সারাদেশ
চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক গ্রামে আজ থেকেই রোজা শুরু
প্রতি বছরের মতো এবারও চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবারসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক গ্রামে একদিন আগে রোজা শুরু হয়েছে।
রোববার রাতে তারাবির নামাজ ও সেহেরি খেয়ে রোজা শুরু করেছেন তারা।
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা শুরু করেছেন দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, বোয়ালখালী, আনোয়ারা, পটিয়া উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ।
এ দরবারের অনুসারীরা দীর্ঘ ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে সারা বিশ্বের মুসলমানদের একই সঙ্গে ধর্মীয় অনুশাসন পালনের ধারণা এবং আরব বিশ্বের সঙ্গে মিল রেখে এভাবে রোজা, ঈদ পালন করে আসছেন।
মির্জারখীল দরবার শরীফের অনুসারী সাতকানিয়া উপজেলার মির্জারখীল, সোনাকানিয়া, ছোটহাতিয়া, আছারতলি, সাইরতলি, গারাঙ্গিয়া, এওচিয়া, খাগরিয়া, ছদাহা, গাটিয়াডাঙ্গা এবং লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান, বড়হাতিয়া, পুটিবিলা, চরম্বা ও চুনতি, বাঁশখালী উপজেলার জালিয়াপাড়া, ছনুয়া, মক্ষিরচর, চাম্বল, শেখেরখীল, ডোংরা, তৈলারদ্বীপ ও কালিপুর পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও, বাহুলী, ভেল্লাপাড়াসহ ৫০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ রোজা শুরু করেছেন।
এ ছাড়া বোয়ালখালী, চন্দনাইশ, হাটহাজারী, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি, আলীকদম, নাইক্ষংছড়ি, কক্সবাজার, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, হাতিয়া, নোয়াখালী, চাদঁপুর, ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, সিরাজগঞ্জসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা ও ভারত, মিয়ারমার, জার্মানি, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, ইংল্যান্ডসহ বিশ্বের বিভিন্নস্থানে যেখানে মির্জাখীল দরবারের অনুসারী রয়েছেন তারাও রোববার থেকে প্রথম রোজা পালন শুরু করেছেন।
মির্জারখীল দরবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় আড়াই’শ বছর আগে সাতকানিয়া উপজেলার মির্জারখীল গ্রামে হযরত মাওলানা মোখলেছুর রহমান জাহাঁগীরি (রহ.) হানাফি মাজহাবের ফতোয়া অনুযায়ী পৃথিবীর যেকোনো দেশে চাঁদ দেখা গেলে রোজা, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহাসহ সব ধর্মীয় উৎসব পালন করার ফতোয়া দিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় মুরিদ ও অনুসারীরা একই নিয়মে সব ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছেন।
মির্জাখীল দরবারের বর্তমান পীরের সেজ ভাই জালালুল হাই বলেন, আমরা যেহেতু সৌদি আরবের দিনক্ষণ অনুসরণ করি, সে অনুযায়ী রোববার রাতে আমরা সেহেরি খেয়ে রোজা রাখা শুরু করব। সোমবার থেকে আমাদের প্রথম রোজা শুরু হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা প্রায় ১৬ কোটি টাকার ভারতীয় শাড়ি জব্দ
ভারত থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা প্রায় ১৬ কোটি টাকা মূল্যের শাড়ি, চাদর, থ্রি পিস এবং লেহেঙ্গার কাপড় জব্দ করেছে নারায়ণগঞ্জস্থ কোস্টগার্ড।
আজ শনিবার বিকেলে কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় শুল্ক ফাঁকি দেওয়া অবৈধ ভারতীয় পণ্যের একটি চালান নারায়ণগঞ্জ হয়ে ঢাকায় প্রবেশ করবে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ২২ নভেম্বর রাতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড স্টেশন পাগলা কর্তৃক নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা রুটে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন ফতুল্লা থানাধীন শিবু মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় একটি সন্দেহজনক ট্রাককে থামার সংকেত দিলে তা সংকেত অমান্য করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে কোস্ট গার্ডের অভিযানিক দল ট্রাকটিকে ধাওয়া করে ড্রাইভারসহ ট্রাকটি আটক করে।
ট্রাকটি তল্লাশি করে ভারতীয় ৫ হাজার ৩৩৮ টি শাড়ি, ১ হাজার ২৪৫ টি চাদর, ১৮৬ সেট থ্রি পিস ও ২৯ পিস লেহেঙ্গাসহ ট্রাকটি জব্দ করা হয়।
জব্দ মালামালের আনুমানিক বাজার মূল্য ১৬ কোটি ০৪ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। জব্দ করা মালামাল, ট্রাক ও আটক ব্যক্তির বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
আগামীকাল গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
দেশের বিভিন্ন এলাকায় রোববার (২৪ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
এতে বলা হয়েছে, গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি স্থানান্তর বা মেরামত কাজের জন্য সিদ্ধিরগঞ্জ, গোদনাইল, লাকিবাজার, বৌবাজার, জালকুড়ি, রঘুনাথপুর, মাহমুদপুর তাইজউদ্দিমার্কেট, সোনামিয়া মার্কেট (আদমজী), দেলপাড়া, নারায়ণগঞ্জ শহর, প্রাইম টেক্সটাইল এলাকা, দক্ষিণ সস্তাপুর, নিশ্চিন্তপুর ঋষিপাড়া, পাগলা শাহি মহল্লা, নয়ামাটি, পিলকুনি মোড় ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বিদ্যমান সব শ্রেণির গ্রাহকের রোববার ১০ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
এছাড়া আশপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে। গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট, ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
গাজীপুরের শ্রীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তিন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয়খালী গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃত তিন শিক্ষার্থী হলেন- মোজাম্মেল হোসেন নাঈম (২৪), মোস্তাকিম রহমান মাহিন (২২) ও জোবায়ের আলম সাকিব (২২)।
জানা গেছে, শনিবার সকালে গাজীপুর মহানগরের বোর্ড বাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রায় ৪৬০ জন শিক্ষার্থী বিআরটিসির ৬টি ডাবল ডেকার বাস ও ৩টি মাইক্রোবাসে করে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উত্তর পেলাইদ গ্রামের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামীণ আঞ্চলিক সড়ক ধরে রিসোর্টের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় উত্তর পেলাইদ গ্রামের উদয়খালী বাজারে পৌঁছালে বিআরটিসির ডাবল ডেকার একটি বাস পল্লী বিদ্যুতের তারের স্পর্শে আসে। এ সময় বাসটি বিদ্যুতায়িত হলে কয়েকজন শিক্ষার্থী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক জাকিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তিনজনকেই মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। আহত সংখ্যা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা জরুরি বিভাগে যাচ্ছি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
চাঁদপুরে বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, চিকিৎসাধীন ৩৬ জন
চাঁদপুরে নতুন করে বেড়েছে ডেঙ্গু রোগের প্রভাব। গত অক্টোবরের চেয়ে নভেম্বর মাসে হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ১৭ জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ১৫ জনসহ মোট ৩৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জেলা শহরের পুরানবাজার এলাকার ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন বেশি। অনেকেই ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে নিজের এলাকায় এসে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুর সদর হাসপাতালে অক্টোবর মাসে ১৩০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নেন। নভেম্বরে ১৯ দিনেই চিকিৎসা নিয়েছেন ৮৭ জন। নারীর চেয়ে পুরুষেরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন এই রোগে।
সিভিল সার্জনের পরিসংখ্যান বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে, অক্টোবরে ৪০১ জন চিকিৎসা নিলেও নভেম্বরে এ পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছে ২৫৩ জন। ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ইউনিট খোলা হয়েছে। পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। তবে মানুষকে সচেতন ও আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত শারমিন জানান, আমিসহ আমার শ্বশুর-শাশুড়ি ও ননদ সবাই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। আমরা সবাই কেরানীগঞ্জে আক্রান্ত হয়েছি। সেখান থেকে চিকিৎসা জন্য বাড়ি চলে আসি, তারপর চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হই।
চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার এলাকার সোহেল বেপারী জানান, আমার স্ত্রী ও বোনকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছি। পুরানবাজার এলাকা অধিকাংশ লোকই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। চাঁদপুর পৌরসভা ঠিকভাবে ওষুধ ছিটায় না। তারা ঠিকভাবে কাজ করলে ডেঙ্গুর উপদ্রব কিছুটা কমে আসতো বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
গাজীপুরে আজকেও শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে আজও বিক্ষোভ করেছেন ডরিন ফ্যাশন লিমিটেড ও বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকেরা। অবরোধের কারণে ওই সড়কের উভয় দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও চালকেরা।
অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো আজ মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন। সকালে কারখানার সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে চন্দ্রা-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় অবস্থান নেন তারা। এ সময় সড়ক অবরোধ করলে উভয় দিকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
বেক্সিমকো কারখানার শ্রমিকরা বলেন, ‘গত ৫ আগস্টের পর থেকে আমরা সঠিক সময়ে বেতন পাচ্ছি না। এখন পর্যন্ত অক্টোবরের বেতন পাইনি। বেতন না পেয়ে সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। বেতন না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলতে থাকবে। বেতন পেলেই আমরা কাজে ফিরব।’
অন্যদিকে বেক্সিমকো কারখানার শ্রমিকদের অসন্তোষের কারণে আশপাশের বেশ কয়েকটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ডরিন ফ্যাশন লিমিটেডের কারখানাও আছে। গতকাল সোমবার থেকে ডরিন ফ্যাশন কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করছেন। রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ করে ১১টার দিকে শ্রমিকেরা বাড়ি ফিরে যান। আজ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে আবার শ্রমিকেরা জিরানী এলাকায় সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করেন।
ডরিন ফ্যাশন কারখানার শ্রমিকরা বলেন, ‘১ নভেম্বর থেকে কর্তৃপক্ষ কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখে। গত রোববার খুলে দেয়া হলেও দুপুরের পর আবার ছুটি দিয়ে দেয়া হয়। গতকাল শ্রমিকেরা সকালে কাজে যোগদান করতে গিয়ে দেখেন, কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের কারখানায় কোনো সমস্যা হয়নি। তারপরও কেন কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে? তাই কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করছেন।’
শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বেক্সিমকো পার্কে স্টাফসহ ৪১ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। প্রতি মাসে তাদের বেতনের পরিমাণ হয় ৮০ থেকে ৮২ কোটি টাকা। প্রতিমাসের ৭ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে তাদের বেতন দেয়া হতো। কিন্তু মালিকদের কেউ না থাকায় এখন তারা বেতন ঠিকমতো পাচ্ছেন না। যার কারণে তারা গত বৃহস্পতিবার থেকে আন্দোলন শুরু করে। বেক্সিমকো কারখানার এই সমস্যার কারণে গতকাল সংঘর্ষ হয় আরেও কয়েকটি কারখানা ও এলাকাবাসীর মধ্যে। উত্তেজিত হয়ে অ্যামাজন নামক একটি গেঞ্জি তৈরির কারখানায় আগুন দেয় শ্রমিকরা। ওই ঘটনার পর থেকে আশপাশের বেশ কিছু কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
কারখানার শ্রমিক ও শিল্প পুলিশ জানায়, গাজীপুর মহানগরের সারোবো এলাকায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে বেশ কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গত কয়েক মাস ধরে শ্রমিকরা প্রতি মাসেরই আন্দোলন করে বেতন আদায় করছে। চলতি মাসেও আশপাশের প্রায় সব কারখানার বেতন ভাতা পরিশোধ করা হলেও চলতি মাসের ১৬ তারিখ হয়ে গেলেও বেক্সিমকোর শ্রমিকরা বেতন পায়নি। যার কারণে বেতনের দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছেন।
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, গত কয়েক দিনের মতো আজও শ্রমিকেরা সকাল থেকে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে। আশপাশের এলাকায় থানা-পুলিশ ও শিল্প পুলিশ মোতায়েন আছে।
কাফি