আন্তর্জাতিক
রোজার আগেই আমিরাতে পেঁয়াজের দাম কমবে ২০ শতাংশ

রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে দিয়েছে ভারত। এরই প্রভাবে আরব আমিরাতে রোজার আগে পেঁয়াজের দাম কমবে ২০ শতাংশ। টানা তিন মাস নিষেধাজ্ঞা থাকার পর এ সপ্তাহের শুরুতে বাংলাদেশ ও আরব আমিরাতে ৬৪ হাজার ৪০০ টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেয় ভারত।
অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ার পর ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে অতি প্রয়োজনীয় এ পণ্য রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত। ওই সময় ঘোষণা দেওয়া হয় ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। এর আগে অক্টোবরে প্রথম নিষেধাজ্ঞা দেয় তারা। পরে তা আরও তিন মাস বাড়ানো হয়।
ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার পর আরব আমিরাতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ গড়ে ১ দশমিক ৫ দিরহাম থেকে ২ দিরহাম পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। তবে গত সপ্তাহ থেকে এই দাম ১ দিরহামের নিচে নেমে আসে। ভারতের বদলে তুরস্ক, ইরান এবং চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করে আমিরাত।
কয়েক বছর আগে একটি অর্থনৈতিক চুক্তি করে ভারত ও আরব আমিরাত। এই চুক্তি অনুযায়ী, পেঁয়াজ ছাড়াও অন্যান্য পণ্য রপ্তানির সিদ্ধান্ত নেয় আমিরাত।
কাফি

আন্তর্জাতিক
বাংলাদেশের শুল্ক কমায় ভারতের পোশাক বাজারের শেয়ারে দরপতন

ট্রাম্প প্রশাসনের সর্বশেষ শুল্ক সিদ্ধান্তে শুক্রবার ভারতের টেক্সটাইল শেয়ারদরগুলো ৭ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশি পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনে, যা ভারতের রপ্তানিকারকদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রতিযোগিতা আরও তীব্র করে তুলেছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) এই ঘোষণার পর ভারতীয় পুঁজিবাজারে পোশাক-নির্ভর কোম্পানিগুলোর শেয়ারে ব্যাপক বিক্রির চাপ দেখা যায়। গোকালদাস এক্সপোর্টসের শেয়ার ৩.১ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৮২৪.৫০ রুপিতে। পার্ল গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিজের পতন ঘটে ৭.২ শতাংশ, নামতে নামতে তা দাঁড়ায় ১,৩৮০.০৫ রুপিতে। অরবিন্দ লিমিটেড ১.৮ শতাংশ কমে ৩১০.৪০ রুপিতে নামলেও, ওয়েলস্পান লিভিং ১.৯ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ১২৩.৮০ রুপিতে। কেপিআর মিলের শেয়ারও ৪.৩ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ১,০৯২ রুপিতে।
উল্লেখ্য, ওয়েলস্পান লিভিং, গোকালদাস এক্সপোর্টস, ইন্দো কাউন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ এবং ট্রাইডেন্টের মতো কোম্পানিগুলো তাদের মোট আয়ের ৪০ থেকে ৭০ শতাংশই মার্কিন বাজার থেকে অর্জন করে। ফলে নতুন শুল্ক নীতির কারণে তারা বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় চাপের মুখে পড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৭০ শতাংশ রাজস্ব পাওয়া কিটেক্স গার্মেন্টসের শেয়ার ৫ শতাংশ কমে গেছে। এ ছাড়া ট্রাইডেন্ট এবং ইন্ডো কাউন্ট ইন্ডাস্ট্রিজের মতো অন্যান্য টেক্সটাইল কোম্পানির শেয়ারও ১ থেকে ২.৫ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে।
বাংলাদেশের শুল্ক বর্তমানে ভিয়েতনামের ২০ শতাংশ হারের সমান হয়েছে। অথচ ভারতীয় টেক্সটাইল পণ্যের ওপর এখনও ২৫ শতাংশ শুল্ক বহাল রয়েছে এবং অতিরিক্ত জরিমানার বিষয়ে এখনো মার্কিন কর্তৃপক্ষ পরিষ্কার কোনো দিকনির্দেশনা দেয়নি।
ফলে শুল্কনীতির এই অসমতা ভারতীয় রপ্তানিকারকদের মুনাফার হার এবং দাম নির্ধারণে ক্ষমতা—দুই ক্ষেত্রেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে যেসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এবং ভিয়েতনাম খরচ-সাশ্রয়ী উৎপাদনের মাধ্যমে মার্কিন বাজারে আধিপত্য বিস্তার করেছে, সেসব খাতে ভারতের প্রতিযোগিতা আরও কঠিন হবে।
গোকুলদাস এক্সপোর্টস এবং পার্ল গ্লোবাল তাদের ৫০-৭০ শতাংশ আয় মার্কিন বাজার থেকে অর্জন করে। অন্যদিকে, অরবিন্দ লিমিটেড এবং কেপিআর মিল যথাক্রমে ৩০ শতাংশ এবং ২১ শতাংশ আয়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল।
চয়েস ওয়েলথ-এর অ্যাসোসিয়েট ভাইস প্রেসিডেন্ট অক্ষত গার্গ বলেন, ‘জেমস, টেক্সটাইল এবং অটো পার্টস খাতে ভারতীয় রপ্তানিকারকদের জন্য এর তাৎক্ষণিক এবং কঠোর প্রভাব পড়বে। এমনিতেই যেসব খাতের মুনাফা কম, তারা এখন প্রতিদ্বন্দ্বী ভিয়েতনামের তুলনায় ৭-১০ শতাংশ খরচে পিছিয়ে পড়েছে।’
শুক্রবারের এই দরপতন বৃহত্তর এক ধারাবাহিক পতনের অংশ, যার সূচনা হয়েছিল বৃহস্পতিবার। সেদিন পার্ল গ্লোবাল ৭ শতাংশের বেশি এবং গোকুলদাস এক্সপোর্টস ৪.৫ শতাংশের বেশি দরপতন হয়। কেপিআর মিলের শেয়ারও ৩ শতাংশের বেশি এবং ওয়েলস্পান লিভিং প্রাথমিকভাবে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও দিন শেষে প্রায় ৪ শতাংশ কমে যায়।
যেখানে এক সময় বাংলাদেশের তুলনায় ভারত অল্প সময়ের জন্য কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল, সেখানে এখন নতুন করে বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতামূলক দামের দিক থেকে অনিশ্চয়তা দেখা দিচ্ছে ভারতীয় টেক্সটাইল শিল্পের জন্য।
আন্তর্জাতিক
মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ বাংলাদেশি নিহত

মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো দুইজন। শুক্রবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় দেশটির পূর্ব উপকূল মহাসড়কের কেএম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
শনিবার (২ আগস্ট) মালয়েশিয়ার দ্যা স্ট্যার নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
কুয়ান্তানের ভারপ্রাপ্ত জেলা পুলিশ প্রধান সুপারিনটেনডেন্ট মো. আদলি মাত দাউদ জানান, কুয়ান্তান থেকে কুয়ালালামপুরগামী একটি মাল্টিপারপাস যানবাহন (এমপিভি) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক থেকে ছিটকে পড়লে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন—চালক মো. সাব্বির হাসান (৩০), এবং যাত্রী মো. জাহিদ হাসান (২১) ও আব্দুল্লাহ (২৪)। দুর্ঘটনাস্থলেই তারা প্রাণ হারান।
আহতরা হলেন—মো. হাবিব বিশ্বাস (৪৫) ও মনিরাম চন্দ্র বসু (৪০)। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ কর্মকর্তা আদলি মাত দাউদ আরো জানান, দুর্ঘটনায় ব্যবহৃত গাড়ির চালকের বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।
নিহত বাংলাদেশিদের গ্রামের বাড়ি কোন জেলায় তা এখনও জানা যায়নি। নিহতদের মরদেহ কুয়ান্তানের তেঙ্কু আম্পুয়ান আফজান হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ চলবে: হামাস

স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে অস্ত্র ত্যাগের আহ্বানের জবাবে এ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) হামাসের সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দখলদারিত্বের অবসান এবং জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ থামবে না তারা।
ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের লক্ষ্যে চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে তিনদিনব্যাপী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ফ্রান্স ও সৌদি আরবের নেতৃত্বে ওই সম্মেলনের দ্বিতীয়দিন মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এক যৌথ ঘোষণাপত্র জারি করা হয়।
এতে ১৭টি দেশ ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেছে। যার মধ্যে কাতার, সৌদি আরব ও মিশরের পাশাপাশি যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, কানাডা ও আরও কয়েকটি পশ্চিমা দেশ রয়েছে।
ঘোষণাপত্রে হামাসকে গাজা শাসন থেকে সরে দাঁড়াতে এবং অস্ত্র পরিত্যাগ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে গাজায় ত্রাণ নিতে আসা মানুষের ওপর ইসরায়েলের বর্বরতা থামছেই না। প্রতিটি খাবার বহনকারী ট্রাক যেন হয়ে উঠছে মৃত্যুফাঁদ। খাবার নিতে এসে গুলিতে নিহত হচ্ছে শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বয়স্করাও। ত্রাণ নিতে গিয়ে গুলিতে প্রাণ হারানোর মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। একেকটি ট্রাক ঘিরে পরিকল্পিতভাবে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা হয় বলে মনে করে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত সংস্থাগুলো।
এই পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনিদের সহায়তার কথা বললেও, গাজা সফরে এসে কোনো জাতিসংঘ প্রতিনিধির সঙ্গেই সাক্ষাৎ করেননি মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ। বরং বিতর্কিত ত্রাণকেন্দ্র গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন পরিদর্শন করেছেন তিনি। জাতিসংঘ বারবার এই সংস্থার বিরুদ্ধে অযোগ্যতা ও নিরাপত্তা সংকট তৈরির অভিযোগ তুলেছে।
অন্যদিকে গাজায় হামলা বন্ধে কোনো সমাধানে পৌঁছানো যাচ্ছে না বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান ইয়াল জামির।
তিনি বলেন, কয়েকদিনের মধ্যেই বোঝা যাবে যুদ্ধবিরতি হবে কিনা। একই সঙ্গে তিনি গাজায় ‘ভুয়া দুর্ভিক্ষ প্রচার’ চলছে বলেও দাবি করেন।
আন্তর্জাতিক
ভারতের ভিসা প্রসেসিং ফি বাড়ছে

ভিসা প্রক্রিয়াকরণ ফি বাড়াচ্ছে ভারত। নতুন ফি নির্ধারন করা হয়েছে ১ হাজার ৫০০ টাকা। এই বর্ধিত ভিসা ফি আগামী ১০ আগস্ট থেকে প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার (আইভ্যাক)। এর আগে ভারতের ভিসার জন্য আবেদন ফি ছিল ৮০০ টাকা।
আইভ্যাক এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিগত বছরগুলোতে উপকরণ ও পরিচালন ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে, বাংলাদেশে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রে (আইভিএসি) জমা দেওয়া আবেদনের জন্য ভিসা প্রসেসিং ফি আগামী ১০ আগস্ট থেকে থেকে সংশোধন করে ১ হাজার ৫০০ টাকা করা হবে। এই প্রসেসিং ফি ভিসা আবেদন পরিচালনার সুবিধার্থে আইভিএসি কর্তৃক আরোপিত একটি সার্ভিস চার্জ।
আইভ্যাক আরও জানায়, ২০১৮ সালের পর ভিসা প্রসেসিং ফি এই প্রথম সংশোধন করা হলো এবং সেবার মান ও অবকাঠামোগত উন্নতি অব্যাহত রাখতে এটি প্রয়োজনীয়। বিদ্যমান নীতি অনুসারে, ভারত সরকার বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য কোনও ভিসা ফি নেয় না এবং সমস্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভারতীয় ভিসা বিনামূল্যেই থাকবে।
আন্তর্জাতিক
১০১ বছর বয়সেও রোগমুক্ত জীবনযাপন করছেন তুরস্কের এই নারী

কোনো রোগ বা স্বাস্থ্য সমস্যা ছাড়াই দিব্যি জীবনযাপন করছেন দক্ষিণ তুরস্কের ১০১ বছর বয়সের এক নারী। তার নাম আয়শে উগুর। ছোটবেলা থেকেই প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ার দিকে মনোযোগ দিয়েছেন তিনি। তৈরি করা বা প্রক্রিয়াজাত খাবার নয় বরং সময়মতো ঘুমাতে যাওয়া ও সকালে তাড়াতাড়ি জেগে ওঠার অভ্যাস অনুসরণ করেছেন এই নারী।
জানা গেছে, আয়শে উগুর তার খাদ্যাভ্যাসের ওপর খুব গুরুত্ব আরোপ করেন এবং কৃত্রিম ও প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে কঠোরভাবে বিরত থাকেন। এছাড়া দুধ, মধু, গুড়, জ্যাম, ডিম, মাখন ও দইয়ের মতো প্রাকৃতিক খাদ্য দিয়ে নিজেকে পুষ্ট রাখেন। ১০১ বছর বয়সেও তিনি দাবি করেন যে তার কোনো রোগ নেই। তিনি নিজেই বাসায় খাবার প্রস্তুত করেন; নিজেই দই তৈরি করেন এবং প্রচুর শাকসবজি ও ফলমূল খান।
তিনি বলেন, “আমি সকালের নাস্তা করি। যেটা খেতে ইচ্ছা করে, সেটাই তৈরি করি। দুপুর পর্যন্ত বাসা থেকে বের হই না, কিন্তু তারপর বাইরে ছায়ায় বসি কারণ আবহাওয়া খুব গরম। আমি গরম সইতে পারি না। আমি সবসময় প্রাকৃতিকভাবে খেয়েছি। যেসব ফলমূল ও সবজি খাই, তা আমার নিজের বাগান থেকেই আসে।”
শৈশব ও যৌবনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আয়শে উগুর বলেন, “আগের দিনগুলো এখনকার চেয়ে ভালো ছিল। আমাদের ছোট খামার ও মুরগি ছিল। আমরা নিজেরাই আমাদের পণ্যের জোগান দিতাম। কিন্তু এখন সেসব দিনের অনেক কিছু আর অবশিষ্ট নেই।”
নিজের উৎপাদিত পণ্যের পাশাপাশি তিনি স্থানীয় পণ্যও গ্রহণ করেন এবং পুষ্টির ব্যাপারে সবসময় সচেতন থাকেন। তিনি বলেন, “আমার কাছে সবসময় মধু ও গুড় থাকে। আমি মাংস ভেজে ফ্রিজে রেখে দেই; যখন দরকার হয়, বের করে খাই। আমি নিজেই জ্যাম তৈরি করি। আমার বাসায় সবসময় ভাজা ও সেদ্ধ মাংস থাকে। আলহামদুলিল্লাহ, আমার যা কিছু দরকার, সবই আছে। আমার কোনো রোগ নেই। আমার ডায়াবেটিস নেই, কোলেস্টেরল নেই, উচ্চ রক্তচাপ নেই। আমি যা খাই তা আমার কোনো ক্ষতি করে না। আমার ঘুম নিয়মিত। যতটা পারি, ডিম, দুধ ও দই খাই। আমি ভালোভাবে নিজেকে পরিচালনা করছি। আমি যা পারি, তাই খাই।”
আয়শে উগুর আরও বলেন, তিনি কখনোই তার নামাজ বাদ দেন না এবং রমজানে রোজা পালন করেন। তিনি বলেন, “আমি সবসময় তাসবিহ ব্যবহার করি ও দোয়া করি। আমি কখনো ইবাদত বাদ দিই না। ঘুমানোর আগে ও ঘুম থেকে উঠেই আমি দোয়া করি।”
তিনি তার সন্তান ও নাতি-নাতনিদের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে পারিবারিক সম্পর্ক, একতা ও সৌহার্দ্যের গুরুত্বের কথা বলেন।
তার ছোট ছেলে, ৫৫ বছর বয়সী নিসান উগুর বলেন, “আমরা প্রতি সপ্তাহে মায়ের কাছে যাই। কখনো তাকে একা রাখি না। তার যেকোনো প্রয়োজন আমরা পূরণ করি। তিনি যা দরকার বলেন, আমরা কিনে আনি। আমি প্রতি সপ্তাহে গ্রামে যাই মাকে দেখতে। তিনি এখন ১০১ বছর বয়সী। আমি বিশ্বাস করি, তিনি এই বয়সে পৌঁছেছেন কারণ তিনি সবসময় প্রাকৃতিক ও অর্গানিক খাবার খেয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের পরিবারের সবচেয়ে বড় সদস্যের বয়স ৭৫ বছর, আর আমি সবচেয়ে ছোট – ৫৫ বছর বয়সী। আমার মা সবসময় প্রাকৃতিক খাবার খেয়েছেন। তিনি সব সময় স্বাস্থ্য নিয়ে সতর্ক ছিলেন। বর্তমানে তার কোনো অসুস্থতা নেই। তার ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল বা উচ্চ রক্তচাপ নেই।”