আন্তর্জাতিক
ভারতে জ্বালানি পণ্যের ব্যবহার বেড়েছে ৫.৭ শতাংশ
অর্থনীতি গতিশীল হয়ে ওঠায় ভারতে বাড়ছে সব ধরনের জ্বালানি পণ্যের চাহিদা। ফেব্রুয়ারিতে সেখানে এসব পণ্যের ব্যবহার গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। দেশটির পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
ভারত বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিকারক। সেখানে গত মাসে প্রতিদিন প্রায় ৫০ লাখ ব্যারেল করে জ্বালানি পণ্য ব্যবহার হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের পেট্রোলিয়াম প্ল্যানিং অ্যান্ড অ্যানালাইসিস সেল এক প্রতিবেদনে এমনটা জানায়। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, এক বছরের ব্যবধানে জ্বালানি পণ্যের ব্যবহার ৫ দশমিক ৭ শতাংশ এবং এক মাসের ব্যবধানে ৫ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে।
ভারতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত জ্বালানি পণ্য ডিজেল। গত মাসে স্থানীয় বাজারে এটির বিক্রি জানুয়ারি ও আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে।
বাজারসংশ্লিষ্টরা জানান, শিল্প-কারখানার কার্যক্রম চাঙ্গা হয়ে ওঠার পাশাপাশি পরিবহন খাতে ঊর্ধ্বমুখী চাহিদা ব্যবহার বৃদ্ধিতে প্রধান প্রভাবকের ভূমিকা পালন করেছে।
চলতি বছরের শেষ দিকে ভারতে ডিজেলের ব্যবহার বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় উঠতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাজার পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কেপলারের অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের শীর্ষ বাজার বিশ্লেষক ভিক্টোর কাটোনা বলেন, আগামী জুনে জ্বালানি পণ্যটির চাহিদা দৈনিক ২০ লাখ ব্যারেল স্পর্শ করতে পারে, যা সর্বকালের সর্বোচ্চ।
চলতি বছরের শুরুর দিকে ভারতের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয় জানায়, এ বছর জ্বালানি পণ্যের চাহিদা অব্যাহত বাড়বে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে চাহিদা আগের বছরের তুলনায় ২ দশমিক ৭ শতাংশ বাড়ার প্রাক্কলন করেছে মন্ত্রণালয়।
সরকারি তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছর ভারতে গ্যাসোলিনের চাহিদা ৫ দশমিক ৪ ও ডিজেলের চাহিদা ২ দশমিক ৭ শতাংশ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশ্লেষক ও পূর্বাভাস দাতাদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, চলতি দশক শেষ হওয়ার আগেই জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা প্রবৃদ্ধিতে চীনকে ছাড়িয়ে সর্ববৃহৎ প্রভাবক হয়ে উঠবে ভারত।
ভারতের অর্থনীতি গত বছর থেকেই খুব দ্রুতগতির প্রবৃদ্ধি দেখছে। বিপরীতে চীনসহ অন্য বড় অর্থনীতিগুলোয় প্রবৃদ্ধির গতি ধীর। ফলে ভারতের সংশ্লিষ্ট সব খাতে পাল্লা দিয়ে জ্বালানি পণ্যের চাহিদা বাড়ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারতে পাঁচ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন মূল্যস্ফীতি
চলতি বছরের আগস্টে ভারতের মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৬৫ শতাংশে, যা জুলাইয়ের ৩ দশমিক ৬ শতাংশের চেয়ে সামান্য বেশি। দেশটির সরকারি পরিসংখ্যানে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। খবর দ্য ইকোনমিক টাইমস।
ভারতের এই খুচরা মূল্যস্ফীতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লক্ষ্যমাত্রা ২ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যেই রয়েছে। তাছাড়া এটি আদর্শমাত্রা ৪ শতাংশের নিচে।
তাছাড়া জুলাইতে দেশটির ইন্ডাস্ট্রিয়াল উৎপাদন প্রবৃদ্ধির হার পৌঁছেছে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ, যা জুনের রেকর্ড ৪ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে সামান্য বেশি।
ভারতের পরিসংখ্যান মন্ত্রণালেয়র তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরের মধ্যে এটি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন মূল্যস্ফীতি। দেশটিতে গ্রাম ও শহরের মূল্যম্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ১৬ শতাংশ ও ৩ দশমিক ১৪ শতাংশ যথাক্রমে।
আগস্টে দেশটির খাদ্য মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশে, যা ২০২৩ সালের জুনের পর দ্বিতীয় সর্বনিম্ন।
চলতি বছরের আগস্টে জার্মানির মূল্যস্ফীতি কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ইউরোপের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার কমানোর পদক্ষেপ সহজ হবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমার নেপথ্যে কারণ কী
বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দামে রেকর্ড পতন হয়েছে। ২০২১ সালের পর চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে আবার আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৭০ ডলারের নিচে নেমেছে। অনেকের আশঙ্কা, তেলের দাম ৬০ ডলারে নেমে যেতে পারে।
আজ বুধবার সকালে বিশ্ববাজারে ডব্লিউটিআই ক্রুড তেলের দাম ছিল প্রতি ব্যারেল ৬৭ দশমিক ৬৮ ডলার। ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দামও কমেছে, যদিও তা এখনো ৭০ ডলারের নিচে নামেনি। প্রতিবেদন লেখার সময় এই তেলের দাম ছিল প্রতি ব্যারেল ৭১ দশমিক ০৫ ডলার। অয়েল প্রাইস ডটকম ও রয়টার্স সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
গত এপ্রিল মাসেও বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল প্রতি ব্যারেল ৯০ ডলার। মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার জেরে তেলের দাম বাড়তে শুরু করে। অনেকেই তখন ধারণা করেছিলেন, তেলের দাম আবারও প্রতি ব্যারেল ১০০ ডলারে চাড়িয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবে ঘটল তার উল্টো ঘটনা, দাম কমে ৭০ ডলারের নিচে নেমে এল।
বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, চাহিদা কমে যাওয়ার ফলে দাম কমছে। যতই সরবরাহ নিয়ে শঙ্কা থাকুক, দিন শেষে বাজারে পণ্যের দাম নির্ধারণে সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলে চাহিদা-জোগানের ভারসাম্য।
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি তেল আমদানি করে চীন। তাদের চাহিদার ওপর বিশ্ববাজারে তেলের দাম অনেকটা নির্ভর করে। কিন্তু সেই চীনের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো নয়। সেখানে প্রবৃদ্ধির গতি কমে যাওয়ায় তেলের বাজারে মন্দাভাব তৈরি হয়েছে। বছরের প্রথম ভাগে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চীনের তেল আমদানি কমেছে। চাহিদা কম থাকায় তেল খুব একটা মজুত করছে না চীন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তেলের দাম কমার এটাই মূল কারণ।
কোভিড মহামারির সময় আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের চাহিদা শূন্যের কোটায় নেমে এসেছিল। তখন আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ২০ ডলারে নেমে এসেছিল। এরপর তেলের দাম বেড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। এরপর ২০২২ সালের অক্টোবর মাসেই তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৮০ ডলারে নেমে আসে। তার পর থেকে তেলের দাম এর আশপাশেই ছিল। কিন্তু চলতি মাসে দাম আরও কমে গিয়ে ৭০ ডলারের নিচে নেমে গেল।
তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেকের আশঙ্কা, ২০২৪-২৫ সালে তেলের চাহিদা আরও কমতে পারে। ওপেকের তথ্য বলছে, এখন দৈনিক চাহিদা ১৭ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেল হলেও চাহিদা কমে ১৭ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেলে নেমে আসতে পারে।
অ্যাঙ্গোলা, আলজেরিয়া, ইরাক, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, নাইজেরিয়া, ভেনেজুয়েলা, লিবিয়া, সৌদি আরব, গ্যাবন, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি—এই ১২ দেশ নিয়ে গঠিত জোট ওপেকের ওপর মূলত নির্ভর করে বিশ্ববাজারে তেলের দাম কতটা বাড়বে বা কমবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
চীনে আন্তর্জাতিক মিডিয়া ট্যুরে বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ
চীনে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে সাত দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক মিডিয়া ট্যুর অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সরকারের আমন্ত্রণে এতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরাও অংশ নেন।
গত ০৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ সেপ্টেম্বর ট্যুরটি গুয়াংশি ঝুয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের নাননিং শহর এবং চংছিং মিউনিসিপ্যালের বিভিন্ন জেলাগুলোতে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে গুয়াংশি ঝুয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল এবং চংছিং মিউনিসিপ্যাল পার্টি কমিটির প্রচার বিভাগ। আয়োজনে যৌথভাবে সহায়তা করে চীনের মর্যাদাপূর্ণ সংবাদমাধ্যম চায়না নিউজ সার্ভিস এর গুয়াংশি এবং চংছিং শাখা।
এই সফরের ফলে, পরিদর্শনকারী দলটি গুয়াংশি এবং চংছিং এর উচ্চমানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, শিল্প ও অবকাঠামো উন্নয়ন, কৃষি এবং পরিবেশগত অর্জন সম্পর্কে জানতে পারে।
সাত দিনব্যাপী বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করার জন্য পরিদর্শনকারী দলের সদস্যরা আধুনিক উৎপাদন উদ্যোগ, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জাদুঘর, বন্দর এবং বড় প্রকল্পগুলোর নির্মাণ স্থান, তথ্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্র, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক এবং আন্তর্জাতিক লজিস্টিক হাব, রেলওয়ে লজিস্টিক সেন্টার, স্থল-সমুদ্র করিডোর এর আন্তর্জাতিক কনজাম্পশন সেন্টার, কৃষি শিল্পের স্থান এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কেন্দ্রসহ অন্যান্য স্থান পরিদর্শন করে।
বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, নাইজেরিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া, লাওজ, এবং থাইল্যান্ড সহ ১০টি দেশ ও অঞ্চলের ৫০ জন বিদেশি মূলধারার মিডিয়া সাংবাদিক, বিশেষজ্ঞ ও পণ্ডিত ব্যক্তি, এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের একটি দল এই ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
পাঠাও প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম হত্যাকারীর ৪০ বছরের কারাদণ্ড
প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ফাহিম সালেহকে হত্যার অভিযোগে তার ব্যক্তিগত সহকারী টাইরেস হাসপিলকে ৪০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আদালত। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ম্যানহাটনের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
ফাহিম সালেহ বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং অ্যাপ ‘পাঠাও’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ও নাইজেরিয়াভিত্তিক মোটরবাইক স্টার্টআপ ‘গোকাদা’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন। ২০২০ সালের জুলাইয়ে ম্যানহাটনের অ্যাপার্টমেন্টে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হত্যার অভিযোগের পাশাপাশি, ফাহিম সালেহ’র কাছ থেকে চার লাখ ডলার চুরি এবং অন্যান্য অভিযোগে ২৫ বছর বয়সী টাইরেস হাসপিলকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
প্রসিকিউটররা জানান, হাসপিল ফাহিম সালেহ’র কাছ থেকে নগদ অর্থ চুরি করছিলেন দীর্ঘদিন যাবৎ। বিষয়টি ফাহিম বুঝতে পারলে হাসপিলকে মামলা থেকে বাঁচাতে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য দুই বছর সময় দেন। কিন্তু হাসপিল তখনও ফাহিমের কোম্পানি থেকে টাকা চুরি করে যাচ্ছিলেন। বিষয়টি বস ফাহিম জেনে যেতে পারে, এমন ভয় থেকে তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৩ জুলাই ফাহিম সালেহকে হত্যা করেন টাইরেস হাসপিল। পরের দিন একটি বৈদ্যুতিক করাত দিয়ে ফাহিমের শরীর টুকরো টুকরো করার জন্য অ্যাপার্টমেন্টে ফিরে যান। মরদেহ কাটার এক পর্যায়ে করাতের ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে যায়। পরে হাসপিল চার্জার কিনতে বাইরে যান। এর মধ্যে ফাহিমের চাচাতো ভাই অ্যাপার্টমেন্টে এসে তার ছিন্নভিন্ন মরদেহ দেখতে পান। এ ঘটনার কয়েকদিন পর পুলিশ হাসপিলকে গ্রেপ্তার করে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভিয়েতনামে বন্যা-ভূমিধস, নিহত বেড়ে ১৯৭
ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলে সুপার টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯৭ জনে। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দেশটির সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর এএফপির।
তবে এখনও প্রায় ১২৮ জন নিখোঁজ রয়েছে এবং আড়াই লাখ হেক্টরেরও বেশি জমির ফসল ধ্বংস হয়ে গেছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে কর্মরত দুর্যোগ কর্মকর্তারা একটি অফিসিয়াল রিপোর্টে এ তথ্য জানিয়েছেন। দেশটির উত্তরাঞ্চলে আঘাত হানা এই ঘূর্ণিঝড়কে চলতি বছর আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত শনিবার ভিয়েতনামে আঘাত হানে সুপার টাইফুন ইয়াগি। এরপর বিভিন্ন স্থানে বন্যা ও ভূমিধসের বিষয়ে সতর্ক করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সময় রোববার হোয়া বিনহ প্রদেশে একটি বাড়ির ওপর পাহাড় ধসে পড়ার ঘটনায় একই পরিবারের চার সদস্য নিহত হন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ভিএনইএক্সপ্রেস জানায়, ইয়াগির প্রভাবে কয়েক ঘণ্টা টানা বৃষ্টিপাতের পর মধ্যরাতের দিকে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
এর আগে চীনের হাইনানে ভারী বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া নিয়ে আঘাত হানে টাইফুন ইয়াগি। সেখানেও হতাহতের ঘটনা ঘটে। ইয়াগির প্রভাবে ঘন্টায় ২৩০ কিলোমিটারের (১৪৩ মাইল) বেশি বেগে ঝোড়ো বাতাস বয়ে গেছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে যায়।
ভিয়েতনামের উপকূলীয় শহরগুলো থেকে প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়। লোকজনকে এই সময়ে বাড়িতেই অবস্থান করার জন্য সতর্ক করা হয়েছে। হ্যানয়সহ উত্তরাঞ্চলের ১২টি প্রদেশে সব স্কুল সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।