অর্থনীতি
গ্যাসের বিল বকেয়া ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি: নসরুল হামিদ

গ্যাস সরবরাহে নিয়োজিত ছয় বিতরণ কোম্পানির গ্যাসের বকেয়া বিল ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। গত জানুয়ারি পর্যন্ত গ্রাহকদের কাছে এ বিল বকেয়া পড়েছে বিতরণ কোম্পানিগুলোর।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গ্যাসের বকেয়া বিল দ্রুত সংগ্রহ করার উদ্যোগ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গত জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের ছয়টি বিতরণ কোম্পানির গ্যাসের বকেয়া বিল ২৫ হাজার ২৮৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির বকেয়া রয়েছে ২ হাজার ৮৪ কোটি টাকা। সরকারি প্রতিষ্ঠানও সময়মতো বিল না দিলে গ্যাসের লাইন কেটে দেয়া উচিত।
বুধবার বিকালে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড কেজিডিসিএল অধিভুক্ত এলাকায় প্রি-পেইড গ্যাস মিটার স্থাপন প্রকল্পের ডাটা সেন্টার উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের অনুমোদিত স্থান ছাড়া গ্যাসের নতুন সংযোগ দেয়া হবে না। একই সঙ্গে অপরিকল্পিত সংযোগ থাকলে সেগুলো বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ দেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, চট্টগ্রামে যেন বেইলি রোডের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের কর্মকর্তাদের আন্তরিকতার সঙ্গে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। গাফিলতি করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এসময় অন্যদের মধ্যে পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার ও কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সাকলাইন উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
নগদে প্রশাসক নিয়োগ ও নতুন বোর্ড অবৈধ: চেম্বার আদালত

মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদ-এ প্রশাসক ও নতুন বোর্ড নিয়োগকে বেআইনি ঘোষণা করেছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালত। গত বুধবার (৭ মে) অনুষ্ঠিত শুনানিতে আদালত এ রায় ঘোষণা দেন।
চেম্বার আদালতের আদেশে বলা হয়, প্রশাসক নিয়োগ ও নতুন বোর্ড বসিয়ে নগদের ওপর সাময়িক নিয়ন্ত্রণ আরোপের চেষ্টা আইনসঙ্গত নয়। এর ফলে ডাক বিভাগের আওতাধীন এই প্রতিষ্ঠানটি এখন থেকে মূল মালিকপক্ষের নিয়ন্ত্রণে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রণীত নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত হতে পারবে—এ নিয়ে আর কোনো আইনগত বাধা রইল না।
নগদ মালিকপক্ষের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার মুহাম্মদ জমির উদ্দিন সরকার রায়ের পর বলেন, এই রায় দেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রমাণ করেছে, জোর করে প্রশাসক বসিয়ে কোনো প্রতিষ্ঠানের মালিকানা দখল করা যায় না। সুপ্রিমকোর্ট একটি সাহসী ও ন্যায়সংগত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, যা সুশাসনের প্রতিফলন।
এবিষয়ে নগদের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, গত আট মাস আমি জার্মানিতে একটি রেগটেক প্রজেক্ট নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম, যেটি খুব শিগগির আরেকটি ইউনিকর্ন হতে চলেছে। তাই আমি নগদে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে ফিরছি না, এটি আমি বোর্ডকেও জানিয়ে দিয়েছি। তবে নগদ আমার সন্তানের মতো, তাই নতুন বোর্ড বা সিইও যদি কখনো আমার পরামর্শ চান, আমি সবসময় প্রস্তুত থাকব।
এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টও এ বিষয়ে করা একটি রিট আবেদন খারিজ করে দেন এবং স্পষ্ট করে দেন যে, প্রশাসক নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণযোগ্য নয়।
জানা গেছে, নগদের মালিকপক্ষ প্রথম থেকেই প্রশাসক নিয়োগকে অবৈধ ও প্রতিষ্ঠানবিরোধী ষড়যন্ত্র হিসেবে চিহ্নিত করে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল। সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়ের মাধ্যমে এখন তা পুরোপুরি প্রমাণিত হয়েছে যে, কোনো প্রতিষ্ঠানকে জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার চেষ্টা যেমন অবৈধ, তেমনি তা দেশের ব্যবসা-বিনিয়োগ পরিবেশের জন্যও হুমকি।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এই রায় শুধুমাত্র নগদের জন্য নয় বাংলাদেশের ফিনটেক খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে এবং বেসরকারি খাতের স্বাধীনতা ও বিনিয়োগ নিরাপত্তা আরও সুদৃঢ় করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সরকারি অর্থ ব্যয়ে অপচয় কমাতে হবে: দুদক চেয়ারম্যান

সরকারি অর্থ ব্যয়ে অপচয় কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। সংস্থাটির কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজিত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট এন্ড রুলস বিষয়ক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
সোমবার (১২ মে) দুপুরে গজারিয়া মুন্সীগঞ্জের, ইঞ্জিনিয়ারিং ষ্টাফ কলেজ বাংলাদেশ (ইএসসিবি) মেইন ক্যাম্পাসে প্রশিক্ষণ কর্মসূচিটি উদ্বোধন করা হয়। এই কর্মসূচিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মরত তিরিশ জন কর্মকর্তা অংশ নিয়েছেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন দুদক এর মহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও তথ্যপ্রযুক্তি) আব্দুল্লাহ আল জাহিদ, ইএসসিবি রেক্টর প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম এবং আইইবি ভাইস প্রেসিডেন্ট (এইচআরডি) ও সদস্য বিওজি (ইএসসিবি) প্রকৌশলী শেখ আল আমিন।
অনুষ্ঠানে সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এই প্রশিক্ষণ কর্মক্ষেত্রে কাজে লাগাতে হবে বলে জানান দুদকের মহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও তথ্যপ্রযুক্তি) আব্দুল্লাহ আল জাহিদ। দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণে এগিয়ে আসতে বলেন আইইবি ভাইস প্রেসিডেন্ট (এইচআরডি) ও সদস্য বিওজি (ইএসসিবি) প্রকৌশলী শেখ আল আমিন। প্রকুরমেন্টের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেন রেক্টর, প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন ইঞ্জিনিয়ারিং ষ্টাফ কলেজ বাংলাদেশের (ইএসসিবি) প্রকিউরমেন্ট ইউনিটের প্রধান ও ফ্যাকাল্টি ট্রেইনার ড. তাওহীদ হাসান। সারাদেশ থেকে আগত এসিসি কর্মকর্তাগণ জানিয়েছেন, ইএসসিবিতে আয়োজিত এসিসির এই প্রশিক্ষণ সকল কর্মকর্তাদের জন্য অত্যন্ত ফলপ্রসূ। কর্মকর্তাদের এই আইন জেনে তা বাস্তবায়ন করার কোনো বিকল্প নেই।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৯ হাজার কোটি টাকা

দেশের ইতিহাসে রেমিট্যান্স আসায় একের পর এক রেকর্ড হয়েছে। সর্বোচ্চ এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে যথাক্রমে মার্চ ও এপ্রিলে। রেমিট্যান্স আসার সেই ধারা এখনো অব্যাহত রয়েছে। চলমি মাস মে’র প্রথম সাত দিনেই ৭৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় দেশে এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ প্রায় ৯ হাজার কোটি (৮ হাজার ৯৬৭ কোটি) টাকা। আর প্রতিদিন আসছে ১০ কোটি ৫০ লাখ ডলার বা ১২৮১ কোটি টাকা। এভাবে রেমিট্যান্স এলে চলতি মাসে আবারও রেকর্ড হতে যাচ্ছে অর্থাৎ তিন বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, মে মাসের প্রথম সাত দিনে ৭৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। যা তার আগের বছরের একই সময়ে (মে, ২০২৪) সাড়ে ১৩ কোটি ডলার বেশি। ২০২৪ সালের মে মাসের প্রথম সাত দিনে এসেছিল ৬০ কোটি ১০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স।
আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই থেকে মে মাসের সাতদিন পর্যন্ত দেশে মোট ২ হাজার ৫২৭ কোটি ৩০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। যা গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে মাসের সাতদিন পর্যন্ত এসেছিল এক হাজার ৯৭২ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরের তুলনায় এখন পর্যন্ত সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার বেশি এসেছে। অর্থবছরের হিসাবে চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত রেমিট্যান্স আসার প্রবৃদ্ধি ২৮.২ শতাংশ।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে এসেছে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার এবং সবশেষ এপ্রিলে আসে ২৭৫ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিশ্বের ব্যবসায়ী নেতাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান

উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের যাত্রায় অংশীদার হতে বিশ্বের ব্যবসায়ী নেতাদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেছেন, প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
শনিবার (১১ মে) জাপানের ওসাকার কানসাই এ ‘ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২৫’ এর ‘বাংলাদেশ দিবস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান উপদেষ্টা।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, প্যাভিলিয়নে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস, কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়েছে। ঐতিহ্যের সঙ্গে ভবিষ্যৎ সমাজের সেতুবন্ধের প্রতীক হিসেবে প্যাভিলিয়ন কাঠের কাঠামো দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, যা শূন্য কার্বন ও টেকসই অনুশীলনের উদাহরণ।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশ এখন প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের এক অনন্য উদাহরণ। আর্থ-সামাজিক ব্যাপক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে দেশটি এখন ২০৩১ সালের মধ্যে একটি উচ্চমধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করছে। ক্রমবর্ধমান তরুণ জনসংখ্যা এবং স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি দেশের মানুষকে সমৃদ্ধির স্তরে উন্নীত করেছে।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ বাজারের পাশাপাশি, আসিয়ান দেশগুলোর কৌশলগত কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। এ কারণে এই অঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত বাণিজ্য অংশীদার হওয়ার অপার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের।
তিনি বলেন, উদার বিনিয়োগ ব্যবস্থার সুযোগ গ্রহণ করে বিশ্বের উন্নত দেশসমূহ তৈরি পোশাক, চামড়া, ওষুধ, হালকা প্রকৌশল, আইটি, পাট ও পাটজাত পণ্য, সিরামিক শিল্পে বিনিয়োগের সুযোগ গ্রহণ করতে পারে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ওগুশি মাসাকি বলেন, ১৯৭২ সাল থেকে জাপান বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কে আবদ্ধ। প্রতিনিয়ত এ সম্পর্ক গতিশীল হচ্ছে। ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ প্রক্রিয়ায়ও জাপানের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
জবাবদিহিমূলক বিজিএমইএ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার ফোরামের

স্বচ্ছ, কার্যকর ও জবাবদিহিমূলক বিজিএমইএ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নিয়ে নির্বাচনী মাঠে নেমেছে ফোরাম। টেকসই পোশাক শিল্পের ভবিষ্যতের জন্য ৯টি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব তুলে ধরেছে সংগঠনটি।
রবিবার (১১ মে) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের নেতারা তাদের পরিকল্পনা তুলে ধরেন। প্যানেল লিডার মাহমুদ হাসান খান বাবু লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন।
মাহমুদ হাসান খান বলেন, পোশাক শিল্প জাতীয় অর্থনীতি, জিডিপি, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, কর্মসংস্থান এবং নারীর ক্ষমতায়নে বিশাল ভূমিকা রাখছে। তবে দীর্ঘ ৪৫ বছরের পথচলায় এ খাতটি এখনও পুরোপুরি টেকসই হয়ে উঠতে পারেনি।
তিনি বলেন, বিজিএমইএর পক্ষ থেকে অতীতে যতটা শক্তিশালী ভূমিকা আশা করা গিয়েছিল, ততটা দেখা যায়নি। বরং একটি গোষ্ঠী সরকারের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করেছে। তবে পোশাকখাতের মালিকরা সবসময় একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক বিজিএমইএ চেয়েছেন।
প্যানেল লিডার মাহমুদ হাসান খান জানান, ফোরাম ৩৫ জন পরিচালক পদপ্রার্থী নির্বাচন করেছে। এ প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা, তরুণ নেতৃত্ব, দূরদর্শিতা এবং অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বিশ্বাস করেন, ফোরামের প্রার্থীরা নির্বাচিত হলে একটি নতুন বিজিএমইএ গঠিত হবে এবং তারা দৃঢ়তার সঙ্গে পোশাক খাতকে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হবেন।
পোশাক খাতের অগ্রগতি, উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ফোরাম নেতারা ৯টি কৌশলগত প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন। তাদের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি (এসএমই) উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ নীতি সহায়তা নিশ্চিত করা, ব্যাংক ও কাস্টমস সংক্রান্ত হয়রানি দূর করা, রুগ্ণ শিল্পগুলোর জন্য বিশেষ নীতি সহায়তা প্রদান এবং অনিয়ন্ত্রিত কারণে রুগ্ণ হওয়া কারখানাগুলোর জন্য একটি সুস্পষ্ট এক্সিট পলিসি প্রণয়ন করা।
তিনি আরও জানান, তাদের প্যানেলে এমন প্রার্থীদের নির্বাচন করা হয়েছে যারা শুধু পরিচালক হওয়ার জন্য আসেননি, বরং শিল্পের জন্য কাজ করতে চান। নির্বাচিত হলে বিজিএমইএ আর শুধু কার্ডধারী পরিচালকদের বা দলীয় কার্যালয় হিসেবে পরিচিত হবে না।
ফোরাম নেতারা অভিযোগ করেন, বিগত দিনে অনেক মালিক বিজিএমইএতে গিয়ে সহযোগিতা পাননি বরং হয়রানির শিকার হয়েছেন। তবে ফোরাম নেতৃত্ব পেলে সংগঠনটি মালিক ও শ্রমিক উভয়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে এবং এখানে রাজনৈতিক বিবেচনা স্থান পাবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তা পালাতক রয়েছেন এবং অনেকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে তাদের কেউই বিজিএমইএর সভাপতি পদে ছিলেন না। এটি তাদের ব্যক্তিগত কর্মের ফল।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ফোরামের মহাসচিব ড. রশিদ আহমেদ হোসাইনী, প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক ফয়সাল সামাদ প্রমুখ।