পুঁজিবাজার
আয় বাড়বে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলের
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি পদ্মা অয়েল লিমিটেড, মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড ও যমুনা অয়েল লিমিটেডের জ্বালানি তেল বিপণন মার্জিন বা কমিশন বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের জারি করা জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে এই মার্জিন বাড়ানো হয়। শুক্রবার থেকে এটি কার্যকর হয়েছে। ফলে কোম্পানি তিনটির আয় বাড়বে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মূল্য বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারির আগে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন বিপণনে মার্জিন ছিল ৫০ পয়সা। এটি বেড়ে ৮০ পয়সা হয়েছে। অন্যদিকে প্রতি লিটার অকটেন ও পেট্রল বিক্রিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর মার্জিন ছিল ৬০ টাকা, শুক্রবার থেকে এটি হয়েছে ৯০ পয়সা।
সূত্রে মতে, মার্জিন বাড়ার ফলে পদ্মা অয়েলের আয় চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চার মাসে (৮ মার্চ-৩০ জুন) বাড়বে প্রায় ১৮ কোটি টাকা, মেঘনা অয়েলের বাড়বে প্রায় ১৯ কোটি টাকা। তবে যমুনা অয়েল আয় বাড়ার কথা জানালেও কত বাড়বে তা প্রকাশ করেনি।
একই প্রজ্ঞাপনে ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রলের দাম কমানো হয়েছে, যা শুক্রবার থেকে কার্যকর হয়েছে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ডিজেল ও কেরোসিনে লিটারপ্রতি ৭৫ পয়সা, পেট্রলে ৩ টাকা ও অকটেনের দাম কমেছে ৪ টাকা।
এরফলে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১০৯ থেকে কমে ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা হয়েছে। পেট্রল ১২৫ টাকার পরিবর্তে এখন থেকে ১২২ টাকা লিটার হয়েছে। আর ১৩০ টাকায় বিক্রি হওয়া অকটেন হয়েছে লিটারে ১২৬ টাকা।
সমাপ্ত ২০২৩ অর্থবছরে পদ্মা অয়েলের আয় হয়েছে ২৬১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আগের অর্থবছরে যা ছিল ২৩৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৩৪৯ কোটি ৫২ লাখ টাকা। আগের অর্থবছরে যা ছিল ২৪০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) পদ্মা অয়েলের আয় হয়েছে ১৩৬ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরে যা ছিল ১৪০ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির নিট মুনাফা হয়েছে ১৬২ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ১৫৮ কোটি টাকা।
সমাপ্ত ২০২৩ অর্থবছরে মেঘনা পেট্রোলিয়ামের আয় হয়েছে ২৬১ কোটি ৫ লাখ টাকা। আগের অর্থবছরে যা ছিল ২১৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা। আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির নিট মুনাফা হয়েছে ৪৪২ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আগের অর্থবছরে যা ছিল ৩১৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে কোম্পানিটির আয় হয়েছে ১০৯ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ১১৬ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির নিট মুনাফা হয়েছে ১৮৯ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ১৮৪ কোটি টাকা।
সমাপ্ত ২০২৩ অর্থবছরে যমুনা অয়েলের আয় হয়েছে ১৩৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। আগের অর্থবছরে যা ছিল ১২৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৩৪০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আগের অর্থবছরে যা ছিল ১৮৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে কোম্পানিটির আয় হয়েছে ৬৩ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ৭১ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির নিট মুনাফা হয়েছে ২০৪ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ১৬৮ কোটি টাকা।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ইস্টার্ন হাউজিংয়ের লভ্যাংশ ঘোষণা
পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড গত ৩০ জুন,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ১৯ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ৪ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ইপিএস ছিলো ৭ টাকা ৭৩ পয়সা।
এই লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য আগামী ৩০ অক্টোবর বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করবে কোম্পানিটি। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৩ অক্টোবর।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
কনফিডেন্স সিমেন্টের লভ্যাংশ ঘোষণা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি কনফিডেন্স সিমেন্ট পিএলসি গত ৩০ জুন,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ৮ টাকা ৭৩ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি ৩ টাকা ১৫ পয়সা (রি-স্টেটেড) আয় হয়েছিল।
গত ৩০ জুন,২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি কনসুলেটেড নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৭৪ টাকা ৭৫ পয়সা।
কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ সেপ্টেম্বর।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ মিউচুয়াল ফান্ডের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ান গত ৩০ জুন,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
আজ সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত ফান্ডটির ট্রাস্ট্রি সভায় চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। ফান্ড সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ফান্ডটির ইউনিট প্রতি লোকসান হয়েছে ০.২৭৯১ টাকা। গত বছর একই সময়ে ইউনিট প্রতি আয় হয়েছিল ০.০৮৯৯ টাকা।
হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৯ মাসে ইউনিট প্রতি লোকসান হয়েছে ১.৩৩২০ টাকা। গত বছরের একই সময়ে ০.২৯৩৭ টাকা পয়সা আয় হয়েছিল।
গত ৩০ জুন,২০২৪ তারিখে বাজার মূল্য়ে ফান্ডটির ইউনিট প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৮ টাকা ৭২ পয়সা।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
দুই ফান্ডের তদন্তে বিএসইসির তিন সদস্যের কমিটি
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুইটি মিউচুয়াল ফান্ডের অনিয়ম তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তিন সদস্যের এ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। গঠিত তদন্ত কমিটিকে আগামী ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিএসইসি থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিএসইসি যে দুটি মিউচুয়াল ফান্ড নিয়ে অনিয়ম ও সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সেগুলো হলো- ইনভেস্টএশিয়া গ্রোথ ফান্ড এবং ইনভেস্টএশিয়া ব্যালেন্স ইউনিট ফান্ড।
গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ এমদাদুল হক, উপ-পরিচালক মো. রফিকুন্নবী এবং সহকারী পরিচালক মো. সাকিল আহমেদ।
বিএসইসির জারি করা আদেশে বলা হয়েছে, ট্রাস্টি এবং কাস্টডিয়ানে সেন্টিনেল ট্রাস্টি এবং কাস্টোডিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড ইনভেস্টএশিয়া ক্যাপিটাল অ্যান্ড অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনার অধীনে পরিচালিত ইনভেস্টএশিয়া গ্রোথ ফান্ড এবং ইনভেস্টএশিয়া ব্যালেন্সড ইউনিট ফান্ড। পুঁজিবাজার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বৃহত্তর স্বার্থে এ ফান্ড দুটির তদন্ত করা প্রয়োজন।
গঠিত তদন্ত কমিটি মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর যেকোন একটি থেকে কোনও সিকিউরিটিজে বেআইনি বিনিয়োগ করা হয়েছে কিনা, দুইটি মিউচুয়াল ফান্ডের সংশ্লিষ্ট ট্রাস্ট ডিড-এর প্রাসঙ্গিক ধারা/গুলোর পঞ্চম তফসিল লঙ্ঘন করেছেন কিনা, এই মিউচুয়াল ফান্ডের মেয়াদে ইনভেস্টএশিয়া ক্যাপিটাল অ্যান্ড অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের এমডি/সিইও সহ মূল ব্যবস্থাপনার কর্মীদের কোনো বেআইনি কার্যকলাপ আছে কিনা তা পর্যালোচনা করবে।
এছাড়াও, মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর স্বতন্ত্র বহিরাগত নিরীক্ষক, ট্রাস্টি এবং কাস্টোডিয়ানের ভূমিকা সম্পর্কে রিপোর্ট করা, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন মিউচুয়াল ফান্ড আইনমালা, ২০০১-এর বিসি ৪১-এর কোনো লঙ্ঘন থাকলে রিপোর্ট করা অ্যাসেট ম্যানেজার, ট্রাস্টি, তত্ত্বাবধায়ক এবং এই মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর সাথে সংশ্লিষ্ট যে কেউ, এই অনুসন্ধানের সমর্থনে প্রাসঙ্গিক নথি সংগ্রহ করতে, অন্যান্য (যদি থাকে) তদন্ত কর্মকর্তার প্রয়োজন অনুসারে তদন্ত করবে গঠিত কমিটি।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সালমান এফ রহমান ও এস আলমের বিষয়ে তদন্তে নামছে বিএসইসি
শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারিসহ নানান অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ তার নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠানের অনিয়মেন বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। একই সাথে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম ও তাঁর স্ত্রী, মেয়ের স্বামী, আত্মীয়সহ তার নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান সমূহের কর্মকান্ডের ফলশ্রুতিতে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট কোন অনিয়ম হয়েছে কি না এ বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশ দেওয়া হয়।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক মো. মাহমুদুল হক স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সালমান এফ রহমান ও এস আলমের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের জন্য ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিএসইসি। নিয়োগকৃত কর্মকর্তারা হলেন- বিএসইসির পরিচালক মোহাম্মাদ আবুল হাসান, অতিরিক্ত পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক অমিত কুমার সাহা এবং তৌহিদুল ইসলাম সাদ্দাম।
অনুসন্ধান কমিটির সদস্যদের আগামী ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
জানা গেছে, দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় গত ১৪ আগস্ট তারিখে প্রকাশিত এস আলম গ্রুপ এবং সালমান এফ রহমানের অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর প্রেক্ষিতে তদন্তে নেমেছে বিএসইসি।
প্রথম আলোর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সালমান এফ রহমান আশির দশক থেকেই শীর্ষস্থানীয় একজন ঋণখেলাপি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ১৯৯৬ সালে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারিতে তাঁর নাম এসেছিল। তবে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সালমান এফ রহমানের বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলো বিশেষ সুবিধা নিয়ে ঋণখেলাপির তালিকা থেকে নাম কাটায়। ২০১১ সালে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির পর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে সালমান এফ রহমানের ভূমিকা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এক সময়ের দেশের শীর্ষ ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসিকে ২০১৭ সালে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে মালিকানা ও ব্যবস্থাপনার নিয়ন্ত্রণ নেয় সদ্য বিদায় নেওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ এস আলম গ্রুপ। এরপর সাড়ে সাত বছরে নামে-বেনামে ব্যাংকটি থেকে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা বের করে নিয়েছে এই ব্যবসায়ী গোষ্ঠী ও এর স্বার্থসংশ্লিষ্ট রাজশাহীর নাবিল গ্রুপ। এই অর্থ ব্যাংকটির মোট ঋণের এক-তৃতীয়াংশ। ঋণের যে তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে, ব্যাংক থেকে পাচার করা অর্থের প্রকৃত পরিমাণ তার চেয়ে বেশি বলেই মনে করেন কর্মকর্তারা।
সংবাদে অভিযোগ করা হয়েছে, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি থেকে টাকা বের করা হয়েছে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম, তাঁর স্ত্রী, মেয়ের স্বামী, আত্মীয়সহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামে। ফলে তাদের নিয়েও তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।
কাফি