আন্তর্জাতিক
বৃষ্টি-বজ্রপাতে বিপর্যস্ত আমিরাত

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবল বৃষ্টি ও বজ্রপাত হয়েছে। আবুধাবি, দুবাই, শারজাহ, আজমান, রাস আল খাইমাহ, ফুজাইরাহসহ সব জায়গায় আজ শনিবার অঝোরে ঝরেছে বৃষ্টি। অতিবৃষ্টির পাশাপাশি আল আইন এবং পরবর্তীতে আজমানে বজ্রপাত হয়েছে।
শনিবার (৯ মার্চ) সকাল পৌনে ৮টায় মেঘে আচ্ছন্ন হয়ে যায় পুরো আকাশ। এরপর শুরু হয় বৃষ্টি।
গত সপ্তাহে দেশটির আবহাওয়া দপ্তর বৃষ্টির ব্যাপারে সতর্কতা দিয়েছিল। তারা আরও জানিয়েছে, এ সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত ভেজা আবহাওয়া বিরাজমান থাকবে।
আমিরাতের আবহাওয়া সংস্থা ন্যাশনাল সেন্টার ফর মেটরোলোজি (এনসিএম) জানিয়েছে, দুবাইয়ের আল খাওয়ানিজ এবং উম হুরাইরে সকালে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। পরবর্তীতে দুবাইয়ের অন্যান্য অঞ্চলেও প্রবল বৃষ্টিপাত হতে থাকে।
এরআগে গতকাল শুক্রবার রাতে আবুধাবির ছোট শহর গিয়াথিতে শিলাবৃষ্টি হয়। ওই সময় আবুধাবির অন্যান্য অঞ্চলে সাধারণ বৃষ্টি ঝরে।
আবহাওয়া দপ্তর গত সপ্তাহে জানিয়েছিল, দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের ভূপৃষ্ঠের নিম্নচাপ সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চল থেকে উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে দিকে বহমান আদ্র বাতাসের কারণে পুরো আমিরাতে ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
শুল্ক থেকে প্রতিদিন ২ বিলিয়ন ডলার আয় করছে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, শুল্ক আদায়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিদিন গড়ে ২ বিলিয়ন বা ২০০ কোটি ডলার আয় করছে। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) হোয়াইট হাউজে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই দাবি করেন তিনি। তবে এ সংক্রান্ত কোনো বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেননি ট্রাম্প।
জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের ওপর নানাবিধ শুল্ক আরোপ করেছেন, বিশেষত চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), ভারত ও অন্যান্য বাণিজ্য অংশীদারের বিরুদ্ধে। তার মতে, এই শুল্ক নীতি মার্কিন অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছে ও দেশের জন্য অতিরিক্ত রাজস্ব সৃষ্টি করছে। তবে, অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা তার এই দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের (অর্থ মন্ত্রণালয়) দৈনিক হিসাব অনুযায়ী, কাস্টমস অ্যান্ড সার্টেইন এক্সাইজ ট্যাক্স (শুল্ক ও বিশেষ কর) বিভাগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে নিট আয় ছিল প্রায় ৭.২৫ বিলিয়ন বা ৭২৫ কোটি ডলার, যা দৈনিক গড়ে প্রায় ২৫৯ মিলিয়ন বা ২৫ দশমিক ৯০ কোটি ডলারের সমান। মার্চ মাসে এই হার দৈনিক গড়ে প্রায় ২০০ মিলিয়ন বা ২০ কোটি ডলার। অর্থাৎ, ট্রাম্পের দাবিকৃত ২০০ কোটি ডলারের সঙ্গে ট্রেজারির তথ্যের বিশাল ব্যবধান রয়েছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ট্রাম্পের এই দাবি অতিরঞ্জিত হতে পারে। ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের গবেষণা অনুযায়ী, শুল্ক থেকে প্রাপ্ত অর্থের একটি বড় অংশই মূলত মার্কিন ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আসে, কারণ আমদানিকৃত পণ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে স্থানীয় বাজারে এর প্রভাব পড়ে। এছাড়া, শুল্ক যুদ্ধের কারণে মার্কিন রপ্তানিকারকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, বিশেষত কৃষি ও শিল্প খাতে।
মার্চ মাসের জন্য ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের পূর্ণাঙ্গ বাজেট বিবরণী এই বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হবে, যা শুল্ক আয়ের সর্বশেষ চিত্র তুলে ধরবে। তবে, ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি যে কীভাবে তারা দৈনিক ২০০ কোটি ডলার আয়ের হিসাব পেয়েছেন।
ট্রাম্প মূলত এই শুল্ক নীতিকে তিনি ‘মার্কিন শ্রমিক ও শিল্পের স্বার্থ রক্ষার হাতিয়ার’ বলে বর্ণনা করেছেন। তবে, বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা এটিকে ‘অর্থনৈতিক বিভ্রান্তি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
ট্রাম্পের শুল্ক নীতি শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, বৈশ্বিক বাণিজ্যেও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে। চীন ও ইউরোপের সঙ্গে বাণিজ্য সংঘাতের কারণে বিশ্ব বাজারে পণ্যের দাম ও সরবরাহ শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হচ্ছে। আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক এরই মধ্যে সতর্ক করেছে যে এই নীতি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
নতুন শুল্কহারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ৭৩ শতাংশ মার্কিন নাগরিক। সম্প্রতি রয়টার্স-ইপসোসের এক জরিপে উঠে এসেছে এ তথ্য।
রোববার শেষ হওয়া তিন দিনের ওই জরিপে দেখা গেছে, ৭৩ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, প্রায় সব ধরনের আমদানির ওপর নতুন শুল্ক কার্যকর হওয়ার পর আগামী ছয় মাসে তারা প্রতিদিন যেসব পণ্য কিনছেন সেগুলোর দাম বাড়বে। মাত্র ৪ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন দাম কমবে এবং বাকিদের মনে করেন দাম অপরিবর্তিত থাকবে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের অধিকাংশ দেশ থেকে আমদানির ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বেশিরভাগ মার্কিন নাগরিক ভোগ্যপণ্যের উচ্চমূল্যের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
গত সপ্তাহে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় মার্কিন শুল্ক বৃদ্ধি সংক্রান্ত ঘোষণা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্টের এ ঘোষণা ওয়াল স্ট্রিটকে কাঁপিয়ে দেয় অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাস, নতুন ট্যারিফ পণ্যের দাম বাড়িয়ে তুলবে এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ সমগ্র বিশ্বের বাকি অংশে মন্দা সৃষ্টি করতে পারে।
ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির এক চতুর্থাংশ উত্তরদাতাসহ জরিপে প্রায় ৫৭ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, প্রায় প্রতিটি দেশ থেকে আমদানির ওপর কমপক্ষে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণার বিরোধিতা করেন তারা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
চীনা পণ্যে ১০৪ শতাংশ শুল্ক, আজ থেকেই কার্যকর

বেশ কিছু চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ১০৪ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যা আজ বুধবার (৯ এপ্রিল) থেকে কার্যকর হয়েছে।
বিষয়টিকে প্রতিকূল প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে- কারণ এই পদক্ষেপ চীনের বিরুদ্ধে নতুন করে চাপ সৃষ্টি করতে পারে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্টের নির্দেশনা অনুযায়ী, আজ থেকে এই শুল্ক কার্যকর করা হয়েছে।
এই শুল্ক বৃদ্ধির পেছনে রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের একাধিক পদক্ষেপ। গত ২ এপ্রিল, ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে চীনা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ ন্যূনতম শুল্ক আরোপ করার ঘোষণা দেন। এরপর ৩৪ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, ফলে চীনা পণ্যের ওপর শুল্কের মোট পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৪ শতাংশ। এর পরবর্তী দিনগুলোতে শুল্ক বৃদ্ধির হুমকি দেয়ার পাশাপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্ট চীনের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দেন।
এর আগে, ৪ এপ্রিল চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা সব পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ আরও তীব্র হয়ে ওঠে। চীনের এই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দেন। তিনি ঘোষণা করেন, যদি চীন ৮ এপ্রিলের মধ্যে মার্কিন পণ্যের ওপর থেকে ৩৪ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার না করে, তবে ৯ এপ্রিল থেকে যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর আরও অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে।
অবশেষে, চীনের কোনো পদক্ষেপ না নেয়ার ফলে ট্রাম্প আজ, ৯ এপ্রিল থেকে ১০৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পোস্টে এই পদক্ষেপের পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন এবং চীনকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় শোষক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন অনেক লাভবান হচ্ছে, যা আগে চীনসহ অন্যান্য দেশগুলো থেকে শোষণ করা হতো। তেল, সুদের হার ও খাদ্যের দাম কমার পাশাপাশি কোনো ধরনের মূল্যস্ফীতি না থাকার বিষয়টিও ট্রাম্প উল্লেখ করেছেন।
এই পদক্ষেপের ফলে মার্কিন বাণিজ্যিক পরিবেশে একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি হওয়ার আশা করা হলেও, চীন এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের এই সিদ্ধান্ত ভুল এবং চীন কখনোই এটি মেনে নেবে না। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, “এটি আবারও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতারণার পরিচায়ক। চীন এর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে এবং তাদের বিরুদ্ধে কোনও ধরনের শুল্ক আরোপ মেনে নেয়া হবে না।”
চীনের শুল্ক আরোপের পরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই শুল্ক বৃদ্ধি নতুন করে বাণিজ্যযুদ্ধকে আরো গভীর করে তুলতে পারে। এই লড়াই দুটি দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী অর্থনৈতিক সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, কারণ দুটি দেশই একে অপরের প্রধান বাণিজ্যিক সঙ্গী।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
এশীয় ক্রেতাদের জন্য তেলের দাম কমানোর ঘোষণা সৌদির

আগামী মে মাস থেকে এশীয় ক্রেতাদের জন্য জ্বালানি তেলের দাম কমাচ্ছে সৌদি আরব। রোববার এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত তেল উত্তোলন ও বিপননকারী কোম্পানি সৌদি আরামকো।
বিবৃতিতে কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামী ১ মে থেকে এশীয় ক্রেতারা সৌদি আরামকোর ফ্ল্যাগশিপ পণ্য আরব লাইট ক্রুডসহ অন্যান্য সব তেলে প্রতি ব্যারেলে (এক ব্যারেল=১৫৯ লিটার) ২ দশমিক ৩০ ডলার ছাড় পাবেন।
জ্বালানি তেলের বাজার পর্যবেক্ষণকারীদের মতে, করোনা মহামারির পর থেকে ডলারের মানে যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ডলারের মজুত ধরে রাখতে অনেক দেশই জ্বালানি তেল ক্রয়ের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে।
এদিকে, জ্বালানি তেল উত্তোলন ও বিপননকারী দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস সম্প্রতি তেলের উত্তোলন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাজার বিশেষজ্ঞদের ধারণা, তেলের বিক্রি বাড়াতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম জ্বালানি তেল রপ্তানিকারী দেশ সৌদি আরব।
এর আগেও অবশ্য এশীয় ক্রেতাদের মূল্যছাড় দিয়েছে সৌদি, কিন্তু এবারের ছাড় অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন বাজার বিশ্লেষকরা।
করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে যে ধাক্কা লেগেছিল, তার রেশ চলেছে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত। বস্তুত ২০২২ সাল থেকে ২০২৪ সালের শুরু পর্যন্ত মন্দাভাব ছিল আন্তর্জাতিক তেলের বাজারে। সে সময় লোকসান ঠেকাতে ওপেক প্লাস দৈনিক তেলের উত্তোলন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সৌদি আরব ছিল তেলের উত্তোলন হ্রাসের প্রস্তাবক এবং তা কার্যকর করা দেশ।
বাজার পর্যবেক্ষণকারী ব্রিটিশ সংস্থা ক্যালাম ম্যাকফারসন এ প্রসঙ্গে রয়টার্সকে বলেন, “বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে ইরাক ও কাজাখস্তানের তেলের সরবরাহ বাড়ছে। এ দুই দেশের ক্রেতাদের বেশিরভাগই এশীয় এবং তাদের অনেকেই এক সময় সৌদি তেলের ক্রেতা ছিল। আমার ধারণা, নিজেদের ক্রেতাদের ফিরে পেতে এই মূল্যছাড় দিয়েছে সৌদি আরব।”
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
প্যারিসে সেন্টার কালচারাল মুসলমান ইডিএফ’র উদ্যোগে ঈদ পূর্ণমিলনী

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে সেন্টার কালচারাল মুসলমান ইডিএফ’র উদ্যোগে ঈদ পূর্ণমিলনী ও এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
রবিবার (৬ এপ্রিল) বণার্ঢ্য আয়োজনে প্যারিসের উপকন্ঠ স্তা-তে এই আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কমিউনিটি মসজিদ ও কালচারাল সেন্টারের হলরুম প্রবাসীদের মিলমেলায় পরিনত হয়েছিলো। দুই পর্বের এই অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিলো অন্যতম আকর্ষণ।
অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক বিভাগের সহকারী পরিচালক সাংবাদিক মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম ও শিল্পী ওমর ফারুকের যৌথ পরিচালনায় প্যারিস শিল্পী গোষ্ঠী ও প্যারিস থিয়েটারের যৌথ পরিবেশনায় গান, কবিতা আবৃত্তি , দর্শক পর্ব ও নাটিকায় মুগ্ধ হয়েছেন প্রবাসীরা।
আয়োজকদের পক্ষে প্রথম পর্বের অনুষ্ঠানে ইমরান আহমেদের পরিচালনায় ও গোলাম ফারুক ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে কুরআনে হাকীম থেকে তেলাওয়াত করেন হাফেজ কারী বেলায়েত হোসাইন খান।
এসময় বক্তব্য রাখেন সেন্টার সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সালাহউদ্দিন, সিসিএএম সভাপতি নুরুল ইসলাম, ঈদ অনূভুতি ব্যক্ত তোফায়েল শিপু, সাকিব সিদ্দিকী, সোহেল আহমেদ, হাবীবুল্লাহ বাহার, সাইফুর রহমান, নাজমুল ইসলাম কোরেশি প্রমুখ প্রবাসীরা।
এসএম