আন্তর্জাতিক
যেসব দেশে চাঁদ দেখা যায়নি আজ

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদিতে ১৪৪৫ হিজরি সনের রমজানের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে কাল সোমবার থেকে শুরু হবে পবিত্র এ মাস। রমজান মাস শুরুর ঘোষণা দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার ও আরব আমিরাতও।
সৌদি ছাড়াও বিশ্বের আরও বহু দেশ আজ রোববার (১০ মার্চ) চাঁদ দেখার প্রস্তুতি নিয়েছিল। তবে অনেক দেশে চাঁদ দেখা যায়নি। এরমধ্যে অন্যতম হলো— ওমান, অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনাই, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ফিলিপাইন।
সবগুলো দেশই জানিয়েছে, তাদের আকাশে রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামী মঙ্গলবার ১২ মার্চ প্রথম রোজা হবে।
জ্যোতিবির্দরাও জানিয়েছিলেন, ১০ মার্চ উত্তর আমেরিকার কয়েকটি অঞ্চল বাদে বিশ্বের আর কোথাও চাঁদ দেখা যাবে না। তাদের পূর্ব ধারণা অনুযায়ী, বেশ কয়েকটি দেশ জানায় চাঁদ উঠেনি। কিন্তু তখন সবাই অপেক্ষা করতে থাকেন সৌদি আরবের ঘোষণার জন্য। পরবর্তীতে দেশটি চাঁদ ওঠার তথ্য দেয়।
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়া মঙ্গলবার থেকে রোজা শুরুর ঘোষণা দেয়। তবে জ্যোতির্বিদ্যার হিসাব-নিকাশ অনুযায়ী রমজানের তারিখ নির্ধারণ করা উত্তর আমেরিকার দেশগুলো সোমবার থেকেই রোজা রাখার কথা জানায়।
আজ চাঁদ ওঠার মাধ্যমে শাবান ১৪৪৫ হিজরি সনের শাবান মাসের সমাপ্তি হয়েছে। আর শুরু হয়েছে আরবি বছরের নবম মাস রমজানের। যেসব দেশে চাঁদ দেখা গেছে সেসব দেশের মুসল্লিরা এক মাসের সিয়াম সাধনা শুরু করবেন।
কাফি

আন্তর্জাতিক
এবার কাতারের মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

এবার মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞলের দেশ কাতারের মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিতে ৬টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরানের সামরিক বাহিনী।
কাতারের রাজধানী দোহা থেকে অদূরে আল-উদেইদ এলাকায় মার্কিন সামরিক ঘাঁটিটি অবস্থিত। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জেরে ঘাঁটির ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখনও কোনো তথ্য আসেনি বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
তবে স্যাটেলাইট চিত্র অনুযায়ী, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এই ঘাঁটি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অনেক বিমান সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে কেন্দ্রীয় সামরিক কমান্ড ইউএস সেন্টিনোমের সদর দপ্তর অবস্থিত আল-উবেইদ ঘাঁটিতে। ব্রিটেনের সামরিক বাহিনীও তাদের যুদ্ধবিমান ও সরঞ্জাম রাখার জন্য এই ঘাঁটিটি ব্যবহার করে।
মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার অল্প সময়ের মধ্যেই নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে কাতার।
আন্তর্জাতিক
অনির্দিষ্টকালের জন্য কাতারের আকাশপথ বন্ধ

মধ্যপ্রাচ্যে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে আকাশপথ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। দেশটির সিভিল এভিয়েশনের এক সার্কুলারে আকাশপথ বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত, ঢাকা থেকে কাতারের দোহা রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এবং কাতার এয়ারওয়েজ নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করে।
কাতার সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কাতার রাষ্ট্রের নাগরিক, অধিবাসী এবং আগত অতিথিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সাময়িকভাবে দেশের আকাশসীমায় বিমান চলাচল স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে। এটি একটি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ, যা অঞ্চলের চলমান পরিস্থিতির ভিত্তিতে গ্রহণ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, সরকারি কর্তৃপক্ষসমূহ পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় মূল্যায়ন করছে। পরিস্থিতির অগ্রগতি অনুযায়ী জনগণকে সরকারি চ্যানেলের মাধ্যমে নিয়মিত তথ্য প্রদান করা হবে।
মন্ত্রণালয় আরও একবার দৃঢ়ভাবে উল্লেখ করেছে যে, কাতার রাষ্ট্রে অবস্থানরত সকল ব্যক্তির নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায়, এবং এই ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সকল প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে কাতার সরকার পিছপা হবে না। কাতার সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কাতার রাষ্ট্রের নাগরিক, অধিবাসী এবং আগত অতিথিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সাময়িকভাবে দেশের আকাশসীমায় বিমান চলাচল স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে। এটি একটি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ, যা অঞ্চলের চলমান পরিস্থিতির ভিত্তিতে গ্রহণ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, সরকারি কর্তৃপক্ষসমূহ পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় মূল্যায়ন করছে। পরিস্থিতির অগ্রগতি অনুযায়ী জনগণকে সরকারি চ্যানেলের মাধ্যমে নিয়মিত তথ্য প্রদান করা হবে।
মন্ত্রণালয় আরও একবার দৃঢ়ভাবে উল্লেখ করেছে যে, কাতার রাষ্ট্রে অবস্থানরত সকল ব্যক্তির নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায়, এবং এই ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সকল প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে কাতার সরকার পিছপা হবে না।
কাফি
আন্তর্জাতিক
ইরানের ৩ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার দাবি ট্রাম্পের

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় সফল হামলা সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব স্থাপনার মধ্যে রয়েছে ফরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান।
ট্রাম্প নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা- ফরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে খুবই সফলভাবে হামলা সম্পন্ন করেছি। সব বিমান এখন ইরানের আকাশসীমার বাইরে।’
ট্রাম্প একটি ওপেন-সোর্স ইন্টেলিজেন্স অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন, যেখানে বলা হয়েছে যে, শক্তিশালীভাবে সুরক্ষিত ফরদো পারমাণবিক স্থাপনা নাই হয়ে গেছে।
এদিকে এসব পারমাণবিক স্থাপনায় কোনো তেজস্ক্রিয় পদার্থ নেই বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আইআরএনএ।
দেশটির সরকারি সম্প্রচার সংস্থার একজন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে আইআরএনএ জানিয়েছে, ‘এই তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় এমন কোনো পদার্থ নেই যা তেজস্ক্রিয়তা সৃষ্টি করে।’
এই মন্তব্যটি ইঙ্গিত দেয় যে ইরানি কর্তৃপক্ষ বোমা হামলার আগে স্থাপনাগুলো থেকে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম সরিয়ে ফেলে থাকতে পারে।
আন্তর্জাতিক
খামেনি ক্ষমতাচ্যুত হলে ইরানে কী হবে

ইসরায়েল সাম্প্রতিক হামলাগুলোর মাধ্যমে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে ক্ষমতাচ্যুত করার ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবে বিশ্লেষকদের মতে, ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে চলে আসা এই ধর্মীয় নেতৃত্ব যদি সরে যায়, তাহলে নতুন যে নেতৃত্ব আসবে, তারা যে কম কট্টর হবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। বরং এতে আরও বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে।
ইসরায়েল এখন শুধু ইরানের পারমাণবিক বা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনায় আঘাত করছে না, বরং দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা আইআরআইবিতেও হামলা চালিয়েছে। এতে অনেকে ধারণা করছেন, ইসরায়েলের লক্ষ্য শুধু ইরানের সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করা নয়, বরং দেশটির ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা খামেনিকেও সরিয়ে দেওয়া।
কিন্তু তিন দশকের বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা এই নেতাকে যদি সত্যিই সরিয়ে দেওয়া হয়, এরপর কী হবে—এই প্রশ্নটিই এখন সবচেয়ে বড়।
২০০৩ সালে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আগ্রাসন এবং ২০১১ সালে লিবিয়ায় ন্যাটো অভিযানের পরের পরিস্থিতি ইউরোপীয় নেতাদের আজও আতঙ্কিত করে। উভয় দেশ থেকে একনায়ক সরানো গেলেও দেশ দুটি বছরের পর বছর ধরে রক্তাক্ত সহিংসতায় জর্জরিত ছিল। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ জি৭ সম্মেলনে সম্প্রতি বলেছেন, “আজকের দিনে সেনা অভিযানের মাধ্যমে ইরানের শাসন পরিবর্তন করতে চাওয়া সবচেয়ে বড় ভুল। কারণ, এতে ভয়াবহ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।”
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, যদি খামেনি ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের অপসারণ করা হয়, তবে যে শূন্যতা সৃষ্টি হবে, তা হয়তো ভরাট হবে ইরানের বিপ্লবী গার্ড (আইআরজিসি) বা সেনাবাহিনীর কট্টর অংশের দ্বারা। থিংকট্যাংক কার্নেগি এনডাওমেন্টের গবেষক নিকোল গ্রাজেউস্কি বলেন, “ইসরায়েলের হামলা শুধুই পারমাণবিক কর্মসূচির নিষিদ্ধকরণ নয়, বরং তারা শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন চাইছে এবং তা স্পষ্ট।” তিনি আরও বলেন, “যদি শাসনব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, তাহলে এক উদার ও গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের আশা করা যেতে পারে। তবে বিপ্লবী গার্ড বা আইআরজিসির মতো সংগঠিত শক্তির উত্থানও হতে পারে।”
ইরানের বিরোধী দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত মুখ হলেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী রেজা পাহলভি, যিনি ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির পুত্র। রেজা পাহলভি ইসরায়েলের সঙ্গে তার পিতার সময়কার উষ্ণ সম্পর্ক ফিরিয়ে আনার পক্ষে এবং এই নতুন সম্পর্ককে ‘সাইরাস চুক্তি’ নামে অভিহিত করার প্রস্তাব করেছেন। তবে রেজা পাহলভি ইরান ও প্রবাসীদের মাঝে সর্বজনগ্রাহ্য নন। তার ইসরায়েলপ্রীতি ও জাতীয়তাবাদ বিরোধীদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করেছে, বিশেষ করে ইসরায়েলি বিমান হামলার নিন্দা না করায়।
আরেকটি সংগঠিত বিরোধী দল হচ্ছে পিপলস মুজাহিদিন অব ইরান (এমইকে)। এই সংগঠনের নেত্রী মরিয়ম রাজাভি ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বলেছেন, “ইরানের জনগণ এই সরকারের পতন চায়।” তবে এমইকের অতীতে ইরাক-ইরান যুদ্ধে সাদ্দাম হোসেনের পাশে থাকার কারণে অনেক ইরানির মধ্যেই এদের প্রতি ঘৃণা রয়েছে।
অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক থমাস জুনো বলেন, “ইরানে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের বিকল্প হিসেবে সংগঠিত, গণতান্ত্রিক শক্তির অভাব রয়েছে। সবচেয়ে ভয়ংকর বিকল্প হতে পারে বিপ্লবী গার্ডের সেনা অভ্যুত্থান কিংবা ধর্মতন্ত্রের জায়গায় সামরিক একনায়কতন্ত্রের সূচনা।”
বিশ্লেষকেরা সতর্ক করেছেন যে, ইরানের জটিল জাতিগত গঠনের দিকটিও ভবিষ্যতের অস্থিরতার কারণ হতে পারে। দেশটিতে পার্সিদের পাশাপাশি রয়েছে বড় সংখ্যায় কুর্দি, আরব, বালুচ ও তুর্কি সংখ্যালঘু। গবেষক নিকোল গ্রাজেউস্কি বলেন, “বিদেশি শত্রুরা ইরানের এই জাতিগত বিভাজনকে কাজে লাগাতে পারে।”
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংকট্যাংক সুফান সেন্টার জানিয়েছে, ইরানি শাসনব্যবস্থার টিকে থাকা এখন অনেক দেশের দৃষ্টিতে এক ‘কৌশলগত ব্যর্থতা’। তারা সতর্ক করে বলেছেন, পোস্ট-রেজিম চেঞ্জ পরিস্থিতির কারণে ইরান ‘ইরাক ২.০’ হয়ে উঠতে পারে, যার প্রভাব শুধু এই অঞ্চলেই নয়, গোটা বিশ্বেই পড়বে।
ইরানে খামেনি ও ইসলামি প্রজাতন্ত্রের পতনের সম্ভাবনা ঘিরে অনেক প্রশ্ন সামনে এসেছে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, খামেনির পতন হলে ইরানে কী ধরনের নেতৃত্ব আসবে? দেশটি কি আরও কট্টর সামরিক শাসনে ঢুকে পড়বে, নাকি ভেঙে পড়বে গোষ্ঠীগত সহিংসতায়? এই প্রশ্নগুলোর কোনো নিশ্চিত উত্তর নেই। তবে ইতিহাসের অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়, ‘শাসন পরিবর্তন’ যতটা আকর্ষণীয় ধারণা মনে হয়, বাস্তবে তা ততটাই বিপজ্জনক এবং অনিশ্চিত পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।
আন্তর্জাতিক
মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে উদ্বেগে যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারে পতন

ইরান ও ইসরায়েলের চলমান সংঘাতের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র-চীন প্রযুক্তি যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক পুঁজিবাজারে বড় ধরনের পতন দেখা গেছে। বিশেষ করে সেমিকন্ডাক্টর বা চিপ শিল্পের শেয়ারে ব্যাপক দরপতন হয়েছে, যা মার্কিন বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। শনিবার (২১ জুন) ফ্রান্স ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাজার সূচকগুলোর মধ্যে ডাউ জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ সামান্য ০.১ শতাংশ বাড়লেও, প্রধান সূচক এসঅ্যান্ডপি ৫০০ ০.২ শতাংশ কমে ৫ হাজার ৯৬৭ পয়েন্টে নেমে এসেছে। প্রযুক্তি খাতের সূচক নাসডাক কম্পোজিট ০.৫ শতাংশ কমে ১৯ হাজার ৪৪৭ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে। বিশেষভাবে উল্লেখ করার মতো বিষয় হলো, সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানিগুলোর শেয়ারে ব্যাপক বিক্রি দেখা গেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চীনে প্রযুক্তি সরবরাহে শর্তাবলী কঠোর করার সম্ভাবনা এবং ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের তীব্রতায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। বাজারে ‘ডি-রিস্কিং’ অর্থাৎ ঝুঁকি কমানোর প্রবণতা দেখা দিয়েছে, যেখানে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ সম্পদে বিনিয়োগ করতে শেয়ার বিক্রি করছেন।
৫০ পার্ক ইনভেস্টমেন্টসের বিশেষজ্ঞ অ্যাডাম সারহান বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ অব্যাহত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হস্তক্ষেপের আশঙ্কায় বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় বিনিয়োগকারীরা নিরাপত্তাহীনতায় বিক্রি করছে।”
মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার অপরিবর্তিত রাখলেও, শুল্ক নীতির কারণে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির আশঙ্কা কমাতে ব্যাংকগুলো সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। কোম্পানি পর্যায়ে, যদিও ক্রোগার ও কারম্যাক্সের মতো কিছু কোম্পানির শেয়ার উন্নতি করেছে, তবুও সামগ্রিক বাজার পরিস্থিতি নেতিবাচক থাকায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মনোবল কমেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের অচলাবস্থার কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতির ওপর চাপ বাড়তে পারে, যা পুঁজিবাজারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে থাকবে।