ে বড় এয়ারলাইন নেটওয়ার্ক। এই রুটে অত্যাধুনিক বোয়িং৭৮৭ ড্রিমলাইনার দিয়ে সেবা পরিচালনা করবে এয়ারলাইন্সটি।
সোহাগ আরো বলেন, চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স প্রতিদিনের ফ্লাইট সংখ্যাও বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে। ঢাকার নতুন রুটটি এয়ারলাইন্সের বৃহৎ নেটওয়ার্ককে সম্প্রসারিত করবে। এরমধ্যে আফ্রিকার ৬৩টিরও বেশি গন্তব্য এবং বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৫৫টি গন্তব্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৫২ বাংলাদেশি
লেবাননে বর্তমান পরিস্থিতির কারণে দেশটি থেকে আরও ৫২ বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন। আজ শুক্রবার সৌদি এয়ারের একটি ফ্লাইটে তাদের ফিরিয়ে আনা হয়। এ নিয়ে ষষ্ঠ দফায় লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন প্রবাসীরা।
বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ২০ মিনিটে বৈরুতের রফিক হারিরি অন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে দুবাই হয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন তারা। এমিরেটস এয়ারলাইনসের ইকে ৫৮৪ ফ্লাইটটি রাত ১১টা ১০ মিনিটে তারা ঢাকার হযরত শাহাজালাল অন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করে শাহাজালাল বিমানবন্দরের প্রবাসীকল্যাণ ডেস্কের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, বৈরুত, লেবানন এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফেরত আসতে ইচ্ছুক আটকে পড়া বাংলাদেশিদের মধ্যে ৫২ জন বাংলাদেশি নাগরিককে সম্পূর্ণ সরকারি ব্যয়ে আজ বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
লেবাননে চলমান সাম্প্রতিক যুদ্ধাবস্থায় যত জন প্রবাসী বাংলাদেশি দেশে ফিরে আসতে ইচ্ছুক তাদের সবাইকে সরকার নিজ খরচে দেশে ফেরত আনবে। বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাস দেশে ফিরে আসতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তন এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বলে জানানো হয় সরকারের পক্ষ থেকে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
এক যুগ পর বাড়ল সার্কিট হাউজের ভাড়া
এক যুগ পর সারাদেশে সার্কিট হাউজের নতুন ভাড়া নির্ধারণ করেছে সরকার। গত বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বাজেট ও পরিবীক্ষণ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) লুবনা ফারজানা স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, এখন থেকে সরকারি কর্মকর্তা ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তারা ন্যূনতম ১৫০ টাকায় এক শয্যার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুম ব্যবহার করতে পারবেন, যা পূর্বে ছিল ৭০ টাকা। একইসঙ্গে দুই শয্যার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুমের নতুন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২০০ টাকা, যা আগে ছিল ১৩০ টাকা।
তবে ব্যয়বহুল শহর হিসেবে চিহ্নিত দেশের ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, রংপুর, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, কক্সবাজার ও গাজীপুর শহরে এই ভাড়ার পরিমাণ আরেকটু বেশি। এসব এলাকায় এক শয্যার রুমের নতুন ভাড়া ২০০ টাকা, যা আগে ছিল ৯০ টাকা। এ ছাড়া দুই শয্যার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুমের ভাড়া ২৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগে ছিল ১৭০ টাকা।
এই ভাড়া এক থেকে তিন দিনের অবস্থানের জন্য প্রযোজ্য হবে। চার থেকে সাত দিন বা সাত দিনের বেশি অবস্থানের ক্ষেত্রে আরও বেশি ভাড়া প্রযোজ্য হবে।
একইভাবে সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, সেক্টর, করপোরেশন এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের জন্য ভাড়াও সামান্য বেশি নির্ধারিত হয়েছে। তাদের জন্য এক শয্যার রুমের ভাড়া বর্তমানে ২০০ টাকা, যা আগে ছিল ৯০ টাকা। দুই শয্যার রুমের ভাড়া এখন ৩০০ টাকা, যা আগে ছিল ১১০ টাকা। উচ্চ খরচের এলাকাগুলোতে সার্কিট হাউজ ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই শ্রেণির কর্মকর্তাদের বাড়তি ব্যয় করতে হবে।
আর বেসরকারি ব্যক্তিদের সকল শহরের সার্কিট হাউসে এক শয্যার এসি রুমের ভাড়া দিতে হবে ১৫০০ টাকা ও দুই শয্যা বিশিষ্ট এসি রুমের ভাড়া দিতে হবে ১৮০০ টাকা।
পরিপত্রে আরও বলা হয়, এ ভাড়ার হার বা রেট অবিলম্বে কার্যকর হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের পর এই প্রথম সার্কিট হাউজের ভাড়া বৃদ্ধি করল সরকার।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, আগামীকাল (শনিবার) থেকে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের নতুন কর্মসূচি শুরু হবে। এই কর্মসূচির আওতায় প্রতি সপ্তাহে ২০০ জন শহীদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর শাহবাগে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।
সারজিস বলেন, আগামীকাল সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চারটি ধাপে মোট ২০০ জনকে সহায়তা পৌঁছে দেয়া হবে। আপাতত ঢাকা থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে। তবে বাকি বিভাগগুলোতেও এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
তিনি বলেন, আনঅফিসিয়ালি আহতদের তালিকায় রয়েছে ২৪ হাজার এবং নিহত ১৬শ’র বেশি। যা বারবার যাচাই করা হচ্ছে। আহতদের পুনর্বাসনের কাজও ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে করা হবে।
তিনি আরও বলেন, শহীদ পরিবারের মধ্যে সমস্যা না থাকলে যৌথ লগ্নি করে টাকা দেয়া হবে। যদি পরিবারের মধ্যে কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে যারা লিগ্যাল উইং রয়েছে তাদের মাধ্যমে ডিল করা হবে।
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, সহায়তার ক্ষেত্রে বড় ফান্ডগুলো চেকের মাধ্যমে ও ছোটগুলো বিকাশে দেয়া হবে। প্রাথমিকভাবে প্রতি শহীদ পরিবারকে ৫ লাখ ও আহতদের ১ লাখ করে টাকা দেয়া হবে।
এসময় সবাইকে সতর্কও করেন সারজিস। তিনি বলেন, বিভিন্ন ভুয়া নম্বর থেকে কল দেয়া হচ্ছে, যা আমাদের নয়। ১৬০০০ শুধু এই নম্বরটি থেকে শহীদ পরিবারে কল দেয়া হচ্ছে।
কাফি